বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা

আসিফ আহমেদ ঘুমাতে পারছেন না। তিনি কিছুতেই দুই চোখের পাতা এক করতে পারছে না। অফিসের চিন্তায় তার মাথা খারাপ অবস্থা। লোক ছাঁটাইয়ের চাপ তিনি আর নিতে পারছেন না। তার কেবলই মনে হয় কাজটা অমানবিক। এতোগুলো কর্মীকে বিদায় করে তিনি ঠ্যাং দুলিয়ে অফিস করবেন তা তার পক্ষে সম্ভব না।

অন্যের পেটে লাথি দেওয়া তার স্বভাব না। অমানবিক কাজ তাকে দিয়ে হবে না। তিনি মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। কিন্তু কারো চাকরি খেয়েছেন তার কোনো নজির নেই। কেউ কোনো ভুল করলে, কিংবা ঠিকমতো অ্যাসাইনমেন্ট না করলে বকাবাজি করেন। রাগ করেন। কখনো কখনো কথা বলা বন্ধ রাখেন। কেউ বড় কোনো অন্যায় করলে তাকে শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা বড়জোর কয়েকদিনের বেতন কেটেছেন। সেটাও যে অহরহ ঘটেছে তা নয়। কেবলমাত্র নৈতিক স্খলন ছাড়া কাউকে চাকরিচ্যুত করেননি। অথচ সেই মানুষটাকেই ছাঁটাই করতে বলা হচ্ছে। কমপক্ষে একশ’ লোককে ছাঁটাই করতে হবে। তিনি নিজের অজান্তেই বলে ওঠেন, না না! এটা কী করে সম্ভব!

আসিফ আহমেদের অবস্থা দেখে তার স্ত্রী মুনমুন আহমেদ বললেন, কি হয়েছে আসিফ? ঘুম আসছে না? কেন, কি হয়েছে? তোমার তো এমন হয় না!
আসিফ শুকনো গলায় বললেন, অফিস নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
মুনমুন আহমেদ বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কেন কী হয়েছে?
সংবাদ-কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ব্যাপকভাবে চাপ দিচ্ছে।
এই সময় ছাঁটাই! এটা কেমন ধরনের কথা! এখন তো মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়! এ সময় কি কেউ চাকরিচ্যুত করে?
তাহলে বলো, এটা কি মানা যায়?
না না! তুমি এ কাজ কোরো না। যা হয় হবে। এটা করতে গেলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগবে। সেটা আরো বেশি খারাপ হবে।

আসিফ আহমেদ ধরা গলায় বললেন, সকালেই আমাকে তালিকা নিয়ে যেতে বলেছে। তালিকা দিতে হবে। আর ছাঁটাইয়ে রাজি না হলে পদত্যাগপত্র দিতে হবে। এ ছাড়া আর কি করব?
সেটাই ভালো। তুমি পদত্যাগ করো। শুধু শুধু মানসিক চাপ নেওয়ার কোনো দরকার নেই। মুনমুন আহমেদ বললেন।
ধন্যবাদ মুনমুন। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি তোমার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। তুমি চিন্তা করো, এই মানুষগুলো দশ বছর প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। এখন একটা বিপদ এসেছে। প্রাকৃতিক বিপদ। এর জন্য কেউ দায়ী নয়। অথচ এর জন্য কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে। এটা কী ধরনের আচরণ?
শোন, আমি তো তোমাকে চিনি। ছাঁটাই করে তুমি একদিনও অফিস করতে পারবে না। আর তোমার তো দীর্ঘ ক্যারিয়ার পড়ে আছে। তোমাকে চাকরি করেই যেতে হবে। সারাজীবন মানুষের কথা শুনতে হবে। সবাই বলবে, আপনি এতো এতো লোককে ছাঁটাই করেছেন নিজের চাকরি টেকাবার জন্য। আর যদি ছাঁটাই না করে নিজে পদত্যাগ করে চলে আসো তাহলে আর কেউ বদনাম রটাতে পারবে না।
ঠিক বলেছ। আমি নিজের জন্য আসলে কখনো ভাবিনি। সব সময় আমি কর্মীদের কথা ভেবেছি। তাদের সুযোগ-সুবিধা, পদোন্নতির কথা ভেবেছি। তুমি দেখ, বিগত আট বছরে আমার এক টাকাও বেতন বাড়েনি। অথচ পাঁচ বছর আগে একটা ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছি। এরমধ্যে আরেকটি ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়নের নামও নেইনি। অথচ কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এতোগুলো মানুষের অভিশাপ নিয়ে আমি অফিস করব!
বুঝতে পারছি। তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। আমার চাকরি তো আছে! আশা করি অসুবিধা হবে না। তুমি এখন ঘুমাও।
ধন্যবাদ মুনমুন। এখন সত্যিই আমার ঘুম আসবে। আমি ঘুমাবো। নিশ্চিন্তে ঘুমাবো।

মুনমুন আসিফ আহমেদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। চুলের ভেতরে আঙুল ঢুকিয়ে বিলি কেটে দেন। এক পর্যায়ে মুনমুন তাকে জড়িয়ে ধরে। ফিসফিস করে বলেন, শান্ত হও। শান্ত হয়ে ঘুমাও। তা না হলে শরীর খারাপ করবে। মাথা থেকে চিন্তা ঝেড়ে ফেলো। সময়টা পার হোক। নিশ্চয়ই আরো ভালো কিছু তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। তোমার মন যে কাজটি করতে সায় দিচ্ছে না, সেই কাজ তুমি কেন করবে? আমি তোমায় কথা দিচ্ছি, সংসার নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। আমি যা আয় করি তা দিয়ে খুব ভালোভাবেই আমাদের চলে যাবে।

আসিফ আহমেদ মুনমুনকে আবারও ধন্যবাদ জানালেন। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতাও। এ রকম একটা জটিল সময়ে মুনমুনের এই সাপোর্ট তার দরকার ছিল। মুনমুন ঠিকই ওর মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছে। এটাই তার সবচেয়ে ভালোলাগার একটা ব্যাপার। স্ত্রীকে স্বামীর সুবিধা-অসুবিধা বুঝতে হয়। স্বামীর সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো উপলব্ধি করতে হয়। একইভাবে স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধা কিংবা সীমাবদ্ধতা বুঝতে হয় স্বামীকে। তাহলেই একটা সুন্দর সংসার গড়ে ওঠে।

মুনমুনের সাপোর্টে আসিফ যে কতটা মানসিক শক্তি পেয়েছেন তা তিনি আজ টের পাচ্ছেন। তার মনোবল অনেকগুণ বেড়ে গেছে। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ছাঁটাই করবেন না। তিনি পদত্যাগই করবেন। স্ত্রীকে বলে দিয়েছেন কাল যদি আবার ছাঁটাইয়ের প্রসঙ্গ তোলে তাহলে তিনি বলবেন, আমার পক্ষে ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। বার বার মনের মধ্যে এটাই তিনি রপ্ত করছেন। আগে নিজের সঙ্গে নিজে অনেক বোঝাপড়া করেছেন। অনেক হিসাব নিকাশ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। মুনমুনও তাকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন। শুধু পরামর্শই দেননি। তিনি পুরো সংসারের ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন। যতদিন আসিফের সুসময় না আসবে ততদিন সেই সংসার চালাবেন। এ নিয়ে আসিফের চিন্তা করতে হবে না। এর চেয়ে বড় স্বস্তির কথা আর কী হতে পারে!

অফিসের কথা ভাবতে ভাবতেই আসিফ ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মোবাইলে এলার্ম বাজার শব্দ পেয়ে তিনি ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। সকাল তখন আটটা। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চা করে গোসলে যান। এরমধ্যে মুনমুনও ঘুম থেকে ওঠেন। গোসল সেরে তিনি নাশতা রেডি করেন। একসঙ্গে নাশতা খান। চা খেতে খেতে আবারও মুনমুন আসিফকে বললেন, চিন্তা করবে না। একদম চিন্তা করবে না। কোনো রকম মাথা গরম করবে না। ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করবে। তোমার এমডি তো আজই যেতে বলেছে?
আসিফ আহমেদ মাথা ঝাঁকিয়ে জবাব দিলেন।
মুনমুন আবারও বললেন, অফিসে যাও। যদি যাকে তুমি সরাসরিই বলবে, তুমি ছাঁটাই করবে না। তুমিই পদত্যাগ করবে। আর তোমার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখ। আসার সময় সেগুলো নিয়ে এসো। গতকাল ব্যাগে করে কি এনেছিলে?
আমার ব্যক্তগত কিছু কাগজপত্র।
হুম। তার মানে তোমার মানসিক প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল?
হুম।
চলো তাহলে বের হই।
হুম। চলো।
আসিফ আহমেদ ও মুনমুন একসঙ্গে অফিসের উদ্দেশে বের হলেন।

আসিফ আহমেদ এগারো বছর আগে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা প্রথম আলো ছেড়ে নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন। আসিফের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তখন আপত্তি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ছেড়ে কেন তিনি অনিশ্চিত একটা জায়গায় যাচ্ছেন? নতুন পত্রিকা যদি না দাঁড়ায়! যদি শুরুতেই হোঁচট খায়! তাহলে তো ক্যারিয়ারটাই শেষ!

আসিফ কারো কথায় কান দেননি। কারো পরামর্শই তিনি শোনেননি। তার নিজের কাছেই মনে হয়েছে ক্যারিয়ারের স্বার্থেই তাকে নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নতুন জায়গায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু যোগ দিয়েই তিনি একটা গোলকধাঁধাঁয় পড়ে গেলেন। শুরুর সেই সময়গুলোর কথা আজ মনে পড়ছে তার। কত ঝড়-ঝাপটা যে তাকে সইতে হয়েছে। কত রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে তাকে। নানামুখি ষড়যন্ত্র। কাজ জানা লোকদের এই হলো সমস্যা। অকাজের লোকরা সব সময়ই তাদের ঈর্ষা করে। সবাই মিলে তাদের টেনে-হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করে। কথায় বলে না, সব শেয়ালের এক রা। সেটাই আজ পদে পদে প্রত্যক্ষ করছেন তিনি। তিনি জানেন, তাকে ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তাই করেছিলেন তিনি।

আসিফ এমন এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন যা তিনি কখনো কল্পনাও করেননি। তার কাছে মনে হয়েছে, জায়গা বড় আজব। এখানে বেশিদিন থাকলে তার ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যাবেন বলে মনস্থির করেন। অন্যত্র যোগ দেওয়ার কথা ভাবেন। তিনি তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলেছেনও সে কথা। শুভাকাঙ্ক্ষীরাও তার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। তিনিও তখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকার মতো পড়ে ছিলেন। কখনো কখনো চোখের পানি ফেলেছেন। কত ধৈর্য ধরবেন? ধৈর্যেরও তো একটা সীমা আছে! সেই কঠিন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করে। আসিফও মনকে বোঝান, দেখলে তো সবুরে মেওয়া ফলে! ঘুরেফিরে সেই তো তোমার কাছেই দায়িত্ব এলো! কাজ করে যাও। তুমি জানো, তোমার চারপাশে শত্রু। তারা সর্বত্র কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে। তোমাকে খুব সাবধানে, দেখেশুনে পদ চলতে হবে।

আসিফ সব সময় একটা ভরসাই করেছেন যে, তার ওপর মা বাবার দোয়া আছে। কাজেই কেউ তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সব রকম চেষ্টা করেও আসিফকে তার অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি। কিন্তু আজকে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে সেটা তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? এটা একটা নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন, মানবিকতার প্রশ্ন। মনুষ্যত্বের প্রশ্ন। নিজের নীতি-নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি সম্পাদকের পদ আকড়ে থাকবেন? এতোদিন তিনি প্রতিষ্ঠানের একটি বটবৃক্ষের মতো ছিল। সবাইকে তিনি ছায়া দিয়ে রেখেছেন। সেই ছায়াটা না দিতে পারলে তার থাকার কী মূল্য! তা ছাড়া মিডিয়াতে আসিফের একটা সুনাম আছে। সাংবাদিক-কর্মীবান্ধব সম্পাদক, আপাদমস্তক পেশাদার সম্পাদক বলে সবাই মনে করে। সেই ভাবমূর্তি মুহূর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশে যাবে। সবাই ছি ছি করবে। সম্পাদক হিসেবে যতটুকু সুনাম অর্জন করেছিলেন তার চেয়ে দুর্নাম হবে অনেক বেশি। ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত পর্বে এসে আপোস করবেন? একটা অশুভ, অসুর শক্তির সঙ্গে আপোস করবেন! যদিও সময়টা খুব খারাপ। চাকরি ছাড়ার জন্য তো আরো খারাপ! যে সময় মানুষ ছাঁটাই হচ্ছে সে সময় চাকরি ছাড়বেন!

আসিফ বারবার নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। নিজের মনকে বারবার প্রশ্ন করেছেন যে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কি না! একবার নয়, দুইবার নয়। তিনি বারবার ভেবেছেন। শেষমেষ তিনি স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, পদত্যাগই তার একমাত্র সমাধান। এর বিকল্প হচ্ছে ছাঁটাই। জীবনের মধ্য গগনে এসে ছাঁটাই করে তিনি কলঙ্কের বোঝা নিজের মাথায় নেবেন না।
অতঃপর আসিফ অফিসে বসে চেয়ারম্যান বরাবর একটি পদত্যাগপত্র লিখলেন।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

Header Ad

আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

ফাইল ছবি

ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা কমানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) এলপিজির নতুন এ দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত এপ্রিল মাসে কমেছিল এলপি গ্যাসের দাম। মার্চ মাসের তুলনায় ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয় ৩ এপ্রিল। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটারে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর গত এপ্রিল মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করে সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে মূসকসহ লিটারপ্রতি অটোগ্যাসের দাম নির্ধারিত হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, মে মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৫৮০ মার্কিন ডলার ও ৫৮৫ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৫৮৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার বিবেচনায় মে মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হলো।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। তিনি খালেদা জিয়ার অসংখ্য মামলা লড়েছেন।

আগেই মিষ্টি কিনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে

রিঙ্কু সিং ও তার বাবা খানচন্দ্র সিং। ছবি: সংগৃহীত

গত আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। দেশের জার্সিতে নিজেকে প্রমাণও করেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। এর ফলে সকলের মনেই আশা জন্মায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিমানে উঠবেন এই তরুণ ক্রিকেটার। কিন্তু সেই আশা আর বাস্তব হলো না।

কিন্তু সবাইকে হতাশ করলেন ভারতীয় নির্বাচকরা। ১৫ সদস্যে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রিঙ্কুর। অথচ তার বাবা কিনে রেখেছিলেন মিষ্টি!

রিঙ্কু সিং। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছেলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবে সেটা ভেবেই বাজারে গিয়ে মিষ্টি আর আতশবাজি কিনে এনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা খানচন্দ্র সিং। বিশ্বকাপ দল দল ঘোষণা হলেই উদযাপন করা যাবে, মিষ্টিমুখ করানো হবে সবাইকে। কিন্তু দল ঘোষণার পর হতাশই হতে হয়েছে রিঙ্কুর বাবাকে।

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খানচন্দ্র বলেন, আশা তো অনেক ছিল। মনটা খারাপও হয়ে গেছে কিছুটা। মিষ্টি এবং বাজি কিনে এনে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম যে বিশ্বকাপের দলে ও একাদশে রিঙ্কু থাকবে। তারপরও আমরা আনন্দিত।

রিঙ্কু সিং ও তার বাবা খানচন্দ্র সিং। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, রিঙ্কুর মন খারাপ। সেটা ওর মাকে বলেছে। ওরও মন ভেঙে গেছে। ওর মাকে বলছিল যে প্রথম একাদশে বা ১৫ জনের দলে আমার নাম নেই, তবে আমি আমেরিকায় যাব (রিজার্ভ খেলোয়াড়)।

তবে ছেলেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খানচন্দ্র সিং। তার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে ভালো করার সুযোগ পাবেন ছেলে, আমি তো এটাই চাই যে সে যেন ভারতের হয়ে আগামীতে খেলে সফল হয়। ছেলের জন্য আমি পরিচিতি পেয়েছি। সবাই এখন আমাকে ওর জন্যই চেনে। রিঙ্কু আমার নাম উজ্জ্বল করেছে।

বাবা-মা’র সাথে রিঙ্কু সিং। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রিঙ্কু। তাতে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে ১১ ইনিংসে। ১১ ইনিংসে ৮৯ গড়ে এই বাঁহাতি রান করেছেন ৩৫৬। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৩। ফিফটি রয়েছে ২টি। এমন একজনের দলে না থাকা ফিনিশিংয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলে কিনা সেটাই এখন দেখার।

এক নজরে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশাভ পন্ত, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

ট্রাভেলিং: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
আগেই মিষ্টি কিনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল কলম্বিয়া
শনিবার থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, রোববার প্রাথমিক
মামলা হলে মিল্টনের স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হবে: ডিবিপ্রধান
সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দল ঘোষণা, নেই স্মিথ-ম্যাকগার্ক
এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস
‘আওয়ামী লীগ কোনো ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি’
যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে নতুন প্রস্তাব পাকিস্তানের
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে সাকিব, বিচার দিলেন জায়েদ খান
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরায়েলপন্থীদের হামলা
হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ আজ
সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে আ.লীগ নেতার ফেসবুকে স্ট্যাটাস