বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
সবিনয় নিবেদন ‘আমাদের ঐতিহ্য আমরা বাঁচাতে চাই’

কুষ্টিয়ার তাঁতশিল্প প্রাচীনকাল থেকেই সমৃদ্ধ। এই উপমহাদেশে অবিভক্ত ভারতবর্ষের বস্ত্র শিল্পের ইতিহাসে এক বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে রয়েছে তৎকালীন পূর্ব বাংলার নদীয়া জেলার কুষ্টিয়াতে স্থাপিত ‘দি মোহিনী মিলস্ লিমিটেড’ এর নামটি। প্রায় শতবিঘা জায়গায় ঐতিহ্যবাহী এই মিলটি স্থাপন করেন শ্রীমোহিনী মোহন চক্রবর্ত্তী।

একসময় এই মিলটি ছিল এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশের ইতিহাসে যে ক’টি বস্ত্রশিল্পের নাম পাওয়া যায় মোহিনী মিল তারমধ্যে অন্যতম।

অন্যদিকে অবিভক্ত বাংলায় মোহিনী মিলের স্থান ছিল অনন্য উচ্চতায়, কারণ এ বঙ্গের পুরো ভূ-ভাগ জুড়ে এই একটি মাত্র বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানই সে সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ে উঠছিল। ইতিহাসে এ রকম পাতাজোড়া সম্মান ওই সময়ে আর কিছুতেই এতো অনায়াসে আসেনি। বর্তমানে মিলটি যুগ যুগ ধরে বন্ধ আছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘টেগর লজ, কুষ্টিয়া’ এই মোহিনী মিলের সন্নিকটে হওয়াতে শ্রীমোহিনী মোহন চক্রবর্ত্তী পরিবারের সঙ্গে তার ছিল গভীর সর্ম্পক। আমি একজন ইতিহাস গবেষক, কুষ্টিয়ার তাঁতশিল্প নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পাই— কুষ্টিয়াতে মোহিনী মিল বন্ধের পরে সেই ধরনের সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা টেক্সটাইল মিল আজও গড়ে ওঠেনি। গবেষণা কাজে যেটুকু বুঝেছি মানুষের শেখার আগ্রহ প্রচুর। তবে টেক্সটাইল নিয়ে জানার বা বোঝার প্রতিষ্ঠান দেশে অপ্রতুল। আমার জোর দাবি কুষ্টিয়াতে একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এই মোহিনী মিলের জায়গাতেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। যার নাম হতে পারে ‘মোহিনী মোহন টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯২১ সালে ‘ব্রিটিশ স্কুল অব উইভিং’ নামে ঢাকার নারিন্দায় প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়। ১৯৩৫ সালে নাম হয়- ‘পূর্ব বাংলা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট’। ১৯৬০ সালে এটি তেজগাঁওয়ে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭৮ সালে কলেজে রূপান্তর করে নতুন নামকরণ হয় ‘বস্ত্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়’। বিশ্বমানের বস্ত্রপ্রকৌশলী গড়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে এটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেন। বর্তমানে এটিই বাংলাদেশের একমাত্র টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯২১ সালে ‘ব্রিটিশ স্কুল অব উইভিং’ যদি ২০১০ সালে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে তাহলে ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মোহিনী মিল ‘মোহিনী মোহন টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’ কেন নয়? এখন আমাদের সময় এসেছে তাঁতশিল্পের মধ্যে যে মেধা-মনন এর সম্মিলন, সেটা এখানে কাজে লাগানোর জায়গা তৈরি করতে হবে। তাঁতশিল্পের উন্নয়নকে আরো সম্প্রসারিত করতে হলে গুণগতমান ও বাংলার ঐতিহ্য নিশ্চিত করে বর্তমান যুগোপযোগী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেছি। আমাদের কুষ্টিয়া মোহিনী মিলের জায়গায় একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন।

নিবেদক

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন
ইতিহাস গবেষক, প্রাবন্ধিক ও প্রকাশক
ই-মেইল: dr.hasnayen@gmail.com

(তাঁতশিল্পের বয়স মানুষের সভ্যতার প্রায় সমসাময়িক। কাপড় ও পোশাক ছাড়া সভ্যতা হয় না। বাংলা তথা ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই কুষ্টিয়া অঞ্চলের হস্তচালিত তাঁতশিল্প শুধু উপমহাদেশেই নয় বরং বহির্বিশ্বেও বিশেষ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। ইতিহাস খুঁজতে গেলে অবাক বিস্ময়ের পলক আটকে যায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর। ১৯০২ সালে স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি শিলাইদহ কাছারি বাড়ির পাশে তিনটি তাঁত নিয়ে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। একসময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীকে ‘তাঁতঘর’ বলা হতো। ব্রিটিশ ভারতে স্বদেশী আন্দোলনের গৃহীত নীতি অর্থাৎ বিলেতি দ্রব্য ও পণ্য বর্জন নীতিতে উৎসাহিত হয়ে ১৯০৮ সালে মোহিনী মোহন চক্রবর্ত্তী কুষ্টিয়া শহরে ‘মোহিনী মিল’ প্রতিষ্ঠা করেন- যা ছিল কুষ্টিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। আবার এটিই ছিল বাংলার অন্যতম প্রাচীন বস্ত্রকল।

‘খোলা চিঠি’তে সবিনয় নিবেদন জানিয়েছি আমি ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন এবং ড. সারিয়া সুলতানা (বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত-২০২১)। গবেষণার কুড়ি বছরে ‘কুষ্টিয়ার ইতিহাস’ গবেষণামূলক গ্রন্থ লিখতে গিয়ে বারংবার ঐতিহ্যের তাঁতশিল্প চলে আসায় ২০২২ সালে একুশে গ্রন্থ মেলায় ‘কুষ্টিয়ার তাঁতশিল্প’ প্রকাশ পেয়েছে। ৪৪৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থের ৪২৬ পৃষ্ঠায় এই আবেদন ছাপা হয়েছে। সবিনয় নিবেদন— যা এখন কুষ্টিয়াবাসীর সময়ের দাবি।)

আরএ/

Header Ad
Header Ad

প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি

এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা’—এমন শিরোনামে দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত ২৪ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) আক্তার হোসেন বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহ যখন প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন কী ঘটেছে, তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন; যে তিনি ভুল করেছেন। দুদক কর্মকর্তাদের নামে যারা ফোন দিয়েছিল, তারা ছিল প্রতারক। সেসব প্রতারকদের ধরতে দুদকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, যে বিষয়টি হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে তুলে এনেছেন, সে বিষয়টির ওপর দুদক অনুসন্ধান করছে। এছাড়াও এ বিষয়ে অনুসন্ধানের আরও অনেক দিক আসবে। তবে হাসনাত আবদুল্লাহ একটা দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে ভেরিফাই না করে এ ধরনের তথ্য ছড়ালে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠান যাতে বিতর্কিত না হয়, নিশ্চয়ই সবাই সহযোগিতা করবো।

আক্তার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে একটা এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানের পরপরই যে চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, এনফোর্সমেন্ট অভিযানে তার নাম এসেছে বলে দাবি করেছেন। কিন্তু দুদক থেকে যখন অভিযানের তথ্য গণমাধ্যমে দেওয়া হয়, তখন তার নাম দেওয়া হয়নি। তিনি অন্যভাবে নাকি জেনেছেন। তাকেও এই অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে বার বার অভিযোগ করছিলেন। এখন কেন তিনি প্রতারকের ফাঁদে পড়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়েই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি পোস্ট কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন।

এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে দুদক বলে, একটি প্রতারক চক্র দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। যার সঙ্গে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নন। ইতিমধ্যে কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এর আগে, ২৪ জুন রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা।' ওই স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, 'আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে।'

তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা দাবি করা হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার ও একজন উপপরিচালকের পরিচয়ে। মাহমুদাকে বলা হয়, 'আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।'

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় দুদকের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা নেই।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত

বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথমে একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

পরে বিকেল ৪টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফার্স্ট কনসার্ন্স (বিওয়াইএফসি)-এর আয়োজনে একটি আলোচনা সভা ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমশের আলী মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম এবং বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শাহ্ আলম মন্ডল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিওয়াইএফসি'র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সম্রাট বেপারী। আলোচনা সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা বিষয়ে মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

আলোচনা শেষে বিওয়াইএফসি’র পক্ষ থেকে উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খেলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও তরুণ সমাজকে খেলাধুলা ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের

সারোয়ার তুষার ও নীলা ইসরাফিল। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেত্রী নীলা ইসরাফিল পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সরোয়ার তুষার বারবার তাকে ভিডিও কলে কথা বলতে এবং ব্যক্তিগত ছবি পাঠাতে চাপ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এনসিপি গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া অভিযোগপত্র নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন নীলা ইসরাফিল। অভিযোগপত্রে তিনি নিজেকে এনসিপির সদস্য এবং ধানমন্ডি থানার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

নীলা ইসরাফিলের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার প্রাক্তন স্বামীর দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে শারীরিক, মানসিক এবং সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে মানবিক সহায়তা দেন সরোয়ার তুষার। পরে রাজনৈতিক যোগাযোগের এই সম্পর্ককে সরোয়ার তুষার ব্যক্তিগত ও অনৈতিক রূপ, যৌন হয়রানি করতে উদ্যত হন। 

এ ঘটনায় চারটি সুস্পষ্ট অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন নীলা ইসরাফিল। সেগুলো হলো-

১. নৈশকালীন ব্যক্তিগত ও আপত্তিকর আলাপ:

তিনি (সরোয়ার তুষার) প্রায়ই রাতের বেলা কল করে বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কথা ভালো লাগে না, তোমার কণ্ঠে ভালো লাগে প্রতিবাদের স্লোগান’, ‘তোমার ঠোঁট সুন্দর’, ‘একটা সুন্দর ছবি পাঠাও’— এ ধরনের মন্তব্য বারবার আমাকে অস্বস্তি ও অপমানের মধ্যে ফেলেছে।

২. ভিডিও কলে কথা বলার চাপ ও ব্যক্তিগত ছবি চাওয়া:

আমি বারবার অনুরোধ করেছি পেশাদারির সীমা রক্ষা করতে। এরপরও তিনি (সরোয়ার তুষার) বারবার ব্যক্তিগত আলাপের দিকে আলোকপাত করেন। ছবি চাইতেন এবং ভিডিও কলে কথা বলতে চাইতেন।

৩. ডিবি অফিসারের কাছে আমার সম্পর্কে মিথ্যা দাবি:

তিনি (তুষার) বলেন— ‘তোমার বিষয়ে ডিবি অফিসার আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলেছি, তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।’ একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য প্রদান চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং আমার সামাজিক মর্যাদাকে হেয় করার শামিল।

৪. ফোনালাপ রেকর্ড ও প্রচারের ঘটনা:

আমি যখন বুঝতে পারি, এই রাজনৈতিক সম্পর্ক আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ও মানসিকভাবে নিঃশেষ করছে, তখন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে তুষারের সঙ্গে কয়েকটি ফোনালাপ রেকর্ড করি। 

১৬ জুন সেই রেকর্ডের একটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তুষার আমাকে চাপ দিতে থাকেন যেন আমি ফেসবুকে বলি, তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। 

আমি তখন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফোনালাপও রেকর্ড করি এবং এগুলো কিছু মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রচারে সম্মতি দিই। কেননা, সেইগুলো উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানিমূলক, এবং যৌন হয়রানিমূলক অপরাধ করে তা প্রকাশ করা থেকে বিরত করবার চেষ্টাও হয়েছিল অবিরত।

অভিযোগপত্রের শেষে নীলা লিখেছেন, আমি এই অভিযোগ করেছি দীর্ঘ আত্মসংযমের পর, অনেক চিন্তা ও মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। আমি দলীয়ভাবে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি এবং বিশ্বাস করি, সত্যের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে এনসিপি একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যেখানে নারী কর্মী কেবল ভুক্তভোগী নয়, বরং সম্মানিত ও নিরাপদ রাজনৈতিক অংশীদার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫১ হাজার ৬১৫ বাংলাদেশি, মৃত ৩৮