বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘পুরুষের চাইতে কম মজুরি পায় চাতালে কর্মরত নারীরা’

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

‘চাতালে রোদে পুড়ে, আগুনের তাপে ও ধুলা-ময়লায় সকাল ৭টা থেকে ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করে ১২০-১৩০ টাকা করে মজুরি পাই। কিন্তু পুরুষ মানুষেরা কাজ করে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা করে মজুরি পায়। এইগুলো ফারাকের (বৈষম্য) কথা বলতে গেলে কাজই থাকবে না। এমনকি পুরুষের চাইতে চাতালে কর্মরত আমরা নারীরা মজুরি কম পায়। পেটের তাগিদে সব সহ্য করে কাজ করি।

চাতালে কাজ করে অমানবিক ও অবাস্তব মজুরি পাওয়ার কষ্টের কথাগুলো ঢাকাপ্রকাশকে বলছিলেন শিউলী বেগম (৪০) নামের এক নারী শ্রমিক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ পৌরসভার লস্করপুর এলাকায় মেসার্স সরস্বতী রাইস মিলে কথা হয় শিউলী বেগমের সঙ্গে।

আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবস উপলক্ষে নারীর অধিকার, মজুরিসহ নানা বিষয়ে সম-অধিকার নিয়ে অনেক সভা-সেমিনার হয়; কিন্তু মজুরি বৈষম্য কমেনি।

শিউলী বেগমের মতো চাতালে নারী শ্রমিকেরা সকাল-সন্ধ্যা পুরুষ শ্রমিকদের মতো কাজ করেন। কিন্তু পুরুষদের তুলনায় তাঁদের মজুরি অর্ধেকেরও কম। এভাবেই বছরের বছর ধরে চালকল কারখানাগুলোতে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে মজুরি বৈষম্য চলে আসছে। চাতালে কাজ করা নারীরা ছাড়া কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করা নারীরাও মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। মজুরি বিষয়ে কথা বলেও তাঁরা কোনো প্রতিকার পান না।

চাতাল শ্রমিকদের দাবি, শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে মজুরি ঘোষণা করা হোক। নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করা হলে চাতাল শ্রমিকদের অমানবিক ও অবাস্তব মজুরি এবং নারী ও পুরুষ শ্রমিকের মধ্যকার মজুরি বৈষম্যের অবসান ঘটবে।
ধান উৎপাদনে প্রসিদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নওগাঁয় চাতালে ধান প্রক্রিয়াকরণের ধারা বহুবছরের। জেলা চালকল মালিক গ্রুপ সংগঠনের সূত্র মতে, এ জেলায় ১ হাজার ২০০টি চালকল আছে। এসব চালকলে ৩০ হাজারের ওপর শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করতে পারবেন না বা তাঁকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। ক্ষেত্রবিশেষে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করতে পারবেন। তবে চাতালে শ্রমিকদের কাজের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। আইনে নারী শ্রমিকদের রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কাজ করানো নিষেধ থাকলেও চাতালে নারী শ্রমিকদের বেলায় তা মানা হয় না। নিয়োগপত্র না থাকায়, চাতাল মালিক ইচ্ছে করলেই শ্রমিকদের কাজ থেকে বাদ দিতে পারেন।

নওগাঁ পৌরসভার লস্করপুর এলাকায় অবস্থিত সরস্বতী রাইস মিলের নারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এখানে কাজ করলে টাকা, না করলে টাকা নাই। কখনো কখনো গভীর রাতে ধান সেদ্ধ শুরু হয়। ওই দিন বাচ্চা কি খাইলো, স্বামী কি খাইলো , বাড়ি কখন যামু তার কিছুই ঠিক থাকে না।’

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া এলাকায় মেসার্স রেবেকা রাইস মিলের চাতাল শ্রমিক জুলেখা খাতুন বলেন, ২০০ মণ ধান সেদ্ধ ও শুকালে নগদ ৬০০ টাকা এবং ১১০ কেজি চালের খুদ (ভাঙা চাল) মজুরি হিসাবে দেওয়া হয়। এক চাতাল (২০০ মণ) ধান সেদ্ধ ও শুকাতে আট-নয়জন নারী শ্রমিকের তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যায়। আবার ঝড়-বৃষ্টি হলে এক চাতাল ধান শুকাতে সাত-আট দিনও লেগে যায়। এক চাতাল ধান শুকানো হলে নগদ টাকা ও খুদ তাঁরা ভাগ করে নেন। নগদ টাকা ও বাজার অনুযায়ী খুদের দাম অনুযায়ী দিনে তাঁদের ১২০-১৩০ টাকা করে মজুরি পড়ে।

চাতাল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতালে মাতৃত্বকালীন ছুটির বালাই নেই। ছুটি চাইলে মালিক কাজ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। নারী শ্রমিকদের সঙ্গে থাকা ছোট সন্তানদের জন্যও নেই কোনো সুযোগ-সুবিধা।

নওগাঁ জেলা ধান্য বয়লার ও অটো সাটার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোজাফফর হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, চাতালে আট থেকে নয়টি স্তরে শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। ট্রাক থেকে ধান নামানো, গুদামজাতকরণ, ধান সেদ্ধ করা, শুকানো, চাল প্রক্রিয়াকরণ, চাল বস্তায় ভরা, বস্তার মুখ সেলাই করাসহ সব কাজই করতে হয় চাতালশ্রমিকদের। এর মধ্যে নারী শ্রমিকেরা ধান সেদ্ধ করা ও শুকানোর কাজ করে থাকে।

চাতাল শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চাতাল শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্ত একটি শিল্প। কিন্তু এ খাতে শ্রম আইনের একটি ধারাও মানা হয় না। চাতালের শ্রমিকেরা শ্রমিক হিসেবেই স্বীকৃত নন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাতালে কর্মরত মানুষদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাঁদের জন্য নূন্যতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। নূন্যতম মজুরি না থাকায় একেক চালকল চালকল একেক রকম মজুরি দিচ্ছে। কোথাও একজন শ্রমিক দিনে ১০০ টাকা, কোথাও ১৫০ টাকা আবার কোথাও ৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন। চাতালে নারী শ্রমিকেরা তো যে মজুরি পান সেটা অমানবিক ও অবাস্তব। বর্তমান বাজারে এই মজুরি দিয়ে জীবন নির্বাহ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি ও নওগাঁ জজ কোর্টের আইনজীবী মহসিন রেজা ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘চাতাল শিল্পের প্রতি সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা দিনের পর দিন মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। নওগাঁতে শ্রমিক ও চালকল মালিকপক্ষের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর চালকল কারখানার শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয় হওয়ার কথা। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। সেই চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চালকলের শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয় করা হয়নি। অথচ এই সময়ের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অবিলম্বে এই শিল্পের শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ও নূন্যতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা উচিত।’

Header Ad
Header Ad

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

নেতৃত্ব দিয়েছেন এনসিপি যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার জন্য কাগজ কেনাকে ঘিরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এই দুর্নীতির পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবি ও সচিবালয়ের একাধিক জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও বাণিজ্য করেছেন তিনি।

সূত্র বলছে, পাঠ্যবই পরিমার্জনের নামে সময়ক্ষেপণের সুযোগে তানভীর ও তার ঘনিষ্ঠ একটি চক্র এনসিটিবিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কয়েক হাজার টন কাগজ আমদানি করায় এবং শুল্ক মওকুফ করিয়ে নেয়। এই আমদানিকৃত কাগজ প্রেস মালিকদের বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এতে প্রতি টনে ৫০ হাজার টাকা করে বেশি আদায় করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুধু আমদানিকৃত কাগজ নয়, দেশীয় কাগজ সরবরাহের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট প্রেস মালিকদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে তানভীরের বিরুদ্ধে। এভাবে পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে।

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এনসিটিবির চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে একপ্রকার অলিখিতভাবে বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কেনায় বাধ্য করা হয়।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর এনসিপি গত ২১ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। চিঠিতে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ প্রভাব এবং এনসিটিবির কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গোপন তথ্য যাচাই শেষে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

তানভীরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতিপত্র না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত সেখানে প্রবেশ করতেন এবং বিভিন্ন বদলির তদবিরে জড়িত ছিলেন।

তবে সংবাদ সম্মেলন করে তানভীর তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৩ মার্চ কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি এক পয়সা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, আমি নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করব।’

তিনি দাবি করেন, ‘১০০ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর।’

তবে রাজনৈতিক মহল ও সংশ্লিষ্ট মহলে তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। একটি টক শোতে তাঁকে ডিসি নিয়োগে তিন কোটি টাকার চেক গ্রহণে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়।

এনসিটিবির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্য দুর্নীতির অভিযোগ ও তাতে রাজনৈতিক দলের নেতার সম্পৃক্ততা প্রশাসনিক ও নীতিগত প্রশ্নও তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!

ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহের স্থগিতাবস্থা কাটিয়ে আইপিএল ২০২৫ মৌসুম শুরু হচ্ছে আবারও ১৭ মে থেকে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তবে আইপিএল ফের শুরুর আগে এক সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও বিসিসিআই।

বিতর্কের মূল কারণ, বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দিল্লির দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। ১৪ মে দিল্লি ঘোষণা করে, অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলে মুস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে। জ্যাক ভারতে ফিরে আসতে রাজি হননি, তাই বিসিসিআইয়ের বিশেষ নিয়ম মেনে দিল্লি বদলি ক্রিকেটারকে হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেয়।

তবে এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি অনেক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত। তারা বিসিসিআই ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন এবং দিল্লির ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এমনটায় জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।

বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া হামলার প্রেক্ষিতে অনেকেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভারতে খেলার বিরোধিতা করছেন। বিসিসিআই এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বদলি খেলোয়াড় নেওয়ার অনুমতি দিলেও, ভক্তদের একাংশ মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ক্রিকেটারকে এখনই নেওয়া উচিত হয়নি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

জাপান থেকে আরও বেশি সহজ শর্তের ঋণ এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) আলোচনায় বাংলাদেশের তরফে এসব অনুরোধ করা হয়।

বৈঠকে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাপান থেকে আরও অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর সংস্কার উদ্যোগগুলোর প্রতি জোরাল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান। বলেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। রাজনৈতিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশলকে অগ্রাধিকার এবং ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ পুরোপুরি অর্জনে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এলডিসি-উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার অনুরোধও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে জাপান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ফল ও সবজির প্রবেশাধিকার নিয়েও একযোগে কাজ করার কথা বলেছে। রোহিঙ্গা পুর্নবাসন নিয়েও কাজ করার বলেছে দেশটি।

অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (ইপিএ) অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চলতি বছরই তা স্বাক্ষরের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে উভয় দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাপান বলেছে, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভসের (বিগ-বি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য উচ্চ মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিতের জন্য আরও জোরালভাবে সম্পৃক্ত হবে দেশটি। একইসঙ্গে জাপানি উদ্যোক্তাদের কারখানা ও সরবরাহ চেইন বাংলাদেশে স্থানান্তরের কথাও বলেছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফর নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ
নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস
ডিসি পরিবর্তন করতে এনসিপি সংগঠক নাহিদের বিরুদ্ধে তদবিরের অভিযোগ!
রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি ‘সুন্দর মহলে’ হামলা-ভাঙচুর
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড : রাশেদ খাঁন
তদবির বাণিজ্য: এনসিপির সাবেক নেতা তানভীরসহ ৪ জনকে দুদকে তলব
বাংলাদেশের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মুফতি স্বামীর বিরুদ্ধে হ্যাপির মামলা, ৯ বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ
সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী
মেট্রোরেলে ২৪ পদে ১২০ জনের চাকরির সুযোগ
৫ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো ডিএসসিসি
চুরির টাকায় ফ্রিজ-আলমারি কিনে ধরা খেল কেয়ারটেকার
সাকিবকে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করল বিএসইসি
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ জওয়ান
বেনাপোল কাস্টমসে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি, স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি
ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট, গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিটিআরসি