শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নির্বাচন বিতর্ক ও সংস্কার

দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন এখন জনগণের অধিকারের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মুখর হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলসমুহের আন্দোলনের হুঙ্কার আর ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক নির্বাচনের হাওয়া তোলার চেষ্টা,দুটোই চলছে রাজনীতিতে। প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হবে, নির্বাচনের এই সময় সীমা মানলে আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ২০২৩ এর শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সে হিসেবে নির্বাচনের আগে আগামী ৮/৯ মাস রাজনীতিতে একটা চরম উত্তেজনার সময়।

বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন প্রিয় বলে সবাই মানেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে সংশয় এবং অনাস্থা। আগামী নির্বাচনেও সকল দল কি অংশ নেবে, নির্বাচন কি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে? এই প্রশ্ন যেমন আছে অতীতের উদাহরণ দেখে সংশয় তেমনি আছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও দেশের নির্বাচন নিয়ে যত বিতর্ক হয় তার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই থাকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি না এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না।

সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে প্রশ্নে সব আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দল একমত হয়েছিলেন তা হলো নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হতে হবে। আর ইতিহাস বলে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশের জন্ম। ৭০ এর নির্বাচন এক্ষেত্রে এক মাইল ফলকের মত কাজ করলেও স্বাধীনতার পর থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনেরা বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। মাগুরা উপনির্বাচনকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের পর আওয়ামী লীগ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে। তারা আন্দোলন, নির্বাচন বর্জন এর মধ্যদিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে বাধ্য করে। যেহেতু সংবিধানে ছিল না তাই সংবিধানের অসামঞ্জ্যস্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ফল। এর ফলে আশা করা হয়েছিল শুধু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তাই নয় সমস্ত রাজনৈতিক দল যেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে উঠবে।

কিন্তু আশা স্থায়ী হলো না। রাজনৈতিক সমঝোতার উপর ধাক্কা এলো ২০০৪ সালে, বিএনপি সরকারের আমলে, সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী এলো। এর মাধ্যমে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হলো, যা সন্দেহের উদ্রেগ করল রাজনৈতিক মহলে। দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ভবিষ্যতের জন্য অসাংবিধানিক ঘোষণা করে প্রদত্ত রায়ের পর। আদেশে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ‘প্রসপেকটেভলি’ বা ভবিষ্যতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন, যদিও এর আগে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে সংবিধানসম্মত বলে রায় দিয়েছিলেন।

তবে এর আগেই ‘মেজরিটারিয়ান পদ্ধতিতে’ বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে, ২০১১ সালের ৩০ জুন তারিখে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে যে বিধান ছিল তা বাতিল করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী একতরফাভাবে পাসের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার এই কাজ করে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির কারণে এবং পরবর্তীতে সর্বস্তরে যে সর্বগ্রাসী দলীয়করণ হয়েছে, তার ফলে শুধু নির্বাচনীব্যবস্থা নয় প্রশাসন ব্যবস্থাও আস্থা হারিয়েছে। একথা উল্লেখ করতে হয় যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার পক্ষে বিশেষ সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত সুপারিশ উপেক্ষা করে, আদালতের সংক্ষিপ্ত আদেশের একটি ব্যাখ্যার ভিত্তিতে (যে ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে) এবং আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে। এর পর অনুষ্ঠিত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে এক অমোচনীয় কালির দাগ রেখে গেছে।এ রকম এক পরিস্থিতিতে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কড়া নাড়ছে তখন দেশের নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসন ও পুলিশের ভুমিকা এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সবকিছু নিয়েই সন্দেহ ও অবিশ্বাস দানা বেঁধে উঠেছে। ফলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক নির্বাচন কি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত ধারন করে? এই প্রশ্ন জোরেশোরে উঠছে। বিষয়টা একটু বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। বাংলাদেশে এ যাবতকালে অনুষ্ঠিত এগারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে চারটি নির্বাচনকে আপাত গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়।

সেই নির্বাচনগুলো যেমন ১৯৯১, ১৯৯৬(জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোট, আসন এবং ক্ষমতায় যাওয়ার মধ্যে একটা বড় ধরনের অসামঞ্জ্যস্য লক্ষ্য করা যায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনকারী দল বিএনপির প্রাপ্ত ভোট ৩০.৮১ শতাংশ এবং আসন সংখ্যা ১৪০ আর আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোট ৩০.০৮ শতাংশ আর আসন ছিল ৮৮। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ৪৮.৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে ২৩০ আসন আর বিএনপি ৩৭.২০ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পায় ৩২। দেখা যাচ্ছে এই পদ্ধতিতে ভোটের সংখ্যা ও ভোটের হার নয় কতটা আসনে বিজয়ী হলো এটাই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এক ভোটেও যদি কোনো প্রার্থী বিজয়ী হন তাহলে বিপক্ষ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের কোনো মূল্যই থাকে না। সে কারণেই নির্দিষ্ট আসনে বিজয়ী হবার জন্য প্রার্থীরা যেকোনো পথ অবলম্বন করতে দ্বিধা করে না। ফলশ্রুতিতে দেশ শাসিত হয় সংখ্যালঘিষ্ঠ দ্বারা। নির্বাচনী ব্যবস্থার এই দুর্বলতা সংশোধনের জন্য বামপন্থী দলসমূহসহ অনেক রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা প্রপোরশোনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতির কথা বলছেন। এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কাজে লাগে বা মুল্যায়িতহয়।

বর্তমানে পৃথিবীর ৯২টি দেশে নানা পদ্ধতিতে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নীতি অনুসরণ করে নির্বাচন পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি চালু আছে যেমন মুক্ত তালিকা, বদ্ধ তালিকা এবং মিশ্র তালিকা। এর ফলে একক দলীয় আধিপত্য, অর্থ ও পেশি শক্তির প্রভাব হ্রাস পায় এবং সংখ্যাগুরুর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলেও সংখ্যালঘু উপেক্ষিত হয় না। নির্বাচন আসছে এবং কীভাবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে বিতর্কও বাড়ছে। আগামী দিনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হবে সে বিষয়ে ভাবতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভাবতেই হবে। কিন্তু নির্বাচনে যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে তত ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অতীতে নির্বাচন হয়েছে কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রথা এবং প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হয়নি বরং দুর্বল হয়েছে, গণমানুষের আস্থা হারিয়েছে। আস্থা হারানো মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং সংঘাত, সহিংসতা না এড়াতে পারলে দেশ তো অনিশ্চয়তায় পড়বে। সামগ্রিক বিবেচনাতেই নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার তাই জরুরি।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ

ডিপজল। ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভিডিও প্রমাণসহ এমন অভিযোগ করেন সাদিয়া মির্জা নামক এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বর্তমান নির্বাচন কমিশনার খসরু।

এছাড়াও যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা এমনটি আভাস পেয়েছি নির্বাচনের আগেই একটি পক্ষ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও অনেক পেয়েছি কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেইনি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই মহৎ মানুষ এমনিতেই দানবীর, সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে এ বিষয় নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলেক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং- জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ নিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

ওসি আহসান উল্লাহ্ আরও বলেন- ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাপশন: সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্।

দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি

সড়ক দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ফরিদপুরে ঈদের পরদিন সড়কে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝালকাঠিতে সড়কে প্রাণ ঝরে আরও ১৪ জনের। গত তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ঝরছে ১৬ জনের বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৩০টি। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩৭টি, এতে মৃত্যু হয়েছে ৪০৪ জনের আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৯টি। এতে মারা গেছেন ৫২৩ জন আরও আহত হয়েছেন ৭২২ জন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ৬২৪টি। এতে আহত হন ৬৮৪ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন। এপ্রিল মাসের ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৯টি আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গড়ে প্রতিদিন সড়কে মৃত্যু হচ্ছে ১৬ জনেরও বেশি।

গত ৩ মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, যার সংখ্যা ৫৫৪টি, আর এতে মৃত্যু ৫০৪ জনের। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু চট্টগ্রাম বিভাগে।

বিআরটিএ বলছে, গেল বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু দুটোই এবছর প্রথম তিন মাসে বেড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন
বিএনপি এখনও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি: রিজভী
বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের
মুস্তাফিজের বদলে ইংল্যান্ড পেসারকে দলে নিল চেন্নাই!
যে কারণে দুবাইয়ে এমন ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা
গায়েব হয়ে গেল জোভান-মাহির ফেসবুক ফ্যানপেজ!
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি হারালেন ২৮ কর্মী
আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল