আগামী ১৭ আগস্ট থেকে একযোগে সারা দেশে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত সূচিতে জানানো হয়েছে, ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে চলবে।
প্রায় ৭১ বছর পর সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে ধূমকেতু 12P/Pons-ব্রুকস। আগামী ২১ এপ্রিল দেখা যাবে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ ধূমকেতু। যা বাংলাদেশ থেকেও দেখার সুযোগ মিলবে। বিরল এই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। যা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিরল এই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণের জন্য যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর টি-বাঁধ পদ্মাপারে ডেভিল ধূমকেতু এবং বৃহস্পতি গ্রহ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এখানে চাঁদ পর্যবেক্ষণেরও আয়োজন রাখা হয়েছে। যা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে সর্ব সাধারণের জন্যে।
আয়োজকরা জানান, বিগত ৭১ বছর পর আগামী ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ডেভিল ধূমকেতুটি সূর্যের সবচাইতে কাছে অবস্থান করবে। তবে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের সময় থেকে ঘণ্টা খানেক ধূমকেতুটি আকাশে অবস্থান করবে। দিগন্তের খুব কাছে থাকাতে নানা কারণে ধূমকেতুটি দেখাবার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরও আমরা প্রস্তুত থাকবো ধূমকেতুটি দেখবার। মেঘমুক্ত আকাশ হলে এটি দেখতে পাবার সম্ভাবনা প্রবল হতে পারে। এছাড়াও আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ থাকবে। ধূমকেতুটি যতক্ষণ সম্ভব দেখার চেষ্টা করার পর আমরা বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ দেখবো।
আয়োজক কমিটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব চলচ্চিত্রকার আহসান কবির লিটন জানান, রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে ক্যাম্পটি পরিচালনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে কেউ এখানে এসে এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবেন। তবে আকাশে মেঘ থাকলে দৃষ্টি সীমা বাধাগ্রস্ত হবে। তখন ধূমকেতু সহ গ্রহ উপগ্রহ গুলো নাও দেখা যেতে পারে।
একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ধূমকেতুটি ধূমকেতু 12P/Pons-ব্রুকসের নাম দিয়েছেন ‘ডেভিল কমেট’ বা ‘শিংওয়ালা ধূমকেতু’। কারণ, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়।
সুনামগঞ্জে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার মতিউর রহমান হাসান (৩৫) ওরফে পাগলা হাসানসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও তিনজনকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা সেতু টোলকেন্দ্রের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সাত্তার (৫২) নামের আরেক ব্যক্তি এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের দিলশাদ মিয়ার ছেলে বাউল শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান ও একই গ্রামের সত্তার মিয়া। আহতরা হলেন রুকন মিয়া, কয়েছ মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম।
ছাতক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রনজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, সকালে গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতকগামী একটি মিনিবাসের সঙ্গে শিমুলতলাগামী অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে শিল্পী পাগল হাসান ও অটোরিকশাচালক সত্তার মিয়া নিহত হন। আহত হয়েছে তিনজন। তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল অবস্থান করছে।
মতিউর রহমান হাসান ওরফে শিল্পী পাগল হাসান জীবন খাতা, আসমানে যাইয়ো নারে বন্ধু, আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা, রেলগাড়ির ইঞ্জিনসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন।
বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম-এর ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেরিনা তাবাসসুম। পেশায় একজন স্থপতি মেরিনা। উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে তিনি এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ম্যাগাজিনটি।
মেরিনা তাবাসসুম সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সাধারণত পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে পরোপকারের বিষয়টি তেমন উল্লেখ করা হয় না; কিন্তু মেরিনা তাবাসসুম সাধারণ নন। তিনি স্থাপত্যচর্চায় এমন একটি রীতি তৈরি করেছেন, যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের এই ধরিত্রী যে বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অগ্রাধিকার পায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। টাইম লিখেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা তাবাসসুম এমন এক ঘরানার বাড়ি তৈরি করেছেন, যার নির্মাণ ব্যয় যেমন কম, তেমনি এই বাড়ি সহজে স্থানান্তরও করা যায়।
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়। ২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান তিনি। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্ট–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় হন।
ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের স্থপতি হিসেবে ২০১৮ সালে জামিল প্রাইজ পান তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে পান সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়।