মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফিরে দেখা ২০২১

সারা বছর আলোচনায় যেসব ঢালিউড সিনেমা

ছবি: সংগ্রহ

করোনাকালে বন্ধ ছিল সিনেমা হল, বন্ধ ছিল শুটিং, বন্ধ ছিল সিনেমা মুক্তিও। সেই অবস্থা থেকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর ২০২১। এ বছরেও পুরোপুরি কাটেনি করোনার থাবা, আসেনি সিনেমার জোয়ার। তারপরও সিনেমা হল খুলেছে, বেড়েছে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা। ২০২১ সালে ৩২টি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। যার মধ্যে ২টি ছিল আমদানি। কিছু সিনেমা আশানুরূপ সাফল্য পেলেও অধিকাংশ চলচ্চিত্র দর্শকশ্রোতার প্রশংসা পায়নি। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কয়েকটি সিনেমা বেশ সাড়া পেয়েছে, পুরস্কার ও প্রশংসাও জুটেছে।

পর্যালোচনার শুরুতে দেখা যাক একনজরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকা: কেন সন্ত্রাসী ( ১ জানুয়ারি), রংবাজি দ্য লাফাঙ্গা (৫ ফেব্রুয়ারি), পাগলের মতো ভালোবাসি (১৯ ফেব্রুয়ারি), তুমি আছো তুমি নেই (১২ মার্চ), গন্তব্য (১৯ মার্চ), অলাতচক্র (১৯ মার্চ), স্ফুলিঙ্গ (২৬ মার্চ), প্রিয় কমলা (২৬ মার্চ), টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই (২ এপ্রিল), যৈবতী কন্যার মন (২ এপ্রিল), সৌভাগ্য (১৩ মে), নবাব এলএলবি (২৫ জুন), কসাই (১৬ জুলাই), আগস্ট ১৯৭৫ – (২২ আগস্ট), নারীর শক্তি (১০ সেপ্টেম্বর), চোখ (পহেলা অক্টোবর), মুজিব আমার পিতা (১ অক্টোবর), পদ্মাপুরাণ (৮ অক্টোবর), চন্দ্রাবতী কথা (১৫ অক্টোবর), ঢাকা ড্রিম (২২ অক্টোবর), এ দেশ তোমার আমার (৫ নভেম্বর), রেহানা মরিয়ম নূর (১২ নভেম্বর), হৃদয়ের আঙ্গিনায় (১৯ নভেম্বর), নোনা জলের কাব্য (২৬ নভেম্বর), মিশন এক্সট্রিম (৩ ডিসেম্বর), লাল মোরগের ঝুঁটি (১০ ডিসেম্বর), কালবেলা (১০ ডিসেম্বর), মৃধা বনাম মৃধা (২৪ ডিসেম্বর)। এ ছাড়াও ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ ও ‘রাত জাগা ফুল’ মুক্তি পাচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানিকৃত চলচ্চিত্র ‘বাজী’ মুক্তি পায় ১৫ অক্টোবর এবং ‘গোলন্দাজ’ মুক্তি পায় ১৯ নভেম্বর।

বছরের শুরুটাই হয়েছিল মানহীন সিনেমা দিয়ে। ১ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল রবিউল ইসলাম রাজ পরিচালিত ‘কেন সন্ত্রাসী’ সিনেমাটি। এরপর ‘রংবাজি-দ্যা লাফাঙ্গা’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’, ‘নারীর শক্তি’, ‘হৃদয়ের আঙ্গিনায়’ সহ অনেকগুলো মানহীন সিনেমা মুক্তি পায়। বরাবরের মতো যেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দর্শক।

২০২১ সালে ভিন্নধারার সিনেমা মুক্তি বেড়েছে। অরণ্য পলাশের ‘গন্তব্য’, হাবিবুর রহমানের ‘অলাতচক্র’, তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’, রাশিদ পলাশের ‘পদ্মাপুরাণ’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’, সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের ‘মিশন এক্সট্রিম’, নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, রনী ভৌমিকের ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমাগুলো প্রসংশা কুড়িয়েছে দর্শক-সমালোচক মহলে। বছরের শেষ মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি অনুদানের সিনেমা।

বছরজুড়ে সিনেমার বাইরে আলোচনায় থাকা পরী মণি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক তৌকির আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’ সিনেমায় অভিনয় করার খবরে উচ্ছ্বসিত হলেও মুক্তির পর তৌকির আহমেদ তাঁর নামের সুবিচার করতে পারেননি।

চলতি বছরের ২৫ জুন মুক্তি পায় শাকিব খানের আলোচিত সিনেমা ‘নবাব এলএলবি’। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হিসেবে এই সিনেমাটি অনেকটাই দলিল হয়ে থাকবে। এতে একজন আইনজীবীর চরিত্রে শাকিব তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অভিনয় দেখিয়েছেন। মুক্তির পর সিনেমাটি নিয়ে দেশ বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সিনেমাটিতে ধর্ষিতা নারীর চরিত্রে স্পর্শিয়ার অভিনয় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।

ডিসেম্বরে প্রথম মুক্তি পায় বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এগিয়ে আছে ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ অভিনীত সিনেমাটি। ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের পাঁচটি দেশে প্রথম বার একযোগে একই দিনে মুক্তি পায় সিনেমাটি। বলা যায়, করোনাকালীন প্রতিকূল পরিবেশেও চলতি বছর প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফিরিয়েছে সিনেমাটি।

২০২১ সালে সিনেমা মুক্তির দিক থেকে এগিয়ে আছেন ডিপজল এবং নিরব। দুটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তাদের। ডিপজলের ‘সৌভাগ্য’ ও ‘এ দেশ তোমার আমার’ মুক্তি পায়। নিরবের ‘কসাই’ ও ‘চোখ’ সিনেমা দুটি মুক্তি পায়। এছাড়া পরীমনি, অপু বিশ্বাস, মাহি, আরিফিন শুভ অভিনীত একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এ বছর।

চলতি বছর মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিভিন্ন উৎসব ঘুরে বাংলা সিনেমার নাম উজ্জ্বল করেছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সেই সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন সিনেমাটির পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বাংলাদেশে মুক্তির আগেই সিনেমাটি পাইরেসি হয়ে যাওয়ায় দেশের সিনেমা হলে সেভাবে দর্শক টানতে পারেনি বিশ্বজুড়ে আলোচিত সিনেমাটি।

ডিসেম্বরের আগে ‘চন্দ্রাবতী কথা’, ‘ঢাকা ড্রিম’, ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘হৃদয়ের আঙ্গিনায়’ ও ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমা মুক্তি পায়। যার মধ্যে প্রশংসিত সিনেমা ছিল ‘নোনা জলের কাব্য’। বাকি সিনেমাগুলো নামমাত্র মুক্তি পেয়েছে।

সিয়াম আহমদে অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ অন্তর্জালে প্রশংসায় ভাসলেও সিনেমা হলে দর্শক টানতে ব্যর্থ। এর মাঝে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘কালবেলা’ মুক্তি পায় নামমাত্র।

আড়াল ভেঙে বছরের শুরুতেই দেশে ফেরেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বছরের শুরুর আলোচনাটা তাকে দিয়েই। পরে সিনেমা মুক্তি নিয়ে দীঘি ও দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে মেতে ছিল নেটিজনরা। পরে মাদককাণ্ডে নতুন আলোচনার জন্ম দেন পরীমনির দিকে। মামলা, জেল, আদালত ইস্যুতে বেশ আলোচনা সমালোচনায় ছিলেন তিনি। বছর শেষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন মাহিয়া মাহি ও ইমন। ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের পরই আলোচনায় তারা। এছাড়া বছর জুড়ে আলোচনায় ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার কারণেই আলোচনায় তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সফল এ অভিনেত্রী।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ

সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এখন আর শুধু একজন বাংলাদেশি নাগরিক নন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস সিটিজেনশিপ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক নাগরিকত্ব শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং পরে নাগরিকত্ব সনদপত্র গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছেন।

জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২২ জন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন। এদের একজন ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি শপথ নেওয়ার সময় একজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানে ‘বি’ অক্ষরে বাংলাদেশের নাম ডাকার পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে জয় শপথ নেন।

তবে এর আগে, ২৪ এপ্রিল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সঙ্গে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।”

তাঁর ওই পোস্ট এবং সাম্প্রতিক নাগরিকত্ব গ্রহণের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে।

Header Ad
Header Ad

জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত না দিলে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়—এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধবিরতির পর শনিবার (২২ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ২২ মিনিটের ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ভাষণে মোদি স্পষ্টভাবে বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস না হলে সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতেও কোনো আলোচনা হবে না। তিনি ‘সন্ত্রাসবাদে’ সমর্থন দেওয়ার জন্য পাক সেনাবাহিনী এবং সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সতর্ক করেন—এ ধারা একদিন পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

মোদি বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না, রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কখনো পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা কথা বলি, তাহলে সেটা হবে শুধু সন্ত্রাস ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বিষয়েই।”

এদিকে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে—পহেলগামের হামলার পর ভারতের স্থগিত করা সিন্ধু পানি চুক্তি পুনরায় সক্রিয় করার দাবি। তবে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, ৬৫ বছর পুরনো ওই পানিবণ্টন চুক্তিতে ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কোনো শর্তে সম্মত হয়নি ভারত।

ভারত বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় বা অর্থায়ন করে না।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে তার মাটিতে “অপারেশন সিন্দুর” চালায় ভারত। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও, ফলে দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ভারত ও পাকিস্তান শিগগিরই আলোচনায় বসতে পারে। সোমবার দুই দেশের সামরিক মহাপরিচালকদের মধ্যে টেলিফোনে কথাও হয়।

Header Ad
Header Ad

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে কথা বলেন ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’র অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক প্রথমবারের মতো ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২২ জুন। “গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার” শীর্ষক এ কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি শিক্ষক ও গবেষকদের কাছ থেকে গবেষণা প্রবন্ধ আহ্বান করা হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কনফারেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে এই কনফারেন্স। যৌথভাবে আয়োজন করছে ‘শ্যাডো রিফর্ম কমিশনস’ এবং ‘পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন’।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে ১১টি ছায়া সংস্কার কমিশন। দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে যুক্ত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশমালা তৈরি করেছেন। কনফারেন্সে এসব কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবেন, তাদের জন্য এই রিপোর্টগুলো হতে পারে একটি দিকনির্দেশনা। আমাদের প্রতিবেদনগুলো বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে রিভিউ করা হয়েছে এবং জনমত নেওয়া হয়েছে। এখন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন বলেন, “এই আয়োজন বিভাগকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।” অন্যদিকে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ছায়া সংস্কার কমিশনের এই উদ্যোগ অ্যাকাডেমিক প্রচেষ্টা, যেখানে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব নেই।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবা-উল-আযম সওদাগর বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্পৃক্ততা জরুরি। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়েই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

কনফারেন্স বাস্তবায়নের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কনফারেন্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন– অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. স ম আলী রেজা, অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, মেজবা-উল-আযম সওদাগর, সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ, সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসাইন এবং সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া আফরিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ
জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: নির্বাচন কমিশন
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট
চুয়াডাঙ্গায় কমেছে তাপমাত্রা, স্বস্তিতে জনজীবন
বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ
আ.লীগ নিষিদ্ধের উল্লাসে শাহবাগে নেতাদের নাম দিয়ে গরু-ছাগল জবাই
সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মোদির জরুরি বৈঠক, উপস্থিত শীর্ষ কর্মকর্তারা