বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে সমাবেশের দুই-তিন দিন আগে থেকেই ‘চলো চলো রংপুর চলো’-এ শ্লোগানে নানা উপায়ে সমাবেশ স্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে অনেকেই সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছেছেন।

জানা গেছে, সমাবেশের জন্য জেলা স্কুল মাঠ চেয়ে বিএনপি আবেদন করলেও মহানগর পুলিশ মৌখিক অনুমতি দিয়েছে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই গত তিন দিন ধরে দলীয় নেতা-কর্মীদের একটি অংশ রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নিয়ে মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। রংপুর নগরীসহ বিভাগের সকল জেলা-উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড-গ্রাম পর্যন্ত বিএনপির পোস্টার- ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এরই মধ্যে পায়ে হেটে রংপুরের গণ-সমাবেশে অংশ নিতে আগে থেকেই হাজির হচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। কেউ কেউ চিড়া-মুড়ি-গুড়সহ সাথে এনেছেন কাঁথা-কম্বল। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) অনেক নেতা-কর্মীই নগরীর আবাসিক হোটেল, ছাত্রবাস, স্বজন, পরিজন ছাড়াও নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান নেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছেছেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রাম থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান (৪৬) ও রহিদুল ইসলাম (৪০) বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনে করে পাটগ্রাম থেকে রংপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছি। রংপুর রেল স্টেশনে চিড়া-মুড়ি খেয়ে রাত যাপনের পর বৃহস্পতিবার সকালে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের মতো গাইবান্ধার সাঘাটার ঘুড়িদহ থেকে আরিফুল ইসলাম, কড়িগ্রমের রাজারহাটের সাদ্দাম হোসেন ও গোবিন্দগঞ্জ মহিমাগঞ্জের জাহিদুল ইসলামসহ অনেকেই সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের আতঙ্ক যদি গাড়ি বন্ধ থাকে, পথে বাধা দেওয়া হয়, মারামারি হয় তাহলে তো সমাবেশে আসতে পারব না, এজন্য আগেই আসা। এ কারণে শুক্রবারের (২৯ অক্টোবর) মধ্যেই সমাবেশের ৬০ ভাগ লোক রংপুরে প্রবেশ করবে বলে বিশ্বাস আয়োজকদের।

এদিকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের এখনও গ্রেপ্তার না করলেও ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা হয়রানি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

রংপুর বিভাগীয় গণ-সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় সোয়া মাস আগেই সমাবেশের জন্য রংপুর জেলা স্কুল মাঠের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমরা পোস্টারিংসহ প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আমাদের গণ-সমাবেশের জন্য কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মৌখিক অনমুতি প্রদান করেছেন। প্রশাসনের প্রতি সম্মান জানিয়ে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মঞ্চ তৈরিসহ অন্যান্য কাজ চালাচ্ছি।

তিনি আরোও বলেন, রংপুর বিভাগীয় গণ-সমাবেশ হবে একটি পরিচ্ছন্ন সমাবেশ। স্বরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, তৃণমূল, নগর, শহর এবং বন্দরের সাধারণ মানুষরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের মিনারের সামনেই কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ প্রস্থ ফুট প্রস্থের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মাঠের পাশে কয়েকটি গেটও করা হচ্ছে।

তিনি জানান, পুলিশ চীনের প্রাচীর দিলেও মানুষের স্রোতে আটকাতে পারবে না। সমাবেশ স্থলের লোকজন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেছে। নেতা-কর্মীদের আটক বা গ্রেপ্তার করা না হলেও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নেতা-কর্মীদের বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে।

রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, গণসমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সমাবেশে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষাধিক লোক সমাগম হবে। কোনো বাধাই এই সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না।

এদিকে রংপুরে বিএনপির গণ-সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশের বিশেষ-বিশেষ দল জেলাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার ক্রাইম আবু মারুফ হেসেন।

এ প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নুরে আলম মিনা সাংবাদিদের জানান, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা যেকোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত। তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগাছা থেকে বিএনপির সমাবেশে বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী উপস্থিত থাকবে। এ জন্য তারা রংপুর কারমাইকেল কলেজের আশপাশে ও আশরতপুরসহ দর্শনা মোড়ে শিবির নিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাসগুলোতে অবস্থান নিচ্ছে। সেখান থেকে তারা সমাবেশে যেন কোনো নাশকতা ঘটিয়ে অন্য কারোর উপর দায় চাপাতে না পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পেশাদারির ভিত্তিতে কাজ করে যাবে শেষ পর্যন্ত।

তিনি আরও জানান, কোন উস্কানি বা কোনো ধরনের উত্তেজনা যেন কোনো সংঘাতে রুপ না নেয় সেজন্য সাদা পোষাকে নগরীতে ও সমাবেশ স্থলের চারপাশে গোয়েন্দা সংস্থাসহ সাদা পেষাকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা যেন ধর্য্যের সাথে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে, কোনো উস্কানিতে যাতে পা না দেয় সেজন্য প্রায় দেড় হাজারের অধিক পুলিশ সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের কি পরিস্থিতিতে কি করতে হবে সে সম্পর্কে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, একটি রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতেই পারে। আমরা সেটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে দেখছি। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছু সংগঠন একই মাঠে অভিন্ন সমাবেশের অনুমতি চাইলে আমরা তাদের বুঝিয়ে নিভৃত করেছি। আমরা সমাবেশকে ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা ও নাশকতার কথা বিবেচনা করে নগরীর সকল প্রবশে পথে শুক্রবার সকাল থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

অন্যদিকে সমাবেশের দুই দিন আগেই পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট। শুক্রবার ধর্মঘট ডাকা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে।

জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি একে এম মোজাম্মেল হক বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আইন করেছে। কিন্তু রংপুরের মহাসড়কগুলোতে এখনো নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। এ জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের জন্য আমরা কয়েকটি সংগঠন মিলে সভা করে রংপুরের সকল সড়ক পথে ওই পরিবহন ধর্মঘট এর ডাক দিয়েছি।

তবে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, রংপুর জেলা স্কুল মাঠে অনুমতি না দেওয়ার মাধ্যমে সরকার এবং প্রশাসন বার্তা দিয়েছে যে তারা আমাদের গণ-সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছেন। এজন্য সরকারের যোগসাজশে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেওয়া হয়েছে। সকল ধরনের বাধা অতিক্রম করে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ গণসমাবেশে উপস্থিত হবেই।

 

Header Ad
Header Ad

আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বামে) এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, "পাকিস্তানি সেনারা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের আগ্রাসন রুখে দিয়ে প্রমাণ করেছে, পাকিস্তান আর ১৯৭১ সালের সেই দুর্বল রাষ্ট্র নয়। আমরা আমাদের ইতিহাসের প্রতিশোধ নিয়েছি।"

বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে "অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস"-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন শেহবাজ। তিনি এই সামরিক অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেনারা দুর্দান্ত সাহস ও দ্রুততায় শত্রুর জবাব দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানকে পরাজিত করে। এর আগে পাকিস্তান ভারতের বিমান ঘাঁটিতে ‘অপারেশন চেঙ্গিস খান’ চালায়, যার জবাবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

শেহবাজ বলেন, “ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে—পাকিস্তানের সাহসী সেনারা কীভাবে ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। তারা শুধু বর্তমানের নয়, অতীতের অপমানেরও জবাব দিয়েছে।”

পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীকে কারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আজও সেই একই শক্তি বেলুচ লিবারেশন আর্মি এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে। এর পেছনে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

মোদির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে শেহবাজ বলেন, “আপনার জ্বালাময়ী বক্তব্য নিজের কাছে রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু কেউ যেন আমাদের শান্তির আহ্বানকে দুর্বলতা না ভাবে। যদি আপনি আরেকবার আগ্রাসনের চেষ্টা করেন, তাহলে ফলাফল আপনার কল্পনার বাইরে হবে।”

সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের পানি প্রবাহ বন্ধ করার হুমকির জবাবেও কড়া অবস্থান নেন শেহবাজ। তিনি বলেন, “পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এটি পাকিস্তানের লাল লাইন। এই সীমা লঙ্ঘন করা হলে চরম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

শেহবাজের সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনী প্রধানসহ অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু

পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন।

পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নার্সিং শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিলেও শিক্ষার্থীরা তা অতিক্রম করে মোড়ে অবস্থান নেন, ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ চলাকালে রাত ৯টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

আহত শিক্ষার্থী আভি শেখ বলেন, "আমরা পুলিশের কাছে মাত্র ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলাম, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ছেড়ে যেতে পারি। কিন্তু সেই সময় না দিয়ে তারা সরাসরি লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।" তিনি আরও জানান, "আমরা এখন শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছি এবং সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।"

লাঠিচার্জের পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যাওয়ায় সেখানে যান চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোড়ে অবস্থান নিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও

ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালকের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন ডিএনসিসি প্রশাসক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেইসঙ্গে তাদের চাকরির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বুধবার (১৪ মে) ডিএনসিসি ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রশাসকের নিজ কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন চালকের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, "মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা এই সহায়তা দিয়েছি। তবে এটা এককালীন। ভবিষ্যতে মূল সড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করলে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি আরও জানান, চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে এরই মধ্যে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ডিএনসিসি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে আসাদগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল সড়কে চলাচলরত অবৈধ ব্যাটারিচালিত বেশ কিছু রিকশা জব্দ করে। কিছু রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েকজন চালক।

এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে ডিএনসিসি প্রশাসকের। পরে তিনি দ্রুত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও জানান, রাজধানীর প্রধান সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা অপসারণ করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অনুমোদিত মডেলে ব্যাটারিচালিত রিকশা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে কয়েকটি কোম্পানিকে।

তিনি বলেন, "এসব রিকশাচালককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধ রিকশা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে। ব্র্যাকের সহায়তায় প্রায় এক লাখ রিকশাচালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা চলতি মাসেই শুরু হবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ
পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও
বিশ্বের ‘সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা মারা গেছেন
পিএসএলে দল পেলেন সাকিব আল হাসান!
বিজিবির অভিযানে মেহেরপুর সীমান্তে ৯৪ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক ২
আ.লীগ সরকারের করা চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো সম্ভব: দুদক
আইপিএলে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ, বিসিবি জানে না কিছুই!
টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক, থানায় ১২৯ জিডি
ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৬ মে
আত্মপক্ষের সুযোগ হারালেন টিউলিপ সিদ্দিক
১ মাস না যেতেই পাল্টে গেল ডেসটিনির রফিকুলের দলের নাম
অশ্লীলতার অভিযোগে ৬ অভিনেত্রী ও ৩ নির্মাতার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল থেকে রেইড: আসিফ মাহমুদ
ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হুথিদের মিসাইল হামলা (ভিডিও)
আইপিএলে ৬ কোটিতে মুস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি, গ্রেফতার ৯
সেলিব্রিটি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন গিগাবাইট টাইটানস, উচ্ছ্বসিত সিয়াম-মেহজাবীনরা
এপ্রিলে আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার মিরাজ
সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়