শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্রন্থহীন লেখক কবি গোপেন্দ্রনাথ সরকার

গোপেন্দ্রনাথ সরকার গল্প-প্রবন্ধ লিখলেও মূলত তিনি কবি। ‘প্রবাসী’, ‘ভারতবর্ষ’, ‘মানসী’, ‘ভারতী’, ‘বসুমতী’, ‘পূর্বাশা’ থেকে শুরু করে শিশু কিশোরদের বার্তা ‘মৌচাক’, ‘সন্দেশ’ অর্থাৎ সেকালের প্রায় সব প্রধান পত্রপত্রিকাতেই তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশ পেত। অপ্রকাশিত লেখার সংখ্যাও ছিল প্রচুর। কিন্তু বিস্ময়কর বিয়ষ হলো, শেষপর্যন্ত তিনি ছিলেন গ্রন্থহীন লেখক। ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের অখণ্ড বাংলায় অর্থাৎ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার নওপাড়া থানার খয়েরপুর গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে গোপেন্দ্রনাথ সরকার জন্মগ্রহণ করেন। এখন অবশ্য নওপাড়া থানা হিসেবে পরিচিত নয়, শিমুলিয়া বা খয়েরপুরের মতোই মিরপুর উপজেলারই একটি গ্রাম মাত্র। পিতা কালিদাস ও মাতা মানদাসুন্দরী। গোপেন্দ্রনাথ ছিলেন পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। খুব অল্প বয়সে তিনি পিতৃহারা হন।

গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় গ্রামে যদু পণ্ডিতের পাঠশালায়। মিরপুরের আমলা সদরপুর হাইস্কুল থেকে ১৯০৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। উল্লেখ্য, ঐ বছরই ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় সর্বশেষ প্রবেশিকা পরীক্ষা। অর্থাভাবে গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এরপর বলতে গেলে আর তেমন এগোয়নি। প্রায় তিন দশক পরে গোপেন্দ্রনাথ সংস্কৃত ভাষাসাহিত্যে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৫ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় সংস্কৃত পরিষদ-‘সংস্কৃত ও পালিতে’ আদ্য, মধ্য ও উপাধি পরীক্ষা পরিচালনা করত। গোপেন্দ্রনাথ তারই অধিভুক্ত ভেড়ামারার চণ্ডীপুরের পণ্ডিত রাধারমণ বেদান্তভূষণের সংস্কৃত টোলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ১৯৩৭ ও ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় সংস্কৃত শিক্ষা পরিষদের সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ে যথাক্রমে আদ্য ও মধ্যতীর্থ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু শেষ পরীক্ষা কাব্যতীর্থে অবতীর্ণ হননি। তাঁর নামে ছাপানো এক প্যাডে পরিচয় লেখা রয়েছে ‘(অনুত্তীর্ণ) কাব্যতীর্থ’।

গোপেন্দ্রনাথের বর্ণময় কর্মজীবনে বিচিত্র পেশা ও বহুল কর্মস্থল ছিল বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে। কর্মজীবন শুরু হয় আমলার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারিতে ডা. নৃসিংহ মুখোপাধ্যায় এর কম্পাউণ্ডার হিসেবে। এরপর কলকাতার খিদিরপুর ডকইয়ার্ডের হেডক্লার্ক মি. লয়ার্ডের অধীনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কেরানি গিরি। পরবর্তিতে প্রেসিডেন্সি ও বর্ধমান বিভাগের অধীনে ডাক বিভাগের কুষ্টিয়া বাজার পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন কিছুদিন। এরপর কয়েক বছর রেলওয়ে বিভাগে চাকুরি করেন। পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সময় রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্নেল হারভিঙের অধীনে করণিকের কাজ করেছেন। দিনাজপুরে বেঙ্গল-নাগপুর রেল সেকশনে যোগ দিয়ে বিহার ও উড়িষ্যার বিভিন্ন স্টেশনে রেল স্থাপনের কাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার সি এস নেপিয়ারের অধীনে চাকুরি করেন। গোপেন্দ্রনাথ সহজাতভাবে ছিলেন অস্থিরচিত্ত। সবমিলিয়ে তার এসব চাকুরি যেমন স্থায়ী ছিল না, তেমনি তিনিও একস্থানে স্থির থাকতে পারতেন না। অফিসের চাকুরি থেকে শুরু করে জীবিকা অর্জনের জন্যে গৃহশিক্ষকতার পথও বেছে নিয়েছিলেন কোন এক সময়। বর্তমান রাজবাড়ি জেলার পাংশার দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িতে, কলকাতায় কয়লাঘাটের রেল ইঞ্জিনিয়ার কে বি রায়ের বাসায় ছাত্র পড়িয়েছেন কিছুকাল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকই হয়েছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় তিনি আমলা সদরপুর হাইস্কুল, কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, রংপুরের সাদুল্লাপুর মাইনর স্কুল, দিনাজপুরের (বর্তমান ভারতভুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর) কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা মাইনর স্কুল, নাটোরের বাসুদেবপুর শ্রীশচন্দ্র বিদ্যানিকেতন, কুষ্টিয়ার চারুলতা বালিকা মাইনর স্কুল, কুষ্টিয়া হাইস্কুল এবং শেষে চাঁদ সুলতানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গোপেন্দ্রনাথের পেশা ও নেশা উভয়টিতেই ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে শিক্ষককাল ছিল এক সুবর্ণ সময়। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পাঠ করে শিশু রবীন্দ্রনাথের মনে শিক্ষক হওয়ার সাধ জেগেছিল। সহকর্মীদের মধ্যে বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ হৃদ্যতা জন্মেছিল। তাঁর সাথেই বিভিন্ন সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে কিংবা বিখ্যাত সব সাহিত্যসভায় যেতেন। তাদের মধ্যে পরিচয় ঘটে প্রাবন্ধিক গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ, কবি শেখর কালিদাস রায়, কবি চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কবি গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ এমদাদ আলী প্রমুখের সাথে।

গোপেন্দ্রনাথ সরকারের শ্রদ্ধানিবেদন করতে গিয়ে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী বলেছিলেন: “শ্রীযুক্ত গোপেন্দ্রনাথ সরকার আজীবন শিক্ষাব্রতী। দীর্ঘ ৬০ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এর পাশাপাশি নীরবে সাহিত্যচর্চাও করেছেন। তাঁর কবিখ্যাতিও জুটেছিল একসময়। শ্রাবণ ১৩২৯ মাসিক প্রবাসী পত্রিকায় তাঁরই লেখা ‘রণরঙ্গ’ কবিতার কিছু অংশ:

আজি গগনে গগনে ঘন-গরজনে রণঝঞ্ঝা বাজে,তড়িৎ মেঘে অসির ফলক ঝলকে জলদ মাঝে।ভূমিতলে আজি জীমুতমন্দ্রে বাজিল তুমুল রণ,কাঁপিল বিশ্ব, কি ঘোর দৃশ্য, ভয়াতুর জীবগণ।মহা ব্যোম ঘিরি’ নিকষকৃষ্ণ নীরধর নিনাদিল,বাত্যাতাড়িত ধুলায় অন্ধ-ধরা আঁখি নিমীলিল।বিহগ কুলায়ে আশ্রয় নিল, নরনারী নিল ঘরে,জননীর ক্রোড়ে লুকাইল শিশু বিপুল শঙ্কা ভরে।...

কার্তিক ১৩২৭ ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় গোপেন্দ্রনাথ সরকারের ‘সার্থক’ কবিতার কিছু অংশ:


আমি অধিক যতনে নূতন করিয়া বাঁধিনু বীণাটি সাহানায়,রচিনু কোমল কুসুম শয়ন সাজিনু কুসুম গহনায়।জ্যোৎস্না প্লাবন আকাশে মরতে করিয়া দিয়াছে একাকার,বহিছে মধুর মলয় বাতাস বহিয়া সুরভি অনিবার।মোহিনী রজনী সাজায়ে রেখেছে কাননে কত যে শত ফুল,নিখিল রাজার চরণ পুড়িবে তাই হাসি এত প্রেমাকুল।...

শিক্ষক ও কবি এই পরিচয়েই তিনি শ্রদ্ধেয় ও স্মরণার্হ। রুচির দুর্ভিক্ষ, মূল্যবোধের সমস্যা আর চরিত্রের সংকট আজ আমাদের জাতীয় চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। এই ক্রান্তিলগ্নে মৃদু কণ্ঠে হলেও, জ্ঞানতাপস শ্রীযুক্ত সরকারকে আজ তাঁর ৮৭তম জন্মজয়ন্তীতে আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি।” আবদুর রশীদ চৌধুরী ঢাকার দৈনিক সংবাদে ‘কুষ্টিয়ার একজন অবহেলিত কবি ও শিক্ষকের কাহিনি’ (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) শীর্ষক প্রবন্ধে গোপেন্দ্রনাথের জীবন ও কবিতা নিয়ে যে আলোচনা করেছিলেন, সেটিই এককভাবে এই সাহিত্যিকের ওপর রচিত দীর্ঘতম এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশনায় মুদ্রিত একমাত্র লেখা। গোপেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র মিলন সরকারের মন্তব্য: জীবনযুদ্ধে বিপর্যস্ত, অকালে পিতৃবিয়োগ, আত্মীয়-পরিজনের ক্রমাগত মৃত্যু, জ্ঞাতি ষড়যন্ত্র, দুর্দিনে স্বজন বিচ্ছিন্নতা, আর্থিক দীনতা সম্ভবত তাঁকে ব্যথিত, উদাসীন করে তুলেছিল। স্থান থেকে স্থানান্তরে, কর্ম থেকে কর্মান্তরে তাঁকে বিতাড়ন করেছে তাঁর অমোঘ বাস্তবতা। সার্বিকভাবে নির্জিত এই কবি তাই যেন সবকিছু থেকে হয়ে পড়েছিলেন বিভক্ত। সমগ্র জীবনে বৈপরীত্যের সাথে না বুঝে নিজেকে সংকুচিত করে নিয়ে অপমানাহত স্বেচ্ছানির্বাসিত হয়ে প্রাতিস্বিক বলয়ে আত্মসমর্পণ ছিল তাঁর স্বভাবজ, কবিতা তাঁর সেই প্রাতিস্বিকতার এক একটি নির্মোক। খণ্ডিত এবং গতানুগ, তবু তিনি কবি এবং আমাদের বাংলাকাব্যধারায় এক নি:সঙ্গ পদচারক। গোপেন্দ্রনাথ সরকার কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় ১৪ ফেব্রæয়ারি ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক 

Header Ad

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র হজ পালন করতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১৬ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী। মোট ৬১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১ টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এর আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।

বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে যান তারা।

শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হস্টনের জর্জ বুস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ। দলের প্রথম ব্যস্ততা শুরু হবে বিশ্বকাপের সহ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। আগামী ২১ মে ,২৩ এবং ২৫ মে তিনটি টি-টোয়েন্টি হবে তাদের বিপক্ষে।

এরপর বিশ্বকাপের আগে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে তারা। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল। আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি খুব একটা নেই। মূলপর্বে প্রথম জয় এসেছিল ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর ১৫ বছর পর ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আরেকটি জয় পায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ৩৮ ম্যাচে জয় মাত্র ৯টি, এর ছয়টিই এসেছে বাছাই পর্বে।

বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক

অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের বেশ কয়েকটি ইসলামিক সিরিজ বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মধ্যে ‘কুরুলুস উসমান’ অন্যতম। নতুন খবর হলো, এই সিরিজের প্রধান চরিত্র উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট বাংলাদেশে আসছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নিজের ফেসবুক পেজে বুরাক অ্যাজিভিট নিজেই জানিয়েছেন বাংলাদেশে আসার কথা। দিয়েছেন একটি ভিডিও বার্তাও। সেখানে তিনি বলেন, সালাম বাংলাদেশ কেমন আছেন আপনারা? খুব শিগগিরই দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।

অভিনেতা বুরাক অ্যাজিভিট। ছবি: সংগৃহীত

জানা গেছে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণেই বাংলাদেশে আসবেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক অ্যাজিভিট। তবে কবে আসছেন সে বিষয়ে ভিডিওতে কিছু জানাননি তিনি।

বুরাক তুরস্কের একজন অভিনেতা। উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে নজড় কেড়েছেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে অনুসরণ করেন।

৬ ফুট উচ্চতার সুদর্শন বুরাক অ্যাজিভিটের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের মেরসিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম বুলেন্ত অ্যাজিভিট, মা শেয়হান অ্যাজিভিট। বুরাকের এক বোন আছে, তার নাম বুরসান দেনিস। বুরাক পড়াশোনা করেছেন তুরস্কের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। তিনি ফটোগ্রাফি নিয়ে স্নাতক শেষ করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল শিবিরে দুঃসংবাদ
৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও ২ এজেন্সি মালিক
কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের
নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা
প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
ক্রিকেট ছাড়লে আপনারা আমাকে আর দেখবেন না: কোহলি
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা!
চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কাক পোশাকে ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ভাবনা
সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকা ও দুই কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা