শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সুফল মেলেনি মাছ-ব্যাঙ-হাঁস দিয়ে মশা নিধন

মশা নিধনে গাপ্পি মাছ, ব্যাঙ ও হাঁস ব্যবহার করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কিন্তু এ সব পদ্ধতি তেমন কার্যকর হয়নি। এখন পুরনো পদ্ধতিতেই চলছে মশা নিধনের কাজ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জেল-জরিমানা।

মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংস করতে ডিএসসিসি লেক-খাল-জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত থেকে শুরু করে হাঁস বা ব্যাঙেরও প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু এ সব পদক্ষেপে সুফল পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ নগরবাসীর।

গাপ্পি মাছ: কিউলেক্স মশা নিধনে ডিএসসিসি নগরীর বিভিন্ন ড্রেনে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করেছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু ঢাকার ড্রেনের পানি এতটাই দূষিত যে কয়েকদিনের মধ্যেই গাপ্পি মাছ মরে ভেসে উঠে। তখন অনেক সমালোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে।

গাপ্পি মাছের পর হাঁস: গাপ্পি মাছ দিয়ে মশা নিধন ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২০ সালে মশা নিধনে কয়েক হাজার হাঁস রাজধানীর বিভিন্ন খাল, ঝিল ও জলাশয়ে ছেড়েছিল ডিএসসিসি। যদিও একবছর পর সেসব হাঁসের প্রায় ৯০ ভাগই গায়েব যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তদারকির অভাবে হাঁসগুলো চুরি হয়ে যায়।

এরপর নামানো হলো ব্যাঙ: গাপ্পি মাছ ও হাঁস দিয়ে মশা নিধনের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ২০২১ সালের মার্চে রাজধানীর খাল, ঝিল, লেক, পুকুর ও জলাশয়ে নামানো হলো বিশেষ প্রজাতির ব্যাঙ। এটিও ডিএসসিসির একটি উদ্যোগ।

কিন্তু এই উদ্যোগও ফলপ্রসূ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার খাল, লেক ও জলাশয়ের পানি এতটাই দূষিত যে ব্যাঙও টিকে থাকতে পারেনি।

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, মশার লার্ভা নিধনে ফলপ্রসূ ছিল গাপ্পি মাছ। উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ড্রেনে গাপ্পি মাছ দেখতে পাওয়া যাবে। সেখানে মশার কোনো লার্ভা নেই। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও দেখান অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

তবে ব্যাঙ বা হাঁস দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসের বিষয়টি বিশ্বের কোথাও নেই দাবি করে অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলছেন, এটি ডিএসসিসি কেন করেছে জানি না।

ঢাকার পানির দূষণের কারণে গাপ্পি মাছ মারা যাওয়া প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, গাপ্পি মাছ পলিউটেড ওয়াটার ফিশ। তবে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি হলে তারা বাঁচতে পারবে না।

গাপ্পি মাছ দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসের বিষয়টি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই প্রচলিত এবং কার্যকর পদ্ধতি। কিন্তু আমাদের দেশে এ পদ্ধতি কাজ না করায় পুরোনো পদ্ধতিতেই চলছে মশা নিধন।

মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। পুকুর-খাল-ঝিলের পানা পরিষ্কার করা হচ্ছে নিয়মত। চলছে ফগিং কার্যক্রম।

এর সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছে জেল-জরিমানা। আগে মশা নিধনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হতো না। গত দুইবছর ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায়। মশার লার্ভা পেলে নানা অংকের জরিমানাও করা হচ্ছে।

আরইউ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে একজনকে চিহ্নিত করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার অভিভাবকের জিম্মায় হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই ঘটনা ঘটে। কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল মাহফুজ আলমের মাথায় লাগে। এ ঘটনার পর তিনি আর কথা না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, “সমালোচনা করা গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও শারীরিক আক্রমণ বর্বরতা। হামলাকারীর উদ্দেশ্য যাই হোক, তা তদন্ত করে বের করা দরকার। এই ধরনের হামলার কোনো ন্যায্যতা নেই।”

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, “মাহফুজ আলম কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না হয়েও শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে রাজপথে এসেছিলেন। সেই সাহসিকতাকে সম্মান না করে তার ওপর এমন আচরণ লজ্জাজনক।”

তিনি আরও বলেন, “আপনাদের দাবি বাস্তবায়নে মূল দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, শিক্ষাসচিবের। অথচ আঘাত করা হলো যিনি কেবল আপনাদের কথা শুনতে এসেছিলেন তাকে।”

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবিগুলো সম্পর্কে সরকার ইতোমধ্যে অবহিত হয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বোতল নিক্ষেপের মতো ঘটনা ভবিষ্যতে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও ভাবছে প্রশাসন।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই দেশের সামরিক বাহিনী আগামী ১৮ মে পর্যন্ত পরস্পরের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের হামলা চালাবে না— এমনটাই জানিয়েছে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, শুক্রবার (১৬ মে) সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) শিগগিরই একটি বৈঠকে বসবেন। সেখানে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে দেওয়া এক ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, গত ১৪ মে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, ১০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান যে, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১০ মে প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিফোনে বৈঠক করেন ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ। ওই বৈঠকের পর ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। এরপর আরও দু’দফায় দুই দিন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৪ মে অনুষ্ঠিত ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে পারে।

সূত্র: এনডিটিভি

Header Ad
Header Ad

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাম্য হত্যার তদন্ত করে লাভ নেই: ফারুক

জয়নুল আবদীন ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগ এবং সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো তদন্ত করে এখন আর কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় কাউকেই আর ফেরানো যাবে না। এখন সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে— দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।"

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে তিনি মানবিক করিডর ইস্যু নিয়েও মত প্রকাশ করে বলেন, "এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে একটি নির্বাচিত সরকার। বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া।"

তিনি আরও বলেন, “সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার রায় দেবে— সেটাই শহিদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা এবং চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের আত্মাও শান্তি পাবে।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা অবিলম্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাম্য হত্যার তদন্ত করে লাভ নেই: ফারুক
শাহজালালে ৭১ আরোহীসহ নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে পড়া বিমান
শ্রীনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই
উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান
গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ থানা ঘেরাও, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
গভীর রাতে ৭৫০ জনকে পুশ-ইনের চেষ্টা, বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি-জনতা
১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন নওগাঁর ৩৬ জন
অশ্লীল কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ, টিকটকার মামুন-লায়লাকে আইনি নোটিশ
ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, কাউন্টারে ভিড়
ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের খোঁজার দায়িত্বে কুবির দুই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক
দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ইয়ামালের নৈপুণ্যে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ১৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত
বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!