শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান

৬. পরিবার

মা বললেন, আহা, তুই এখানে থাকলে কী যে ভালো লাগে! তবে সন্ধ্যা আসলে দেখবি, আমার আর এত একা লাগছে না। শীতের সময় আগে আগে অন্ধকার নেমে আসে। যদি পড়াশোনাটা জানতাম! এত অল্প আলোতে সেলাই করতেও পারি না। চোখ ব্যথা করে। এতিয়েনে এখানে না থাকলে আমি শুয়ে শুয়ে খাওয়ার সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকি। অনেক লম্বা সময়, প্রায় দুঘণ্টা। খোকাখুকুরা আমার এখানে থাকলে ওদের সাথে কথাবার্তা বলে সময় কাটাতে পারতাম। কিন্তু ওরা এসে বেশিক্ষণ থাকে না; চলে যায়। আমি খুব বেশি বুড়িয়ে গেছি। হতে পারে বুড়ো মানুষদের গায়ের গন্ধও খারাপ হয়ে যায়। তাই হয়তো আমার অবস্থা এমন, একা।

একটার পর একটা ছোট ছোট বাক্যে কথাগুলো এমনভাবে বললেন যেন তার বহুদিন আটকে থাকা চিন্তাগুলো বাইরে ছেড়ে দিয়ে হালকা হলেন। তারপর যেন তার চিন্তার যোগান শেষ হয়ে গেছে এমনভাবে আবার নীরব হয়ে গেলেন: ঠোট দুটো চেপে রাখা, শান্ত বিষণ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন খাবার ঘরের বন্ধ ঝাঁপের দিকে। ওখানে রাস্তা থেকে রুদ্ধ আলো এসে পড়ছে। সেই একই জায়গায় একই নিরানন্দময় চেয়ারে বসে আছেন তিনি। আর তার ছেলে রুমের মাঝখানে রাখা টেবিলের চারপাশে ঘুরছে যেভাবে সে ছোটবেলায় ঘুরত।

জ্যাক আরেক চক্কর ঘোরার সময় মা তার দিকে তাকালেন।

– সলফেরিনো, খুব সুন্দর না?

– হ্যাঁ, একেবারে নিষ্কলঙ্ক। তবে তুমি শেষবার যেরকম দেখেছিলে হয়তো সেরকম নেই। বদলে যেতেই পারে।

– হ্যাঁ, সবকিছুই বদলে যায়।

– ডাক্তার তোমাকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ওনার কথা তোমার মনে আছে, মা?

– না, সে কতকাল আগের কথা।

– বাবার কথাও কেউ মনে রাখেনি।

– আমরা বেশিদিন ছিলাম না। আর তোর বাবা খুব মুখচাপা ছিল।

– মা। জ্যাকের কথায় তিনি না হেসে বরং মৃদু, শূন্য দৃষ্টিতে তাকালেন। জ্যাক আবার বলল, আমার মনে হয়, তুমি আর বাবা আলজিয়ার্সে বেশি দিন এক সাথে থাকোনি।

– না, না।

– আমার কথাটা বুঝতে পেরেছ, মা? তিনি বুঝতে পারেননি বলেই মনে হলো জ্যাকের। কেমন ভয়ার্ত চাহনি তার চোখে যেন ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে আছেন। জ্যাক প্রশ্নটা আবারও জিজ্ঞেস করল, তোমরা আলজিয়ার্সে একসাথে বেশি দিন থাকোনি, না?

– না, মা বললেন।

– তাহলে বাবা পিরেত্তের শিরোচ্ছেদের ঘটনা দেখতে গেলেন কখন? কথাটা বলার সঙ্গে জ্যাক নিজের হাত দিয়ে ঘাড়ের কাছে ইঙ্গিত করল যাতে মা তার কথা ভালো করে বুঝতে পারেন।

– হ্যাঁ, সে রাত তিনটের সময় উঠে পড়ল বারবারুসে যাওয়ার জন্য।

– তাহলে তুমি তখন আলজিয়ার্সে?

– হ্যাঁ।

– কোন সময়ের কথা এটা?

– জানি না। সে তখন রিকমের কাজ করত।

– তার মানে তুমি সলফেরিনোতে যাওয়ার আগে?

– হ্যাঁ।

তিনি হ্যাঁ বললেন। কিন্তু সেটা না-ও হতে পারে। কারণ পেছনের দিকে যেতে হলে তাকে মেঘাচ্ছন্ন স্মৃতির ভেতর দিয়ে যেতে হবে। কাজেই কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। বলতে গেলে, দরিদ্র মানুষদের স্মৃতি ধনী লোকদের স্মৃতির মতো অতোটা পুষ্ট নয়। তাদের ফাঁকা জায়গাগুলোতে সীমানাচিহ্নের সংখ্যা খুবই কম। কারণ যেখানে তাদের বসবাস তার বাইরে খুব একটা তারা যায় না; তাদের ধূসর এবং বৈশিষ্ট্যহীন সারা জীবনে উল্লেখ করার মতো কম ঘটনাই থাকে। অবশ্য তাদের মতে, তাদের হৃদয়ের স্মৃতি থাকে এবং সেটাই নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবে দুঃখ আর শ্রমের ফলে হৃদয়ও ক্ষয়ে যায়। ক্লান্তির চাপে সবকিছু ভুলে যায় তাড়াতাড়িই। অতীতের বিষয় আর ঘটনার স্মৃতিচারণ হলো ধনীদের জন্য। দরিদ্রদের জন্য স্মৃতি শুধু তাদের মৃত্যুর দিকে যাওয়ার পথের ওপরে কতিপয় দুর্বল চিহ্ন রেখে যায়। আর টিকে থাকার জন্য খুব বেশি স্মৃতি ধরে রাখার দরকারও নেই।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুধু ধাবমান দিনের নিবিড় সান্নিধ্য রক্ষা করে যেতে হবে যেমন জ্যাকের মা করেছেন; সেটাও ছোটবেলার অসুস্থতার জন্য কিছুটা প্রয়োজনের খাতিরে। তার নানির মতে, এ প্রতিক্রিয়াটা হয়েছিল টাইফয়েডের জন্য। কিন্তু টাইফয়েডের তো এরকম প্রতিক্রিয়া রেখে যাওয়ার কথা নয়। সেটা সম্ভবত ছিল টাইফাস, নাকি অন্য কিছু? এখানেও আবার অস্পষ্টতা। সেই অসুস্থতার কারণে তিনি বধির হয়েছেন এবং কথা বলতে সমস্যা হয়েছে। সবার চেয়ে হতভাগ্যরাও যেসব বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছে সেসব বিষয় থেকেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। সুতরাং সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টাও তার ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জীবনকে মোকাবেলা করার এটাই তার একমাত্র উপায়।

তা ছাড়া তার আর কী-ই বা করার ছিল? তার মতো অবস্থানে থাকলে অন্য যে কোনো মানুষেরই কি বিকল্প কোনো উপায় থাকত? জ্যাক চাইছে, যে মানুষটা চল্লিশ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন তার মা যেন তার কথা আবেগাপ্লুত হয়ে বর্ণনা করেন। কারণ তিনি তো ওই মানুষটার সঙ্গে আপাতত পাঁচ বছরের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। নাকি নেননি? ওই রকম আবেগী বর্ণনা তিনি দিতে পারেন না। অবশ্য জ্যাক জানে না, তার মা তার বাবাকে গভীর আবেগের সঙ্গে ভালোবেসেছেন কি না; ভালোবাসুন আর না-ই বাসুন, সে বিষয়ে মাকে সরসরি জিজ্ঞেস করতে গেলে জ্যাক নিজেও মায়ের মতোই নীরব আর জড়তাচ্ছন্ন হয়ে যায়।

বাবা মায়ের মাঝে কেমন সম্পর্ক ছিল সেটা জ্যাক মন থেকেই জানতে চায় না। কাজেই মায়ের কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবে যা জানা যায় তার ওপর ভরসা করে অন্য চেষ্টা আপাতত সে বাদ দিয়ে দেয়। এমনকি একটা ঘটনা বা পরিস্থিতি তার শিশু মনের ওপর ছাপ ফেলেছে এবং সারা জীবন, তার স্বপ্নেও তাকে তাড়া করেছে–সেটা হলো একজন কুখ্যাত অপরাধীর ফাঁসির সময় উপস্থিত থাকার জন্য তার বাবার রাত তিনটের সময় ঘুম থেকে উঠে পড়া। তবে ওই ঘটনার কথাও সে শুনেছিল নানির কাছ থেকে।

আলজিয়ার্সের খুব কাছের একটা খামারে দিনমজুরের কাজ করত পিরেত্তে। সে তার মনিবদের এবং তিনটা শিশুকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল তাদের বাড়িতে। ছেলেবেলায় একদিন জ্যাক জিজ্ঞেস করেছিল, ডাকাতি করতে গিয়ে খুন করেছে? তার এতিয়েনে মামা বলেছিল, হ্যাঁ। কিন্তু নানি বলেছিলেন, না ডাকাতি করার জন্য নয়। তবে তিনি এর চেয়ে বেশি আর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। বিভৎস অবস্থার লাশগুলো তারা দেখেছিল। ঘরের ছাদ পর্যন্ত সবখানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। একটা বিছানার নিচে সবচেয়ে ছোট শিশুটা কিছুক্ষণ জীবিত ছিল এবং তার রক্তে ভেজা আঙুলে লিখে গিয়েছিল, পিরেত্তে দায়ী। পরে সেও মারা গিয়েছিল। খুনিকে বিমূঢ় অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল গ্রামের দিকে। ভয়ার্ত গণদাবি উঠল তার ফাঁসির পক্ষে এবং তাৎক্ষণিকভাবেই মঞ্জুরও হয়ে গেল। তাকে ফাঁসি দেওয়া হল বারবারুসের জেলখানার সামনে বেশ কিছু লোকের উপস্থিতিতে। জ্যাকের বাবা ওই ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত থাকার জন্য রাত তিনটের সময় ঘুম থেকে উঠেছিলেন।

নানির মতে, ওই ফাঁসির দৃশ্যের প্রতিক্রিয়া তার বাবার মনের ওপর কঠিন চাপ তৈরি করেছিল। তবে কী ঘটেছিল সে কথা তারা আর জানতে পারেনি। আপাতদৃশ্যে ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল। তবে জ্যাকের বাবা সে রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন ক্রুদ্ধ অবস্থায়। বিছানায় গিয়ে বেশ কয়েক বার উঠে এসে বমি করেছিলেন। তারপর আবার ঘুমাতে গিয়েছিলেন। সে রাতে কী দেখেছিলেন সে ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাননি।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ

ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা এখন ৪০ এর ঘরে। তীব্র গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই তাপপ্রবাহ।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায়, ঢাকা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

ফলে রবিবার (১৯ মে) থেকে তাপপ্রবাহ কিছু এলাকায় কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাংশের কিছু জায়গায় কমতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রবিবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। একই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই দিন আগে ১৫ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ৩।

আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ

আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ। ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনার ঈশ্বরদীতে ফের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশের জন্য খিচুরি রান্না করার দায়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৭ ডেগ খিচুরি জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামে তরিকুল ইসলাম ভাদুর বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান।

জানা গেছে, আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থনে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ভাদুর বাড়িতে নির্বাচনি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে উপস্থিত ভোটারদের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়।

গোপন সূত্রের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দের পাশাপাশি তরিকুল ইসলাম ভাদুরকে দশ হাজার জরিমানা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, সমাবেশের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। পরে জব্দকৃত খিচুড়ি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন শোকজ করেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রিটার্নিং অফিসার প্রথমবারের মতো তাকে ক্ষমা করেন।

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। বুধবার (১৫ মে) কিং সালমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস
নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান
২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা
বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশিরা মাত্র ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা!