রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৮ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম


রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে ।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি আসতে পারে বলে সরকার আশা করে, দুদিন আগেই এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। সেই প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি দলের মুখপাত্র নই। আমি আশা করি। আমার দল আশা করে এমনটা বলিনি।

কীসের ভিত্তিতে এমন আশার কথা বলেছেন- এ প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এ কারণে তাদের যে কোনো কথা কিংবা আবেদন, বিদেশিদের কাছে আকুতি-মিনতি একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এটা সর্বজনীন সত্য।

তিনি বলেন, তফসিল অনুসারে ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কাজেই সেদিন পর্যন্ত নির্বাচনে আসাটা সবার জন্য উন্মুক্ত। সরে যাওয়ার সুযোগও আছে।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি গ্রীষ্মে লন্ডন সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিবের বৈঠক হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠালে স্বাগত জানানো হবে। কমনওয়েলথ সেক্রেটারির কার্যালয়ের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইন নিয়ে কাজ করা বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলদেশে অবস্থান করছেন। তারা নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা (প্রতিনিধিদল) তাদের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেছেন। তারা বলেছেন, অন্যান্য মিশনের মতো এটিও একটি অগ্রবর্তী মিশন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ফিরে গিয়ে প্রতিবেদন দেবেন। সময় যে খুবই সংক্ষিপ্ত, সে বিষয়ে তারা ওয়াকিবহাল। শেষ মুহূর্তে আসায় দ্রুতই প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন তারা (পর্যবেক্ষক দল) আসবেন কি আসবেন না, কমনওয়েলথের কর্তাব্যক্তিরা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি, তারা আসবেন। আমরা তাদের লজিস্টিক প্রটোকলের সাপোর্টের বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। তারা আমাদের প্রটোকল বিভাগের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। নির্বাচন নিয়ে আমরা একটি অস্থায়ী অনুবিভাগ তৈরি করেছি। সেই দপ্তরের ডিজির সঙ্গেও প্রতিনিধিদলটির বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

শাহরিয়ার আলম জানান, শুধু নির্বাচনই নয়, জলবায়ু, নারীর ক্ষমতায়ন, অভিবাসনসহ আরও অনেক বিষয়ে তাদের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয় আছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবো।

নির্বাচনকেন্দ্রিক বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিধিদল কিছু বলেছেন কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নির্বাচনকালীন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থাকে, সেটা তারা জানেন। তারা এ বিষয়ে ওয়াকিফহাল। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে তারা আলোচনা করেছেন। তারা এ বিষয়ে জানেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিরা নিজেদের কোনো প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, না, এমন কিছু তারা বলেননি।

তিনি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে কোনো একটি বিশেষ দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক না। তবে সবার অংশগ্রহণ নির্বাচনের সৌন্দর্য বাড়ায়। আবার একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাদের দিয়ে শুধু শোভাবর্ধনের জন্য লোক দেখানোর প্রয়োজন নেই। এটা বাধ্যতামূলক কিছু না।


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ এএম


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে বিতর্কিত ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনান্সের প্রচারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এই বিনিয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা করেন তিন ভুক্তভোগী।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিজিটাল বাণিজ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা বাদীরা বলেছেন– রোনালদো অস্বীকৃত ‘বিনান্স’ প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, বিনিয়োগ কিংবা কাজে সহায়তা করেছেন। এই ফুটবল তারকার প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন বলে জানিয়েছেন তারা। যার ফলে তারা নাকি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন!

সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ বলছে, পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মামলার বাদী হয়েছেন মিখায়েল সিজমোর, মিকি ভোংদারা এবং গর্ডন লুইস। তারা সবাই বিনান্সে বিনোয়াগ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে রোনালদো তার নিজস্ব এনএফটির (নন ফাঞ্জিবল টোকেনস বা একধরনের ডিজিটাল সম্পত্তি) প্রচারণা চালাতে বিনান্সের সঙ্গে চুক্তি করেন।

একইসঙ্গে বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জানানোয় বাদীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বিনান্সের অনিবন্ধিত ক্রিপ্টো সিকিউরিটিজের বিক্রি সম্পর্কে রোনালদো জানতেন অথবা তার জানানো উচিৎ ছিল। কেননা বিনিয়োগে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৮৫ কোটির মতো অনুসারীও আছে তারকা ফুটবলালের। কিন্তু বাইরে থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ থাকার পরও রোনালদো তার অনুসারীদের বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচারণায় তারকাদের পেমেন্ট গ্রহণের তথ্য প্রকাশের জন্য সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটিও মানেননি তিনি।

রোনালদোর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রোনালদোর বড় অঙ্কের অনলাইন অনুসারীও নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। বাদীরা বলছেন, এনএফটি বিনিয়োগের মাধ্যমে অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিষ্ঠানটি সফল হয়েছে, কেবল এক সপ্তাহেই বিনান্সকে অনলাইনে খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে অন্তত ৫০০ গুন।

 


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৪ এএম


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০ টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবো। বাকি ২০ জনের নাম রাতের মধ্যেই আমরা ফাইনাল করবো। আমাদের ৫০০ টির বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এখনও যে কেউ চাইলে মনোনয়ন কিনতে পারেন।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কোনও কোনও আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি যাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখে পরবর্তীতে ফাইনাল করবো।"

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, "প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবারের লোকজন, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। যারা সমাজের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।"

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ এএম


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও শফিকুল ইসলাম শফিক। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম। তবে এই আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন শফিক।

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, দলীয়ভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শফিক বলেন, সিংড়ার জনগণের ভালোবাসায় একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সিংড়ার জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি এবার বঞ্চিত মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।

প্রসঙ্গত, শফিকুল ইসলাম শফিক সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ১৯৯৬ সালে সিংড়া সরকারি গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮ সালে একই কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিক।

অনুসরণ করুন