শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারি কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তি

 

তথ্য সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, এতে প্রশাসনে নাড়াচাড়া পড়ে গেছে। কেউ কেউ বলছেন, সচিবের প্রকৃত দোষ সরকারের প্রকাশ করা উচিত আর তা না হলে প্রশাসনে ভুল বার্তা যেতে পারে। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি। স্বাভাবিক অবসরের এক বছরের কম সময়ের আগে এই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবসরে পাঠানো হলো।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ফল দেবে না বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। পঁচিশ বছর পূর্তিতে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতাকে অগণতান্ত্রিক ও কালাকানুন বলেও অভিহিত করেছেন। সচিব বা যে পর্যায়ের কর্মকর্তাই হোন না কেন, যিনি যে দোষে দুষ্ট সেটি প্রকাশ করা উচিত। সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণ না থাকলে বাধ্যতামূলক অবসরের ঘটনায় কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়। বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা রীতিমতো স্তম্ভিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া দরকার। এ ধরনের বিধানের বিরুদ্ধে রিট করা দরকার। এ ধরনের মন্তব্যও করেছেন অনেকে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সবাই প্রজাতন্ত্রের সেবক। তারা জনগণের কথা শুনবেন, জনগণের জন্য কাজ করবেন। তারা আলাদা কোনো এনটিটি নয় যেটি আমাদের দেশে দেখা যায়।

জগনগণের প্রতিনিধিরা জনগণের জন্য, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সরকার পরিচালনায় যারাই থাকুক, সেটি সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয় নয়। তাদের বিষয় হচ্ছে সরকারে যারা আছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে সরকারের কথা, সরকারের নির্দেশ মেনে চলা, প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। তা না হলে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে যায়। আমরা চেইন অব কমান্ড ভাঙার উদাহরণ অহরহ দেখছি। কয়েকদিন আগে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের মতো একজন নির্বাচন কমিশনারকে (যার প্রটোকল সচিবেরও উপরে) মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেভাবে তার বক্তব্য থামিয়ে দিয়েছেন, তাকে বসতে বলেছেন তাতে শক্তিশালী চেইন অব কমান্ড আছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। তাই, একজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যারাই থাকুক প্রজাতন্ত্রের সুবিধার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটি যদি জনসমক্ষে ব্যাখ্যা করতে যায়, সেটি প্রশাসনে বিভক্তি তৈরি করবে। অনেকেই যে বলছেন বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত, সেটি বোধ হয় আরও সমস্যা বাড়াতে পারে।

সরকারি কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন- বেশিও না, কমও নয়। একেবারে ‘হুজুর হুজুর’ করবেন সেটিও যেমন কাম্য নয়, তেমনি দেখে না দেখার ভান করবেন, যে মন্ত্রীর দাপট বেশি তাকে দেখে অস্থির হয়ে পড়বেন আর যার কোনো তেমন দাপট নেই তাকে পাত্তাই দেবেন না সেটি হতে পারে না। কয়েক মাস আগে আমি একজন অতিরিক্ত সচিব (কোনো এক অধিদপ্তরের ডিজির দায়িত্বে আছেন) এর কক্ষে ছিলাম, ওই সময়ে একজন মন্ত্রী এলেন অথচ ওই অতিরিক্ত সচিব দাঁড়ালেন না, শুধু বললেন, বসেন স্যার। এটি আমার কাছে বেখাপ্পা মনে হলো।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই একটা আইন ছিল। রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে যে কাউকে অবসরে পাঠানোর ক্ষমতা ছিল সরকারের। তারপর ১৯৭৪সালে সরকারি কর্মচারীদের আইনে এই বিধান ছিল। ২০১৮ সালে সরকারি কর্মচারী আইন যখন হয় সেই আইনেও ৪৫ ধারায় সেটা যুক্ত করা হয়। সরকারের এই ক্ষমতা আছে এবং সেটিও এখানে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ক্ষমতার বিরুদ্ধে, একপক্ষীয় আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি চাইলে একমাত্র হাইকোর্টে যেতে পারেন। এ পর্যন্ত যারা উচ্চ আদালেত গিয়েছেন সরকারের এসব আদেশের বিরুদ্ধে সেখানে কোথাও সরকার জয়যুক্ত হয়নি। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া ছাড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক না। তিনি বলেন আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ, সরকার চাইলে এটি সংশোধন করতে পারে। যেকোনো আইনই মানুষের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য। কোনো আইনে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে সংশ্লিষ্টদের সেটিকে সংশোধন করার চেষ্টা করা উচিত। তবে, সরকারি কর্মকর্তা আর জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যদি মামলা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় সেটিও সুখকর বিষয় নয়। তারা প্রজাতন্ত্রের কাজ করবেন কখন? এমনিতেই সরকারি অফিসে জনগণের সেবার মান দিনে দিনে কঠিন হচ্ছে, কমে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এখানে যেসব কর্মকর্তারা আসেন তারা প্রশাসন, বিচার বিভাগ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার- যেখান থেকেই আসুক না কেন মাঠ পর্যায়ের পুরো প্রশাসনের উচিত তাদের সম্মান করা। এখানেও দেখা যায় তার ব্যত্যয় ঘটে। শুধুমাত্র লাইন ম্যানেজমেন্টে যারা থাকেন তাদের দেখলে স্যার, স্যার বলা শুরু হয় আর তার বাইরের সবাইকে যেন নামমাত্র সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি বিষয়টিও দৃষ্টিকটু লাগে। প্রজাতন্ত্রের সবাই এ দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন এটিই তো স্বাভাবিক। এই কাজ করার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন দেশই তৈরি করে যা সবার শ্রদ্ধা করা উচিত, মেনে চলা উচিত। প্রতিপক্ষ মনে করা, আইনের মার-প্যাঁচ দিয়ে এক বিভাগকে হেয় করার প্রতিযোগিতা আপাতত কারুর পক্ষে কাজ করতে পারে কিন্তু তার ফল পুরো জাতির জন্যই উল্টো হয়। আজ দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ জায়গায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক নেই, শ্রদ্ধা তো দূরের কথা।

প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আচার-আচরণ অনুকরণীয় হতে হয় আর এজন্য পাকিস্তান আমলে সিভিল সার্ভিসে যারা যোগদান করতেন তাদের মেধা, দক্ষতা, আচরণ সবই ছিল আলাদা। আর এখন একজন কর্মকর্তা উপস্থিত জনতার সামনে আবেগে খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেছেন। এ কেমন আচরণ? কী প্রশিক্ষণ তাদের দেওয়া হয়েছে? কেউ কেউ জনগণের গায়ে হাত তুলছেন আবার বাঘা জনপ্রতিনিধির সামনে বিড়ালের মতো আচরণ করছেন, এ কী? এ দেশ তো সবার। সবাই সবাইকে সম্মান করবেন, জনগণের জন্য, দেশের জন্য কাজ করবেন। তাতেই সম্মান। কে বড় কে ছোট, কে কোন পজিশনে কাজ করছে সেই অনুযায়ী আচরণ করা অন্তত সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বেমানান মনে হয়।

আর একটি দৈনিকে দেখলাম, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছেছ আরও পাঁচ সচিবকে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার আভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। শুধু সচিব নন, কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবও আছেন এই ষড়যন্ত্রে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি নাকি ১২। একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই বার জনের দৈনন্দিন চলাফেরা, মোবাইল ফোনে যোগাযোগসহ দেশে-বিদেশে তাদের কার্যক্রম পর্যবক্ষেণ করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। যতটা জানা যায় যে, পদোন্নতি বঞ্চিত কয়েক জন কর্মকর্তা সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন যাদের তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে কিছু রিপোর্ট এসেছে।

আমাদের মনে আছে ২০১৪সালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার কারণে পাঁচ সচিবকে একসঙ্গে বাধ্যতামূলখ অবসরে পাঠিয়েছিল সরকার। এটি তো যেকোনো সরকারকে করতেই হবে। এ কেমন সচিব? দেশের একটি পুরো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের যদি ভুয়া সার্টিফিকেট বহন করতে হয় তাহলে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? এসব বড় পজিশনে যদিও রাজনীতির কিছুটা গন্ধ থাকে তারপরেও তারা তো জি হুজুর হবেন না বা তেল মেরে সচিব হবেন না, তারা সচিব হবেন তাদের কর্মের মাধ্যমে, দক্ষতার মাধ্যমে। সেটি দেশের জন্য এবং সরকারের জন্য লাভ। জি হুজুর মার্কা সচিব যদিও মনে হয় অনেক আজ্ঞাবহ তাদের দ্বারা কেউই কিন্তু উপকৃত হয় না, উপকৃত হন তিনি নিজে। বর্তমানে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ হলেই এ ধরনের কথা শোনা যায় যে বিষয়টি আগে ছিল না।

প্রশাসন বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দীন এম অমিনুজ্জামান যথার্থই বলেছেন, একজন দক্ষ পেশাজীবী আমলা নৈতিকভাবে ও আইনগতভাবেও দলীয়করণের প্রক্রিয়ায় পা বাড়াতে পারেন না। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মী, দলের নন। তবে এটা মেনে নিতে হবে যে, গণতান্ত্রিক সমাজে নির্বাচত সরকারের অনুগত হয়ে তাদের কাজকর্ম করতে হয়। শুধু আইনি ব্যত্যয় হলে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, দলীয়করণও স্বজনতোষণের প্রক্রিয়া কোনোভাবেই সরকারের দক্ষতা বা ইমেজ বাড়ায় না। ইদানিং আমলাতন্ত্রের ’ইমেজ সংকট’ এর পেছনে দলীয় পরিচয় একটা প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, দলীয় সহমর্মিতা কিংবা আনুগত্য না থাকলে দক্ষতা ও যোগ্যতায় পদোন্নতি হবে, তা নিশ্চিত নয়। এতে সার্বিকভাবে প্রশাসনের দক্ষতা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে- সামগ্রিকভাবে প্রশাসনের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা মনে করি যেকোনো সরকারের আমলেই হোক সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি প্রদান, সুবিধা প্রদান কারুর জন্যই মঙ্গল নয়। এতে দেশ কোনোভাবেই উপকৃত হয় না। সরকার জনগণের সেবার জন্য, দেশের জন্য।

আমরা সবাই জানি সরকারের অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সরকারি অফিস-আদালতে জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজ হয়নি। এটি কীভাবে করা যায় তা নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের পদ্ধতি বের করতে হবে। সরকারি কর্মসেবায় পদ্ধতিগত অস্বচ্ছতা, কর্ম সম্পাদনের দিন বেঁধে দেওয়ার পর তা না হওয়া, সেবাগ্রহীতা যথাযোগ্য তথ্যাদি সরবারহে গাফিলতি, অতি দ্রুত কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রবণতা, দাপ্তরিক দালাল চক্রের ভূমিকা দূর করার দায়িত্ব মূলত সরকারের। সেটি কিন্তু হয়নি। আর এই কাজ জনপ্রতিনিধি একা পারবেন না, সরকারি কর্মকর্তারও একা পারবেন না। এজন্য থাকতে হবে সৎ ও যৌথ প্রয়াস।

লেখক: সাবেক শিক্ষক; ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবি।

এসএন

 

Header Ad

বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

পুরো এপ্রিল জুড়ে ছিল তাপপ্রবাহ।‌ টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে অসস্তিতে কেটেছে নগরবাসীর জীবন। তীব্র গরমে সারাদেশে জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। এরই মধ্যে আগামী তিন দিনের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সংস্থাটি জানায়, শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের পশিচমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে।

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

ছবি: সংগৃহীত

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়।

আজ শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েম ইমরানের উপস্থিতে বিমানবন্দর থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম মৃতদেহগুলোর আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু ওই দেশে ইতিপূর্বে তাদের ময়নাতদন্ত হয়েছে তাই নতুন করে আর করা হয়নি।

মৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব (১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫) গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪) একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। মাননীয় পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক প্রভাষক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম।

দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্টেম হয়েছে তা দেখলাম, সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখানে যাদের গার্ডিয়ান আছে, ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে, মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- যুবরাজ ও কামাল।

তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্যাবলি পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র, এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে এবং দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনিটরিং করছেন বলেও জানান তিনি। এর সাথে যারই কানেক্টিভিটি পাব বা থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম ভাড়া লাগত। কারণ, বাংলাদেশ রেলওয়ে এতদিন বেশি দূরত্বের টিকিট ছাড় দিয়ে বিক্রি করত। শনিবার (৪ মে) থেকে রেলযাত্রায় এই রেয়াতি সুবিধা উঠে যাচ্ছে। নতুন দামে টিকিট কেটে ক্ষোভ ঝেড়েছেন দূরের যাত্রীরা।

এক যাত্রী ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘বর্তমানে সব কিছুর দাম বাড়ছে। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে। আবার এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পায় না। আরেক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনের যাত্রীসেবা তো অনেক দূরের বিষয়। কোনোরকম গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেই আমরা খুশি।’

অতীতের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে আড়াই শ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে দেড় শ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটির প্রভাব সকল যাত্রীদের ওপর পড়বে।’

দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। শনিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর হবে এটি। কাল থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ছাড় কমায় গুনতে হবে বেশি ভাড়া।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি।

এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরই মধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা। ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা। ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা। ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা। ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা। এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘মোট ভাড়ার ওপর রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে। কিন্তু নীতি নির্ধারকরা বলার চেষ্টা করছেন রেলের ভাড়া বাড়ছে না। আসলে রেলের ভাড়া বাড়ছে। এর প্রভাব সাধারণ জনগণের ওপর পড়বে।’

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত
সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ
সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ