শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

ফারাওদের রাজত্ব থেকে ফাইয়ুমের মরুভূমি পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলেও ঐতিহাসিক খানে খলিলি বাজার ছাড়া কায়রোর সাধারণ কোনো বাজারে যাওয়া হয়নি। যে কোনো নতুন শহরে সুযোগ পেলেই আমরা কাছে পিঠের কাঁচা বাজারে একটা চক্কর দিয়ে আসি। সকালে নাস্তার পরেই বেরিয়ে গেলাম আল মাআদি এলাকার বাজারে। যদিও মাআদি তুলনামূলক বিচারে অনেকটাই আমাদের গুলশান বনানীর মতো একটি অভিজাত আবাসিক এলাকা, কিন্তু রেল লাইন পার হয়ে একটু সামনে এগোলে যে বাজার তার চেহারার সঙ্গে হাতিরপুল বাজারের তেমন পার্থক্য নেই। বিভিন্ন জিনিসপত্রের সারি সারি দোকানের ফাঁকে, রুটির কারখানা এবং বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট। দোকানগুলোর সামনে রাস্তার উপরেই বসে গেছে সবজি এবং ফলের দোকান। মুদি দোকানের পাশেই গরু কিংবা ভেড়ার লম্বা ঠ্যাং ঝুলিয়ে কসাইখানায় বিক্রি হচ্ছে মাংস।

প্রথমেই আমরা একটা রুটির দোকানে দাঁড়ালাম। আয়েশ বালাদি নামের নিত্যদিনের খাবারের রুটি সাধারণত কেউ বাড়িতে তৈরি করে না। পুরোনো ঢাকায় যেমন তন্দুর রুটি বা বাখরখানি তৈরি হয় তেমনি তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি গরম আয়েশ বালাদি কিনে বাড়িতে নিয়ে আয়েশ করে খাওয়াই প্রচলিত রীতি। এখানে অবশ্য হাতের বানিয়ে তন্দুরে রুটি সেঁকার ব্যবস্থা দেখা গেল না। ভেতরে কোথাও তৈরি হয়ে কনভেয়ার বেল্টের মতো একটা চলমান ধাতব পাতের উপর থেকে এক সঙ্গে গোটা কয়েক রুটি টুপটাপ করে এসে পড়ছে। রানা ভাই রুটিওয়ালা তরুণের সঙ্গে কথা জমাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে বেচারা ভীষণ ব্যস্ত, প্রতি মুহূর্তে খদ্দের সামলে সাধ্যমতো রানা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। আমরা খুব বেশি দেরি না করে এক প্যাকেট রুটি কিনে সামনে এগিয়ে গেলাম। সরকার রুটিতে ভর্তুকি দেওয়ার ফলে আকারভেদে দশটি বালাদি রুটির দাম মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঈজিপশিয়ান পাউন্ড ।

রেস্টুরেন্ট এবং চা কফির দোকানে এবং দোকানের বাইরে সাত সকালেই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন অনেকেই। রানা ভাই চায়ের দোকানের বাইরে এক বৃদ্ধের সঙ্গে কথা শুরু করইে তিনি গ্রিনটির অফার দিয়ে ফেললেন। আমরা অবশ্য চা না খেয়ে রানা ভাইয়ের সঙ্গে তার একটা ছবি তুলে সামনে এগিয়ে গেলাম। পাশাপাশি চশমা এবং একটা প্রসাধন সমাগ্রীর দোকানের সামনে অনেকগুলো বাক্স সাজিয়ে প্রচুর ফলের সম্ভার সাজানো। আপেল, আঙুর, কমলা, নাশপাতি এমনকি শরিফা পর্যন্ত আমাদের পরিচিত ফলের সঙ্গে কিছু অপরিচিত ফলও দেখা গেল, কিন্তু গাবের মতো লাল টুকটুকে ফলটার নাম জানা গেল না। প্রসাধন সামগ্রীর দোকানের ঠিক পাশেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। এতোক্ষণ রুটি, চা, ফলমূলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তোলা হয়ে গেছে। কিন্তু মাংস ঝোলানো দোকানের দিকে ক্যামেরা তুলতেই ছুরি হাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল এক কসাই। ছবি তুলতে গিয়ে কায়রোর কসাইয়ের ছুরিকাঘাতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটার আগেই ক্যামেরা সরিয়ে নিলাম। তবে এর আগেই কসাইদের কারবার ভিডিওতে ধারণ করা হয়ে গেছে।

     রাস্তায় সবজি বাজার

কাঁচা বাজারে ফলমূলের মতো শাক সবজিরও কোনো অভাব নেই। বেশিরভাগ সবজির দোকানে নারী অথবা শিশু বিক্রেতারা গাঁজর মূলা সিম বেগুন ক্যাপসিকাম এবং শশাসহ বিভিন্ন ধরনের বীনের ডালা সাজিয়ে বসে আছে। পালং শাক এবং নাম না জানা আরও দুই এক ধরনের শাকের আঁটি দেখে মনে হলো মরুভূমির লোকেরা শুধু শুকনো রুটি, দুম্বার মাংস আর খেজুর খেয়ে বাঁচে বলে আমাদের যে ধারণা ছিল তা মোটেও সত্যি নয়। আমরা ফুটপাথের দোকানে দোকানে ঘুরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে একটা ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। ভাষা না বুঝলেও প্রায় সবাই সাধ্যমতো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছে, প্রায় সবাই ছিল বেশ হাসিখুশি। কয়েকজন কিশোর আমাদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্যে এগিয়ে এসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। শুধু একজন নারী বিক্রেতার দোকানের ছবি তোলার সময় শিশু কোলে দাঁড়ানো পুরুষ লোকটি ‘লা লা’ বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার পুরুষত্ব জাহির করলে আমরা ক্ষান্ত দিলাম।

     কায়রোর কসাইখানা

কিছু ফল কিছু শাক-সবজি কিনে ঘরে ফেরার পরে দেখা গেল তিন কেজি আপেল নাসপাতিসহ রানা ভাই ব্যাগটা কোনো একটা দোকানে ভুল করে ফেলে চলে এসেছেন। কিন্তু ব্যাগটা কোথায় রেখেছেন তিনি কিছুতেই মনে করতে পারলেন না। আমার ক্যামেরায় শ্যুট করা ভিডিও ফুটেজ দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখে পড়ল বাজার থেকে বেরোবার আগে রানা ভাই শেষ যে বড় দোকানটায় ঢুকেছিলেন সেখানেই বাইরের দিকের ডেস্কের উপর ব্যাগটা রেখেছেন। দোকান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল আশা করি তিন কেজি ফল ফেরতও পাওয়া যাবে।

বিকেলে পুরোনো কায়রোর রিলিজিয়াস কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা। তবে তার আগে ফলোদ্ধারের জন্যে বাজারের দিকে যেতে হলো। সেই দোকানের সামনে রানা ভাই গাড়ি থেকে নামতেই দোকানের ভেতর থেকে একজন হৈ হৈ করে ইংরেজি আরবি মিশিয়ে যা বললেন তার অর্থ ‘তুমি চলে যাবার পরপরই তোমাকে খুঁজেছি। তোমার ফলের ব্যাগটা এখানে থেকে গেছে।’ আমাদের ভিডিও এভিডেন্স বের করার কোনো দরকার হলো না, তার আগেই ফলের ব্যাগ হাতে পেয়ে রানা ভাই ‘শুকরান শুকরান’ বলে গাড়িতে উঠে পড়লেন।

        আবু সেরাগা চার্চের একাংশ

পুরোনো কায়রোর ঐতিহাসিক মসজিদ আমর ইবনে আল আস-এর কাছাকাছি বেশ বড় একটা এলাকা জুড়ে মসজিদ এবং বিভিন্ন মতাদর্শের কয়েকটি গির্জার পাশাপাশি একটি ইহুদি উপাসনালয় মিলিয়ে বড় এলাকা জুড়ে এই জটিল ধর্মীয় চত্বর। রিলিজিয়াস কমপ্লেক্স, কায়রো, লেখা একটি নির্দেশনা ফলক পেরিয়ে ভেতরে ঢোকার পরে মনে হলো এলাকাটা তুলনামূলকভাবে জনবিরল এবং ব্যস্ত কায়রোর অন্যান্য এলাকার চেয়ে নীরব। পরিচ্ছন্ন পথে মানুষের চলাচল কম এবং কোথাও আবর্জনার স্তূপ চোখে পড়ে না। এখানে চার্চ অব মেরি গার্গস, চার্চ অব আবু সেফিয়ান, চার্চ অব সেইন্ট বারবারা নামে ক্যাথলিক, প্রোটেস্টান্ট, অর্থডক্স এবং অ্যাভেঞ্জেলিক চার্চ মিলিয়ে সবগুলো গির্জা একদিনে দেখে শেষ করা অসম্ভব। আমরা বেছে নিলাম কাছাকাছি আবু সেরগা। খানিকটা দূরে পার্কিং-এ গাড়ি রেখে পাশাপাশি কয়েকটি গির্জার চত্বরে প্রবেশের আগে নাম কা ওয়াস্তে একটা নিরাপত্তা ফটক পার হতে হলো। তারপরেই হেঁটে গেলাম আবু সেরগার দরজা পর্যন্ত।

     আবু সেরগা চার্চের ধর্মাপোদেশ

স্থানীয়ভাবে আবু সেরগা নামে পরিচিত কায়রোর প্রাচীনতম কপটিক চার্চগুলোর একটি সেইন্ট সেরগিয়াস ও সেইন্ট বাচুস চাচের্র প্রবেশ পথে চার্চের নাম লেখা থাকলেও আসল গির্জা ভবনে ঢুকতে অনেক দূর পর্যন্ত একটা সরু গলিপথ পার হতে হলো। গলিপথের দুপাশের তাকে সাজানো অসংখ্য বই। কিছু সংখ্যক তাকে বাইবেলের নানা কাহিনি থেকে নেওয়া রঙিন ছবি। এই গির্জা যে হাজার দেড়েক বছর আগের তা এর নির্মাণকাল না জানলেও বলে দেয়া যায়। সিরিয়ায় ধর্ম বিশ্বাসের জন্য শহিদ ধর্মযোদ্ধা সেইন্ট সেরগিয়াস ও সেইন্ট বাচুসের নামে ক্রিস্টিয় চতুর্থ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত গির্জা সংলগ্ন ভূগর্ভের গহীনে মা মেরি, জোসেফ এবং শিশু যিশুখ্রিস্ট বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলে প্রচলিত আছে। আগুনে ভষ্মীভুত হবার পরে মধ্যযুগ পর্যন্ত বহুবার পুননির্মাণ করায় কপটিক চার্চটি বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

অনন্য স্থাপত্যশৈলী এবং অলঙ্করণের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিশরের খ্রিস্টিয় নির্মাণ কলার উপাদানগুলো মিলে মিশে গির্জার অভ্যন্তরভাগ অসাধারণ সুন্দর। চারিদিকের দেয়ালের বেশিরভাগ নির্মিত হয়েছে জুড়ে কালচে-লাল ইটের গাঁথুনিতে। শক্তপোক্ত দেয়াল এবং খিলানসহ স্তম্ভ উঠে গেছে তিন তলার উচ্চতায়। মিম্বর, গম্বুজ, কলাম, রোস্ট্রাম এবং দেয়ালগুলোতে সুদৃশ্য কাঠের কারুকাজ আর কাঠের উপরে আইভরির কারুকাজ করা বেদি মধ্যযুগের কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কাজের উদাহরণ। দেয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে সাধু সন্ত আর প্রেরিত পুরুষদের প্রমাণ সাইজের পেইন্টিং। এসব ছবিও কারুকাজ করা ভারি কাঠের ফ্রেমে আটকানো।

মূল প্রার্থনা কক্ষে সাজানো সারি সারি ভারী কাঠের বেঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে দেখলাম একজন প্রিস্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পরনে কালো আলখাল্লা, মাথায় চেগুয়েভারার মতো টুপি তবে সেটাও কালো, হাতে কালো ব্যান্ডের ঘড়ি আর আর বুকে ঝোলানো ক্রশ। তার কণ্ঠস্বর, বলার ভঙ্গি এবং নাটকীয় অভিব্যক্তি মিলিয়ে সামনের বেঞ্চগুলোতে বসা পনের কুড়িজন তরুণ তরুণী তার কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছে। তিনি আরবিতে ভাষণ দিচ্ছেন, শুধু এইটুকু ছাড়া তার বক্তব্যের বিন্দু বিসর্গ না বুঝেও আমার শুনতে ভালো লাগছিল। তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে দুজন তরুণীকে দেখলাম হিজাব পরিহিতা। সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায় এই দুজনসহ প্রায় সবাই ধর্মগুরু তার কথার যাদুতে সম্মোহিত করে ফেলেছেন। ভাষা বুঝলে আমি নিজেও সম্মোহিত হয়ে পড়তাম কিনা কে জানে!

      হাজার বছর আগের বাইবেল

কিছুক্ষণ ধর্মোপদেশ শোনার পরে প্রথমে ডান দিকের গ্যালারি এবং পরে বাঁ দিকের করিডোর পার হয়ে যেখানে পৌঁছলাম সেটি একটি সংগ্রহশালা। এখানে বিভিন্ন তাকে সংরক্ষিত রয়েছে প্রাচীন পুঁথি পুস্তক, ধর্মগ্রন্থ, বিশেষ করে হাতে লেখা বাইবেল। হিব্রু ভাষায় লেখা একটি বাইবেলে দেখা গেল মূল ভাষার পাশাপাশি ছোট করে আরবি অনুবাদ অথবা ফুটনোট। বইপত্র ছাড়াও বাতিদান, পান পাত্র, সিলমোহর ও ধাতব ক্রশসহ কিছু ছোট জিনিস ঠাঁই পেয়েছে এই ছোট্ট মিউজিয়ামে। কে জানে এইসব কতশত বা কয় হাজার বছর আগের নিদর্শন! সংগ্রহশালার মেঝেতে একটি কূপের মুখ মোটা কাচের ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বৃত্তাকার ঢাকনা ঘিরে আরবি এবং ইংরেজিতে লেখা: ঞযব বিষষ The well which the Holy Family drank from. তবে আবে জমজমের মতো এই পবিত্র পানি পানের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

      বই পুস্তকের গলিপথ

জাদুঘরের ভেতর থেকেই দুপাশে কাঠের রেলিং দেওয়া পাথরের একটি সিঁড়ি নিচে নেমে গেছে। কথিত আছে অ্যাপোস্টেলিক যুগে মা মেরি তার শিশু সন্তান যিশুখ্রিস্টকে নিয়ে তিন মাস এখানেই নিচের একটি গুহায় বসবাস করেছেন। বিবি মরিয়ম তার শিশু পুত্র ঈসা আলাইহেওয়াস-সালামসহ মাস তিনেক গুহাবাসী হিসেবে কালাতিপাত করে থাকলে গির্জা না হয়ে এখানে এখানে একটি মসজিদও হতে পারত। যাই হোক, ইসলামের আবির্ভাবের আগেই ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিবাদের কোনো সুযোগ নেই। এখন এই কাহিনি কেবলই বিশ্বাসের। আমরা খ্রিস্টিয় ধর্মগুরুর বক্তৃতা শুনে, অসাধারণ স্থাপত্য নৈপুনের একটি নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম।

   বিন এজরা সিনাগগ

বই-পুস্তকের দীর্ঘ গলিপথ পেরিয়ে যখন রাস্তায় এলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। পথের বাঁ দিকের কয়েকটি দোকানে এবং গির্জার দরজাগুলোতে জ্বলে উঠেছে আলো। কয়েকটি চার্চ পেরিয়ে রিলিজিয়াস কমপ্লেক্সে ইহুদি প্রার্থনা মন্দিরটির অবস্থান একদিকে গির্জা এবং অন্যদিকে আমর ইবনে আল আস মসজিদের মাঝখানে। এলাকায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ মুসা নবী নীল নদের কাছাকাছি প্রার্থনার জন্যে এই জায়গাটি বেছে নিয়েছিলেন। এক সময় খ্রিস্টান আধিপত্যের যুগে এখানে নির্মিত উপাসনালয় অর্থডক্স চার্চে রূপান্তরিত হয়ে যায়। পরে খ্রিস্টধর্মের অনুসারিরা ট্যাক্স পরিশোধ করতে না পারায় বিশ হাজার রিয়াল দিয়ে ভগ্নদশা ভবনটি কিনে নেন ইহুদি ইব্রাহিম বিন এজরা। তার নামে উপাসনালয়ের নামই হয়ে যায় বিন এজরা সিনাগগ। তবে ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে সিনাগগটি বর্তমান অবস্থায় আসতে বহু বছর লেগেছে। বিন এজরার পুনরুদ্ধার এবং পুনঃনির্মাণে মিশর সরকারের বিরাট ভূমিকা ছিল। প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পিত উদ্যোগ ও আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি সারাবিশ্বের ইহুদি সম্প্রদায়ের সাহায্য সমর্থন তো ছিলই।

    রিলিজিয়াস কমপ্লেক্সে সন্ধ্যা

সিনাগগের ভেতরে কারুকাজ করা সোনালি দেয়াল, দীর্ঘ কলাম এবং পরিমিত আলোর ব্যবহার এক অপার্থিব ভাবগম্ভীর পরিবেশ। প্রথম তলাটি পুরুষের এবং দ্বিতীয় তলা নারীদের প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত। কলামগুলো মার্বেল পাথরে আবৃত এবং উপরের দিকে কারুকাজ করা সোনালি মুকুটে ঢাকা। আলোক সজ্জার ব্যবস্থা ছাড়াও সিলিংয়ে তাকালে চোখে পড়ে বাতাস চলাচলের ফোকর। উল্লেখ করা করা যেতে পারে ইসলামের অনুশাসনের মতোই ইহুদি ধর্মেও উপাসনালয়ের দেয়ালে কোনো দেব দেবী, ঈশ্বর অথবা প্রেরিত পুরুষের কোনো মূর্তি বা প্রতিকৃতি নেই।

আমর ইবনে আল আস মসজিদে যাওয়ার জন্যে নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে যখন রাস্তায় এলাম তখন গাছপালার ফাঁকে আকাশে দেখা গেল বেশ বড় একটা গোল চাঁদ।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

আরএ/

Header Ad

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।

১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।

ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।

পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।

শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।

তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গত ছয়মাস ধরে দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন লাখ লাখ। বাস্তহারা করেছে ২০ লাখের বেশি মানুষকে। এই হত্যার বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে চলছে প্রতিবাদ। তুরস্কে লাগাতার বিক্ষোভ মুখে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখছে।

বলা হয়েছে, গাজায় যতদিন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণ দিতে না দেয়া হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্য বন্ধ রাখবে তুরস্ক।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ''ইসরায়েলের সঙ্গে সব পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকছে।''

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমঝোতা ভেঙে ইসরায়েলের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ''এভাবেই একজন ডিক্টেটর কাজ করেন। তুরস্কের মানুষ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ তিনি দেখলেন না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিও অবহেলা করলেন।''

তিনি বলেছেন, ''ইসরায়েল বিকল্প খুঁজে নেবে। অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়াবে।''

তুরস্ক গতমাসে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েল থেকে বাণিজ্যে কাটছাঁট করছে। সেসময় তুরস্কের অভিযোগ ছিল, তাদের বিমান গাজায় মানবিক ত্রাণ দিতে গিয়েছিল। ইসরায়েল তা করতে দেয়নি। তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে তুরস্ক। এর্দোয়ান তো ইসরায়েলকে 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' পর্যন্ত বলেছেন।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।’

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দু’টির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরাইলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরাইলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিল।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দু’বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায়।

এরদোগান গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, ‘হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা হিটলার যা করেছিল তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’

জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এরদোগান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সঙ্ঘটিত করেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন।’

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে ১১ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিল এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে বন্দর নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েক দিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

ভাসমান ওই বন্দরে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল।

যদিও জাতিসঙ্ঘ বলেন, সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরাইল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে।

তবে জর্ডান বলেছে, তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বলেন, এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরাইল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসঙ্ঘের বিরুদ্ধে।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তাতে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং তারা আরো ২৫৩ জনকে পণবন্দী করেছিল।

মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে সবশেষ আসা প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

খবর অনুযায়ী, এবারের প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দী ও ফিলিস্তিনি কিছু বন্দী মুক্তি পাবে। সূত্র : বিবিসি

বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।

এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।

প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন।

এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত
সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ
সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০