
তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ নামের নতুন জঙ্গি সংগঠন,ছিল বড় হামলার পরিকল্পনা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম

তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে দেশে আরও একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত দুই থেকে তিন মাস ধরে সংগঠনটির কার্যক্রম চলে আসছে। আগামী বছর ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা মো.জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। বাকি দু’জন হলেন, মো.রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত এটিইউর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউর উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) (অপারেশনস) মোহা. আলীম মাহমুদ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলীম মাহমুদ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুজন শীর্ষপর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি দু-তিন মাস হলো কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে খবর পাচ্ছিলাম কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছে, যারা কিনা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল। আটককৃতরা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে একই ব্যানারে সবাই নতুন করে একত্রিত হচ্ছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল। এই দলের প্রতিষ্ঠা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে আটক করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে আটক করা হয়। তাদের আটকের সময় নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের আটটি ব্যানার জব্দ করা হয়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিল। এই অর্থ দিয়ে তারা অস্ত্র কেনাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জসীম উদ্দিন রহমানির বক্তব্যে মূলত উদ্বুদ্ধ হন জুয়েল। পরে তিনি নতুন এই জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন। জুয়েল নিজেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। জসীম উদ্দিন রহমানি বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। জসীম উদ্দিন রহমানিকেও কারাগার থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল জুয়েলের।
সংগঠনটির অর্থের জোগানদাতা কারা এবং সদস্যসংখ্যা কত জানতে চাইলে আলীম মাহমুদ বলেন, ‘সংগঠনটিতে এখন পর্যন্ত ৮০-৯০ জন সদস্য আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের অর্থদাতা কে তা এখনো জানা যায়নি। তবে সংগঠনটির অর্থ সংগ্রহের কাজ করছিল রাহুল। এ ছাড়া রাহুল বোমা তৈরির দায়িত্বেও ছিল।’
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে এটিইউর পুলিশ সুপার (অপারেশনস) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনটির মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল মোল্লা নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। পরে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। এই সময়ে কারাগারে বসেই নিজের একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করেন। মাত্র ক্লাস সেভেন পাস জুয়েল মোল্লা পেশায় একটি বেকারির কর্মী ছিলেন। আর বাকি দুজন হিজবুত তাওহীদের সদস্য ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, রাহুল হোসেন পেশায় আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন। প্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞান থাকায় রাহুল বোমা তৈরির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন হামলার জন্য। এ ছাড়া বোমা হামলার অর্থ জোগাতে নিজের জমি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রাহুল। রাহুল অনলাইনে সদস্য সংগ্রহের কাজও করছিলেন।

এবার কন্যাসন্তানের বাবা হতে চান লিওনেল মেসি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম

ফুটবল ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন লিওনেল মেসি। যে শিরোপা নিয়ে তার সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ ছিল সেটাও গত বছর কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করেছেন। তাই ফুটবল থেকে আর চাওয়ার কিছু নেই রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকার। বিশ্বকাপ জয়ের পর এমন কথা বেশ কয়েকবার বলেছেন তিনি। এবার নিজের এক সুপ্ত বাসনার কথা প্রকাশ করেছেন এলএমটেন।
সম্প্রতি আর্জেন্টাইনভিত্তিক ‘ওলগা’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। সেখানে কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির খেলাধুলাবিষয়ক গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।
স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির সম্পর্কের শুরু বাল্যকালেই। দীর্ঘদিন ধরেই সংসার করলেও ২০১৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন তারা। লিওনেল মেসি ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর তিন পুত্র- থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো। এবার চতুর্থ সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করছেন মেসি ও আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো দম্পতি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি এবার কন্যা সন্তানের প্রত্যাশা করছে।
ইএসপিএনের সংবাদকর্মী ও বিখ্যাত স্ট্রিমার মিগু গ্রানাদোসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা আরেকটি বাচ্চা নিতে চাই। আমরা সে চেষ্টাটা এখনো শুরু করিনি। তবে আশায় আছি, সেটি কন্যা সন্তান হবে।’
১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন হোর্হে মেসি এবং সেলিয়া মারিয়া দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার জানালেন, শৈশবে মা-বাবার থেকে প্রাপ্ত মূল্যবোধ নিজের সন্তানদের ওপরও প্রয়োগ করেন তিনি।
মেসি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাকে যা যা শেখানো হয়েছে, সেসব মূল্যবোধ আমি নিজের সন্তানদের মধ্যে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। আমি একজন ভালো বাবা। কারণ আমার মা-বাবা ভালো ছিলেন। আর আামি কোথায় বেড়ে উঠেছি, সেখানকার মূল্যবোধগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।’
স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর প্রশংসা করে মেসি বলেন, ‘সে দুর্দান্ত। মোটামুটি ২৪ ঘণ্টাই সন্তানদের সঙ্গে কাটায়। মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে থাকতে হয়- সফর, ম্যাচ, প্রাক্-মৌসুম, জাতীয় দল। কখনো কখনো মাসের পর মাস বাইরে থাকতে হয়। তখন সে সারাদিনই সন্তানদের সামলায়।’
নিজের তিন ছেলেদের নিয়ে মেসি বলেন, ‘থিয়াগো কথা বলতে পছন্দ করে। আন্তোনেল্লাকেই (রোকুজ্জো) সে সব বলে। মাতেও সবকিছু বলে দেবে। বকবক করতেই থাকে। কিন্তু চিরো সে তুলনায় একটু চুপচাপ। ওরা টোস্ট ও চকলেটমিশ্রিত দুধই বেশি খায়।’
গত জুলাইয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস শুরু করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। মার্কিন মুলুকে নিজের ‘ডেইলি রুটিন’ জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করি। তখন ছেলেরাও উঠে পড়ে। কখনো কখনো আমি তাদের স্কুলে নিয়ে যাই। কখনো আবার নিয়ে যেতে পারি না।অনুশীলন থেকে বেলা ১টা নাগাদ ফিরে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের (স্কুল থেকে) নিয়ে এসে আবারও অনুশীলনে যাই।’

দুবাইয়ে বিশ্বের প্রথম সাগরতলে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম

পর্যটনশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন দেশটির শাসকেরা। এবার ধর্মীয় পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাগরতলে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ৫ কোটি ৫০ লাখ আমিরাতি দিরহাম ব্যয়ে দুবাইয়ের সমুদ্র উপকূলে এ মসজিদ নির্মিত হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬৪ কোটির বেশি।
পানির তলদেশে বিশ্বের প্রথম ভাসমান মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুবাই। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির পানির ওপরে দুই তলায় থাকবে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ আর পানির নিচে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা।
ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দেয় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। সংস্থাটির কর্মকর্তা আহমেদ আল মনসুরি খালিজ টাইমসকে বলেছেন, শিগগিরই এ মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
মসজিদটির ঠিক কোথায় নির্মাণ করা হবে, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি বলেন, এটি সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সেতুর মাধ্যমে সেখানে মুসল্লিরা যেতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, সব ধর্মের মানুষই এই মসজিদ পরিদর্শন করতে পারবে। তবে তাদের অবশ্যই শালিন ও ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।
২০২৪ সালের মধ্যেই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এটি হবে তিন তলা বিশিষ্ট। প্রথম তলা থাকতে পানির মধ্যে। এটি নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকবে। দ্বিতীয় তলা হবে হলের জন্য নির্ধারিত এবং তৃতীয় তলা ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫০ থেকে ৭৫ জন ধর্মীয় ব্যক্তি এখানে একসঙ্গে থাকতে পারবেন। এমন সুবিধাও রাখা হচ্ছে।
মসজিদটিতে কুরআনিক এক্সিবিশনের আয়োজন করা হবে। শেখ মাখতুম বিন রশিদ আর মাখতুম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের বিতরণকৃত কুরআনগুলো এখানে সজ্জিত থাকবে।
সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ল্যান্ডমার্ক প্রজেক্টের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময়ে এখানে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড চ্যারিটেবল বিভাগের পরিচালক ড. হামাদ আল শেখ আহমেদ আল সাইবানি। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবার যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে নিউজিল্যান্ডের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সরকরের এমন পদক্ষেপের ফলে পরবর্তী প্রজন্মের আর কেউ সিগারেট কিনতে পারবে না। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গত বছরের ডিসেম্বরে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেয় নিউজিল্যান্ড সরকার। এ আইন প্রণীত হলে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী কেউ সিগারেট কিনতে পারবে না। ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে সে দেশে আর ধূমপায়ী থাকবে না।
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ধূমপান মুক্ত দেশ হতে চাই। এ জন্য আমরা আরও বেশি লোককে উত্সাহিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে বিনামূল্যে ভ্যাপ কিট দেওয়া হবে। এ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে ভাউচার স্কিম দেওয়া সহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আগামী বছর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোক্তাকেন্দ্রিক নীতিমালার অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপের কথা ভাবছে সুনাক সরকার।
যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে এতদিন শিশুদের বিনামূল্যে ভ্যাপের নমুনা দিয়ে আসছিল খুচরা বিক্রেতারা। তবে গত মে মাসে ই-সিগারেটের ব্যবহার বন্ধে এসব ফাঁকফোকর বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।
এছাড়া গত জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কাউন্সিলগুলো।