শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে

রাহুল গান্ধী। ভারত তথা উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম তার। বাবা রাজীব গান্ধী, দাদি ইন্দিরা গান্ধী এবং প্রমাতামহ জওহরলাল নেহরু ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। এর পরদিনই শুক্রবার (২৩ মার্চ) কংগ্রেসের এই সাবেক সভাপতিকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে লোকসভা সচিবালয়।

এ মুহূর্তে ভারতের রাজনীতির অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। আপাত মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী রাজনীতির মাঠে ভীষণ চাপে পড়লেন। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোচ্ছে, তা নিয়ে হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুলের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকলে আগামী ৮ বছর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। দেশটির জনপ্রতিনিধি আইনে এমনটাই বলা আছে। আইন অনুযায়ী দুই বছর জেলে কাটানোর পরও ৬ বছরের জন্য ভোটে লড়তে পারবেন না। সেই হিসাবে ২০৩১ সালের আগে ভোট করতে পারবেন না তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ আদালতে রাহুলের ভাগ্যে কী রয়েছে, তা নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। অবশ্য দেশটির উচ্চ আদালতে অনেক গুরুতর মামলায়ও সাংসদদের সাজা স্থগিত করার নজির আছে।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, রাহুলকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হলো কি না। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা হলো কি না, এমন কথাও উঠেছে।

এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লোকসভায় রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতা ঘোষণা শেষ পর্যন্ত আশীর্বাদ হতে পারে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে এটি। তাদের দাবি, ভারতের অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক বিভিন্ন সময় মামলায় দণ্ডিত হলেও রাহুলের ঘটনাটি ভিন্ন। তিনি দুর্নীতি বা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হননি। এ মামলাটির সঙ্গে বাকস্বাধীনতার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তাকে অপরাধী হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে না বিজেপি সরকার। অন্যদিকে রাহুলের সাজার ঘটনায় বিজেপির কুমতলব দেখছেন দেশটির বিরোধীরা। তারা এ রায়ের কড়া সমালোচনা করছেন।

রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের দিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। উচ্চ আদালত সাজার মেয়াদ না কমালে বা সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি না করলে কোনো নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না রাহুল গান্ধী।

রাহুল কিন্তু ভেঙে পড়েননি। লোকসভার সিদ্ধান্তের পর তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘আমি ভারতের কণ্ঠস্বর রক্ষার জন্য লড়াই করছি। এজন্য আমি যে কোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত।’

এদিকে রায়ের পর কংগ্রেস জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে তারা দমে যাবে না। বরং নতুনভাবে রাজনৈতিক এবং আইনিভাবে লড়াই করবে তারা। আর এরই মধ্যে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলা। আবেদনকারীর দাবি, এভাবে কোনো অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তার পদ খারিজ করে দেওয়া সাংবিধানিকভাবে বেআইনি। জানা গেছে, আবেদনকারী একজন পিএইচডি পড়ুয়া।

রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের প্রতিবাদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। তৃণমূল, সিপিএম, আম আদমি পার্টি, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলো রাহুলের পক্ষ নিয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।

উচ্চ আদালতের রায়ে এ যাত্রায় যদি রাহুল বেঁচেও যান- তারপরও বিজেপি তাকে এত সহজে ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে আরও একাধিক মামলা। আর এ সব মামলার সিংহভাগই দায়ের করেছে বিজেপি-আরএসএসের কোনো নেতা, কর্মী কিংবা সংগঠন।

আরএ/

Header Ad

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া ওই তিন সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে আর আসিফ তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে