
ইচ্ছাশক্তিই মহাশক্তি
১৬ মে ২০২২, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। এর কোনো বিকল্প নেই। যে যত বেশি ইচ্ছাশক্তির অধিকারী সে তত বেশি সফল। তার কাছে জীবন তত বেশি সহজ ও আনন্দময়। ঠুনকো কারণে জীবনকে বিষাদময় করে তোলার কোনো মানে নেই। জীবন অনেক সুন্দর। তাতে কাঁটার আঘাত আসতেই পারে। সেই আঘাতে নিজেকে ব্যর্থ ভেবে বসে থাকলে চলবে না। জীবনকে সৌন্দর্যময় করে তোলার পথে কাঁটা বিছানো থাকলে সেখানে কি থেমে যেতে হবে? মোটেই না। কাঁটা সরিয়ে সামনে এগোতে হবে। পায়ে কাঁটা বিঁধলেও পিছপা হওয়া যাবে না। এজন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিটাকে আরেকটু শান দিতে হবে।
ইচ্ছাশক্তিই কিন্তু মানুষের জীবনীশক্তি। এই শক্তিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সামনে চলার পথ বাতলে দেয়। হতাশা কাটিয়ে মানুষ সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়। স্বপ্ন কখনো মরে না। স্বপ্ন নিজে বাঁচে এবং মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কোনো স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয় না। মানুষের জীবনে ব্যর্থতা থাকতেই পারে। সেটা তার জীবনের জন্য একটা অভিজ্ঞতা। ব্যর্থতা ছাড়া সফল হওয়া যায় না। যেখানে ব্যর্থ হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পায়। ইচ্ছাশক্তিই মানুষের শারিরীক ও মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছাশক্তির বলেই একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও জীবন ফিরে পায়। মরার আগেই কেউ যদি মরে যায় তাকে কেউ বাঁচিয়ে রাখতে পারে না।
ভয়ঙ্কর বিপদেও ইচ্ছাশক্তি মানুষকে পথ দেখায়। কাজেই যে কোনো বিপদই সামনে আসুক, তা মোকাবিলার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। বিপদে হতাশ হওয়া যাবে না। ভয় পাওয়া যাবে না। ভয় কিংবা হতাশা একটা রোগ। এই রোগে পেলে মানুষ দিশা হারিয়ে ফেলে। হতাশা ইচ্ছাশক্তিকে দমিয়ে রাখে। পেছন থেকে মানুষকে টেনে ধরে। সামনে আগানোর পথ রুদ্ধ করে দেয়। হতাশা বা ভয়কে জয় করতে ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রতিটি মানুষই পৃথিবীতে আসার পর থেকে সুতার উপর দিয়ে হাঁটে। নীচে পড়লেই ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে হবে। তা জেনেই তো মানুষ জীবনবাজি রেখে সুতার ওপর দিয়ে হেঁটে চলেছে। তাহলে হতাশাকে আমরা স্থান দেব কেন? হতাশা বা ভয় শব্দটিকে চিরতরে জীবনের ডিকশনারী থেকে বাদ দিতে হবে। ইচ্ছাশক্তি অটুট থাকলে সাফল্য আসবেই। কোনো কাজে বাধা আসলে কিংবা সফল না হলে আমরা ভাবি, সব বুঝি শেষ হয়ে গেল! জীবনে ব্যর্থতাই যদি না থাকে তাহলে সাফল্যের গুরুত্ব কোথায়? ইচ্ছাশক্তি মানুষকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। আর কাজ মানুষকে সফল মানুষে পরিণত করে।
মহান সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির উদ্দেশে বলেছেন, যে মানুষ নিজেকে সাহায্য করে, আমি তাকেই সাহায্য করি। এর মানে হচ্ছে, ঘরে বসে থাকলে সাফল্য কোনো দিনও ধরা দেবে না। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ঝুঁকি নিতে হবে। সাহসী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সাফল্য এসে ধরা দেবে।
লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

মেঘের মাঝেও পাওয়া গেল প্লাস্টিক কণা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

মেঘের মধ্যে প্লাস্টিকের অনু বা কণার (মাইক্রোপ্লাস্টিকস) সন্ধান পেয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এতে জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলে ধারণা করছেন তারা। তবে সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।
জাপানি বিজ্ঞানীদের একটি দল মাউন্ট ফুজি ও মাউন্ট ওয়ামা পর্বতে আরোহণ করেছিল। পরে পর্বতের শিখরগুলো কুয়াশার মতো আবৃত করে রাখা মেঘের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা এবং এসব নমুনার ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ধারণের জন্য উন্নত ইমেজিং কৌশল প্রয়োগ করেন।
বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান, যখন দেখেন ওই মেঘের নমুনায় ৯ ধরনের পলিমার ও এক ধরনের রাবারের উপস্থিতি রয়েছে। বায়ুবাহিত এসব প্লাস্টিক কণার আকার ছিল ৭ দশমিক ১ থেকে ৯৪ দশমিক ৬ মাইক্রোমিটার।
এ ছাড়া নমুনাগুলোতে ‘হাইড্রোফিলিক’ বা পানি-আকৃষ্ট পলিমার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এতে ধারণা করা হয়, প্লাস্টিক কণাগুলো মেঘ গঠনে এবং জলবায়ু ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলছে।
এতে বলা হয়, মেঘের পানির প্রতি এক লিটারে ৬.৭ থেকে ১৩.৯ পিস পর্যন্ত প্লাস্টিক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গত বুধবার গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হিরোশি ওকোচি বলেন, ‘বায়ুবাহিত প্লাস্টিকের দূষণ যদি সক্রিয়ভাবে সমাধান করা না হয়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ঝুঁকি বাস্তবে পরিণত হবে। বিষয়টি ভবিষ্যতে অপরিবর্তনীয় এবং গুরুতর পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
ওকোচি জানান, বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো বায়ুমণ্ডলের ওপরের অংশে পৌঁছালে এগুলো সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস সৃষ্টিতেও এগুলো ভূমিকা রাখে। কিন্তু বায়ুবাহিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা এখনো সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।

সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।
একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।
তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।

জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৬ পিএম

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।
৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।
অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।
মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।