
পুরস্কারের মধ্য দিয়ে বাচ্চাকে আত্মনির্ভরশীল করতে পারি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৮ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪১ এএম

জন্মগত মেজাজের উপর ভিত্তি করে শিশুদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে কঠিন প্রকৃতির শিশু ১০ শতাংশ (Difficult Child), সহজ প্রকৃতির শিশু ৪০ শতাংশ (Easy Child) এবং মিশ্র প্রকৃতির শিশু ৫০ শতাংশ (slow to warm up 50%)।
সাধারণত মা এবং শিশুদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া না হলে শিশুর গঠন এবং আচরনে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অনেক বাবা-মা নিজেদের অবস্থান থেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শিশুকে ঘুম পাড়ানো থেকে শুরু করে খাওয়ানো কান্না থামিয়ে শান্ত করানো ইত্যাদি নিয়মিত কাজে সমস্যা হলে বাবা-মা নিজেদের দায়ী করে থাকেন এবং অনুশোচনায় ভোগেন। তাই প্রথমেই যদি বোঝা যায়, আপনার শিশুটির কোন প্রকৃতির সেক্ষেত্রে শিশুর লালন-পালন সহজ হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রথমেই বোঝার চেষ্টা করতে হবে শিশুটি কঠিন মেজাজের কি না।
বেশিরভাগ কঠিন প্রকৃতির শিশু পরবর্তী সময়ে নানারকম মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।
একটি শিশুর আচরণ গড়ে ওঠে তার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে। যা শিশুর নিজস্ব মেজাজ এবং আচরণ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিহেভিয়ার অ্যাপ্রোচে দেখা যায় যে, শিশুদের ভালো এবং খারাপ ব্যবহার পরিবর্তন করা যায় বিহেভিয়ার মেথড ব্যবহার কর। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন বিহেভিয়ার মেথড ব্যবহার করে শিশুদের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে।
শিশু লালন পালনের ক্ষেত্রে অভিভাবকবৃন্দ বা পিতা মাতা যদি কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলে তাহলে শিশু লালন পালন করা সহজ হয়ে থাকে।
শিশু লালনপালনের তিনটি নিয়ম–
- ভালো ব্যবহারকে সঙ্গে সঙ্গে এবং প্রায়ই পুরস্কৃত করা।
- ভুল করেও কোনো খারাপ ব্যবহারকে পুরস্কৃত না করা।
- অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের জন্য মৃদু শাস্তি দেওয়া।
ভালো ব্যবহার তৈরি করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরি উপায় হচ্ছে ভালো ব্যবহারের জন্য শিশুকে Reward বা পুরস্কার দেওয়া। শিশুরা স্বভাবগতভাবেই অনুকরণ প্রিয়। একটি সুন্দর ব্যবহারের জন্য শিশুকে পুরস্কৃত করা হলে তারা পরবর্তী সময়ে ভালো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত বোধ করে। যা তাদের সঠিক মানসিক গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা আমাদের শিশুকে বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে রিওয়ার্ড দিতে পারি।
রিওয়ার্ড গুড বিহেভিয়ার: শিশুরা স্বভাবসুলভ অনুকরণপ্রিয়। শিশুরা যে কোন কাজের আগে বড়দের অনুসরণ করে থাকেন। তাই বড়রা যদি শুরু থেকেই শিশুদের কাজের প্রতি মনোযোগী হোন, তাহলে শিশুর মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হবে। যেমন–শিশু যখন সুন্দর করে কথা বলে, নিজের কাজ নিজে করে, খেলনা শেয়ার করে এরকমই ভালো কাজের ক্ষেত্রে শিশুদের পুরস্কৃত করুন। তাদেরকে ভালো কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করুন ও প্রশংসা করুন। শিশু যদি ভালো কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ এবং প্রশংসা পায় তাহলে সে কাজটি করার প্রতি আরও উৎসাহিত হবেন।
রিওয়ার্ড বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন–সোশ্যাল, অ্যাক্টিভিটি রিওয়ার্ড এবং ম্যাটেরিয়াল রিওয়ার্ড।
সোশ্যাল রিওয়ার্ড: ছোট্ট বাচ্চাদের যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া, তাদের কাজের প্রশংসা করা, জড়িয়ে ধরে তাদেরকে আদর করা, হাসি দিয়ে তাদের কথাটি শোনা, তালি দিয়ে তাদের কাজকে অভিবাদন জানানো। এসব কাজের মধ্য দিয়ে আমরা বাচ্চাকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করতে পারি।
অ্যাক্টিভিটি রিওয়ার্ড: বাচ্চাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কাজে বাবা মা সহ অংশগ্রহণ করা। যেমন–বাচ্চাকে নিয়ে বাবা-মা একসঙ্গে হাঁটতে যেতে পারেন, একসঙ্গে বসে খেলা করা, টিভি দেখা, কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। এই ধরনের অ্যাক্টিভিটি মধ্য দিয়ে বাবা-মা তাদের বাচ্চার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের উন্নতি করতে পারেন।
ম্যাটেরিয়াল রিওয়ার্ড: কথাটার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি, বস্তুগত কোনো জিনিসের মধ্য দিয়ে বাচ্চাকে পুরস্কৃত করা; কিন্তু মনে রাখতে হবে যেন উপহারটি অতিরিক্ত দামের না হয়। ছোট ছোট উপহার এর মধ্য দিয়ে আমরা শিশুকে খুশি করতে পারি যেমন আইসক্রিম কিনে দেওয়া, বল কিনে দেওয়া, বাচ্চা পছন্দ করে এরকম ছোট ছোট বিষয়গুলোতে আমরা উপহার দিতে পারি।
লেখক: এডাল্ট অ্যান্ড চাইল্ড সাইক্রিয়াট্রিস্ট, এভার কেয়ার হাসপাতাল
এসএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৬ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।