বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

আর্সেনিকের ঝুঁকি বাড়ছে

কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জিনি পেসোলা তার দলবল নিয়ে আর্সেনিক আক্রান্ত বাংলাদেশের ১২ হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। তাতে তারা উল্লেখ করেছেন—আর্সেনিকের কারণে অধূমপায়ীরাও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, যা এর আগে জানা যায়নি।

গবেষক ড. জিনি পেসোলা স্পষ্ট করে বলেন, ‘শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারণ ধূমপান। কিন্তু অধূমপায়ীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান।’ এ ছাড়াও আমরা জানতে পেরেছি আর্সেনিক আক্রান্তের ফলে ক্যান্সার সৃষ্টির পাশাপাশি শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও নিস্তেজ হয়ে যায়। আক্রান্তদের বেশির ভাগেরই হাতে-পায়ে ফোস্কা এবং আঙুলের মাথায় পচন ধরে। এ ছাড়াও অনেকেরই বুকে-পিঠে কিংবা জিহ্বা, মাড়িতে ঘাঁয়ের সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরে মারাত্মক ক্যান্সারে রূপ নেয়। অনেকের আবার কিডনি, যকৃত বিকল হয়ে পড়ে। সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকযুক্ত পানি পানে এটি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

শুধু যে নলকূপের পানি পান করে মানুষ আর্সেনিকের বিষে আক্রান্ত হয়েছেন তা কিন্তু নয়। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের ৪৩টি জেলার মানুষ বোরো ধানের চালের ভাত খেয়েও মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, এ ধানের ভাত শুধু উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষই খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন সমগ্র দেশের মানুষই, ফলে নীরবে-নিভৃতে ঘাতকব্যাধির প্রসার ঘটছে। যেহেতু বোরো ধান চাষে প্রচুর ভূগর্ভস্থ পানির সেচ ব্যবহার করা হয়, সেহেতু ওই ফসল আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আক্রান্ত হয়।

সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর আগে পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছি আগে। তাতে আর্সেনিকের বিষক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে সুবিধা হবে।

বিজ্ঞান বলে, আর্সেনিক এক ধরনের ধূসর ধাতব পদার্থ। একে সহজে ভেঙে গুঁড়া করা যায়। প্রকৃতিতে সাধারণত দুই প্রকার আর্সেনিক বিদ্যমান। জৈব ও অজৈব আর্সেনিক। জৈব অপেক্ষা অজৈব আর্সেনিক বেশি ক্ষতিকর। পানিতে প্রধানত অজৈব আর্সেনিক বেশি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ মাইক্রোগ্রাম। অথচ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন সীমান্ত এলাকার জেলাগুলোতে নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা পেয়েছে ২ থেকে ২.৫ পিপিএম, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। ইতোমধ্যে তার প্রতিফলনও ঘটেছে ব্যাপক হারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে রীতিমতো দুর্যোগ আকার ধারণ করেছে। যদিও দেশের ৬১ জেলায় আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্তের খবর পাওয়া গেছে। তথাপিও উত্তরাঞ্চলের তুলনায় অন্য সব জেলা কিছুটা কম ঝুঁকিতে রয়েছে।

এক সমীক্ষায় জানা যায়, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ এখন আর্সেনিক ঝুঁকির সম্মুখীন। তার মধ্যে ২৬৪ উপজেলার মানুষ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। বলে রাখা ভালো, ২৬৪ উপজেলায় আর্সেনিক একদিনেই আক্রান্ত হয়নি এটি ধীরে ধীরে মাটির নিচ দিয়ে ছড়িয়েছে। যা এখনো রীতিমতো ছড়াচ্ছে (উল্লেখ্য, আর্সেনিক মাটির নিচ দিয়ে দ্রুত ছড়াতে সক্ষম), যার উকৃষ্ট প্রমাণ হল—

১৯৮৮ সালে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দি স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ’ প্রথম একটি গবেষণা চালায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। সেই গবেষণায় আর্সেনিকের অবস্থান নির্ণয় হয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত গঙ্গা-ভাগীরথী নদীর পূর্ব প্রান্তে ৭০ থেকে ২০০ ফুট মাটির নিচে। প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃতিও ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে মাটির কম্পোজিশনে পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের দূষণ ঘটে।’

পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানে আর্সেনিকের সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে, যা পরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশে। সে তথ্য আমরা জানতে পেরেছি বেশ খানিকটা পরে। প্রায় নয় বছর পর ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরপর দীর্ঘ পঁচিশ বছর কেটে গেলেও অদ্যাবধি আর্সেনিকের কবল থেকে মুক্তি পায়নি মানুষ। আর্সেনিকের সমস্যা সমগ্র বিশ্বে কম-বেশি রয়েছে ঠিকই, তবে বাংলাদেশ, ভারতের মতো অত প্রকট আর কোথাও নেই।

গবেষক ডা. আনা নাভাস আসিয়ান বলেন, ‘আফ্রিকা ও মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে আর্সেনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভূগর্ভের আর্সেনিকমুক্ত স্তরে নতুন নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, তবে এ পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল।’

আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকেই এখনো জানেন না আর্সেনিক আসলে কী? তারা আর্সেনিকের বিষে আক্রান্ত হয়ে (বিশেষ করে হাতের তালু, পায়ের তালু কিংবা শরীরে কালচে বাদামি রঙের দাগ নিয়ে) কবিরাজ বা হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে মামুলি চর্মরোগ হয়েছে বলে জেনে আসেন। এতে করে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা যে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে যে, তাদের প্রস্রাবে ১০০ থেকে ১৮০ শতাংশ বেশি আর্সেনিক রয়েছে। যার ফলে মৃত্যু অবধারিত। এ থেকে বাঁচার কোনো পথ নেই বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা আরও একটি ভয়ানক তথ্য জানিয়েছেন, ‘আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেই বললেই চলে।’ তবে তারা সামান্য আশার আলো দেখিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন বিশুদ্ধপানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিলে সে রোগী স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ফিরে পেতে পারেন। যা দেশের দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মোটেও সম্ভব নয়। এ হতাশাজনক সংবাদটি শোনার পর আমাদের করার কিছু নেই মনে করে চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না।

আর্সেনিক থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। জনগণকে নিরাপদ পানি পানে উৎসাহিত করতে হবে। বিশেষ করে উৎসাহিত করতে হবে বৃষ্টির পানি পানে। তার সঙ্গে জানাতে হবে সহজ উপায়ে বৃষ্টির পানি ধারণ ও সংরক্ষণের অত্যাধুনিক কৌশল। জানাতে হবে ভূগর্ভস্ত পানি কম ব্যবহার করে মাটির উপরিভাগের পানির বেশি ব্যবহার করতে হবে। তার সঙ্গে আরও জানাতে হবে পানযোগ্য পানির উৎসের আশেপাশে টয়লেট স্থাপন করা যাবে না। কারণ টয়লেটের বর্জ্যতে মাটির কম্পোজিশন ঘটে, যাতে পানি দূষণ ঘটায় দ্রুত। এর জন্য অবশ্য ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে এনজিও, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলোর বলিষ্ঠ ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

আরএ/

Header Ad
Header Ad

হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি

দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও হানিয়া আমির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সঙ্গে এক সিনেমায় কাজ করায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ। তাকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কাস অ্যাসোসিয়েশন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঁচ দফা নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ওই চিঠিতে দিলজিতের বিরুদ্ধে যে দাবিগুলো তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে— দেশজুড়ে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি বন্ধ, ইউটিউব ও স্পটিফাইসহ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে গান ও চলচ্চিত্র সরানো, লাইভ কনসার্টে নিষেধাজ্ঞা, সরকারি কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে না দেওয়া এবং তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সর্দারজি ৩’-এর অর্থায়নের উৎস তদন্ত করা।

এই বিতর্কের সূত্রপাত ‘সর্দারজি ৩’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর, যেখানে দিলজিতের বিপরীতে দেখা গেছে হানিয়া আমিরকে। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে একাধিক ট্রেন্ড তৈরি হয় এবং বিতর্ক চরমে ওঠে। এমনকি দিলজিতের পাসপোর্ট বাতিলের দাবিও উঠেছে।

উল্লেখ্য, দিলজিৎ এর আগে মাদকসংক্রান্ত ইঙ্গিতপূর্ণ গানের কারণে সমালোচিত হলেও, ভক্তদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা অটুট ছিল। তবে এবার সরাসরি পাকিস্তানি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

তবে দিলজিৎ নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, একজন শিল্পী হিসেবে তিনি সৃষ্টিশীল স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সহশিল্পী হানিয়া আমিরের পাশে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় ‘অমর সিং চামকিলা’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান দিলজিৎ। একই বছরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্ববৃহৎ পাঞ্জাবি কনসার্ট আয়োজন এবং মেট গালায় উপস্থিতির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে এবার ভিন্ন এক বিতর্কে তার নাম উঠে এসেছে শিরোনামে।

Header Ad
Header Ad

আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী

বক্তব্য রাখছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন- শেখ হাসিনার পতন ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পতন। শেখ হাসিনার পতনে রাজনৈতিক দলের শ্রম ও ঘাম আছে। শেখ হাসিনার পতনে যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন তাদের ভূমিকা আছে। আল্লাহর রহমতে দেশের জনগণের দ্বারা শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও গুরুতর পতন হবে। অন্য কেউ যদি করেন তারও হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুকে কেউ ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধকে ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। স্বাধীনতাকেও ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। তাই স্বাধীনতা অক্ষয় ও অমর। বঙ্গবন্ধুও তেমন অক্ষয় ও অমর।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু আওয়ামী লীগদের দাওয়াত করতে বলেছিলাম। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে। মানুষের অন্তরে তো বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ না। মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ না। নিষিদ্ধ আইনের ধারা হতে পারে। মানুষের অন্তরের ধারা না।

তিনি আরও বলেন- স্বাধীনতা আমাদের, স্বাধীনতা বাংলাদেশের। স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ-বিএনপির না। অধ্যাপক ইউনুস ও এনসিপিদের না। স্বাধীনতা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা। সে জন্য এই স্বাধীনতার প্রতি যারাই হস্তক্ষেপ করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যকে শিকার করতে হবে। বিরোধীকে সম্মান দিতে হবে। চোর ও ডাকাতকে ইচ্ছে হলেই মেরে ফেললাম এটা চলবে না। তাকেও আইনের আশ্রয় দিতে হবে।

এ সময় সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি আব্দুস সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবীব, কালিহাতী উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘আমরা কোনো জোট গঠন করছি না।’ সম্প্রতি চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি জোট গঠন হয়েছে বলে খবরের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে বাংলাদেশ চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গঠন করছে কি না— জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। মূলত, উদ্যোগটি চীনের এবং এটি একেবারেই অফিসিয়াল পর্যায়ে, রাজনৈতিক কোনো পর্যায়ে না।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ওখানে একটা প্রদর্শনী হচ্ছিল, সেখানে সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব বসে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ-আলোচনা পুরোপুরি ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি; এগুলো নিয়ে। আপনারা জোট গঠনের যে কথা বলছেন, এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না। এটা নিতান্তই একটি প্র্যাকটিক্যাল সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ব্যাপার। আমরা মনে হয় না, এটা নিয়ে আর কোনো কিছু হতে দেওয়া উচিত।

কুনমিংয়ের ওই বৈঠকে তিন পক্ষের সহযোগিতা বাস্তবায়নে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের কথা এসেছে চীন ও পাকিস্তানের দিক থেকে। বৈঠকটি নিয়ে তিন দেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও মিল ছিল না। তাহলে বাংলাদেশ জোট গঠনের কথা ডিনাই করছে কি না—

এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনোটিই ডিনাই করার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের যেটুকু উল্লেখ করেছি, এটাতে বোঝা যায় এটাতে স্ট্রাকচারাল বড়সড় কোনো ব্যাপার ছিল না। প্রত্যেকটা দেশ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছে। আমরাও তাই করেছি। যদি ভবিষ্যতে কোনো অগ্রগতি হয় তখন আপনারা জানতে পারবেন।

ত্রিপক্ষীয় যে জোট গঠনের কথা আসছে এটা তৃতীয় কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই নয়। এটা আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি। টার্গেট করার বিষয় এখানে নেই। এরকম আরও কোনো দেশ যদি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে চায় আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না। সেটাও আমি করতে রাজি।

তিনি বলেন, ধরুন ভারত যদি করতে চায় কানেক্টিভিটি নিয়ে, নেপাল বা অন্য কোনো দেশকে নিয়ে, আমরা রাজি আছি। এটা হলে আমি কালকেই করতে রাজি। যেহেতু চীন ও পাকিস্তান ছিল যার কারণে হয়তো আপনারা মনে করছেন হঠাৎ করে কেন হলো। এটাকে খুব বেশি স্পেকুলেট করার সুযোগ নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি