মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ, কপ-২৬ পরবর্তী প্রসঙ্গে একটি মূল্যায়ন

গত বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ বিশেষ কারণেই অন্য যেকোনো বারের কপ সম্মেলন থেকে আলাদা। জলবায়ু পরিবর্তনে এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহল প্রতিশ্রুতির চেয়ে সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। তারা বুঝাতে চেয়েছেন তর্কবিতর্ক অথবা শুধুমাত্র ডায়লগ কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত না হলে এই সম্মেলন ব্যর্থতায় পরিণত হবে।

পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর প্রতিনিধিদের কাছ থেকেও আমরা শুনেছি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতোমধ্যেই কিভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং কিভাবে তাদের জীবন ও জীবিকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে যে প্রশ্নটি সর্ব মহলে উত্থাপিত হচ্ছে, বিস্ময়ের সঙ্গে যে প্রশ্নটি আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে তা হল, কপ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের প্রতিশ্রুতির পরিবর্তে সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করার ঐক্যমত, বিশ্বজুড়ে আলোচিত জলবায়ু পরিবর্তন ও দক্ষিণ মেরুর এমন পরিস্থিতি দেখেও ‘আমরা তাহলে কী করছি?’

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি এর সর্বশেষ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কপ-২৬ এ অভিযোজন এবং এর অর্থায়নের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সুনির্দিষ্ট একটি কমিটি প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়ে রিপোর্ট করবে এবং ২০২৪ সালে আবারও আলোচনা হবে।

কপ-২৬ জলবায়ুর দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতির সাক্ষী হয়ে থাকবে। যার পরিমাণ প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেইসঙ্গে আরও ২৩২ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতিও থাকছে। আর এই তহবিল গঠিত হবে সব উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের নিজস্ব অর্থায়নে।

বাংলাদেশের জন্য গত বছরের কপ-২৬ সম্মেলন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বলেছে যে, যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে সেসব রাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সেই সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পক্ষে বার্ষিক ১.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুত তহবিল গঠনের জন্য এবং এর অর্ধেক অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বরাদ্দ করার বিষয়ে উন্নত দেশগুলোকে আহ্বান জানায়। সিভিএফ এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রমাগত উন্নত দেশগুলোকে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি প্রদানের মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করছে।

এ ছাড়াও ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব ভাগাভাগি করার বিষয়েও বাংলাদেশ গ্লোবাল ফোরামে গুরুতারোপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সক্রিয় দেশ হয়ে উঠেছে।

বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ০.৩৫ শতাংশেরও কম অংশ বাংলাদেশের, তবুও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।

কপ-২৬ বাংলাদেশের এবং এখানকার শিশুদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার সেরা সুযোগ। হয়ত সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই চূড়ান্ত সুযোগ। যেহেতু পুরো পৃথিবী কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ভালোভাবে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তাই এবার আমাদের সবাইকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার এই ঐতিহাসিক সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে।

এই সমস্যা থেকে উত্তরণ করতে চাইলে বা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইলে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। শুধুমাত্র ক্ষতি সাধন করে এমন বিষয় নয়, যা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারে তা নিয়েও ভাবতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ বা বিসিসিএসএপি এর উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু মোকাবিলার বিষয়টি জোরদার করেছে। সিসিএসএপি বিশেষভাবে ছয়টি কৌশলগত ক্ষেত্র নির্ধারণ করে কাজ করছে। সেগুলো হলো— খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাপক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, প্রশমন এবং কম কার্বন নিঃসরণ। এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ৪৪টি প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

বাংলাদেশ এমন একটি মধ্যপন্থী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে, যার মূল বিষয় হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। সে হিসেবে সবার বিশেষ করে জাতিসংঘে ব্যাপক নির্ভর করে। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিক ভাষার সর্বোত্তম ব্যবহার করে বাংলাদেশ লক্ষণীয় প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। বাংলাদেশের উচিত ‘সমান পরামর্শ, পারস্পরিক সুবিধা এবং অভিন্ন উন্নয়নের ভিত্তিতে এই বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করা। বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

২০১৮ এর ১৪ মে মন্ত্রিসভা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রালয়’ হিসেবে ঘোষণা করে। এটি ছিল লক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিক অধিভুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা লক্ষণীয়।

উন্নত দেশগুলোকে ওয়াদাকৃত এক বিলিয়ন ডলারের তহবিল স্থাপনে রাজি করার জন্য বাংলাদেশের উচিত অবিরামভাবে অ্যাডভোকেসি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সিভিএ এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশকে অতীতের মতো একই বার্তা উন্নত দেশগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে পরিচ্ছন্ন ও সবুজায়ন প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিতে হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশকে অবশ্যই সমর্থন দিয়েই যেতে হবে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার, অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ

আরএ/

‘পদ্মশ্রী’ পদক পেলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ফাইল ছবি

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অধ্যাপক (ড.) রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শিল্পকলায় পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন দক্ষ পেশাদার সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্রসংগীতের একজন নিবেদিত অনুশীলনকারী। তিনি মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ‘বৈষ্ণব জান তো’ গেয়েছিলেন।

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ভারতরত্ন। তারপরই রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে পুরস্কারগুলো।

এ বছর দেশটির সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।

সংগীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ভারতে বঙ্গভূষণ সহ বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

ছবি: ফোকাস বাংলা

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

৫ চুক্তির মধ্যে রয়েছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

৫ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরে দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা স্বাক্ষর করেন।

এর আগে এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির। পরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

তার আগে এদিন সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল হতে পারে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভা শেষে এই ঘোষণা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় এই কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সভার আলোচ্যসূচিতে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিলের বিষয়টি রাখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে, আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার নির্বাচন আগামী ২৯ মে হবে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান রেখে নতুন বিধিমালা করেছে ইসি। সেই অনুযায়ী প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ এপ্রিল।

সর্বশেষ সংবাদ

‘পদ্মশ্রী’ পদক পেলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে মঙ্গলবার
বুড়িচং সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি
তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টায় ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত
এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
ঢাকাসহ ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া !
কাতারের আমিরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ
‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস পেলেন বনি আমিন ও সবুজ মাহমুদ সহ ১৫ সাংবাদিক
রাজধানীতে হিট স্ট্রোকে রিকশা চালকের মৃত্যু
আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করছে সরকার: ভূমিমন্ত্রী
সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
হিট স্ট্রোক হলে করণীয় কী?
ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম
বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত দুদকের