শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বন বিভাগের উদাসিনতায় আলতাদীঘির জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

নওগাঁর ধামইরহাটে সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন ইতিহাসসমৃদ্ধ আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যানকে পাখিদের অভয়ারণ্য বলা হলেও বন বিভাগের উদাসিনতায় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে দীঘির পরিবেশ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় লতা-পাতা পড়ে দূষিত হয়ে পড়েছে দিঘির পানি ও এর চারপাশ। এতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ আলতাদীঘির জীববৈচিত্র্য ও অতিথি পাখির আবাস্থল।

সরেজমিনে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। যেখানে প্রতি বছর শীত মৌসুমে আলতাদিঘীর পানিতে দাপিয়ে বেড়াতো অতিথি পাখি রাজ সরালি, পাতি সরালি, বালি হাঁস, রাজহাঁস, মান্দারিন হাঁস, গোলাপি রাজহাঁস, ঝুটি হাঁস, চকাচকি, চিনা হাঁস, কালো হাঁস, লালশীর, নীল শির, মানিকজোড়, জল পিপি, ডুবুরি, হারিয়াল পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাংচিল। অথচ এই বছর এদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

জনশ্রুতি আছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে একসময় প্রবল খরার কারণে মাঠ-ঘাট সব পুড়ছিল চরম পানীয় সংকটে। প্রজাদের দাবির কারণে স্থানীয় জগদল বিহারের (১০৭৭-১১২০ খ্রিষ্টাব্দে) রাজা রামপাল ও সদর পালের রাজ্য শাসনের সময় রাজমাতা পুত্রের কাছে বর চাইলেন। ওয়াদা করিয়ে নেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠে আমি যতদূর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে পারব, ততদূর পর্যন্ত একটি দিঘি খনন করে দিতে হবে। এতে বেকায়দায় পড়েন রাজা, উজির, নাজির। এত লম্বা দিঘি খনন করবেন কী করে? তাই কৌশলে মায়ের পায়ে আলতা ঢেলে দিয়ে পা কেটে গেছে বলে তার চলার পথ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এই দিঘির নামকরণ করা হয় আলতাদিঘি।

অন্যদিকে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান সংস্কার ও উন্নয়নের কথা বলে দীঘির দুই পাড় থেকে কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলায় দিঘির পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়েছে ঠিক তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে অতিথি পাখিরা।

স্থানীয় ও পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীত মৌসুমের শুরুতে কয়েক হাজার পথ পাড়ি দিয়ে দিঘির পানিতে কলকাকলিতে মেতে উঠতো অতিথি পাখিরা। বর্তমানে গভীরতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের ডালপালা পড়ে পানি দূষিত হওয়ায় এর পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ঝাঁক বেঁধে ছুটে আসা পাখিদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। যে পাখিগুলো এসেছে সেগুলো দিঘির বিষাক্ত পানিতে স্বাধীন ভাবে বিচরণ করতে পারছে না। এমন অবস্থায় দীঘি খননসহ পঁচা পানি সংস্কার করা না হলে আগামীতে পাখিদের বিচরণ কমে যাবে এমনটি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান রাজশাহী সামাজিক বনবিভাগের আওতায়। এটি নওগাঁ সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ধামইরহাট উপজেলায় পাইকবান্দা রেঞ্জের অধীনে ধামইরহাট বিটে অবস্থিত।

আরও জানা গেছে, পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলতাদিঘীকে “জাতীয় উদ্যান” হিসেবে ঘোষণা করে। এর মোট আয়তন ২৬৪.১২ হেক্টর। বনভূমির মাঝখানে ৪৩ একর আয়তনে গড়ে উঠেছে এই বিশাল দিঘী।

এ ছাড়াও আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের পাশের ১৭.৩৪ হেক্টর বনভূমিকে ২০১৬ সালের ৯ জুন বিশেষ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ বন অভিদপ্তর।

জয়পুরহাট থেকে পরিবার নিয়ে আলতাদীঘি দেখতে আসা স্কুল শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দীঘির দূষিত পানি ও দুই পাড় থেকে অসংখ্য গাছ কেটে ফেলা দেখে বিস্মিত হয়েছি। শুধুমাত্র পাখি দেখার জন্য প্রতি বছর এখানে আসি। কিন্তু আজ কি দেখছি?’

তিনি আরোও বলেন, প্রকৃতির নিসর্গ আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগের উদাসীনতায় পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। ফলে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা কমে গেছে।’

নওগাঁ থেকে আসা অপর দর্শনার্থী মারশাল টিটু জানান, এর আগে দিঘীর পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল। দিঘির বুকে পদ্ম ফুলের আড়ালে খেলা করত পাখিরা। দিঘির বিবর্ণ দূষিত পানি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ।

বগুড়া থেকে আসা অপর দর্শনার্থী ছাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ফেসবুকে আলতাদিঘীর দুই পাশে অনেক গাছ ও দিঘীর আকাশে ঝাঁক বেঁধে দাপিয়ে বেড়াতে দেখেছিলেন পরিযায়ী পাখিদের। বন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দিঘির পঁচা পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা। এমন চলতে থাকলে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান থেকে অতিথি পাখিদের কোলাহল থেমে যাবে।‘

এ ব্যাপারে উপজেলা বন বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘উর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি পেলে দীঘির খনন কাজ শুরু করা হবে। দীঘির দুই পারের গাছগুলো পুরনো হওয়ায় কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে শোভা বর্ধনকারী গাছ লাগানো হবে। আবহাওয়ার কারণে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা অনেক সময় আপডাউন করলেও পাখিদের সংখ্যা বেড়েছে।’

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোহানুর রহমান সবুজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘যেহেতু আলতাদিঘী সংরক্ষিত অঞ্চল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় লতা-পাতা পড়ে দূষিত হয়ে পড়েছে দিঘির পানি ও এর চারপাশ। যার কারণে জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে। দিঘিটি সংস্কার করতে হবে এমনভাবে সেখানকার মাছ, উদ্ভিদ, কচুরিপানা, কিছুই সরানো যাবে না। জীব বৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দিঘিটি পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আবাস্থল। এটি সংস্কারের নামে পরিযায়ী পাখিদের বিতাড়িত করা যাবে না।’

তিনি আরোও বলেন,‘ আলতাদিঘীতে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পাখির এই আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে হবে। সুপ্রাচীন ইতিহাসসমৃদ্ধ আলতাদীঘির পরিবেশ এবং পরিযায়ী পাখি রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকেও এগিয়ে আসতে হবে।

এসআইএইচ

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়