শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পরিবহনসহ ফেরিডুবি: ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার

ছবি সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ফেরিটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ফেরিটিতে থাকা গাড়িগুলোর যাত্রীদের উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে সাতটি ছোট ট্রাক ও দুইটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে রজনীগন্ধা। তবে ঘন কুয়াশায় পথ দেখতে না পেয়ে মাঝ নদীতে আটকে ছিল অনেকক্ষণ। পরে কুয়াশা কেটে গেলে তীরে ভেড়ার সময় ৫ নম্বর ঘাটের কাছে বাল্কহেডের ধাক্কায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট উদ্ধারে কাজ করছে। সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৫ নম্বর ঘাট এলাকার কাছাকাছি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে গেছে।

এর আগে, মধ্যরাতে কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, মধ্যরাত ১টার দিকে পদ্মা নদীতে কুয়াশা পড়তে শুরু করে, ফেরির দিক নির্দেশনা বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়াতে মাঝ নদীতে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ছোট বড় মিলিয়ে ৪টি ফেরি নোঙর করে আছে। এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট এলাকায় যানবাহন নৌপথ পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের খোঁজার দায়িত্বে কুবির দুই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক

ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান এবং মু. আলী মুর্শেদ কাজেম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও দমন-পীড়নের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সিন্ডিকেট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্ত এই কমিটির দুই সদস্যই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। ফলে তদন্ত শুরুর আগেই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩ তম সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হলেন- আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মু. আলী মুর্শেদ কাজেম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান।

ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান ২০২২ সালের বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক হিসেবে ছিলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির না থাকলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মানববন্ধনে তাকে দেখা যায়। বিগত সময়গুলোতে যেসকল শিক্ষক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন তারা মু. আলী মুর্শেদ কাজেমকে একজন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবেই চিনেন বলে জানান। এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী জামায়াত-বিএনপির ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে করা একটি মানববন্ধনেও তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। যার ছবি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন অধ্যাপক বলেন, 'মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। মাহমুদুল হাসান খান স্যার ও কাজেম এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সরকার পরিবর্তন হতে না হতেই তারা তাদের নতুন রুপে ধরা দিয়েছেন। তারাও তো স্বৈরাচারের দোসর।'

এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, 'আমি জুলাই আন্দোলনের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত ছিলাম। এখন প্রশাসন কেন মনে করলো আমাকে দিতে এটি প্রশাসনের প্রশ্ন। আমি তো বলিনি আমাকে রাখতে।'

মু. আলী মুর্শেদ কাজেম বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষক ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। বিভিন্ন পরিষদ, সমিতির সাথে যুক্ত ছিলো। এটা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক। ধারণ করে হোক বা না করে হোক। তবে, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে ছিলাম না।'

কুমিল্লা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, 'আন্দোলন চলাকালীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সম্মানিত শিক্ষক আমাদের এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের পাশে দাড়িয়ে ছিল। শুনতে পেরেছি বিগত আমলে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের শনাক্ত করতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এমন কিছু হওয়া মানে ফ্যাসিস্টদের সহচরদের নতুন করে সুযোগ করে দেওয়া।'

তিনি আরো বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি, পাঁচ আগস্টের পরবর্তী সময়ে এই ফ্যাসিস্টদের সাথে জড়িতদের সহযোগিতায় বড় বড় রাঘববোয়ালেরা দেশ ত্যাগ করেছেন। এখনো বিচারের বাহিরে আছেন। আমরা চাই ফ্যাসিস্টদের শনাক্ত করতে ফ্যাসিজম থেকে দূরে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হোক। অন্যথায় ন্যায়সংগত কিছুই আশা করাই হবে আত্মঘাতী।'

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহান বলেন, 'আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে যদি কমিটিটি গঠন করা হয় তাহলে এটি ঠিক হয়নি। এখনো যদি ফ্যাসিস্টদের সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে এটি কোনোভাবেই সঠিক হবে না।'

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'এখানে যেহেতু তারা (আওয়ামীপন্থী শিক্ষক) আছেন তাহলে তো তারা আরও সহজে জড়িতদের বের করতে পারবেন। আর আমরা আসলে স্বচ্ছতার জন্য একটি কমিটি করেছি। আইন, বিধি ঠিকঠাক ভাবে দেখতে আইন বিভাগের শিক্ষকও রেখেছি। পাশাপাশি, প্রশাসনও নজর রাখবে।'

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই বিগত সরকারের রাজনীতির সাথে জড়িত। এখন আমরা বিগত সরকারের রাজনীতি না করা লোকেদের কীভাবে খুঁজে পাবো? আরেকটি বিষয় কমিটিটি সিন্ডিকেটে সকলের মতামতের ভিত্তিতে হয়েছে। এখন এই কমিটিটি নিয়ে কোনো অবজেকশন থাকলে আমরা আগামী সিন্ডিকেটে আবারও কথা বলবো।'

বিগত সরকারের রাজনীতির সাথে জড়িতদের নিয়ে কমিটির প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা থাকবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এখানে চরমভাবে স্বচ্ছতা হারাবে। আমরা চেষ্টা করবো আগামী সিন্ডিকেটে এটি নিয়ে কথা বলার।'

Header Ad
Header Ad

দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি জানান, আমার হতাশা ও ক্ষুব্ধতা কাউকে আঘাত করলে আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলোর ন্যয্যতা বিচার করবে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়। আরও যুক্ত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জোরালো ভূমিকা রাখা ও সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবির একটি ফলপ্রসূ সমাধানে আসতে আমি ভিসি স্যার ও অন্যদের সঙ্গে বসেছিলাম।

তিনি লেখেন, গত পরশু রাত্রে যখন এসব দাবি নিয়ে জবি থেকে আমাকে জানানো হয়, তখন তাদের আমি গতকাল রাত ৯টায় আমার বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু গতকাল সকালে তারা আন্দোলনে নামেন এবং যমুনার কাছাকাছি পৌঁছে যান। কাল দুপুর থেকেই ভিসি স্যারের সঙ্গে আমি নিয়মিত যোগাযোগ করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত রাতে এক ঘণ্টা ধরে তিনটা টকিং পয়েন্ট নির্ধারণ করে আমি ভিসি স্যার ও শিক্ষকদের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে যাই। সেখানে মিডিয়ার লোকজন শিক্ষার্থীদের থেকে ৫০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভিসি স্যারকে বললাম, আমি শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে কথা বলব।

মাহফুজ আলম আরও লেখেন, ‌সেখানে যাওয়ার পর একটা গ্রুপ স্লোগান দেয়। আমি বিব্রত না হয়ে নিজের দায়িত্ব পালনে কথা বলা শুরু করি। পূর্বনির্ধারিত টকিং পয়েন্ট অনুযায়ী পুলিশের বাড়াবাড়ি অথবা স্ব-উদ্যোগে উসকানিমূলক কিছু করলে ক্ষমাপ্রার্থনা ও বিভাগীয় তদন্তের কথা বলতে গিয়েছিলাম। তখনই বোতল নিক্ষেপ করেন একজন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী কেন এবং কার মদদে এ অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করলেন, তা আশা করি প্রশাসন দ্রুতই খতিয়ে দেখবে।

তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, তারপর আমি হতাশা নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। তখন স্যারদের সঙ্গে আমার হতাশা ও ক্ষুব্ধতা ব্যক্ত করি। স্যাররাও এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। গত এক সপ্তাহব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দলের নিয়মিত আক্রমণ ও হত্যার হুমকির কারণে ন্যায্যভাবেই অনুমান করেছিলাম– এটা হুমকিদাতা দলের কাজ হতে পারে। আমার হতাশা ও ক্ষুব্ধতা কাউকে আঘাত করলে আমি আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করছি।

নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে উপদেষ্টা লেখেন, আমার বক্তব্য ছিল, এ আক্রমণের ফলে ন্যায্য দাবির আন্দোলন বিতর্কিত হলো। আমি চেয়েছিলাম, জবির আবাসন সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান হয়। পরবর্তীতে ৫০ মিটার দূরত্বে আমি আরেকটা সাংবাদিক সম্মেলন করি। আমার অফিশিয়াল বক্তব্য, আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা, দাবিপূরণের রোডম্যাপ ও পুলিশি হামলার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস সেখানে আপনারা দেখতে পাবেন। জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি ন্যায্য। আশা করি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান মিলে দ্রুতই একটি যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সমাধানে আসবেন।

তিনি আরও লেখেন, জবি থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুজন শিক্ষার্থী ভাই শহিদ হয়েছেন এবং অনেক ভাই-বোন আহত হয়েছেন। জবির ভাই-বোনদের বলব– আপনাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্যই আমি গিয়েছিলাম। জুলাই আমাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের আত্মিক বন্ধন তৈরি করেছে। আশা করি, এ বন্ধন কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ছিন্ন হবে না। আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আপনারা আমাকে সঙ্গে পাবেন।

পোস্টের শেষে মাহফুজ লেখেন, গতকাল রাতে এসেই আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে বলে দিয়েছিলাম, যাতে জোরপূর্বক জবি শিক্ষার্থীদের সরানো না হয়। তাদের ওপর যেন কোনো রকম আক্রমণ না চালানো হয়। সবার সুমতি হোক। ভুল হলে তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আমরা এগোতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মির সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে কামরার একটি অপারেশনাল বিমানঘাঁটি পরিদর্শনের সময় এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শেহবাজ শরিফ জানান, চলতি মাসের ৬ থেকে ৭ মে রাতের কোনো এক সময় কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় ভারতের একটি মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেট গুলি করে নামিয়েছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)। এই নিয়ে পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভূপাতিত ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়টিতে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ঘাঁটিতে পৌঁছে সামনের সারির পাইলট, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই অভিযানে তাদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার প্রশংসা করেন।

সফরকালে দেওয়া বক্তব্যে শেহবাজ বলেন, “ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কৌশলগত দূরদর্শিতা ও সংযম প্রদর্শন করেছে। একইসঙ্গে দ্রুত ও কার্যকর জবাব দিয়ে শত্রুপক্ষের সামরিক কাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনও পিছপা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে প্রতিটি সামরিক শাখা যেভাবে সজাগতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূখণ্ড রক্ষায় আমাদের প্রতিটি সৈনিক সদা প্রস্তুত রয়েছে।”

এর আগে পাকিস্তান জানায়, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেট।

ভারতের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কেবল জানিয়েছে, “ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অংশ”—এ বক্তব্যে তারা পরোক্ষভাবে সংঘাতের স্বীকৃতি দিলেও যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি প্রকাশ করেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এমন দাবি এবং ভারতের নিরবতা দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই মুখোমুখি অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের খোঁজার দায়িত্বে কুবির দুই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক
দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ইয়ামালের নৈপুণ্যে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ১৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত
বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ
নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস
ডিসি পরিবর্তন করতে এনসিপি সংগঠক নাহিদের বিরুদ্ধে তদবিরের অভিযোগ!
রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি ‘সুন্দর মহলে’ হামলা-ভাঙচুর
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড : রাশেদ খাঁন
তদবির বাণিজ্য: এনসিপির সাবেক নেতা তানভীরসহ ৪ জনকে দুদকে তলব
বাংলাদেশের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মুফতি স্বামীর বিরুদ্ধে হ্যাপির মামলা, ৯ বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ
সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী
মেট্রোরেলে ২৪ পদে ১২০ জনের চাকরির সুযোগ
৫ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব