সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বেদে সম্প্রদায়

‘ও রানী সালাম বারে বার, নামটি আমার জ্যোৎস্না বানু রানী থাকি লক্ষ্যার পাড়, মোরা এক ঘাটেতে রান্ধি-বারি আরেক ঘাটে খাই, মোদের সুখের সীমা নাই, পথে ঘাটে লোক জমাইয়া মোরা সাপ খেলা দেখাই, ও মোদের সুখের সীমা নাই।’ এটি এক সময়কার বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ছবির গান। আর এই বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না ছবিটি ছিল বেদেদের জীবন নিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও সমস্যাসংকুল হলো বেদে সম্প্রদায়ের জীবন। এরা মূলত আমাদের দেশে বাইদ্যা নামে পরিচিত একটি ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠী। কথিত আছে, ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে শরণার্থী আরাকান রাজার সঙ্গে এরা ঢাকায় আসে। পরে তারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেয়। এরা প্রথমে বিক্রমপুরে বসবাস শুরু করে এবং পরে সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামেও ছড়িয়ে পড়ে। তাদের আদি নাম মনতং। বেদে নামটি অবজ্ঞাসূচক বাইদ্যা, পরিমার্জিত ‘বৈদ্য’ থেকে উদ্ভূত। হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ নিয়েই শত শত বছর ধরে জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে আজও টিকে আছে ওরা। আধুনিক সমাজ ও সভ্যতার ধার ধারে না ওরা। নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখে বেদে সমাজের প্রচলিত ব্যবসাকেই ওরা আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। শত কষ্টের মাঝেও এতেই যেন ওরা সুখ-শান্তি খুঁজে পায়।

বেদে সমাজের নারীরাই সংসারের মূল চালিকাশক্তি। নারীরা দূর-দূরান্তের গ্রামগঞ্জে গিয়ে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতে অভ্যস্ত। নারীরা রোগের জন্য মানুষের কাছে তাবিজ, কবচ, ওষুধ, কড়ি বিক্রি করে এবং মানুষকে যাদু ও সাপ খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে। আর পুরুষরা পাখি শিকার করে এবং সাপ ও মাছ ধরে অর্থ উপার্জন করে। এভাবেই বেদে সম্প্রদায় তাদের কষ্টে গাঁথা যাযাবর জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ‘দাঁতের পোকা ফালাই। কোমর ব্যথা, বাত ব্যথায় শিঙা লাগাই। যাদু দেখাই। সাপ খেলা দেখাই। খা-খা-খা বখখিলারে খা, কাঁচা ধইরা খা।’- প্রচলিত এ কথাগুলো নদীতে ভাসমান যাযাবর বেদে সম্প্রদায়ের নারীদের। সুর ও ছন্দ মিশ্রিত এ কথাগুলো জানান দিচ্ছে বেদেদের উপস্থিতি। এদের আরেকটি অংশ সড়ক পথে এসে নদীর তীরে বাঁশের চেরা ও পলিথিনের সাহায্যে অস্থায়ী ছোট ছোট ডেরা বেঁধে খুপরি ঘরে ঘাঁটি গেড়ায় থাকতে দেখা যায়। রাতের বেলা কারো ঘরে সোলার বাতি আবার কারো ঘরে চার্জার লাইট ব্যবহার করে থাকে। এমনটি চোখে ধরা পড়ে বেদের সম্প্রদায়ের কষ্টে ভরা জীবনযাপন।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আমতলা এলাকায় কথা হয় বিক্রমপুর থেকে আসা বেদে সর্দার আক্তার মিয়া(৫০),সুমি( ৩০), শেফালী( ২৫)র সঙ্গে। এ সময় তাদের জীবনযাত্রার সম্পর্কে তারা জানান,তাদের একটা অংশ ডাঙায় স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও বড় অংশ নৌকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করে আসছে। কালের প্রভাবে বেদের জীবন বৈচিত্র্যে এসেছে নানা পরিবর্তন। হারিয়ে যাচ্ছে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

তারা আরো জানান, নৌকায় নৌকায় বা বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ ঘর করে কিছু দিনের জন্য থাকা এই ভাবে ঘুরে ঘুরে জীবন অতিবাহিত করার কারণেই আমাদের যাযাবর বলা হয়। বৈচিত্রময় ও বর্ণিল জীবনের সবটুকু রং দিয়ে আমরা জীবন সাজাই।

তবে সমাজের মূলধারার জনগণের সঙ্গে তাদের জীবনযাপন, আচার-আচরণ, সংস্কৃতি আলাদা হওয়ার কারণে তারা অনেকটাই পশ্চাৎপদ। আর এই পশ্চাতপদতার সূত্র ধরে তারা সাপ খেলা, তাবিজ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা চুড়ি, ফিতা, বিভিন্ন শেকড়-বাকর বিক্রি ছাড়াও আদি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক উপকরণও তারা বিক্রি করে থাকে। বেদেরা মাতৃতান্ত্রিক হলেও বর্তমানে তাদের সমাজ ব্যবস্থায় খুব কষ্টের জীবন যাপন করছেন তারা।

কুসংস্কার ও উদাসীনতার কারণে বেদেরা শিক্ষার আলো ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় শতাব্দীর পর শতাব্দী, প্রজন্মের পর প্রজন্ম অন্ধকারেই পড়ে থাকে। ফলে সচেতনতার অভাবে বেশিরভাগ সময়েই ওরা স্বাস্থ্যহীনতায় ভোগে। এমনকি অনেক সময় ওদের কেউ কেউ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণও করে। শিক্ষার আলো না থাকায় বাইরের জগত থেকে ওরা আলাদা। বহির্বিশ্ব সম্পর্কে জানার আগ্রহও ওদের নেই। ওরা দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে।

জানা গেছে, শীতের মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ১ মাস করে ৫-৬ মাস থাকে বেদেরা। বর্ষা মৌসুমে ওদের ব্যবসায় ভাটা পড়ে। সে কারণে জীবিকার উদ্দেশে ওরা আবার চলে যায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বা উপজেলায়। বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই তাদের একটা অংশ নদীতে নৌকায় ভেসে কাটায় এবং আরেকটা অংশ ডাঙ্গায় খুঁপড়ি ঘর করে সেখানে বসবাস করে থাকে। তারা সরকারের কাছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য দাবি জানাচ্ছেন। তাহলে এই পেশা থেকে স্বাভাবিক পেশায় ফিরে আসবে বলে জানায় তারা।

এসআইএইচ

 

 

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের প্রথম ধাপ হলো রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও নতুন সংবিধান জরুরি।”

তিনি বলেন, এনসিপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের আদর্শকে ধারণ করে। দলটি সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদাভিত্তিক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “এনসিপি ধর্মীয় সহাবস্থান ও সম্প্রীতির পক্ষে। আমরা ইসলাম বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা বা চরমপন্থার বিপক্ষে। সেকুলারিস্ট কিংবা ধর্মতান্ত্রিক কোনো মতবাদ নয়, বরং অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রই আমাদের আদর্শ।”

তিনি জানান, এনসিপি নাগরিকদের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবকে শ্রদ্ধা করে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম ও বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতি এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও জাতিগত জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষার অঙ্গীকার দলটি পালন করে।

নারীর মর্যাদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানে এনসিপির অগ্রাধিকার থাকবে বলেও জানান তিনি। পারিবারিক আইনের আওতায় নারীর সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দলটি কাজ করবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদকে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি আখ্যা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এনসিপি এই প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে।”

তিনি বলেন, এনসিপি একটি বৈষম্যহীন, ইনসাফভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে চায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে দলের প্রধান নীতিনির্ধারণী অঙ্গ।

পরিশেষে তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন গঠনের ভিশন নিয়ে এনসিপি কাজ করছে; যা বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানকে উন্নত করবে।”

Header Ad
Header Ad

আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)

ভুক্তভোগী মতিউর রহমান ও তার ছেলে (ডানে)। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলে রয়েছে এক ব্যক্তি। কিন্তু ট্রেনের ভেতর থেকে কেউ তার হাত ধরে রেখেছেন। প্রাণে বাঁচার জন্য আর্তনাত করছিল লোকটি। এক সময় ভেতর থেকে লোকটির হাত ছেড়ে দিলে তাকে ট্রেন লাইনে পড়ে যেতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর দৃশ্য এটি। এই দৃশ্য কোনো সিনেমা কিংবা কোনো নাটকের দৃশ্য নয়। বাস্তব ঘটনা এটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার নসরতপুর স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৫২)। তিনি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত মতিউর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান একজন আদম ব্যাপারী। দুই বছর আগে সজিব নামের এক যুবক তার মতিউর রহমানের মাধ্যমে সৌদি আরবে গেছেন। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় ইকামা (কাজের সুপারিশ সনদ) না পাওয়ায় সজিবের পরিবারের সঙ্গে মতিউরের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে সজিবের নির্দেশে কয়েকজন যুবক গতকাল মতিউরকে চলন্ত ট্রেন থকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সজিবের বাড়ি বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার তালসন গ্রামে।

মতিউরের ছেলে আহসান হাবিব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বাবা গতকাল দুপুরে বগুড়া থেকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন সান্তাহারে আসতেছিল। আসার পথে নসরতপুর স্ট্রেশনে আসার আগে বাবার কামরায় থাকা ১০-১২ জন যুবক বাবাকে মারধর করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে তারা বাবাকে নিচে ফেলে দেয়। ট্রেন পড়ে গিয়ে ট্রেন লাইনে পড়ে গেলেও ভাগ্য বলে ট্রেনের চাকা তার শরীরের ওপর দিয়ে যায়নি। তবে আঘাত লেগে একটা পা ভেঙ্গে গেছে। প্রথমে তাকে আদমদিঘী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর এখন বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে বাবা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আদমদিঘী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা করতে গেলে তাঁরা সান্তাহার জিআরপি পুলিশ স্ট্রেশনে যোগাযোগ করতে বলেন। গতকাল রাতে সান্তাহার জিআরপি স্টেশনে গেলে সেখানেও কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।’

এ বিষয়ে সান্তাহার জংশনের জিআরপি স্ট্রেশনের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান দাবি করেন, ‘ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে আমরাও দেখেছি। তবে এ ঘটনায় জিআরপি স্টেশনে কেউ কোনো অভিযোগ দিতে আসেনি । অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি ভারতের আমের কয়েক কোটি টাকার শিপমেন্ট বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিনানসিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকো ও আটলান্টাসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভারতের পাঠানো অন্তত ১৫টি আমের চালান ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে ভারতীয় আম রপ্তানিকারকরা প্রায় ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, এই বিপুল পরিমাণ আম পুনরায় দেশে ফিরিয়ে আনতে মোটা অঙ্কের মাশুল গুনতে হবে রপ্তানিকারকদের। ফলে তারা অনেকেই এখন আমগুলো আমেরিকাতেই ফেলে আসার চিন্তা করছেন।

প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন এত বড় সংখ্যায় আম ফিরিয়ে দিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ?

ফিনানসিয়াল টাইমস জানায়, গত ৮ ও ৯ মে মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বাইয়ে নির্ধারিত দপ্তরে আম রপ্তানির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন (CBP) কর্তৃপক্ষ জানান, আমদানি সংক্রান্ত কাগজপত্রে ঘাটতি রয়েছে। কাগজপত্রের এই ত্রুটির কারণেই পুরো শিপমেন্ট বাতিল করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আরও বলেন, নতুন করে রপ্তানির নিয়ম মেনে কাগজপত্র ঠিক করতে হবে, অন্যথায় এই চালান নষ্ট করে ফেলা হবে। ফলে ভারতের রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণেই এই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি।

এই ঘটনায় ভারতের রপ্তানি খাত এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে তারা সরকারি সংস্থাগুলোর দক্ষতা এবং দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক
ফার্স্ট সিকিউরিটি থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নির্বাচনের দাবিতে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের
পলাতকদের অর্থ জব্দ, লুটের টাকা গরিবের কল্যাণে ব্যবহার হবে: গভর্নর
৬০ ভাগ তরুণ-তরুণী ভুগছেন ‘টেক্সট নেক’-এ, জানুন কারণ ও করণীয়
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দখলমুক্ত হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগার
ইশরাকের শপথ নিয়ে অনেক জটিলতা আছে: উপদেষ্টা আসিফ
সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন শাকিল, গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড
ভারতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জামিল বেনাপোলে গ্রেফতার
আ.লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই: ইসি মাছউদ
পিএসএল খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছেন মিরাজ, মিলল বোর্ডের অনুমতি
বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুকে সম্মাননা
দেশে এক বছরে বেকার বেড়েছে সোয়া ৩ লাখ
যমুনা টিভিতে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন কোচাশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক গ্রেপ্তার
স্থলপথে রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা: বেনাপোলে আটকে ৩৬ ট্রাক গার্মেন্টস পণ্য
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা