শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শীতকালের ইবাদাত ও আমলের বিধিবিধান

প্রাকৃতিক বৈচিত্র আল্লাহর দান। শীতকাল প্রকৃতির বিশেষ নেয়ামত। শীতকালের জন্য রয়েছে বেশ কিছু স্বতন্ত্র বিধিবিধান। আল্লাহ তায়ালা বলেন: 'আল্লাহ দিন ও রাতের আবর্তন ঘটান, নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে।' (সূরা-২৪ নূর, আয়াত: ৪৪)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: 'আর তিনি দিবা-রাত্রিকে পরস্পরের অনুগামী করেছেন, যে উপদেশ গ্রহণ করতে চায় অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায় তার জন্য।' (সূরা-২৫ ফুরকান, আয়াত: ৬২)। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘শীতকাল হলো ইবাদাতকারীদের জন্য গনীমতস্বরূপ।’ শীত তো এমন গনীমত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ), যা কোনো রক্তপাত কিংবা চেষ্টা ও কষ্ট ছাড়াই অর্জিত হয়। সবাই কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এ গনীমত স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাভ করে এবং কোনো প্রচেষ্টা বা পরিশ্রম ব্যতীরেকে তা ভোগ করে।

শীলকাল নফল রোজা রাখর জন্য সুবর্ণকাল। কাজা রোজা বাকি থাকলে তা আদায় করার জন্যও শীতের দিন অতি উপযোগী। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স.) বলেন, ‘শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ)। বায়হাকীর বর্ণনায় রয়েছে, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ শীতকাল এলে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন- ‘হে শীতকাল! তোমাকে স্বাগতম! শীতকালে বরকত নাজিল হয়; শীতকালে রাত দীর্ঘ হওয়ায় নামাজ আদায় করা যায় এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখা যায়।’ হাসান বসরি (রহ.) বলেন- ‘শীতকাল মুমিনের জন্য কতই না উত্তম! রাত দীর্ঘ হওয়ায় নামাজ পড়া যায় এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখা যায়।’

আমের ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (স.) বলেছেন, ‘শীতল গনীমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।’ (তিরমিজি: ৭৯৫)। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) এর মৃত্যুর সময় তাকে তার ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন- ‘আমি মৃত্যুর ভয়ে কাঁদছি না; বরং (রোজার কারণে) গ্রীষ্মের দুপুরের তৃষ্ণা, শীতের রাতের নফল নামাজ এবং ইলমের আসরগুলোতে হাজির হয়ে আলেমদের সোহবত হারানোর জন্য আমি কাঁদছি।’

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন- ‘আমি কি তোমাদের শীতল গনীমত কি সেটা বলে দেব না?’ সাহাবীগণ বললেন অবশ্যই। তিনি বললেন, ‘সেটা হচ্ছে, শীতকালে দিনে রোজা রাখা ও রাতে নামাজ পড়া।’ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, ‘নবী কারীম (স.) বলেছেন, যদি কোনো তীব্র ঠান্ডার দিন আল্লাহর কোনো বান্দা বলে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই), আজকের দিনটি কতই না শীতল! হে আল্লাহ! জাহান্নামের জামহারি থেকে আমাকে মুক্তি দিন।’ তখন আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন- নিশ্চয়ই আমার এক বান্দা আমার কাছে তোমার জামহারি থেকে আশ্রয় চেয়েছে। আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাকে আশ্রয় দিলাম। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন- জামহারি কী? নবীজি (স.) বললেন, জামহারি এমন একটি ঘর যাতে অবিশ্বাসী অকৃতজ্ঞদের নিক্ষেপ করা হবে এবং এর ভিতরে তীব্র ঠান্ডার কারণে তারা বিবর্ণ হয়ে যাবে। (আমালুল ইয়াওম ওয়াল লাইল: ৩০৬)।

শীতকালে সঠিকভাবে অজু করা, অজুর অঙ্গ ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা; প্রতিটি অঙ্গের যতটুকু স্থানে পানি পৌঁছানো দরকার ততটুকু স্থানে পানি পৌঁছানো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আমল। রসূলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তিনটি আমল পাপমোচন করে, ‘সঙ্কটকালীন দান, গ্রীষ্মের রোজা ও শীতের অজু।’ (আদ দোয়া লিত তাবরানী: ১৪১৪)। রসূলে আকরাম (স.) আরও বলেছেন, আমি কি তোমাদের জানাব না? কিসে তোমাদের পাপমোচন করবে! এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবে! সাহাবায়ে কিরাম বললেন- অবশ্যই! হে আল্লাহর রসূল (স.)! তিনি বললেন, ‘শীতের কষ্ট সত্ত্বেও ঠিকভাবে অজু করা।’ (মুসলিম: ২৫১; তাফসীরে কুরতুবী)।
অজুর ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার উপর মাসেহ করার বিধানও রয়েছে। ‘মুসাফির’ (ভ্রমণরত) ব্যক্তি তিন দিন তিন রাত (৭২ ঘণ্টা) পর্যন্ত মাসেহ করে যেতে পারবেন এবং ‘মুকীম’ (সবাসে অবস্থানরত) ব্যক্তি এক দিন এক রাত (২৪ ঘণ্টা) মাসেহ করতে পারবেন। এ সময়সীমার পর অজুর প্রয়োজন হলে মোজা খুলে পা ধুয়ে অজু করতে হবে। অধিকাংশ মুজতাহিদ ফকীহ শুধু চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ করাই অনুমোদন করেন। হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূল (স.) কাপড়ের মোজা (জাওরাবাঈন) এবং জুতার উপরও মাসেহ করেছেন। (তিরমিজি: ৯৯; আবু দাউদ: ১৫৯)। এ হাদীসের ভিত্তিতে অন্যান্য মুজতাহিদ ফকীহগণ কাপড়ের মোজা ও পুরো পায়ের পাতা আবৃতকারী জুতার উপর মাসেহ করা অনুমোদন করেন।
প্রচন্ড শীতে কষ্ট হলে গরম পানি দিয়ে অজু করাতে কোনো বাধা নেই। অজুর পর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মুছে ফেলাতেও সমস্যা নেই। শীতের তীব্রতা যদি কারও সহ্যের বাইরে চলে যায়, পানি গরম করে ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে এবং ঠান্ডা পানি ব্যবহারে শারীরিকভাবে ক্ষতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তিনি অজু বা গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে পারেন। (বায়হাকি, খন্ড: ১, হাদীস: ২২৬)।

শীতকালে গরম পোশাক পরিধান করা সুন্নাত। ওমর (রা.) তার শাসনামলে শীতের আগমন লগ্নে লিখতেন- ‘শীত কিন্তু এসে গেল, এ তোমাদের দেহের শত্রু। অতএব এর প্রতিরোধে পশমী বস্ত্র, মোজা, হাতমোজা ইত্যাদির প্রস্তুতি নাও। আর পশম দিয়ে গায়ের চামড়ায় এবং শরীরের পোশাকে শীতের আক্রমণ ঠেকাও। কারণ শীত খুব দ্রুত প্রবেশ করে, তবে সহজে বিদায় নেয় না।’

নেককার পুণ্যাত্মাগণ শীতের রাতগুলোয় সালাত ও জিকিরে রত হন। শীতকাল আগমন করলে উবাঈদ বিন উমাঈর (রা.) বলতেন- ‘হে কুরআনের ধারক! তোমাদের রাতগুলো তিলাওয়াতের জন্য প্রলম্বিত করা হয়েছে, অতএব তা পড়তে থাকো। আর রোজা রাখার জন্য তোমাদের দিনগুলো সংক্ষেপিত করা হয়েছে, তাই বেশি বেশি রোজা রাখো।’ কুরআনের ভাষায়, 'তারা রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকে।' (সূরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮)।

হজরত ওমর (রা.) তার ছেলেকে উদ্দেশ করে বলেন- ‘শীতের দিনে ভালোভাবে অজু করা বড় গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের কাজ।’ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (স.) বলেন- ‘আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না! যা দ্বারা গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি হয়?’ সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, ‘মন না চাইলেও অজু করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

টিটি/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় যুবদল নেতা মজিদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ (৪৮) হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় নওগাঁ-সান্তাহার সড়কে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদকে গুলি করা হয়। এ সময় মজিদের দুই ভাই কাবিল হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁদের কুপিয়ে জখম করে। ২৬ নভেম্বর বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মজিদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী এখনও গ্রেপ্তার হননি।

বোয়াালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজমুল হক, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মামুনুর রহমান ও শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সারওয়ার কামাল চঞ্চল, আব্দুস সালাম পিন্টু ও নিহত যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের বড় ভাই মোকসেদুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল মজিদের ওপর গুলি চালায়। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ আলী, তাঁর সহযোগী আব্দুল্লাহ, রফিক ও মিলন। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মজিদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে ২ নভেম্বর আব্দুল মজিদের ওপর মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ এখনও মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মোহাম্মদ আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন বক্তারা।

মজিদের বড় ভাই মোকসেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু কোনো দিন কোনো অন্যায় কোনো কাজ করেনি। মানুষের উপকার করে বেড়াত। এলাকার কোথায় কার কি সমস্যা হচ্ছে সেখানে চলে যেত, সমাধানের চেষ্টা করতো। সেই মানুষটাকে গুলি করে হত্যা করা হলো। অথচ পুলিশ এখনও হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করতে পারলো না। আমি মোহাম্মদ আলীসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার দেখতে চাই, তাদের বিচার আওতায় আনা হয়েছে দেখতে চাই।’

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলীসহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা কনফারেন্স রুমে বিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীজ নাজিয়া নওরীন এর সভাপতিত্বে ও একাডেমি সুপারভাইজার আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় বিরামপুর হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহম্মেদ, বিরামুপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক শাহ আলম মণ্ডল, সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক মাহমুদুল হক মানিক,
বৈষম্য ছাত্র আনন্দোনের সমন্বয় তন্ময়, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জোনায়েদ হোসেন প্রমুখ।

এসময় বিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট- ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধী মন্ডলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা পরবর্তী প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন দমনে ইন্টারনেট বন্ধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে পাঞ্জাব রাজ্য থেকে দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের পদযাত্রা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে।

এ অবস্থায় আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেটসহ টেক্সট বার্তা পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা পুনরায় শুরুর চেষ্টা করছিলেন কৃষকরা। পরে রাজধানী থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার উত্তরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কৃষকরা পুলিশের লোহার ব্যারিকেডের একটি স্তর ভেঙে ফেলেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে বাধার মুখে পরে সুরক্ষা বাহিনী পিছুও হটে। তবে পরে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকরা ফসলের জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তার আইনি গ্যারান্টি এবং ঋণ মওকুফের দাবি করছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ 'দিল্লি চলো' পদযাত্রা বন্ধ করে দেয়। প্রতিবেশী হরিয়ানা রাজ্যের কৃষকরাও পাঞ্জাবের কৃষকদের এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।

এদিকে, নতুন করে পদযাত্রার সময় হরিয়ানা সরকার আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিছু জায়গায় মোবাইল ইন্টারনেটসহ টেক্সট বার্তা পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার শুক্রবারের বিক্ষোভ নিয়ে যদিও এখনো কোনো মন্তব্য করেনি, তবে হরিয়ানার বিজেপি দলীয় মন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, কৃষকরা যদি দিল্লি যেতে চান তবে অনুমতি নিতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালে কৃষকরা কয়েক মাস ধরে দিল্লির বাইরে শিবির স্থাপন করে অবস্থান করার মোদি সরকার কিছু কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা কৃষকদের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় যুবদল নেতা মজিদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন
বিরামপুরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন দমনে ইন্টারনেট বন্ধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড: চন্দন ও রিপনের রিমান্ড মঞ্জুর
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই; ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু
ভারতের কোনো প্রতিবেশী তাদের সঙ্গে নেই : রিজভী
অ-১৯ এশিয়া কাপ: পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ট্রান্সকম শেয়ার জালিয়াতি: সিমিন রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন
শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট
রাজবাড়ী‌তে পুলিশকে গুলি করে পালালো আসামি
সংস্কারে গতি বাড়ান, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন: ডা. শফিকুর রহমান
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর মারা গেছেন
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
অটোরিকশার পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, কলেজছাত্র নিহত
লাহোরকে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুর
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত নতুন সম্পর্কের সেতু গড়তে পারত: উপদেষ্টা ফারুকী
দিনাজপুরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪
আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার আরেক আসামি রিপন দাস গ্রেপ্তার
কুবিতে আজ 'ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজ'
মেঘনায় নৌকাডুবি: ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২