শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন

জনপ্রিয় থ্রিলার সিরিজ মাসুদ রানার স্রষ্টা, কিংবদন্তি লেখক, অনুবাদক, সেবা প্রকাশনী’র কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন পুত্রবধূ মাসুমা মায়মুর।

মাসুমা মায়মুর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নিভে গেছে দীপ জনমের তরে জ্বলিবে না সে তো আর। দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে আমার ছেলেটা। আমার ছোট্ট ছেলেটা। আর কোনও দিনও আমার পিছু পিছু ঘুরে খুঁজবে না মায়ের গায়ের মিষ্টি গন্ধ। কোনও দিনই না। কিন্তু মাকে ছেড়ে থাকবে কীভাবে ওই অন্ধকার ঘরে আমার ছেলেটা? একা- শুধু একা? কী সব বকছি জানি না। আব্বা (কাজী আনোয়ার হোসেন) আর নেই। চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে।’

তিনি জানান, ‘গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে। মাঝে পাঁচ বার হসপিটালাইজড ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। চিকিৎসার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। একটা ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল। ১০ ই জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ (বুধবার) চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।’

কে এই কাজী আনোয়ার হোসেন সেটি সবারই জানা। কাজী মোতাহার হোসেনের অবাধ্য সন্তান, নবাব নামটি রেখেছিলেন বাবা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনটি সেই কৃতবিদ্য ও জ্ঞানী মানুষটির নাম আলো করে আছে; তার অনেকগুলো ছেলেমেয়ের একজন তিনি। বোনদের মধ্যে আছেন সনজীদ খাতুন ও ফাহমিদা খাতুন। কিন্তু সবার চেয়েও কাজী আনোয়ার হোসেন ছিলেন কিছুটা আলাদা।

তার ভুবনও ছিল আলাদা। লেখার জগৎ; সাহিত্য-রোমাঞ্চ, অভিযান, অন্যরকমের বইগুলোকে বাংলাদেশের পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। যে কোনো বইমেলাতে এই দেশের যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকের চেয়েও বেশি বিক্রি হয় এখনো তার পেপারব্যাকগুলো। অথচ সেগুলো নিউজপ্রিন্টে ছাপা, সেগুলোর কভার সেকেলে, বিদেশী ছবি থেকে কপি করা। তার বইগুলোর মতো। লেখাগুলো ঝরঝরে।

কাজী আনোয়ার হোসেনের সুবিখ্যাত সিরিজ হলো কুয়াশা। এই দিয়ে তার শুরু। সেটি এতই চমকপ্রদ যে কুয়াশার রহস্য উদঘাটন প্রণালী আজো বিস্ময়। তার মাসুদ রানা আমাদের কেবল গোয়েন্দা সাহিত্যের স্বাদ দেয় না, এটি আমাদের কিশোর-তরুণদের অব্যক্ত অনেক ক্ষুধা মেটায়। স্মাট করতে শেখায় এখনো। চ্যানেলগুলোর দৌরাত্ম্য যখন শুরু হয়নি, বই পড়তে ভালোবাসতেন যেসব প্রজন্মের যুবক, যুবতীরা তাদের ভুবনের নামকরা লোক তিনি।

মাসুদ রানা বা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স যার আগের নাম পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স; তার সবচেয়ে বিখ্যাত স্পাই। তার সঙ্গী একটি পিস্তল ওয়াল্টার মডেলের। তার চেয়েও ক্ষুরধার বান্ধবী আছে সোহানা। এই ইন্টেলিজেন্সেরই আরেক দুর্ধর্ষ স্পাই। একটি হাত নেই সোহেলের, গিলটি মিয়া-এই হলো রানার ভুবনের লোক। অবিশ্বাস্য ও খ্যাতিমান কটি বই আছে এই সিরিজের। তার মধ্যে একটি হলো সংকেত। মাসুদ রানা তখন তেলআবিবে। ইসরাইলের রাজধানীতে তিনি গিয়েছেন ফিলিস্তিনদের জন্য। ওই শহরে রূপা ও আলেক বোগানের সঙ্গে তার যুদ্ধ। আলেক বোগান ছুরি হাতে ওস্তাদ এক হত্যাকারী। পুরনো প্রাচীন এক প্রত্ন শহরের গলিতে, অলিগলিতে হঠাৎ করে ছুরি হাতে ছুটে আসে সে রানাকে মেরে ফেলতে, ফিলিস্তিনদের বন্ধুকে শেষ করে দিতে। তবে সেটি সম্ভব হয় না। আর যৌনতার আদর্শ উদাহরণ রূপা, রানাকে যে বুঁদ করে রাখে। কিন্তু কাজ করে সে প্রাণপণে জায়নবাদীদের জন্য।

দেশপ্রেম আর কাকে বলে? রানাকে খুঁজে পাওয়া যায় সেই উ সেন, আবার উ সেন, ধ্বংস পাহাড়, ভারত নাট্যমের মতো বইগুলোতে। সেবা প্রকাশনীর প্রধানের বলিষ্ঠ লেখনী, সম্পাদনার জাদু আর বৈচিত্র্য ভাবনার সাক্ষ্য হয়ে আছে শত, শত বই। যেগুলো খ্যাতি লাভ করিয়েছে ওই লেখকদের।

এই কাজী আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ও বাংলা ভাষার পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য মজার, একটি যৌন শব্দও নেই; কিন্তু টান, টান উত্তেজনায় ভরা একটি সিরিজ। যার অনেকগুলো বই চিরকালীন। সেটি ওয়েস্টার্ন সিরিজ। একটি বইয়ের কথাই কেবল বলি-হাফ বিদ শাঁওলও। বাবা তার অ্যাপাচি সদার, মা সাদা চামড়ার মানুষ। ভাই অ্যাপাচিদের নেতা। খুঁজে ফিরছে তাকে মেরে ফেলার জন্য দল নিয়ে। সাওলো অকুতোভয়, দুর্দান্ত সাহসী, নুড়ি, পাথর দেখে ট্র্যাকে ওস্তাদ সিরিজের বইগুলোর মতো। শেষতক কঠিন লড়াইয়ে সেই জেতে। কী নাম? পাঠকদের আলোচনা বিভাগ, যেটি সেবার আরেক দারুণ আয়োজন; সেখানে রম্যের মতো পাঠকদের হাতে কুইজ হিসেবে তোলা রইলো।

কাজী আনোয়ার হোসেনের দান বাংলা সাহিত্যে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনে অসীম। তিনি ওয়েস্টার্ন সিরিজ চালু করেছেন, রহস্য পত্রিকার মতো একটি বিজ্ঞাপনহীন কাজের ম্যাগাজিন এনেছেন; বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নিজে লিখেছেন সেরা রোমাঞ্চ সাহিত্যিক হিসেবে। আছে পঞ্চ রোমাঞ্চ আরও কত কী! এই মানুষটি আজীবন সম্মানিত হয়ে থাকবেন পাঠকদের হৃদয়ে।

তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, খুব স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। নিয়ম করে ঘড়ি ধরে চলতেন বছরের পর বছর। অনেক ভক্ত, পাঠক তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ২৪/৪ সেগুনবাগিচার সেই বিখ্যাত সড়ক থেকে; পুরনো একটি ছোট কয়েক তলা বাড়ির সামনে থেকে ফিরে গিয়েছেন। তিনি তাদের দেখা দেননি। এই মানুষটি ছিলেন পুরোপুরি প্রচারবিমুখ।

লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব নাম ব্যবহার করতেন। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাক নাম ‘নবাব’।

 

ওএস/এমএসপি/এপি

আরও পড়ুন : কাজীদার শেষ শয্যা হবে বনানীতে

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়