শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আত্মমর্যাদা, সক্ষমতা ও সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু

পদ্মা নিয়ে অনেক গান, গীতিনাট্য, কবিতা, গল্প, উপন্যাস রচিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারের পদ্মার অনেক অবদান। পদ্মা কখনো শান্ত আবার কখনো অশান্ত। অশান্ত পদ্মাকে শাসন করে কে? সে নিজেই যেন নিজের নিয়ন্ত্রক। পদ্মা কখনো জীবন ও জীবিকার ওপর চরম আঘাত হেনেছে। আবার কখনো পদ্মা মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

আবু ইসহাকের বিখ্যাত উপন্যাস পদ্মার পলিদ্বীপ যারা পড়েছেন তাদের কারো কাছে পদ্মা একটি আবেগের নাম, একটি ভালোবাসার নাম। আবার কারো কাছে চরদখল, চরের ধান লুটপাট আর জোতদারকে নিপিড়ন নির্যাতনের নাম। যেভাবেই আমরা দেখি, পদ্মা বাঙালির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

পদ্মা নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই কালজয়ী গান ‘পদ্মার ঢেউ রে, মোর শূণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা, যা রে’। আজো আমাদের কানে বাজে। কানে বাজে ফরিদা ইয়াসমিনের গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে’ গানটি। পদ্মা নিয়ে অনেক কাহিনিও আমাদের লোক সমাজে প্রচলিত আছে। পদ্মার তলদেশে আরেক প্রবাহমান নদী রয়েছে। যে কারণে সেতুর পাইলিং করতে গিয়ে মহাসংকটে পড়েছিলেন সেতু বিশেষজ্ঞরা। শুধু কি তাই? নদী শাসন করতে গিয়েও তাদেরকে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল।

সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা টের পেয়েছিলেন পদ্মা সত্যিই এক প্রমত্তা নদী। পদ্মার মতো স্রোতসিনি নদী খুব কমই আছে এদেশে। সাগরের মতো পদ্মার উঁচু উঁচু ঢেউ কারো বুক ভাঙে। আবার কারো ভাঙে ঘর। এর গতিপ্রকৃতি বোঝা বড় কঠিন। পদ্মার বুকে সেতু হবে এ ছিল আমাদের কাছে কল্পনাতীত ব্যাপার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দৃঢ়প্রত্যয়ী না হলে পদ্মা সেতু করা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। সেতু করতে গিয়ে তাঁকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেক ঝক্কি-ঝামেলা সহ্য করতে হয়েছে। বড় বড় ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে।

শুরুতে কিছু গণমাধ্যমও পদ্মা সেতু প্রকল্পকে আকাশকুসুম কল্পনা বলে মন্তব্য করেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। বিশ্বব্যাংক সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দের আগেই দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে তখন বাদ দেওয়া হয়। শাস্তি ভোগ করতে হয় তখনকার যোগাযোগ সচিবকেও। তবু হাল ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে তিনি অনড়। তিনি তাঁর সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এ প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয়। আমি তখন কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে পত্রিকাটি দেখভাল করছি। প্লানিং টিমের এক বৈঠকে পদ্মা সেতু নিজস্য অর্থায়নে সম্ভব কি না সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে উপ-সম্পাদক ও রিপোর্টিং টিমের প্রধান টিটু গুপ্ত বললেন, নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করা সম্ভব। এর সপক্ষে তিনি নানা যুক্তি, তথ্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরলেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এটা নিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করব। শুরুতেই প্রধান শিরোনাম করলাম, নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করা সম্ভব। শুরু হলো আমাদের ক্যাম্পেইন। একের পর এক রিপোর্ট ছাপা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু করার পক্ষে জনমত তৈরি হচ্ছে। আরেকদিকে কিছু পত্রিকা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা নেতিবাচক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করলেন, নিজস্ব অর্থায়নের হবে পদ্মা সেতু। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলে উঠলেন, এই না হলে শেখের বেটি!

দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, বয়স এবং রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার গুণে শেখ হাসিনা এশিয়ার অনন্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার সঙ্গে এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিশেষ করে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিন, রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির কাছে শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা ও গুরুত্ব অনেক বেশি। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তিনি দেশের স্বার্থে অনেক কাজ করতে পারছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনের সবচেয়ে বড় ভ‚মিকা রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের সুসম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। চীনের সহযোগিতা ছাড়া এই সেতু কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এজন্য চীনের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

করোনা মহামারির মধ্যেও পদ্মা সেতুর কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। পদ্মা সেতুর বিশাল বিশাল স্ল্যাব চীন থেকে তৈরি করে জাহাজে সেতুস্থলে নিয়ে আসা হয়। চীনের অসংখ্য সেতু বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও কর্মী রাতদিন সেতুর কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের এবং বাংলাদেশীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ লাভ করে। পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সমগ্র জাতি তাকিয়ে আছে উদ্বোধনের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে।

পদ্মা সেতু কেবল গাড়ি চলাচলের একটি সেতুই নয়। এই সেতু উন্নয়নের প্রতীক। বাঙালির সক্ষমতার এক অনন্য দলিল। বাঙালির আত্মমর্যাদা এবং সাহস অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে পদ্মা সেতু। বাঙালি স্বপ্ন দেখলে সেই স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় তাও তারা জানে। আর এই বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের সাতই মার্চের ভাষণেই বলে দিয়েছিলেন, বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। সত্যিই আজ তা প্রমাণিত হলো। বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না।

বাঙালির অহংকারের প্রতীক পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ার জন্য দেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। জয়তু শেখ হাসিনা, জয়তু বাংলাদেশ।

লেখক : প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস শনাক্ত। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট ওয়েভ অ্যালার্ট জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

গরম থেকে বাঁচতে পানিতে নেমেছেন শিশু-কিশোররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছেন ক্লান্ত মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ অ্যালার্ট (তীব্র তাপদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্ব প্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলব, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথাবার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন বা কোরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ-এ ঈদপুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মূলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন