সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

এবার মেডিকেল পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুযোগ ছিল না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

এবারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য সময়ের তুলনায় স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারো কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্র এলাউ ছিল না। এমনকি প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যে কারণে এবার প্রশ্নফাঁসের সুযোগ ছিল না।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া ছিল। প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারো কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্র এলাউ ছিল না। কোনো মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে। মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, আমরা থেকেছি।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি, এ দেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দিবে আমি সেটাই চাই।

এর আগে সকাল ১০ টায় প্রথমে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র এবং এরপর সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, আজ সকাল ১০টা হতে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মোট ৫৩৮০ টি আসনের বিপরীতে এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭ টি মেডিকেল কলেজের মোট ৬২৯৫ টি আসনের বিপরীতে এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে উপত্যকাটিতে ১৫১ জন জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সোমবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, রোববার গাজায় ১৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের এবং গাজা সিটির।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ২০ হাজার।

দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল। কিন্তু দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের অভিযান শুরু করে দখলদার বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় দুই মাসে নিহত হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যার প্রেক্ষিতে গাজায় এখন আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে দখলদার বাহিনী।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই এ অভিযানের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।

 

Header Ad
Header Ad

শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ময়মনসিংহে কলেজছাত্রের ‘আত্মহত্যা’

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২)। রোববার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এর আগে দুপুরে চলমান পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে ধরা পড়েন তিনি।

ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকার দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত ছিলেন।

ধ্রুবজিৎ একটি সুইসাইড নোটে লেখেন, "সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (.......) টাকাগুলো মা’কে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরের বার ফার্মেসি নিয়ে পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।"

কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, রোববার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ধ্রুবজিৎ নকল করতে গিয়ে শিক্ষকদের হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে পরীক্ষার হল থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কিছু সময় পরেই তিনি নিজ কক্ষে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।

অধ্যক্ষ বলেন, "ছেলেটি কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে দুর্বল ছিল। পরীক্ষায় নকলের ঘটনায় সে হয়তো আরও ভেঙে পড়ে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।"

ধ্রুবজিতের সহপাঠীরা জানান, পরীক্ষার হলে নকল করার সময় শিক্ষকদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছিলেন ধ্রুবজিৎ। কান্নাকাটি করে তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে বহিষ্কার না করতে। কিন্তু শেষে হতাশ হয়ে তিনি নিজ রুমে ফিরে যান। তখন তার রুমমেটরা পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Header Ad
Header Ad

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণমিছিল

ছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ও “জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন, তারেক রহমান” এই দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি আয়োজিত গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাংনী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সদ্যঘোষিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছায় পদায়ন, কমিটি বাণিজ্য ও অপশক্তির দোসরদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।

 এতে অংশ নেয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকরা।

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ১৫১ ফিলিস্তিনি নিহত
শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ময়মনসিংহে কলেজছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণমিছিল
পুলিশের ১২ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি
মেঘনায় মিলল বিশাল আকৃতির বিগহেড, ওজন ২৯ কেজি!
গুলিস্তানে আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, অভিযানে আটক ১১ জন
গাজায় ‘ব্যাপক’ স্থল হামলা শুরু করল ইসরায়েল
নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে, দেশও অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু
ঢাকা ওয়াসার এমডির দায়িত্বেও দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া
টাঙ্গাইলে লেয়ার মুরগির খামারের এক কর্মচারীকে জবাই করে হত্যা
ডেথ ওভারে ডট বলের বিশ্বরেকর্ড করে ইতিহাস গড়লেন মোস্তাফিজ
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সোনা লুট, ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ সদস্য
অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকাকে লিগ্যাল নোটিশ
হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে প্রশাসক এজাজের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ডিএনসিসি
সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রমোটে আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে হবে : সারজিস
দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত
বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক ক্ষতির শঙ্কায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
আমন্ত্রণ পেয়েও ফ্রান্স-স্পেন সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ সীমান্তে মাঠ থেকে মালিকবিহীন ৬০৯ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কলম বিরতি অব্যাহত, স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি