মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

করোনা ও সেশনজটে শিক্ষার্থী জীবন মরণফাঁদে

উন্নয়নশীল ডিজিটালাইজড বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে কাঠামোগত উন্নয়নে দুর্বার গতিতে এগুলেও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক উন্নয়ন ঘটেনি। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কবলে দীর্ঘ ৫৪৪ দিন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ বন্ধের কারণে সেশনজটের কবলে ছিটকে পড়ছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। আবার হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন অনেকেই। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে, গ্লোবালাইজেশনের যুগে শিক্ষাঙ্গনে সেশনজট কোনো ভাবেই মেনে নেয়ার নয়। সেশনজট শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে সব চেয়ে মূল্যবান সম্পদ ‘সময়’। সে সঙ্গে কেড়ে নেওয়া শুরু করেছে মানুষের অমূল্যবান সম্পদ জীবন'ও। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির তথ্যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর গত দেড় বছরে অন্তত ১৫১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে ৭৩ জন স্কুল শিক্ষার্থী, ৪২ জন বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ২৭ জন কলেজ শিক্ষার্থী ও ৯ জন মাদরাসার শিক্ষার্থী। এদের বেশির ভাগের বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

করোনাকালে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনের ওপর মানসিক চাপ বেড়েই চলেছে। পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, পরিবারের শাসন, কোনো কিছু বায়না ধরে না পাওয়া, আর্থিক সংকট, পরিবারের অনটন, বিষন্নতা ও একাকিত্বসহ ছোট ছোট সমস্যায়ও অনেকে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আত্মহত্যা করছেন। দীর্ঘবন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে প্রায় দেড় বছর হারিয়ে গেছে। এই দেড় বছর হারিয়ে যাওয়া মানে একজন শিক্ষার্থী দেড় যুগ হারিয়ে পেলেছেন। কারণ মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো শিক্ষা জীবন। এই জীবনের তৎপরতার উপর তার ভবিষ্যৎ জীবন ঠাঁয় দাড়িয়ে। তাই এই জীবনে সময় নষ্ট হওয়া কোনো ভাবেই মেনে নেয়ার নয়। কিন্তু মানুষ প্রকৃতির দায় এড়িয়ে চলতে পারেনা। প্রাকৃতিক মহামারি আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে। তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

২০২০ সালের মে থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা ও জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাব, দুর্বল ও ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তির উচ্চমূল্যের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষেই অনলাইনে ক্লাস করা সম্ভব হয় নাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নতুন ব্যাচের ভর্তিও পিছিয়ে আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোয় অন্তত ৫০০ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিলো।২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠান খুললেও করোনার নতুন মাত্রায় ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের জানুয়ারি ২০২২ এর ২১ তারিখ থেকে পুণরায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা ক্রমবর্ধমান হারে আগের মত বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান পুনরায় বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছে। শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় আবারও ঘটল ছন্দপতন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষার তারিখ নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান ও ঘোষিত পরিক্ষা ব্যতিত অন্যান্য পরিক্ষা না নেয়ার সীদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষ হলেও পরিক্ষার তারিখ অঘোষিত থাকায় পরিক্ষার হলে বসতে পারছে না।

এভাবে দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা শিক্ষাবিদগণের দৃষ্টিতে শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংসরূপ। ২১জানুয়ারি যে ৬টি নির্দেশনা জারী করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় সেখানে ৩ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয় রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি যোগদান করতে পারবেন না। আর যারা অংশ গ্রহণ করবে তাদের ভ্যাকসিন সনদ থাকতে হবে। রাষ্ট্রে বিভিন্ন স্তরে ১০০ জনের বিধি চালু থাকলে তা প্রতিষ্ঠানেও চালু করা জরুরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা ৬০-৮০ জন। সরকার চাইলে জোড়-বেজোড় রোল বিভাজন করে একদিন পর একদিন স্বশরীরে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। দেশের সবচেয়ে সচেতন মহল হলো শিক্ষার্থী সমাজ কিন্তু তথাপিও শিক্ষার্থীদের ঘর বন্দী করার পায়তারা চলছে। এদিকে বাণিজ্য মেলা, হাট-বাজার, কলকারখানা, নির্বাচনসহ সবকিছুই দিব্যি চলছে। যা আসলেই সচেতন মহলের হিতকর বিষয় না। দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা করোনায় না মরে হতাশায় আত্মহত্যা করে মারা যাচ্ছেন। সরকার বারবার অনলাইন ক্লাসের কথা বললেও তা সিঁকি পরিমাণ উপকার বয়ে আনেনি। অনেকাংশে শিক্ষকরা নিজেরাই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। বাস্তবিক জটিলতায় শিক্ষার্থীরা চাইলেও অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়ে ক্লাসের উপকারিতা লাভ করতে পারছেন না। ফলে অনলাইন ক্লাস নাম মাত্র ক্লাসে পরিণত হয়েছে।অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পরিক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রথম দিকে ক্লাসে উপস্থিতির নম্বর না থাকার কথা ঘোষনা দিলেও শিক্ষকরা সেকথা রাখেন নি বরং নিজের পছন্দ তালিকা মত শিক্ষার্থীদের নম্বর দিয়েছেন।যাতে শিক্ষার্থীদের বেশ অসস্তির বেগ পোহাতে হয়েছে।

এদিকে ডেল্টা, ওমিক্রন, ফ্লোরোনা, ইহুর পর নিওকভ (NeoCov) নামক নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে উহানের বিজ্ঞানীরা এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের যতগুলি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তারমধ্যে নিওকভ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। গবেষকদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার ভাইরাসের বিশ্লেষণে দেখা যায় তা বারবার নতুন নতুন রূপ ধারণ করবে। পৃথিবী থেকে করোনা চলে যাওয়ার কোনোরূপ সম্ভাবনা যেহেতু নাই সেহেতু করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সমীচীন নয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যখন করোনা মোকাবেলায় ঔষধ আবিষ্কারে ব্যস্ত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বারান্দায় তখন ধুলোবালি ও ঘাস জন্মেছে।
সরকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেশনজট নিরসনের বিবিধ পরিকল্পনা প্রণয়ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেশনজট নিরসন সম্ভব হয়নি। দেশের অধিকাংশ বিশ্বদ্যিালয় গুলোতে আগে থেকেই সেশনজট লেগে আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কতেক বিভাগে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স সম্পন্ন করতে কমপক্ষে সময় লাগে ৬-৭ বছর, কোন কোন ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি, তার পর আবার মাস্টার্স। সেশন জট যে কত্তো কত্তো প্যারাময় ছাত্র জীবন তা সম্মুখীন না হলে বুঝা বড়দায়। একটি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের সেমিষ্টার শেষ করতে ১০/১১ মাস সময় লাগে, ৪ বছরের কোর্স সম্পন্ন করতে ৬/৭ বছর লাগে, বিষয়টি ভাবতেও অবাক হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে করোনার কারণে আবার নতুন মাত্রায় সেশনজট যুক্ত হলো। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষার অনুমতি থাকলেও পরিক্ষা গ্রহণ পূর্বক সেশনজট নিরসন করার কোনো উদ্যোগই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করছেন না। ফলে চার বছরের অনার্স শেষ করতে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮/৯ বছর লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য “মরার উপর খাঁড়ার ঘা”হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন অবস্থার দরুন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ রসাতলে।

বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২.৬ বছর। কিন্তু এই ক্ষণিক জীবনের বৃহদাংশই যদি শিক্ষার্জন ও শিক্ষার্থী হিসেবে কেটে যায় তাহলে শিক্ষার্থী তার বাকি কাজ কখন করবে? শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ১৩/১৪ বছর, স্নাতক (পাস ও অনার্স) সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৬/৭ বছর, স্নাতকোত্তরে সময় লাগে আরো ১.৫/২ বছর। সব মিলিয়ে মাস্টার্স পাস করতে সময় লাগে ২৫/২৬ বছর। ৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে প্রায় ২৬-২৮ বছর বয়স সময় লাগে। বাংলাদেশের চাকুরির বাজার আজিব প্রকৃতির।এখানে শিক্ষার্থীর একাডেমিয়ায় নির্ধারিত বিষয়ের উপর মূল্যায়ন না করে তার বিপরীত ধর্মী পড়াশোনার মাপকাঠিতে মুল্যায়ন করে চাকুরি দেয়া হয়। আমরা জানি বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্র বয়সের সময়সীমা ৩০ বছর। তাহলে কখন পড়াশোনা শেষ করবে আর কখন চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে চাকুরিতে প্রবেশ করবে। তাই শিক্ষার্থীরা আজ হতাশার গ্লানি টেনে টেনে দিনাতিপাত করছে। যা শিক্ষার্থীর গবেষণালদ্ধ জ্ঞানার্জনে সর্বপ্রধান অন্তরায়। আজকে সেশন জটে শিক্ষার্থীর বলি হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তিতে রয়েছে অভিভাবরাও। দিন মজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, সাধারণ কৃষক পিতা পরিবারে তিন বেলা ভাত জুটাতে না পরলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সন্তানকে মাসে নূন্যতম টাকাটা দিতে হচ্ছে। যা প্রতিটা নিম্নবিত্ত/মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই মহাকষ্টের।
এমতাবস্থায় সরকার কোন শ্রেণী কত বছরে সম্পন্ন করতে হবে তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সময় নির্ধারণ করে দেয়া জরুরি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন করে ভাবতে হবে।ইউজিসি ও সরকারকে বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করতঃ সমাধানের পন্থা বের করতে হবে। নচেৎ এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ গণ-আত্মহনন ও সার্টিফিকেট ধারী মূর্খের দেশে পরিণত হবে।

 

 

লেখক
মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা
শিক্ষার্থী ,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া

Header Ad
Header Ad

১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের

উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের পদত্যাগ দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের আলটিমেটাম। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদ, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগের জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে উপদেষ্টারা পদত্যাগ না করলে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সমস্ত শক্তি নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

রাশেদ খান আরও দাবি করেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য আওয়ামী লীগ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, "সম্প্রতি ওয়াসা নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা বাতিল করা উচিত এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নিয়োগও বাতিল করতে হবে।"

গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তাই ছাত্রদের মধ্যে যারা উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে।"

এছাড়া, তিনি দাবি করেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। তিনি ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করতে এবং 'ডামি এমপি'দের সম্পদ জব্দ করার কথাও উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের উচ্চ পরিষদ সদস্য দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান ও গণমাধ্যম সম্পাদক আবু হানিফ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের কল সেন্টারে জনতার তাণ্ডব, শত শত ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক পণ্য লুট!

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে একটি চীনা নাগরিকদের পরিচালিত কল সেন্টারে স্থানীয় জনতার তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) যখন ইসলামাবাদের সেক্টর এফ-১১ এলাকায় এই অবৈধ কল সেন্টারে অভিযান চালাচ্ছিল, তখন স্থানীয় জনতা সেখানে ঢুকে পড়ে এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, ওই কল সেন্টারটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল এবং কোনো বৈধতা ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এফআইএর অভিযানের সময়ই স্থানীয়রা ভেতরে প্রবেশ করে এবং যা কিছু পায় তা লুট করে নিয়ে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা পর্যন্ত যে যেভাবে পারছে, সেভাবেই ল্যাপটপ, মনিটর, ডেস্কটপ, কিবোর্ড, এক্সটেনশনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ বের করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ ফার্নিচার, থালা-বাসন ও চামচ পর্যন্ত নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ভিডিওটি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ শেয়ার করে একজন মন্তব্য করেছেন, “ইসলামাবাদে চীনাদের পরিচালিত একটি কল সেন্টারে লুটপাট করেছে পাকিস্তানিরা। পবিত্র রমজান মাসে শত শত ল্যাপটপ ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশসহ আসবাবপত্র চুরি হয়েছে।”

 

এই অভিযানে এফআইএ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে চীনা নাগরিক ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন। তবে অভিযানের সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

স্থানীয়দের এমন তাণ্ডব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, পবিত্র রমজান মাসে এমন লুটপাট অনুচিত এবং অনৈতিক। কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)

দায়িত্ব ও সেবায় রাস্তায় দাঁড়িয়েই তাদের ইফতার। ছবি:ঢাকাপ্রকাশ

রোজা রেখে দিনভর প্রচণ্ড রোদে রাজধানীর পথে পথে দায়িত্ব পালন করতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ইফতারের পর্ব সেরে নিতে হয় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই। একই সঙ্গে চলে যানবাহনের চাপ ও গতি সামলানোর গুরুদায়িত্ব।

নগরবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাসায় বা গন্তব্যে পৌঁছে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ইফতারি করতে পারেন, সেজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় তাদের। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতারি করার সুযোগ হয়ে ওঠে না তাদের।

নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে সড়কেই ইফতারি সেরে নিতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। রাস্তায় যানবাহনের চাপ সামলানোর কারণে কয়েক মিনিট বসার সুযোগও মেলে না। তাই দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের করতে হয় ইফতারি।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ইফতারের এমন চিত্র চোখে পড়ে।

ট্রাফিক সদস্যরা জানান, সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে ঘরে গিয়ে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ইফতারি করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সব সময় কাজ করতে হয়। ইফতারের আগ মুহূর্তে অনেক সময় পানি হাতে দাঁড়িয়ে থাকি, আজান দেওয়ার পর ইফতারি সেরে নিই। কারণ আমাদের কাছে দায়িত্বটা অনেক বড় বিষয়।

দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বিদ্যুত হোসেন বলেন, নগরবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাসায় বা গন্তব্যে পৌঁছে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ইফতারি করতে পারেন সেজন্য আমাদের কর্তব্য বেড়ে যায়।  ইফতারের সময় আমরা রাস্তা ভাগ করে নিয়ে কাজ করি। অনেক সময় সবাইকে দাঁড়িয়েই ইফতারি করতে হয়। কিছু কিছু সময় ট্রাফিক সদস্যদের পুলিশ বক্সে পাঠিয়ে দিয়ে আমিসহ দু-একজন রাস্তায় দাঁড়িয়েই ইফতারি করি।

প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতারি করেন, খারাপ লাগে কি? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেবা করাই আমাদের লক্ষ্যে। মানুষের সেবাটা আগে দেখতে হয়। তবে কিছু কিছু সময় পরিবার থেকে যখন ফোন করে জানতে চায়, তখন মন খারাপ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক।

জানা গেছে, সরকারিভাবে ইফতারে তাদের একেক জনের জন্য একটি বেগুনি, একটি পেঁয়াজু, খেজুর সঙ্গে কিছু ছোলা আর মুড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। অবশ্য নিজেদের উদ্যোগে আরও বেশ কয়েকটি ইফতারির আইটেম যুক্ত করে থাকেন তারা। কারওয়ানবাজার ট্রাফিক বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাফিক সদস্য জানান, ডিএমপি থেকে মাথাপিছু ১টি করে ইফতারের প্যাকেট বুঝিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্বরত ট্রাফিক বক্সের কর্মকর্তাদের কাছে। 

আর এভাবেই নগরবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাসায় বা গন্তব্যে পৌঁছে স্বজন-পরিবারের সঙ্গে ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে সেজন্য তাদের এমন নিরলস প্রচেষ্ঠা আমাদের কাছে সহমর্মিতার বার্তা দেয়।

 

 

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পাকিস্তানের কল সেন্টারে জনতার তাণ্ডব, শত শত ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক পণ্য লুট!
নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)
যমুনা রেলসেতুতে দুর্নীতি হলে খতিয়ে দেখা হবে: রেলপথ সচিব
এবার খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ খান, থাকছেন আল্লু অর্জুন!
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৬
আপনি কি পরিবারের বড় সন্তান? আপনাকে অভিনন্দন!
টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ
ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয়ের সুযোগ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীনে একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান
নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত
সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন
বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র
‘যমুনা রেল সেতু’র উদ্বোধন সম্পন্ন, হুইসেল বাজিয়ে ছুটল উদ্বোধনী ট্রেন
বকেয়ার বেতন ও ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ, জাবি উপাচার্যের পেনশন বাতিল