
জি-২০ দেশসমূহের পর্যটন ভাবনা
২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:৫০ এএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৪ এএম

ভারতের গুজরাটে গত ৭-১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের আগে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ‘জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য গ্রামীণ পর্যটন’ থিমকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞগণ গ্রামীণ পর্যটনের মাধ্যমে সেরা অনুশীলন, সাফল্যের সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো তুলে আনার প্রতি তাগিদ দেন। গ্রামের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নে ইতিবাচক এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে পর্যটন কার্যক্রম কর্মসংস্থান সৃষ্টির ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম বলে তারা মত দেন।
উল্লেখ্য যে, জি-২০ গ্রুপে রয়েছে মোট ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরা হলো দেশ হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়ান ফেডারেশন, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জি-২০ পর্যটন খাতে পাঁচটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে, যা পর্যটন খাতের রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার জন্য মূল সাংগঠনিক অবয়ব তৈরি করবে এবং ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর লক্ষ্য অর্জন করবে। পাঁচটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র নিম্নরূপ:
ক. সবুজ পর্যটন অর্থাৎ টেকসই, দায়িত্বশীল ও পর্যটন খাতের স্থিতিস্থাপকতার জন্য এই খাতের সবুজায়ন।
খ. ডিজিটালাইজেশন অর্থাৎ পর্যটন খাতে প্রতিযোগিতামূলকতা, অন্তর্ভুক্তি ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য ডিজিটালাইজেশনের শক্তিকে কাজে লাগানো।
গ. দক্ষতা অর্থাৎ পর্যটন খাতে চাকরি ও উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে যুবকদের ক্ষমতায়ন।
ঘ. পর্যটন এসএমই অর্থাৎ পর্যটন খাতে উদ্ভাবন এবং গতিশীলতা ধরে রাখতে পর্যটন এসএমই, স্টার্টআপস ও বেসরকারি খাতকে লালন করা।
ঙ. গন্তব্য ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ এসডিজি বাস্তবায়নকল্পে গন্তব্যের কৌশলগত ব্যবস্থাপনাকে পুনর্বিবেচনা করা।
গ্রামীণ পর্যটনের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক পরিবর্তন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্প্রদায় উন্নয়নকে উদ্দীপিত করার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ ছাড়া এরা গ্রামীণ পর্যটন ও প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রামীণ পর্যটন মূল্যবোধ ও গ্রামগুলোকে তাদের সংশ্লিষ্ট ল্যান্ডস্কেপ, জ্ঞান ব্যবস্থা, জৈবিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, স্থানীয় মূল্যবোধ এবং কার্যকলাপ যেমন কৃষি, বনজ, পশুসম্পদ এবং মৎস্যসম্পদ, তাদের গ্যাস্ট্রোনমি সুরক্ষা করতে পারে। অন্য ফোকাস এলাকা হিসেবে রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহ। এইসবে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন রয়েছে, যা সারা বিশ্বে প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেয়। পর্যটকদের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পর্যটনকে বাহন ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রয়াস প্রত্নগন্তব্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম করতে পারে।
মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা।
এসএন

সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০০ পিএম

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।
একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।
তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।

জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০০ পিএম

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।
৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।
অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।
মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০০ পিএম

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উকিল আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাও ছিলেন।