শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলিম দেশেই পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। অধিকাংশ মুসলিম দেশে কমেছে নিত্যপণ্যের দাম। তবে কমেনি বাংলাদেশে। উল্টো চড়া হয়েছে বাজার। সকল পণ্যের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা করে বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মাংসের দোকানেও। গরুর মাংস ৭২০ টাকা থেকে বেড়ে কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (১১ মার্চ) মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও পীরেরবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। পবিত্র রমজান উপলক্ষে গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছে। একই সঙ্গে বাড়তি দামও নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তাদের মতে, রমজানের কারণে হাটে গরুর দাম বেড়ে গেছে। ফলে মাংসও বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় মাংসবিক্রেতা নয়ন বলেন, এমনি সময় আমরা ৭২০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করি। আজ ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছি। রমজানকে কেন্দ্র করে হাটে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও একটু বাড়তি দামে বিক্রি করছি। এর চেয়ে কমে মাংস বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিরপুরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা শওকত আলী বলেন, আমাদের দেশে রমজান এলেই সবকিছুই দাম বেড়ে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মাঝে মাংসের দাম কিছুটা কমলেও শবে বরাতের আগে থেকেই মাংস ৭৫০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। এখানের সিন্ডিকেট রয়েছে কোনো দোকানদার চাইলেও দাম কমিয়ে বিক্রি করতে পারে না।

চট্টগ্রামে গরুর মাংসের দাম আরও চড়া। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর ও আশপাশের গরুর মাংসের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়; যা গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজারে ৭০০–৭৫০ টাকায় পাওয়া যেত। বাজারের হাড় ছাড়া মাংসের দাম তুলনামূলক বেশি। সেটাও আজ বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৯৫০ টাকায়। গত মাসে তা ছিল ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্য বলছে, চট্টগ্রামের বাজারে ২০২১ সালের মার্চে গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা। পরের বছর একই মাসে তা ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা হয়ে যায়। গত বছর এই সময়ে বাজারের হাড়সহ গরুর মাংসের দাম ছিল গড়ে ৭৫০ টাকা ও হাড় ছাড়া ৯০০ টাকা। প্রতিবছর রোজার অন্তত এক মাস আগে বাজারে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।

এদিকে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও সিটি কর্পোরেশন মিলে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে ৩২০ টাকা। কিন্তু পরের বছর সমিতির বিভিন্ন সংস্কারের পরামর্শ না শুনে সরকার দাম নির্ধারণ বন্ধ করে দেয়। এক বছরেই তখন মাংসের দাম ৫০০ টাকায় উঠে যায়। পরে ২০২০ সালে মাংসের দাম গিয়ে ঠেকে ৬০০ টাকায়; ২০২১-২২ সালে ৭০০ টাকা এবং ২০২৩ সালে দাম হয় ৮০০ টাকা।

অন্যদিকে, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের উৎপাদন ছিল ৮৭ লাখ টন। ওই বছর দেশের বাজারে মাংসের চাহিদা ছিল ৭৬ লাখ টন। ফলে চাহিদার তুলনায় ১১ লাখ টন বেশি মাংস উৎপাদিত হয়েছে।

Header Ad

প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ (কীটনাশক) খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা-মা'র বিরুদ্ধে। এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাতে নিজ সন্তানকে ওই বাবা-মা হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া আক্তার নামের ওই শিশুর বাবার নাম রাশেদ মিয়া ও মা একই গ্রামের ওয়াসিত মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগম। রাশেদ ওই গ্রামের ফয়জল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ফারিয়া নামে আড়াই বছরের সন্তান জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে চলাফেরা করতে পারত না। শুধু বিছানায় শুয়ে থাকত। এতে শিশুর মা-বাবা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। তারা প্রায় সময় ফারিয়াকে অবহেলা করে ঘরের বাইরেও ফেলে রাখতেন। শুক্রবার বিকালে ফারিয়ার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন ওই দম্পতি। পরে নিজেরাই ফারিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেয়েটি মারা যায়। মেয়ের মরদেহ বাড়িতে এনে দাফনের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু ইতোমধ্যে বিষ খাওয়ানোর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ফারিয়ার বাবা-মা ও নানি পালিয়ে যান। ঘর থেকে পুলিশ ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় ফারিয়ার নানা ওয়াসিত মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

এদিকে বিষ প্রয়োগের কারণে ফারিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার আব্দুর রউফ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী সন্তান হওয়ার কারণে আড়াই বছরের ফারিয়াকে তার মা-বাবা কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় মো.রিফাত হোসেন বাপ্পি (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাক্টরের চালক পলাতক রয়েছে।

নিহত মো.রিফাত হোসেন বাপ্পি (৭) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বাঁধের হাট বাজার এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো ট্রাক্টরটি। এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত ট্রাক্টরে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় ট্রাক্টরের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ট্রাক্টরটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক

ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

এর আগে ৩ মে সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মামুনুল হক।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে তখন হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এরপর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এর ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

 

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে