রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা একান্ত প্রয়োজন

এই সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত এক রোগের নাম ডেঙ্গু জ্বর। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে যখন মানুষ ক্লান্ত, তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণ মানুষকে হতবিহ্বল করে তুলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ডেঙ্গু বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং মারাত্মক মশাবাহিত রোগ।

পরিসংখ্যান মতে গত ৫০ বছরে ডেঙ্গু বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ বেশি। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এবং ৫,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছিল। প্রতি বছরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হয় এবং বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ২০১৯ সালে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সেই বছর ১০১,৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১৭৯ জন মারা যায়।

দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে সারা দেশে ৫২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত মাসে মোট ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এ মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৭২৩। তাদের মধ্যে, ১,৪৯৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং তিন জন মারা গেছেন। গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০৫ জন মারা গেছেন এবং ২৮ হাজার ২৬৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চল এই মশার পছন্দের আবাসস্থল। এই মশার শরীরে হালকা কালো রঙ এবং সাদা পা এবং শরীরে রূপালী-সাদা ব্যান্ড দেখে চিহ্নিত করা যায়। একটি পূর্ণ বয়স্ক মশা যেকোনো স্থানে জমা হয়ে থাকা বৃষ্টির পানিতে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। তবে এরা সাধারণত ফেলে দেওয়া ডাবের খোসা, টায়ার, ব্যারেল, প্লাস্টিকের ড্রাম, ফুলের টব, খোলা ক্যান এবং পাত্রে বেশি দিন ধরে জমে থাকা পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ অন্যান্য অনেক ইনডোর এবং আউটডোর স্থানও রয়েছে যেমন বাড়িতে ব্যবহৃত ফ্রিজের নিচে, বাড়ি বা কলকারখানার এসির নিচে জমে থাকা পানি, ছাদে জমা বৃষ্টির পানি, ইত্যাদি।

বাংলাদেশে সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বর বহনকারী মশা যদি একজন মানুষকে কামড়ায় তাহলে চার থেকে ছয় দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু জ্বর হবে। আবার জীবাণুমুক্ত মশা আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ালে তাও ডেঙ্গুর বাহক হয়ে উঠে। এভাবেই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর হয় এবং সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর সাধারণত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। শরীরে, বিশেষ করে হাড়, নিতম্ব, পিঠ সহ জয়েন্ট এবং পেশীতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়ে থাকে। কখনও কখনও ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় হাড় ভেঙে যাচ্ছে। তাই এই জ্বরের আরেক নাম হল 'ব্রেক বোন ফিভার’। জ্বরের ৪ বা ৫তম দিনে, সারা শরীরে লাল ফুসকুড়ি দেখা যায়, যাকে ত্বকের ফুসকুড়ি বলা হয়, অনেকটা অ্যালার্জি বা স্ক্র্যাচের মতো। বমি বমি ভাব এবং এমনকি বমিও হতে পারে। রোগী অত্যধিক ক্লান্তি এবং ক্ষুধামন্দা অনুভব করে।

সাধারণত, ৪ বা ৫ দিন পরে জ্বর চলে যায়; কিছু রোগীর ২ বা ৩ দিনের মধ্যে আবার জ্বর হতে পারে। এছাড়াও, জ্বরের কারণে সবচেয়ে জটিল অবস্থায় রক্তক্ষরণ হতে পারে। প্রায়শই লিভারের ক্ষতির কারণে রোগীর জন্ডিস, কিডনি ক্ষতির কারণে রেনাল ফেইলিওর ইত্যাদি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এই ভাইরাস মোকাবিলার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিরোধ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতাই প্রাথমিক হাতিয়ার। সরকার ও জনগণের সমন্বিত সচেতনতাই পারে আমাদের এই মহামারি থেকে নিরাপদ রাখতে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রথমে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ও উৎপত্তির দিকে নজর দিতে হবে। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে প্রাপ্তবয়স্ক মশা ধ্বংস করে ডেঙ্গু সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে সরকার ও জনগণ যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের বিষয়ে জনগণ যেমন সচেতন হবে, তেমনি পুরনো মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনগণের কাজ হবে বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় পরিষ্কার রাখা। খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে পানি না জমে। বাথরুমের কোথাও জমা পানি পাঁচ দিনের বেশি রাখা যাবে না। অ্যাকুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে যাতে বেশিক্ষণ পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দিনের বেলা শরীর ভালোভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে; প্রয়োজনে মশা নিরোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনের বেলা ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে বা কয়েল দিয়ে ঘুমাতে হবে। হাফপ্যান্টের বদলে ফুল প্যান্ট পরিয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠানো যেতে পারে।

ডেঙ্গু রোগীকে মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে কোনো মশা রোগীকে কামড়াতে না পারে। মশা তাড়ানোর স্প্রে, কয়েল এবং ম্যাট ব্যবহার করতে হবে, সেইসঙ্গে দিনে ও রাতে মশার কামড় এড়াতে মশারি ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে জনগণকে সচেতন করা। 'জেনেটিকালি মডিফাইড' পদ্ধতিতে কীভাবে ডেঙ্গু নির্মূল করা যায় সে বিষয়ে প্রাসঙ্গিক গবেষকদের নিয়োগ করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য জাতীয় নির্দেশিকা প্রদান। সব গণমাধ্যমে ডেঙ্গু সম্পর্কে নিয়মিত প্রচারণা চালাতে হবে। শহর এলাকায় নিয়মিত মশা নিরোধক স্প্রে করা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা।

সর্বোপরি ডেঙ্গু মহামারি থেকে রক্ষা পেতে জনগণ ও সরকারকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আত্মসচেতনতা ছাড়া সরকারের সমালোচনা করে যেমন ডেঙ্গু দূর হবে না, তেমনি জাতীয় স্বার্থও হুমকির মুখে পড়বে। তাই সবার আগে প্রয়োজন আত্মসচেতনতা। এ ছাড়া সরকার-জনগণ মিলে সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। উভয় পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণই পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমিয়ে দেশকে এই সংকট থেকে মুক্ত করতে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।
আরএ

Header Ad

দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত বিমানবন্দরে এক বাংলাদেশি যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশের বিজি ৩৪৪-এ চড়ার আগ মুহূর্তে ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ মারা যান এ প্রবাসী বাংলাদেশি।

নিহতের নাম দেলোয়ার হোসেন (৫০)। বাড়ি নোয়াখালী, পিতা সিদ্দিকুর রহমান।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম মিনিস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসেন স্থানীয় সময় রবিবার রাতে বিমানবন্দরে তার মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ওই একই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন কুয়েতে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আরেক প্রবাসী ইব্রাহিম খলিল রিপন।

তিনি বলেন, ‘রবিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে একটায় কুয়েতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশের বিজি ৩৪৪-এর ফ্লাইটটি উড়াল দেওয়ার কথা। দেলোয়ার হোসেন ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ২১ নম্বর গেইট অতিক্রম করেন। বিমানে পা রাখার অল্প কিছুক্ষণ মাত্র বাকি। ঠিক তখনই আকস্মিকভাবে মারা গেলেন তিনি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারণা করছে, দেলোয়ার হোসেন ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ নিয়ে যায়।

ইব্রাহিম খলিল রিপন জানান, প্রায় ২৪ বছর আগে কুয়েতে আসেন দেলোয়ার। প্রথম দিকে তার বসবাসের বৈধতা থাকলেও একসময় অবৈধ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি কুয়েত সরকারের দেওয়া সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

দূতাবাসের শ্রম মিনিস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসেন জানান, বর্তমানে নিহত দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ কুয়েতের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে বেড়েই চলেছে বজ্রপাতে প্রাণহানি। আর এমন অবস্থায় বজ্রপাতে থেকে বাঁচার কৌশল বলে দিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। এ বিষয়ে আজ রবিবার আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে অধিদপ্তর।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়েছে। সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কাও রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশলয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙ্গুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।

চলমান দাবদাহের বিষয়ে বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামীকাল সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে আগামীকাল থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ মে) বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর হাসপাতাল মোড়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এদিকে সকাল থেকে ঔষদের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তীতে পড়েছে রোগীর স্বজনরা। দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন- চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে। ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

তিনি আরো বলেন- মামলায় আসামীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিকক্স আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।

ঔষধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন- আমরা মানবসেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবী জানানা তারা।

নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসীন্দা মুনি আরা বলেন- এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চারপদের ঔষধ লিখে দেয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের এসে দেখি সব দোকান। আধা ঘন্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ঔষধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ঔষধগুলো সংগ্রহ করা হয়। ঔষদের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটের বাসীন্দা নিমাই চন্দ্র বলেন- গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সবগুলো বন্ধ রয়েছে। আমার মতো অনেকেই ঔষধ নিতে এসে দোকান বন্ধ পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধান চাই।

বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস