সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে ৬ জনের মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে ৬ জনের মৃত্যু
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত চুলাই মদ প্রাণ করে ৬ জনের  মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সদর থানা পুলিশ। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

পুলিশ প্রাথমিক তথ্যে ৫ মৃত্যু ব্যক্তির নাম পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে। অন্যান্য ব্যক্তিদের পরিচয় ও আরো কেউ মারা গেছে কিনা তার অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ। 

যাদের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলো, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের মৃত সামনের ছেলে  লাল্টু (৪৫),শংকর চন্দ্র মাঝের পাড়া নবীছদ্দিনের ছেলে শহীদ মোল্লা (৫০), শঙ্করচন্দ্র টাওয়ার পাড়ার  ছমির উদ্দীন (৫৫), খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালি পূর্ব পাড়ার নবীসদ্দী ওরফে কাশেমের ছেলে  লালটু (৩৮) এবং  নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)।  

মৃত ব্যক্তিরার সবাই পেশায় দিন মজুর ও লেবারের কাজ করতো।

১১ ও ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এসব মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে পুলিশ জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, গত ১০ অক্টোবর তারা ১০/১২ জন ডিঙ্গেদহ এলাকার গোপন স্থানে বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে। এতে করে ১১ অক্টোবর পর ৩ জনের মৃত্যু খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে আজ রবিবার  রাতে ৩ জন ব্যক্তি মদ্যপ্রাণে অসুস্থ্য হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে  চিকিৎসা নিতে এসে ২ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ মাঠ কাজ করছে তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

এদিকে এ ঘটনায এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যু ব্যক্তিদের ৪ জনের দাফন হয়েছে।  দু'জনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারে অবৈধভাবে দেশি চোলাই মদ বিক্রি চলছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তারা।

ডিঙ্গেদহ বাজারের ব্যবসায়ী রানা বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আসলেই দুঃখজনক মাদকের বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতির কারণে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন  তৎপর থাকলে মাদকের ছোঁয়া আসবে না।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ডিঙ্গেদহ হানুরবারাদীর বাসিন্দা  মৃত কতব আলীর ছেলে আলিম উদ্দিন।  তিনি জানান, "আমরা ভুট্টার গাড়ির লোডের কাজ করি। গত দুই-তিন দিন আগে আমাদের সর্দার স্পিরিট পান করান। আমি অল্প পরিমাণ পান করি।" তার স্ত্রী জানিয়েছেন, সেবনের কয়েকদিন পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশি তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন অসুস্থ রয়েছেন । এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।