বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগকে যেতে বাধ্য করতে হবে: ফখরুল

আওয়ামী লীগের মূলনীতি চুরি আর দুর্নীতি এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে আওয়ামী লীগকে সরাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বক্তব্য একটাই, যারা এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে তাদেরকে জনগণের শক্তি দিয়ে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে। এই সরকার রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে পুরোপুরি ব্যর্থ রাষ্ট্র করে ফেলা হয়েছে।’

শনিবার (১৮ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা মির্জা ফখরুল। ‘আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতি এবং বিএনপির ঘোষিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফার' দাবি নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ।

ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্ত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে কী হচ্ছে এটা সবার শোনা উচিৎ। কীভাবে আওয়ামী লীগ দেশের টাকা বিদেশে প্রচার করছে। ব্যাংকিং সেক্টর, দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, এই দেশ আর নেই, কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। সব কিছু ধ্বংস করে ফেলেছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেছেন, ভারত, চীন, রাশিয়াকে বলতে চাই, বন্ধু হয়ে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকুন। এই সরকারের সমর্থন করা মানে জনগণের বিপক্ষে যাওয়া। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই না। সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য জনগণের পক্ষে থাকুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘টিআইবি রিপোর্টে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের চাকরির জন্যও ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। আমি বলেছিলাম এই সরকার বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতির প্রধান খাত হিসেবে বেছে নিয়েছে। এর আছে তেল আমদানি খাত।’

সিআইডি বলেছে-দেশ থেকে প্রতি বছর হুণ্ডির মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। একটা বালিশ কিনেছে ৫ হাজার ৭০০ টাকায়। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় বানিয়েছে। আবার নতুন শুরু করেছে পাতাল রেল। উদ্দেশ্য একটাই, লুট। ২১ কিলোমিটার পাতাল রেলে খরচ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাংকিং খাত থেকে ৮০০ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। ডলার সংকটে নিত্যপ্রয়োনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। দুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ ঢুকে আইনজীবীদের পিটিয়ে আহত করেছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেছেন, ভারত, চীন, রাশিয়াকে বলতে চাই, বন্ধু হয়ে থাকুন। জনগণের সঙ্গে থাকুন। এই সরকারের সমর্থন করা মানে জনগণের বিপক্ষে যাওয়া। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই না। সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য জনগণের পক্ষে থাকুন।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ১২ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-চরগাবসারা আঞ্চলিক মহাসড়কের ১২ কোটি টাকার সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কে ধীরগতিতে কাজ চলার পাশাপাশি কার্পেটিংয়ের আগে খানাখন্দ ও ফাটল না মেরামত করেই কাজ চালানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও পরিবহন চালকরা।

প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯ কিলোমিটার সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিটুমিন, কেরোসিন ও পাথরের নিম্নমানের সংমিশ্রণে সড়কটি কার্পেটিং করা হচ্ছে। ফলে নতুন কার্পেটিং থেকে পাথর উঠে গিয়ে গাড়ির চাকায় আঘাত করছে এবং যাত্রীদের শরীরেও লাগছে।

পরিবহন চালক জাহিদ জানান, “সপ্তাহে তিনবার গাড়ির চাকা বদলাতে হচ্ছে। উপার্জনের টাকাই এখন গাড়ি মেরামতে খরচ হয়ে যাচ্ছে।” তার মতো আরও অনেক চালক জানিয়েছেন, সড়কের পাথরের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে, এবং অনেককে রোদে দাঁড়িয়ে গাড়ি মেরামত করতে হচ্ছে।

 

সিএনজি বিকল হওয়ায় মেরামতের কাজ করছে চালক। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় আগে বিছানো পাথরের উপর পুনরায় ছোট পাথর ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাব ঠিকাদার ফারুক হোসেন দাবি করেন, “এই কাজ নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। কেউ বুঝতে না পারায় ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।”

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ না মেরামত করে পুরো সড়কে এমনভাবে কাজ করে কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে। এতে মূলত ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরি খান জানান, “বরাদ্দ কম থাকায় ডাবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছে। এতে পরিবহনগুলো অতিরিক্ত গতিতে চলাচল করতে পারবে না। কাজের মানও ভালো হচ্ছে।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

তবে ভুক্তভোগী চালক ও যাত্রীরা বলছেন, বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সরকারি অর্থ অপচয় ও নিম্নমানের কাজের জন্য তারা দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

আনচেলত্তির সহকারী হয়ে ব্রাজিল দলে ফিরছেন কাকা!

ছবি: সংগৃহীত

মিশন হেক্সা পূরণে খুব ভালোভাবেই উঠেপড়ে লেগেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তিকে ইতোমধ্যেই ব্রাজিলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ইতালিয়ান কোচ ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্রাজিলিয়ান দলের ডাগআউটে থাকবেন

ব্রাজিলে আনচেলত্তির সহকারী কোচ হিসেবে কে থাকবে তা এখনো নিশ্চিত নয় তবে এর মাঝেই সিএনএন ব্রাজিলের এক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কাকাকে সহকারী কোচ হিসেবে পাশে চাচ্ছেন আনচেলত্তি।

১২ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সেলেসাওয়ের দায়িত্ব নেওয়া ইতালিয়ান কোচ ইতোমধ্যেই নাকি প্রাক্তন শিষ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে একসঙ্গে এসি মিলানে ইতিহাস গড়েছিলেন তারা। দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ পাঁচটি শিরোপা জয়ের অংশীদার ছিলেন দুজনই। কাকার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি ২০০৭ সালের ব্যালন ডি’অরও এসেছিল আনচেলত্তির ছায়াতলে খেলেই।

যদিও কোচিং অভিজ্ঞতায় এখনো অনভিজ্ঞ কাকা তবে ২০২১ সালে কাজাখস্তান ফুটসাল দলের সঙ্গে ফিফা বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে আছে। ব্রাজিলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পেলে এটিই হবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোচিং চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, বিশ্বকাপ জয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষা কাটাতে চাইছে ব্রাজিল। ২০০২ সালের সেই সোনালি মুহূর্তের পর কেটেছে দুই দশক। আর ঠিক সেই শিরোপাজয়ী দলের অংশ ছিলেন কাকা। এবার নতুন রূপে পুরনো রসায়ন কাজে লাগিয়ে দলকে বিশ্বসেরার মুকুট পরাতে চাইছেন আনচেলত্তি।

Header Ad
Header Ad

সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরকালে বিশাল অঙ্কের এক অস্ত্র বিক্রয় চুক্তি সই হয়েছে। রিয়াদে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প ১৪২ বিলিয়ন (১৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের অস্ত্র চুক্তিতে সই করেন। হোয়াইট হাউস এই চুক্তিকে প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো দেশের সবচেয়ে বড় চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চুক্তির আওতায় এক ডজনেরও বেশি মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান, মহাকাশ প্রযুক্তি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। এতে সৌদি বিমান বাহিনী, স্থলবাহিনী এবং তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের পাশাপাশি সমুদ্র ও উপকূলীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে।

চুক্তিতে সৌদি সেনাদের প্রশিক্ষণ, সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামরিক চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, গ্যাস টারবাইন, বিমান প্রযুক্তি, ও নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তিও হয়েছে।

সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে উভয় দেশের মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তিও সই হয়। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানান, সৌদি বিনিয়োগ আগামী মাসগুলোতে বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ‘অসাধারণ একজন মানুষ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “সৌদি আরব একটি চমৎকার জায়গা। এখানে চমৎকার সব মানুষ বসবাস করেন। তার (বিন সালমান) মতো মানুষ হয় না।”

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও টাইম

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে ১২ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ
আনচেলত্তির সহকারী হয়ে ব্রাজিল দলে ফিরছেন কাকা!
সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের টার্গেট বানিয়ে হত্যা করা হচ্ছে : নাছির
পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
সাউণ্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ
জানা গেল ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয়
বেনাপোল কাস্টমসে কলমবিরতি শুরু, স্থবির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
ইশরাককে মেয়র পদে শপথ করানোর দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও
ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা
দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান
গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ নয়, কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
সাম্য হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি এনসিপি নেতা হাসনাতের
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে সার্বভৌমত্ব প্রতি সম্মান জানানোর কথা বললেন প্রেস সচিব
ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ২
গ্যাস কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ: চলছে প্রস্তুতি, বাড়ছে সম্ভাবনা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত