৩৬৩ দিনই অবৈধ দখলে থাকে ‘ঐতিহাসিক আমতলা গেট’

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:০৩ এএম


৩৬৩ দিনই অবৈধ দখলে থাকে ‘ঐতিহাসিক আমতলা গেট’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র সমাজ ১৯৫২ সালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে যে গেট দিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙেছিল সেই স্মৃতিবিজড়িত আমতলা গেটটি এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। বছরের ৩৬৩ দিন থাকে অবৈধ দোকানপাটের দখলে। বছর ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত থেকে শহীদ মিনার এবং এর আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার করা শুরু হয়।

আবার ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই আগের নিয়মে ফিরে যায় ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত সেই জায়গাটি অবৈধ দোকানপাটের দখলে চলে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, হাসপাতাল কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক আমতলা গেটটি।

আবার হাসপাতালে কর্মচারীরা বর্হিরাগতদের দিয়ে দোকান বসিয়ে মাসোহারা নিচ্ছে। অবহেলা-অযত্নে পড়ে আছে গেটটি। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দেখা যায়, ইতিহাসবিজড়িত সেই গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ। পাশেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলা চাই স্লোগান দিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙেছিল ছাত্র সমাজ। সেই স্মৃতিবিজড়িত গেটসহ তার আশ পাশে চায়ের দোকান, সোহাগের পুরি-শিঙাড়ার দোকান, পান সিগারেটের দোকান, ফল-পানি-বিছানা-বালিশের দোকান।
গেটের উপরে প্লাস্টিকের সাইনবোর্ডটি না থাকলে জানার কোনো উপায় নেই যে এটি সেই ঐতিহাসিক আমতলা স্মৃতিবিজড়িত গেট। তবে উপরে থাকা ব্যানারটি দেখে মনে হচ্ছে ঝকঝকে। কেউ হয়তোবা নতুন লাগিয়েছে। সেই গেটের নিচে অবস্থান দোকানদারের সঙ্গে আলাপ হয়।

তারা জানান, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ভাষা আন্দোলন পরিষদ থেকে কয়েকজন লোক এসে ভাঙাচুরা পুরাতন সাইনবোর্ড সরিয়ে এ নতুন ব্যানারটি লাগিয়ে গেছে।সেই ব্যানারে লেখা আছে, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত আমতলার ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ থেকে। আরও লেখা আছে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির এদিনে ছাত্র সমাজ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ আমতলা গেট দিয়েই ছাত্ররা বেরিয়ে এসেছিলেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিতে দিতে রাজপথে নেমে এসেছিলেন তারা। ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার অধিকার পায় বাঙালিরা। মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বীকৃতি পায়। রক্তের বিনিময় ছিনিয়ে আনা বাংলা ভাষা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ভাষা আন্দোলনের আমতলার সেই ঐতিহাসিক গেট বছরের ৩৬৩ দিন অবৈধ দোকানপাটদের দখলে থাকে। আর গেটটির কয়েকটি কক্ষে হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক থাকেন তার পরিবার নিয়ে। বছর ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারির এলেই প্রশাসন দুয়েক দিন আগে থেকে ঐতিহাসিক আমতলা গেটসহ শহীদ মিনার পর্যন্ত পুরো সড়কটি দুদিন ঝকঝকে করে রাখে।

দ্বিতীয় দিনের মাথায় আবার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত সেই গেটসহ হাসপাতাল কেন্দ্রিক আশপাশের ফুটপাত অবৈধ দোকানপাটের দখলে চলে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাবেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ভাষা আন্দোলনের গেটটি আমি নিজ উদ্যোগে রঙ করেছিলাম। উপরে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলাম। ওই জায়গায় যেন দোকানপাট বসতে না পারে এর জন্য ফুটপাতের পাশে খালি জায়গায় লোহার ব্যারিকেড দিয়ে ফুল গাছ লাগিয়েছিলাম।’

এদিকে বর্তমান ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘স্মৃতিবিজড়িত সেই গেটের নিচ থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ দোকান আমরা উচ্ছেদ করে থাকি। এ ছাড়া হাসপাতাল সংলগ্ন সড়কটি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আন্ডারে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বছর ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই স্মৃতিবিজড়িত সেই আমতলা গেটটি নিয়ে হুলুস্থুল লেগে যায়। বাকি ৩৬৩ দিন কারো কোনো খবর থাকে না। এ দৃশ্য বহু বছর ধরে দেখে আসছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক থাকলে সব কিছুই হতো। এ ব্যাপারে কেউ চিন্তাভাবনা করে না বলে আজ ঐতিহাসিক আমতলার গেটের এই বেহাল অবস্থা।

এএইচ/এমএমএ/


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ এএম


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।


‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ এএম


‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।

রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।


খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ এএম


খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। ছবি: সংগৃহীত

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।

দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।

যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।

তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"

বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।

অনুসরণ করুন