
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ২৬ জন নিহত
১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৮ এএম

আবারও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও তার আশপাশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী । এই হামলায় অন্তত ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার দক্ষিণ গাজার দুই শহরে ৩ বার বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোরের দিকে খান ইউনিসের একটি ব্যস্ত আবাসিক এলাকায় বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই ২৬ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হন।
প্রথম হামলার কিছু সময় পর খান ইউনিস থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের শহর দেইর রাল বালাহে বোমা বর্ষণ শুরু করে বিমান বাহিনী। এ সময় নিহত হন ৬ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার বিকেলের দিকে শেষ খান ইউনিসে শেষ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলীয় একটি বাড়িতে ১৫ জন নিহত হন।
গত ৭ অক্টোবর ভোর বেলায় ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চলায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই অভিযান এখনও চলছে।
হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
খান ইউনিসের বাসিন্দা ইয়াদ আল জাইম রয়টার্সকে জানান, শনিবারের বোমা হামলায় তার ফুপু, ফুপাতো ভাই-বোন এবং তাদের সন্তানরা মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘হামাসের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। পুরোপুরি শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন তারা।’
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের মর্গের চত্বরে দাঁড়িয়ে জাইম যখন কথা বলছিলেন, সে সময় তার অদূরেই শোয়ানো ছিল শনিবার সকালের হামলায় নিহত ২৬ জনের লাশ।

শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম

রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে তরঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে বাসে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মতিঝিল বক চত্বরে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার এ ব্যাপারে জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মতিঝিলে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট রওনা হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা দশম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। এ দফার অবরোধে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২টি যানবাহনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা শহরে ৬টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে।

যে কারণে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা হলেন টেলর সুইফট
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১০ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম

এ বছরটাই ছিল টেলর সুইফটের। চলতি বছর এই পপ সেনসেশন রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙেছেন। নিজের নামের পাশে গড়েছেন অসংখ্য মাইলফলক। আর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেলর ছিলেন সবার উপরে। তাই সেরার সম্মান নিয়েই বছর শেষ করতে যাচ্ছেন পপকুইন, তা বলাই বাহুল্য। যার শুরুটা হলো টাইম ম্যাগাজিনের সেরা ব্যক্তিত্বের সম্মাননার মধ্য দিয়ে। ২০২৩ সালে ‘বর্ষসেরা ব্যক্তি’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে টেলর সুইফটকে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর সুইফট তার প্রায় দুই দশকের খ্যাতি ও প্রভাবের শীর্ষে পৌঁছেছেন। তিনিই প্রথম শিল্পকলার ব্যক্তি, যিনি বিনোদনদাতা হিসেবে সাফল্যের জন্য সম্মানিত হয়েছেন।

১৯২৭ সাল থেকে টাইম ম্যাগাজিন প্রতি বছর 'পার্সন অব দ্য ইয়ার' খেতাব দিয়ে আসছে বিশ্বসেরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিত্বকে। বেশিরভাগ সময় বছরজুড়ে হেডলাইন আর লাইমলাইটে থাকা ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও অর্থনীতিতে গুরুত্ব বহন করা ব্যক্তিরা পান এই সম্মাননা। তবে এ বছরের সব হিসাব ওলট-পালট করে দিয়েছেন মেগা পপ তারকা সুইফট।
৩৩ বছর বয়সী এই তারকা তার 'ইরাস ট্যুর'-এর অংশ হিসেবে বছরজুড়ে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে পুরো ক্যারিয়ারের সঙ্গীত প্রদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি টিকিট বিক্রির রেকর্ড ভেঙেছেন। প্রতিটি শহরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছেন।

সুইফট টাইমকে বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে গর্বিত, সুখী, সবচেয়ে সৃজনশীল এবং স্বাধীন অভিজ্ঞতা।
২০২৪ সালে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান 'ইরাস ট্যুর' বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকান সংগীত ও বিনোদন ম্যাগাজিন বিলবোর্ড। সুইফটের এই ট্যুরে ২০২৩ সালজুড়ে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার আয় এসেছে। প্রতি শোতে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামে দর্শক-চাহিদা গত বছর এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, প্রতি টিকিট ২৮ হাজার ডলারে পৌঁছেছিল। বেশি দামে টিকিট বিক্রি নিয়ে মামলা এবং একটি ফেডারেল তদন্তও হয়েছিল।
বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, সুইফটের 'ইরাস ট্যুর'র ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতিবাচক অর্থনৈতিক সূচকের দেখা মিলেছে। বিশ্বজুড়ে বাদ-বিবাদ আর হানাহানির মাঝে তিনি কনসার্টের মাধ্যমে সুতার মালায় গেঁথেছেন বিশ্ববাসীকে। দেশের সীমানা পেরিয়ে টেইলর এক ধরনের একাত্মতাবোধ অনুভব করতে বাধ্য করেছেন বিশ্ববাসীকে। তাই সবাইকে পেছনে ফেলে হয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব।

ফোর্বস ম্যাগাজিন চলতি সপ্তাহে সুইফটকে বিশ্বের পঞ্চম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রীসহ ভাইস প্রেসিডেন্টের মতো ব্যক্তিদের পেছনে ফেলেছেন তিনি।
বিভাগ : বিনোদন
বিষয় : টেলর-সুইফট , রেকর্ড-ভাঙলো , রেকর্ড , নতুন-রেকর্ড , মাইলফলক , পার্সন-অফ-দ্য-ইয়ার

মুরগির বাচ্চাও এখন বিএনপির টার্গেট: ওবায়দুল কাদের
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ৬০০ গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ১০টি রেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন , বৈঠকে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি। আলোচনা হয়েছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।
পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতি নয়।
বাংলাদেশি পন্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিয়ে বলেন, যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দেবে বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে কোনো পণ্য নেবে না
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।