
ঢাবির বাংলা বিভাগের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখতে হবে
২৯ মে ২০২৩, ০২:০৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৯ মে) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, শিক্ষকরা পিতার সমতুল্য। সেজন্য পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য তারা ছাত্রীদের মুখমণ্ডল দেখতে পারে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইন নোটিশ দেওয়া হয়। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে ঢাবি ভিসি, বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাবিতে ছাত্রীদের কান-মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না বলে জানান আইনজীবীরা। একইসঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক সই করা নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্তের জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন সময় দৃশ্যমান রাখতে হবে।’ এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বের অনুষ্ঠিত বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় ’১৮ সেপ্টেম্বরে গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কেএম/আরএ/

রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১২ এএম

২০২৩ সালের জন্য রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। বুধবার (৪ অক্টোবর) এই পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। বিজয়ীরা হলেন, মুঙ্গি জি বাওয়েন্দি, লুইস ই ব্রুস এবং অ্যালেক্সি আই একিমোভ।
নোবেল কমিটি ঘোষণায় বলেছে, কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার, উন্নয়ন এবং ন্যানো ক্রিস্টাল প্রযুক্তি বা ন্যানোপার্টিকলের আকার ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখায় এই সম্মানজনক পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছে তিন গবেষককে। তারা তিন জনই মার্কিন নাগরিক।
তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ফাঁস হয়ে যায়। এ নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। কিন্তু বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু পৌনে ৪টায় ঘোষিত বিজয়ীদের নামের তালিকার সঙ্গে ফাঁস হওয়া তালিকা মিলে যায়। এ বিষয়ে নোবেল কমিটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমবার থেকে এই বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে চিকিৎসা ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সুইডেনের তিন বিজ্ঞানী। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এই পুরস্কার দিয়েছে নোবেল কমিটি।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারজয়ী তিন বিজ্ঞানী হলেন- পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি (যুক্তরাষ্ট্র), ফেরেঙ্ক ক্রাউস (জার্মানি) এবং অ্যান ল'হুইলিয়ার (সুইডেন)।
এর আগে সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবারে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। করোনার টিকা তৈরিতে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল জিতে নিয়েছেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তারা।
আগামীকাল ৬ অক্টোবর সাহিত্যে অবদান রাখায় ঘোষণা করা হবে নোবেলজয়ীর নাম। ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

কবি রাধাপদের ওপর হামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৫ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৮ এএম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পূর্বশত্রুতার জেরে রাধাপদ রায় (৮২) নামের চারণকবিকে হামলার ঘটনায় মামলার মূল আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এবং পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে কবি রাধাপদকে মারধরের ঘটনায় প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। অপর আসামি কদুর আলীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত। আপনারা সবাই জানেন, এটি পারিবারিক ঘটনা। কেউ কেউ এটিকে অন্যভাবে প্রচারণাও চালিয়েছে। ভুয়া তথ্য না ছড়ানোর জন্য সবাইকে বিনতি অনুরোধ করছি। আমরা কবির খোঁজ রাখছি সবসময়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে রাধাপদ রায়ের নিজ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাধাপদ রায় নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের গোড্ডারপাড় বটতলা গ্রামের বাসিন্দা। ওইদিন চিকিৎসার জন্য কবিকে নেওয়া হয় নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ ঘটনায় রাধাপদ রায়ের ছেলে শ্রী জুগল রায় পরদিন রোববার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের সুযোগ আছে: আইনমন্ত্রী
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১৩ এএম

রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেই কেবল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিন পেতে পারেন বা বিদেশে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘যে কেউ সাংবিধানিকভাবে এই আবেদন করতে পারবেন।’
আজ বুধবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত যে কোনো আসামি তাঁর দণ্ড মওকুফের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।
নির্বাহী আদেশের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী শর্ত যুক্তভাবে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, সেটি দ্বিতীয়বার আর করার কোনো সুযোগ নেই।’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নিঃশর্ত জামিনে ছিলেন বলেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে পেরেছিলেন। তাকে শর্ত দিয়ে জামিন দেওয়া হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে জামিনে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষেই তার দণ্ড স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটা পুনরায় বিবেচনায় রাখার সুযোগ রাখা হয়নি। ফখরুলকে অসত্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি।’