শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পৃথিবীর সব কীটপতঙ্গ মরে গেলে কী হবে?

ছবি সংগৃহিত

২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার মনার্ক প্রজাপতির সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমে গেছে। এ তথ্য জানা গেছে এক জরিপ থেকে। পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ কখনো কখনো আপনার খাবারে এসে পড়ে, কখনো আপনাকে হয়তো কামড়েও দেয়। সেজন্য বিরক্ত হয়ে আপনি যদি এদের মারতে উদ্যত হন তাহলে দুবার ভাবুন। কারণ পৃথিবীজুড়েই পতঙ্গের সংখ্যা খুব দ্রুতগতিতে কমে যাচ্ছে এবং এটা এক বড় বিপদ। খাদ্য উৎপাদন এবং আমাদের জীব জগৎকে রক্ষার জন্য কীটপতঙ্গের ভূমিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘পৃথিবীর সব কীটপতঙ্গকে আমরা যদি মেরে ফেলি, তাহলে আমরাও মারা যাব’, এ কথা জানিয়েছেন লন্ডনে ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সিনিয়র কিউরেটর ড. এরিকা ম্যাকএ্যালিস্টার। বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদ মরে গেলে কীটপতঙ্গ হামলে পড়ে তাদের ওপর, এর ফলে পচনের প্রক্রিয়া দ্রুততর হয় আর তার ফলে মার্টির উর্বরতা বাড়ে। জৈবিক বর্জ্য পচনে সাহায্য করে কীটপতঙ্গ পৃথিবী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।

'আমরা মারা যাবো'

বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদ মরে গেলে কীটপতঙ্গ হামলে পড়ে তাদের ওপর, এর ফলে পচনের প্রক্রিয়া দ্রুততর হয় আর তার ফলে মার্টির উর্বরতা বাড়ে।‘কল্পনা করুন তো, পোকামাকড় যদি মানুষ বা পশুপাখির মল সাবাড় না করত, তাহলে পৃথিবীর অবস্থা কি হতো? কীটপতঙ্গ না থাকলে আমাদের বিষ্ঠা আর মরা প্রাণীর মধ্যে বসবাস করতে হতো’ জানালে ড. ম্যাকএ্যালিস্টার। অন্যদিকে এই পোকামাকড় খেয়েই কিন্তু পাখী, বাদুড় এবং ছোট আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বেঁচে থাকে। মেরুদন্ডী প্রাণীর ৬০ শতাংশই বেঁচে থাকার জন্য কীটপতঙ্গের ওপর নির্ভরশীল।

'বিনামূল্যে সেবা'

কিন্তু এ ছাড়াও আরেকটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে কীটপতঙ্গরা। তাহলো পরাগায়ন যা খাদ্য উৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যক। এক জরিপে বলা হয়, পরাগায়নের জন্য মানুষ যে সুফল পায় তার পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি ডলার।

‘সুতরাং পোকামাকড় না থাকলে পাখী, বাদুড়, ব্যাঙ এবং মিঠা পানির মাছও অদৃশ্য হয়ে যাবে’ বলেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফ্রান্সিসকো সানচেজ বেয়ো। তারা নিজেরাই কখনো হয় অন্যের খাদ্য, কখনো তারা হয় ইকোসিস্টেমের সেবক।

ড. সানচেজ বায়ো বলেন, বেশির ভাগ ফুলেরই পরাগায়নের জন্য পোকামাকড়ের দরকার হয় যার মধ্যে আছে চাল-গমের মতো শস্যের গাছের ৭৫ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমরা অনেক সময় বুঝিই না যে পোকামাকড়দের থেকে আমরা কতটা সাহায্য পাচ্ছি।

ড. ম্যাকএ্যালিস্টার বলেন, চকলেট তৈরি হয় যে কোকোয়া থেকে তার পরাগায়ন হয় ১৭ রকম পোকামাকড় দিয়ে, এর মধ্যে ১৫টিই মানুষকে কামড়ায়। আর দুটি হচ্ছে ছোট পিঁপড়া এবং মথ। কিন্তু এদের সম্পর্কে আমরা খুবই কম জানি। পৃথিবীর অনেক দেশেই মৌমাছির মতো পরাগায়নকারী পতঙ্গের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মনার্ক বাটারফ্লাইসহ বহু ধরনের প্রজাপতি যা অনেক বুনো ফুলের পরাগায়নের জন্য দায়ী তাদের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কি এ সমস্যাটা উপেক্ষা করছি? বেশি দেরি হয়ে গেলে আমাদের আর কিছু করার থাকবে না।

পৃথিবীতে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কত?

পৃথিবীতে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কত? কীটপতঙ্গের সংখ্যাটা এতই বড় যে তা মানুষের পক্ষে উপলব্ধি করাই কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের মতে পৃথিবীর সব কীটপতঙ্গকে যদি এক জায়গায় জড়ো করে তার ওজন নেয়া হয় তাহলে তা হবে পৃথিবীর সব মানুষের সম্মিলিত ওজনের চেয়েও ১৭ গুণ বেশি।

অনেক পোকামাকড় মানুষের জন্য আবার ক্ষতিকর। ইনস্টিটিউটের মতে, পৃথিবীতে যেকোনো মুহূর্তে কীটপতঙ্গের সংখ্যা হচ্ছে ১০ কুইন্টিলিয়ন (এক কুইন্টিলিয়ন হচ্ছে এক বিলিয়ন) অর্থাৎ ওয়ান টু দি পাওয়ার নাইনটিন। কত প্রজাতির কীটপতঙ্গ আছে পৃথিবীতে? এ সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত নন তবে তা ২ থেকে ৩০ মিলিয়নের মধ্যে যেকোন পরিমাণ হতে পারে।

কীটপতঙ্গ নিয়ে গবেষণা হয়েছে খুবই সামান্য। তবে আমরা প্রায় ৯ লাখ রকমের পতঙ্গের কথা জানি।

বিলুপ্তির ঝুঁকি

বিলুপ্তির ঝুঁকি। তবে সংখ্যায় এত বেশি হলেও কীটপতঙ্গরা গণহারে বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। অনেক কীটপতঙ্গ আবিষ্কৃত বা চিহ্নিত হওয়ার আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। অনেক পাখিরই প্রধান খাদ্য হচ্ছে পোকামাকড়। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং পুয়ের্তো রিকো হচ্ছে এমন তিনটি দেশ যেখানে গত ৩০ বছর ধরে কীটপতঙ্গের সংখ্যার ওপর জরিপ চালানো হচ্ছে।

তাতে দেখা যায়, প্রতি বছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ করে পতঙ্গের সংখ্যা কমছে। জার্মানিতে ৬০টি সংরক্ষিত জায়গাতেই গত ৩০ বছরে উড়ন্ত পতঙ্গের সংখ্যা ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে, বলছে ২০১৭ সালের এক জরিপ। পুয়ের্তো রিকোতে চার দশকে কীটপতঙ্গের সংখ্যা প্রায় ৯৮ ভাগ কমে গেছে, বলেন একজন আমেরিকান শিক্ষাবিদ। এই হারে সংখ্যা কমতে থাকলে এক শতাব্দীর মধ্যে কীটপতঙ্গের প্রজাতিগুলোর ৪১ শতাংশেরও বেশি অদৃশ্য হয়ে যাবে বলেন ড. সানচেজ। এর একটা বড় কারণ হচ্ছে কীটপতঙ্গের হ্যাবিট্যাট অর্থাৎ আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া।

অনেক দেশে যেমন চীনে মাংসের পরিবর্তে বিভিন্ন পোকা খাওয়া হয়। ড. ম্যাকএ্যালিস্টার বলেন, কীটপতঙ্গের যৌনমিলন ও বংশবৃদ্ধির জন্য বড় গাছের ছায়া ও পচা পাতা দরকার যাতে তাদের ডিম ও শূককীট বাস করে। চাষাবাদের কারণে এই পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারপর আছে কীটনাশক, অন্য আগ্রাসী প্রজাতি এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো কারণ। কিন্তু তেলাপোকার মতো পতঙ্গ এসব পরিবর্তনের মধ্যেও টিকে থাকার মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে তাই তাদের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।

সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভ গুলসন বলেন, এর ফলে দেখা যাবে কিছু প্রজাতির কীটপতঙ্গের সংখ্যা হয়তো অনেক বেড়ে যাবে কিন্তু আমাদের যা দরকার সেই মৌমাছি, প্রজাপতি এগুলো হারিয়ে যেতে থাকবে।

এটা ঠেকানোর উপায় তাহলে কী?

ফ্রান্সিসকো সানচেজ-বেয়ো বলেন, এজন্য প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে, গাছ লাগাতে হবে, ঝোপঝাড় বাড়াতে হবে, মাঠের আশপাশে ফুলগাছ লাগাতে হবে। বিপজ্জনক কীটনাশক বাজার থেকে দূর করতে হবে। কার্যকর পন্থা নিতে হবে যাতে কার্বন নির্গমন কমানো যায়। অর্গানিক খাবার অর্থাৎ রাসায়নিকমুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্মানো খাবার গ্রহণ করাটাও এজন্য সহায়ক হবে।

 

Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার

আবু সাঈদের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। আবু সাঈদের মা-বাবা ও ভাই শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু সাঈদের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেখা করার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যার বিচার, পরিবারের দায়-দায়িত্বসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। আবু সাঈদ একাই দাঁড়িয়ে তা মোকাবিলার চেষ্টা করেন। পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে পুলিশ। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান। প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। অভাবের সংসারে অন্য ভাইবোনেরা লেখাপড়া করতে না পারলেও আবু সাঈদ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পুরো পরিবারের স্বপ্ন ছিল আবু সাঈদকে ঘিরে।

সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন

সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের খোঁজ নিতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তাদের সঙ্গে দেখা করেননি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ জনের প্রতিনিধিদল। সেখানে প্রায় ২০মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে যান তারা।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ককে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, মিডিয়া থেকে আমরা জেনেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে ‘অধিকতর নিরাপত্তার’ জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। হাসপাতাল থেকে কেন এখানে আনা হলো সেই খবর নিতেই আমরা এসেছি, একদমই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা খবর পেয়ে চলে এসেছি।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা যখন এখানে এসেছি তখন এখানকার অফিস প্রধান (ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ) ভেতরেই ছিলেন, তাকে খবরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও আমাদেরকে অফিসের ভেতর থেকে বলা হয়েছিল উনার গাড়ি থামিয়ে কথা বলতে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকও বটে, কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে আছে কি না সেই খবর আমরা কারও গাড়ি আটকে জিজ্ঞেস করব কেন? এটা তো খুবই স্বাভাবিক যে পুরো বিষয়টা স্বচ্ছ থাকবে। কেন, কী হয়েছে আমাদেরকে বলা হবে। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ছাত্রদেরকে নিরাপত্তার কথা বলে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ডিবি হেফাজতে কেন? পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল না কেন? একজন মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হচ্ছে তার পরিবার। নিরাপত্তা যদি দিতে হয় তাহলে তার বাসার আশেপাশে নিরাপত্তা দেওয়া হোক, তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক থেকে ১২ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম।

এ ছাড়া আরও ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইমুম রেজা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।

অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!

ম্যাথিউ ডসন। ছবি: সংগৃহীত

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিক গেমসের এবারের আসর বসেছে প্যারিসে। অলিম্পিকে খেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন বিশ্বের অসংখ্য ক্রীড়াবিদ। অলিম্পিকে অংশ নিতে প্রত্যেকেই সর্বোচ্চটা নিঙরে দেন। তবে ম্যাথিউ ডসন যা করেছেন, তা সহজে কেউ করতে পারবেন না। 

অনুশীলনের সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হকি দলের খেলোয়াড় ম্যাথিউ ডউসন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শের পর তিনি জানতে পারেন, চোট সারতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু দলের সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিকে যোগ দেয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন ডসন। সেজন্য আঙুলটাই কেটে ফেলেছেন তিনি।

নিজ দেশে অলিম্পিকের প্রস্তুতির সময় ডসনের ডান হাতে হকি স্টিকের আঘাত লাগে। সেই আঘাতে তার একটি আঙুলের অংশ ভেঙে যায়। চিকিৎসার উদ্দেশে প্লাস্টিক সার্জনের শরণাপন্ন হলে ডসনকে তিনি জানান, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন মিলিয়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে অলিম্পিক খেলার আশা বাদ দিয়ে দিতে হতো ডসনকে।

অলিম্পিক খেলার জন্য মরিয়া থাকা অস্ট্রেলিয়ার এই হকি খেলোয়াড় চিকিৎসকদের পরামর্শে আঙুলের ভাঙা অংশ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে দশ দিনের মধ্যে খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি।

এবারই যে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে খেলছেন ডসন তা নয়। এর আগেও দুইবার অংশ নিয়েছেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে জিতেছেন রুপাও।

ঝুঁকি নিয়ে কেনো আঙুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ডসন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ অলিম্পিক হতে পারে। আমার এখনো নিজের সেরাটা দেয়ার আছে, এবার সেই চেষ্টাই করব। এ জন্য যদি আঙুলের অগ্রভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, সেটাই হোক।’

অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ কলিন বাচ ডসনের এমন কাণ্ডে বেশ অবাকই হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সে অলিম্পিকে খেলতে মরিয়া। আমি জানি না, ওর জায়গায় থাকলে আমি এমনটা করতাম কি না। কিন্তু সে করেছে।’ সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার
সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন
অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!
ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
চলতি সপ্তাহে খুলতে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, লজ্জায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
রোববার থেকে মঙ্গলবার অফিস ৯টা-৩টা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন ববিতা
অপরাধটা কী করেছি, দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
আন্দোলনকারীদের ৮ দফার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক
দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক ইতিহাসে ভিন্নধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিল ফ্রান্স
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ