গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় এক রাতে অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজায় দুটি হাসপাতাল লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন, আর উত্তর গাজায় মধ্যরাতের পর থেকে হামলায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন।
বুধবার (১৪ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপিয়ান ও নাসের হাসপাতালের ওপর চালানো হামলায় নিহতদের মধ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন, যিনি চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও যুদ্ধনীতি চরমভাবে লঙ্ঘন করে বলেও উল্লেখ করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
এরপরপরই উত্তর গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, যেখানে চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী ৪৫ জন নিহত হন।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯০৮ জন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন—এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে (১৮ মার্চ থেকে ১৪ মে) নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮০ জন, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন।
জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এ অঞ্চলের প্রায় সব অবকাঠামো হয় ধ্বংস হয়েছে, নয়তো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ)-এ গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।
এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চললেও ইসরায়েল এখনো হামলা অব্যাহত রেখেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
