মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

লুসি খামটার দিকে নীরবে তাকিয়ে রইলেন, খুললেন না। তিনি এবং তার মা, কেউই পড়তে পারতেন না। কোনো কথা না বলে, এক ফোটা অশ্রু না ফেলে তিনি খামটা উল্টে পাল্টে দেখলেন শুধু। এই মৃত্যুর কথা তার কল্পনাতে কিছুতেই আসেনি; দূরে কোথাও যেন রহস্যময় কোনো রাতের গভীরে ঘটে গেছে এই মৃত্যু। তারপর তিনি খামটা তার অ্যাপ্রনের পকেটে রাখলেন। শিশুটির দিকে না তাকিয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। দুসন্তান নিয়ে যে রুমে থাকতেন তিনি সেই রুমের দিকে চলে গেলেন। দরজা বন্ধ করে দিয়ে উঠোনের দিককার ঝাঁপও বন্ধ করলেন। বিছানায় অশ্রুহীন নীরবে পড়ে থাকলেন অনেক অনেক ঘণ্টা। পকেটের খামটা দুমড়ে মুচড়ে দিলেন। দুর্বোধ্য দুর্ভাগ্যের দিকে নীরবে তাকিয়ে রইলেন তিনি।

– মা, জ্যাক বলে উঠল।

তখনও তিনি ওই ভঙ্গিতেই রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন। জ্যাকের কথা শুনতে পাননি। জ্যাক তার কুঁচকে যাওয়া হালকা বাহু ছুঁয়ে দিলে তিনি হাসিমুখে তার দিকে তাকালেন।

– বাবার কার্ড, হাসপাতাল থেকে পাঠিয়েছিল।

– হ্যাঁ।

– মেয়রের কাছ থেকে এটা পেয়েছিলে?

– হ্যাঁ।

গোলার একটা অংশ তার মাথার খুলিতে আঘাত করেছিল। তাকে অ্যাম্বুলেন্স ট্রেনগুলোর একটাতে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়; সারা গায়ে খড়ের টুকরো আর ব্যান্ডেজ বাঁধা। ওই ট্রেনগুলো সৈন্যদের ব্যাপক নিধনশালা থেকে সেন্ট ব্রিউকের অপসারণ হাসপাতালের মাঝে যাতায়াত করত। তারপর জ্যাক আরো দুটো কার্ড খুঁজে বের করতে সক্ষম হলো। একটাতে লেখা: আমি আহত হয়েছি। এটা তেমন কিছু নয়। –তোমার স্বামী। তার কয়েকদিন পরেই তিনি মারা যান। আরেকটা কার্ডে সেখানকার একজন নার্সের লেখা: এটাই ভালো হয়েছে; বেঁচে থাকলে হয় অন্ধ, নয় তো পাগল হয়ে থাকতেন। তিনি খুব সাহসী ছিলেন। এরপরই মা গোলার সেই ভাঙা অংশ পেয়েছিলেন।

রাস্তা দিয়ে তখন এক সারিতে সসস্ত্র তিন প্যারাসুটের পরিক্রমণ চলছে। সব দিকেই তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হচ্ছে। তাদের একজন কৃষ্ণাঙ্গ, লম্বা এবং সুস্বাস্থের অধিকারী; তার প্রতিভাসের ওপরের ফোটা ফোটা দাগের কারণে তাকে বিশাল কোনো প্রাণীর মতো দেখাচ্ছে।

তাদের উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে মা বললেন, ডাকাতদের জন্য ওরা বের হয়েছে। তোর বাবার কবর দেখতে গিয়েছিলি শুনে খুশি হলাম। আমার কথা তো জানিস, কত বয়স হয়ে গেছে। আর জায়গাটাও তো অনেক দূরে। দেখতে সুন্দর নাকি?

– কী কবর?

– হ্যাঁ।

– হ্যাঁ, খুব সুন্দর। ফুল দেওয়া হয়েছে ওখানে।

– হ্যাঁ, ফরাসিরা খুব ভালো লোক।

মুখে যা বললেন তার বিশ্বাসও তাই। তবে তার স্বামীর প্রতি আর বেশি দূর চিন্তা এগুতে দিলেন না। অনেক দিন আগের দুর্ভাগ্যের সঙ্গে সেও বিস্মৃতিতে পতিত হয়ে গেছে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আগুনে পুড়ে যাওয়া সেই মানুষটার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই: না তার নিজের মধ্যে, না এই বাড়িটাতে। দাবানলে পুড়ে যাওয়া প্রজাপতির পাখার ছাই যতটুকু বোধ্য তার স্মৃতির রেশটুকুও যেন ঠিক ততটুকুই বোধ্য।

– চুলায় খাবার পুড়ে যাচ্ছে; একটু অপেক্ষা কর।

মা উঠে গেলে জ্যাক তার জায়গায় বসে রাস্তার দিকে তাকাল। এত বছর পরও সব যেন একই রকম আছে: দোকানগুলো একই রকম; সূর্যের তাপে কোথাও কোথাও রংচং একটু জ্বলে গেছে। তামাকের দোকানী তার জানালায় শুধু ফাঁপা নলখাগড়ার পর্দার বদলে বহুবর্ণিল লম্বা দাগটানা প্লাস্টিক ব্যবহার করেছে। ফাঁপা নলখাগড়া থেকে আগে একটা অদ্ভূত শব্দ তৈরি হতো। জ্যাকের কানের কাছে এখনও বাজে সেই শব্দ। খবরের কাগজ আর তামাকের চমৎকার গন্ধ পাওয়ার জন্য এবং ল’ইনট্রেপিডে কেনার জন্য যখনই সে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করত তখনই সম্মান আর সাহসের কাহিনীর গন্ধে শিহরিত হতো।

রাস্তা এখন রবিবারের প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতায় ভরপুর হচ্ছে। কর্মজীবী পুরুষেরা নতুন করে ধোয়া এবং ইস্ত্রী করা সাদা শার্ট পরে সামনে তাদের দু-তিনটা ক্যাফেতে কাজ করতে যেতে যেতে আলাপ আলোচনায় মত্ত। ক্যাফেগুলোর কথা মনে হতে জ্যাকের খেয়াল হলো, ছায়াচ্ছন্ন শীতল আবহ আর মৌরির গন্ধে ভরা থাকত ওই ক্যাফেগুলো।

কয়েকজন আরবকে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে: গরিব মানুষ হলেও সবাই মার্জিত পোশাক পরিহিত। তাদের স্ত্রীরা এখনও বোরকা পরা, তবে পায়ে তাদের পঞ্চদশ লুইয়ের আমলের জুতো। মাঝে মাঝে কতক আরব পরিবারের সকল সদস্য নিজেদের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরে চলেছে। এরকম একটা পরিবারের তিন সন্তান একজনের পর আরেকজন সারিবদ্ধভাবে চলেছে; তাদের একজনের পোশাক প্যারাস্যুটধারীদের মতো। ঠিক তখনই পরিক্রমণের প্যারাস্যুটধারীরাও রাস্তায় ফিরে এল। তাদের মধ্যে এখন ঢিলাঢালা ভাব। ঠিক তখনই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল। লুসি করমারি ফিরে এলেন জ্যাকের কাছে।

মনে হলো খুব কাছেই একটা বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে যেন কম্পন থামছেই না। অনেকক্ষণ আগে শব্দ থেমে গেছে; তবু খাবার ঘরের বাল্বটা কাচের ঢাকনার ভেতরে তখনও কেঁপেই যাচ্ছে। জ্যাকের মা রুমে ফিরে এসেছেন ফ্যাকাশে মুখে। তার কালো চোখ দুটো যেন ভয়ে টইটম্বুর। তিনি ভয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না; পায়ের ওপর নিজেকে স্থির রাখতে পারছেন না।

তিনি বলতে লাগলেন, এখানে, কাছাকাছি কোথাও বিস্ফোরণটা হয়েছে।

– না, বলে জ্যাক দ্রুত জানালার কাছে এগিয়ে গেল। রাস্তায় লোকজন ছোটাছুটি করছে; কোথায় যাচ্ছে কে জানে। একটা আরব পরিবার রাস্তার ওপাশে জামা কাপড় সুচসুতার দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে; বাচ্চাদের আগে তাড়াতাড়ি ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
দোকানদার তাদেরকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে জানালার কাছে এসে রাস্তার অবস্থা দেখছে। ঠিক এই সময় প্যারাস্যুট বাহিনী দ্রুত ছুটে এল রাস্তার ওপারে। গাড়িগুলো তাড়াহুড়া করে ফুটপাতের ধারে দাঁড়িয়ে থেমে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে। আরেকটু ঝুঁকে জ্যাক দেখতে পেল, আরেকটা বড় ভীড় এগিয়ে যাচ্ছে মুসেট সিনেমা আর ট্রলিবাসস্টপের মাঝামাঝি জায়গাটার দিকে। জ্যাক বলে উঠল, দেখে আসি কী হয়েছে।
রিউ প্রিভোস্ট-পারাদোলের কোণে একদল লোক চিৎকার করছে।

ক্যাফের দরজার সঙ্গে এঁটে দাঁড়িয়ে থাকা একজন আরবের দিকে তাকিয়ে গেঞ্জিপরা একজন শ্রমিক বলে উঠল, শালার আবর্জনার জাত!

আরব লোকটা বলল, আমি এসব করি না।

তার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে লোকটা বলে উঠল, তোরা সব চুতিয়া কুত্তির বাচ্চা, এক সঙ্গেই এসব করে বেড়াস।

অন্যরা তাকে আটকে রাখল। জ্যাক আরব লোকটাকে বলল, এসো আমার সঙ্গে। লোকটাকে জ্যাক ক্যাফের ভেতরে নিয়ে গেল। এটা এখন তার বাল্যবন্ধু এবং নাপিতের ছেলে জাঁ চালায়। জাঁ তখন ওখানেই ছিল। চেহারা আগের মতোই আছে তবে মুখটা কুঁচকে গেছে। চেহারার অবয়ব ছোট আর শরীরটা পাতলা হয়ে গেছে। জাঁর মুখ দেখে মনে হলো, সে হয়তো গোপন কিছু জানে, সতর্ক।

জ্যাক বলল, ও কিছু করেনি; তোর বাড়ির ভেতরে নিয়ে যা।

কাউন্টার মুছতে মুছতে জাঁ লোকটার দিকে তাকাল। এসো, বলে জাঁ লোকটাকে নিয়ে ক্যাফের পেছন দরজা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল।

জ্যাক বাইরে গেল এবং শ্রমিক লোকটা তার দিকে ভ্রুকুটি করতে লাগল।

জ্যাক বলল, ও কিছু করেনি।

– ওদের সবাইকে মেরে ফেলা উচিত।

– রাগের সময় তো তোমরা এসবই বলো। ভালো করে ভেবে দেখো।

শ্রমিক লোকটা ঘাড় ঝাঁকি দিয়ে বলল, ওখানে গিয়ে দ্যাখো, ওরা কী বিশৃঙ্খল কাণ্ড করেছে। তারপর দ্যাখো, কী বলতে পারো।

অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বেজে যাচ্ছে। ক্রমেই জোরে আর দ্রুত হচ্ছে শব্দ। ট্রলিবাসস্টপের দিকে দৌড়ে গেল জ্যাক। বাসস্টপের খুব কাছের একটা খুঁটিতে বোমাটা বিস্ফোরিত হয়েছে। সুসজ্জিত পোশাকে অনেক লোক বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। পাশের ক্যাফেতে অনেক লোকের চিৎকার শোনা যাচ্ছে: কান্নার, না রাগের বোঝা যাচ্ছে না।

জ্যাক মায়ের কাছে ফিরে গেল। মা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন; মুখটা ফ্যাকাশে। টেবিলের পাশে মাকে এগিয়ে নিয়ে জ্যাক বলল, বসো মা। মায়ের পাশে বসে জ্যাক মায়ের হাত দুখানা নিজের হাতে নিয়ে নিল।

– এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার হলো। বাইরে যেতেই ভয় লাগে।

– ও কিছু না, মা। ঠিক হয়ে যাাবে।

– হ্যাঁ, বললেন তিনি। তবে চাহনিতে দোদুল্যমান অবস্থা: একদিকে তার ছেলের বুদ্ধির প্রতি প্রগাঢ় ভরসা, অন্য দিকে তার নিজের বিশ্বাস– জীবন সামগ্রিকভাবেই একটা দুর্ভাগ্য। এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা যায় না, শুধু নীরবে সয়ে যেতে হয়।

মা বললেন, এখন বুড়িয়ে গেছি। আর দৌড়তে পারি না।

এখন তার মুখের ওপর রক্ত ফিরে আসছে। দূরে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শোনা যাচ্ছে, দ্রুত এবং সনির্বন্ধ। কিন্তু মা সে শব্দ শুনতে পাচ্ছেন না। গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে নিজেকে আরেকটু শান্ত করলেন। তারপর ছেলের দিকে তাকালেন সাহসী হাসিমুখে। তার চারপাশের আর সবার মতো তিনিও বিপদ আপদের মধ্যে বড় হয়েছেন। বিপদ তার হৃদয়কে হয়তো ক্ষণিক মোচড়াতে পারে। তবে তিনি আর সব কিছুর মতো বিপদকেও সয়ে গেছেন। কিছুক্ষণ আগে মায়ের মুখের ওপর মুমূর্ষু মানুষের চাহনির মতো যে বেদনার্ত চাহনিটা দেখেছে জ্যাক সেটা সহ্য করা তার পক্ষে কঠিন।

সে বলল, মা তুমি আমার সঙ্গে ফ্রান্সে চলো।

কিন্তু তিনি দৃঢ় বেদনার সঙ্গেই বললেন, না, ওখানে খুব শীত। অনেক বয়স হয়ে গেছে না আমার! আমি বাড়িতেই থাকতে চাই।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২ 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন