বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাড়ছে সাইবার অপরাধ: শিকার হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশু

প্রযুক্তির অপব্যবহার করে দেশে সাইবার অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে। এসব অপরাধের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন মধ্যবয়সী নারী, পুরুষ এবং শিশুরা। শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রও এর শিকার হচ্ছে।

পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ২০ হাজারেরও বেশি নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। ২০২১ সালে পুলিশ সদরদপ্তরের সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন (পিসিএসডব্লিউ) উইংয়ে ১২ হাজারের ও বেশি অভিযোগ এসেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তারা বলছেন, অনেকেই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জানেন না। আবার অনেকে জেনে বুঝে সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছেন। এই কারণে অনেকে এই অপরাধের শিকার হচ্ছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক না হলে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

পুলিশ সূত্র বলছে, দেশের সব থানায় সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে এবং এসব বিষয় নিয়ে মামলাও হচ্ছে। এসব মামলার দ্রুত তদন্ত করতে প্রতিটি থানায় পর্যায়ক্রমে সাইবার বিভাগ চালু করা হলেও যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এজন্য নতুন করে সারা দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে পুলিশের বিশেষ শাখা।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। সাইবার অপরাধ সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। অপরাধ মোকাবিলার সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। সাইবার অপরাধের প্রাথমিক বিষয় নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক কাউন্সেলিং করতে পারলে এসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ ভাগ, আপত্তিকর ছবি ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ, সাইবার বুলিং ৫০ দশমিক ১৬ ভাগ এবং ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানির হার হচ্ছে ৯ দশমিক ৩৪ ভাগ, আপত্তিকর মেসেজ ৬ দশমিক ৯০ ভাগ এবং সাইবার বুলিংয়ের হার ৫০ দশমিক ২৭ ভাগ।

২০২১ সালে ওয়েবসাইট/ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি, অপসারণের হার ১০০ ভাগ। ২০২২ সালে ওয়েবসাইট/ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ৬৪৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ৬৪৫টি, অপসারণের হার ১০০ ভাগ।

এদিকে বিটিআরসি বলছে, ২০২১ সালে ফেসবুক থেকে ৮ হাজার ৯১৬টি এবং ২০২২ সালে ৮ হাজার ২২৮টি লিংক অপসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে ১ হাজার ১৩টি এবং ২০২২ সালে অপসারিত হয়েছে ২২২টি লিংক। ২০২২ সালে টিকটক থেকে অপসারিত হয়েছে ১ হাজার ১৫৯টি লিংক, ২০২২ সালে বিগো, লাইকি ও ইমো থেকে অপসারিত হয়েছে ৬৭টি এবং টুইটার থেকে অপসারিত হয়েছে ২৯টি লিংক।

এসব বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীতে সক্ষম ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

দেশে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করছেন এমন কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর ২০২২ সালের এ পর্যন্ত নারীদের তুলনায় পুরুষেরা সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বেশি। তবে বছর শেষ না হওয়ায় এর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানায়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

সাইবার অপরাধ বিভাগ বলছে, সবাই সচেতন না হলে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে মানুষ নিরাপত্তা ও আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হ্যাকিং, কপিরাইট লঙ্ঘন, শিশু পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধগুলো বর্তমানে উচ্চমাত্রায় বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন সাইবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, কোনো কারণে যদি কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হন, তাহলে বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে। প্রয়োজনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। অথবা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনেও (বিটিআরসি) লিখিতভাবে জানিয়ে রাখতে হবে। এতে করে কেউ মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে অনেকটা সুরক্ষা পওয়া যাবে।

অবশ্য অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের পর খুব কম সময়েই অনেকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। এর সূত্র ধরেই সামান্য ভুলের কারণে বিভিন্ন জটিলতায় পড়তে হচ্ছে নেটিজেনদেরকে।

ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় যেভাবে

পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের একটি মামলার বিবরণ তুলে ধরে মামলার তদন্তকারী এক কর্মকর্তা বলেন, এক নারী (অপরাধী) প্রায়ই ভিকটিমের সঙ্গে একে অপরের নিজেদের বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও শেয়ার করতেন। এক পর্যায়ে তারা দুই জন প্রাইভেট ভিডিও চ্যাটে যুক্ত হন। পরে ওই নারী ওই পুরুষের কাছে বেশ মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ওই পুরুষ বেশ কিছু টাকা দিয়েও দেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এখানেই শেষ নয় এক পর্যায়ে কৌশলে ওই নারী ওই পুরুষের পরিবার ও ব্যক্তিগত কয়েকজনের মোবাইল নম্বর নেন। ২-৩ মাস পরে আবারও ওই নারী তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এরপর সেই পুরুষ পুলিশের সাইবার ইউনিটে এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অনুযায়ী সাইবার ইউনিট এ ঘটনার তদন্ত করে ওই নারীকে আটক করে।

সাইবার ইউনিটের বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী ও পুরুষ উভয়েই সাইবার অপরাধের শিকার হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার পুরুষরা। এদের বেশির ভাগই মোটামুটি ধনী, বিবাহিত এবং মধ্য বয়সী।

কর্মকর্তারা বলছেন, যে সব মেয়েরা সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা অধিকাংশ স্বামী-সংসার বিহীন এবং তাদের চলাফেরা এলোমেলো। অনেকে আবার ইয়াবা, আইস বা অন্যান্য মাদকের সঙ্গেও যুক্ত।

পুলিশ ও আইনজীবীরা যা বলছেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কামিশনার (এডিসি) নাজমুল বলেন, কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হলে পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। তাতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পুলিশ বলছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, প্রশ্নফাঁস থেকে শুরু করে যৌন হয়রানির মত ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের জন্য প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাইবার অপরাধ বাড়ছে জানিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এসপি মুক্তা ধর বলেন, এসব অপরাধের বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে উন্নত প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে অপরাধগুলো এখন আরও বড় আকারে সংঘটিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এদের নজরে না রাখলে এসব অপরাধ দিনদিন বেড়েই চলবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নারী, পুরুষ উভয়ই এসব অপরাধের শিকার হচ্ছেন। অনেকে আবার অনলাইনের মাধ্যেমে প্রতারিত হচ্ছেন। ফেসবুকে বা কোনো গণমাধ্যমে কাউকে নিয়ে মানহানিকর বা কারও বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ছবি বা ভিডিও পোস্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত লোভ এবং অপরিচিত কারেও সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও আদান প্রদান থেকে বিরত থাকলে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে। তবে এসব বিষয়ে কিছু না বুঝলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বা একজন আইনজীবীকে বিষয়টি অবগত করে রাখলে ভালো পরামর্শ পাওয়া যাবে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ এবং প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে তাদের আর রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তবে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, যা স্পষ্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। একটি ফ্যাসিস্ট দল কখনোই গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করতে পারে না।"

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, "ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। আমাদের লড়াই ছিল আত্মমর্যাদা ও সম্মানের লড়াই।"

তিনি আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করা ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু এবারকার সরকারকে সংস্কার করতে হবে। না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না।"

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং ২০৯), মহাপরিচালক এবং মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন-কে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বর্তমানে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার পেশাগত জীবনে চীনে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Header Ad

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব ঘটনায় দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রমাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে। এতে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। এ বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার
আলোচিত সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আটক
বিরামপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: দেশের চার বন্দরের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে
হাসপাতালেও দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিউই ব্যাটার
সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী
রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত
৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নেতানিয়াহুর বেডরুমে এবার হিজবুল্লাহর ড্রোনের আঘাত
ঢাবিতে কালো মুখোশ পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
কথা দিচ্ছি ‘কেজিএফ থ্রি’ অবশ্যই হবে: যশ
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দেশে নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হোক সেটা চায় না বিএনপি: নজরুল ইসলাম