বাড়ছে সাইবার অপরাধ: শিকার হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশু

২৯ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৪ এএম


বাড়ছে সাইবার অপরাধ: শিকার হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশু

প্রযুক্তির অপব্যবহার করে দেশে সাইবার অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে। এসব অপরাধের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন মধ্যবয়সী নারী, পুরুষ এবং শিশুরা। শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রও এর শিকার হচ্ছে।

পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ২০ হাজারেরও বেশি নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। ২০২১ সালে পুলিশ সদরদপ্তরের সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন (পিসিএসডব্লিউ) উইংয়ে ১২ হাজারের ও বেশি অভিযোগ এসেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তারা বলছেন, অনেকেই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জানেন না। আবার অনেকে জেনে বুঝে সাইবার অপরাধে জড়াচ্ছেন। এই কারণে অনেকে এই অপরাধের শিকার হচ্ছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক না হলে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

পুলিশ সূত্র বলছে, দেশের সব থানায় সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে এবং এসব বিষয় নিয়ে মামলাও হচ্ছে। এসব মামলার দ্রুত তদন্ত করতে প্রতিটি থানায় পর্যায়ক্রমে সাইবার বিভাগ চালু করা হলেও যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এজন্য নতুন করে সারা দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে পুলিশের বিশেষ শাখা।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। সাইবার অপরাধ সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। অপরাধ মোকাবিলার সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। সাইবার অপরাধের প্রাথমিক বিষয় নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক কাউন্সেলিং করতে পারলে এসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ ভাগ, আপত্তিকর ছবি ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ, সাইবার বুলিং ৫০ দশমিক ১৬ ভাগ এবং ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানির হার হচ্ছে ৯ দশমিক ৩৪ ভাগ, আপত্তিকর মেসেজ ৬ দশমিক ৯০ ভাগ এবং সাইবার বুলিংয়ের হার ৫০ দশমিক ২৭ ভাগ।

২০২১ সালে ওয়েবসাইট/ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫টি, অপসারণের হার ১০০ ভাগ। ২০২২ সালে ওয়েবসাইট/ডোমেইন থেকে লিংক অপসারণের অনুরোধ করা হয়েছে ৬৪৫টি। এর মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ৬৪৫টি, অপসারণের হার ১০০ ভাগ।

এদিকে বিটিআরসি বলছে, ২০২১ সালে ফেসবুক থেকে ৮ হাজার ৯১৬টি এবং ২০২২ সালে ৮ হাজার ২২৮টি লিংক অপসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে ১ হাজার ১৩টি এবং ২০২২ সালে অপসারিত হয়েছে ২২২টি লিংক। ২০২২ সালে টিকটক থেকে অপসারিত হয়েছে ১ হাজার ১৫৯টি লিংক, ২০২২ সালে বিগো, লাইকি ও ইমো থেকে অপসারিত হয়েছে ৬৭টি এবং টুইটার থেকে অপসারিত হয়েছে ২৯টি লিংক।

এসব বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীতে সক্ষম ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

দেশে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করছেন এমন কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর ২০২২ সালের এ পর্যন্ত নারীদের তুলনায় পুরুষেরা সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বেশি। তবে বছর শেষ না হওয়ায় এর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানায়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

সাইবার অপরাধ বিভাগ বলছে, সবাই সচেতন না হলে সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে মানুষ নিরাপত্তা ও আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হ্যাকিং, কপিরাইট লঙ্ঘন, শিশু পর্নোগ্রাফির মতো অপরাধগুলো বর্তমানে উচ্চমাত্রায় বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন সাইবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, কোনো কারণে যদি কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হন, তাহলে বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে। প্রয়োজনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। অথবা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনেও (বিটিআরসি) লিখিতভাবে জানিয়ে রাখতে হবে। এতে করে কেউ মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে অনেকটা সুরক্ষা পওয়া যাবে।

অবশ্য অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের পর খুব কম সময়েই অনেকের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। এর সূত্র ধরেই সামান্য ভুলের কারণে বিভিন্ন জটিলতায় পড়তে হচ্ছে নেটিজেনদেরকে।

ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় যেভাবে

পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের একটি মামলার বিবরণ তুলে ধরে মামলার তদন্তকারী এক কর্মকর্তা বলেন, এক নারী (অপরাধী) প্রায়ই ভিকটিমের সঙ্গে একে অপরের নিজেদের বেশ কিছু ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও শেয়ার করতেন। এক পর্যায়ে তারা দুই জন প্রাইভেট ভিডিও চ্যাটে যুক্ত হন। পরে ওই নারী ওই পুরুষের কাছে বেশ মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ওই পুরুষ বেশ কিছু টাকা দিয়েও দেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এখানেই শেষ নয় এক পর্যায়ে কৌশলে ওই নারী ওই পুরুষের পরিবার ও ব্যক্তিগত কয়েকজনের মোবাইল নম্বর নেন। ২-৩ মাস পরে আবারও ওই নারী তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এরপর সেই পুরুষ পুলিশের সাইবার ইউনিটে এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অনুযায়ী সাইবার ইউনিট এ ঘটনার তদন্ত করে ওই নারীকে আটক করে।

সাইবার ইউনিটের বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারী ও পুরুষ উভয়েই সাইবার অপরাধের শিকার হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর শিকার পুরুষরা। এদের বেশির ভাগই মোটামুটি ধনী, বিবাহিত এবং মধ্য বয়সী।

কর্মকর্তারা বলছেন, যে সব মেয়েরা সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা অধিকাংশ স্বামী-সংসার বিহীন এবং তাদের চলাফেরা এলোমেলো। অনেকে আবার ইয়াবা, আইস বা অন্যান্য মাদকের সঙ্গেও যুক্ত।

পুলিশ ও আইনজীবীরা যা বলছেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কামিশনার (এডিসি) নাজমুল বলেন, কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হলে পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। তাতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পুলিশ বলছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, প্রশ্নফাঁস থেকে শুরু করে যৌন হয়রানির মত ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের জন্য প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাইবার অপরাধ বাড়ছে জানিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এসপি মুক্তা ধর বলেন, এসব অপরাধের বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে উন্নত প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে অপরাধগুলো এখন আরও বড় আকারে সংঘটিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এদের নজরে না রাখলে এসব অপরাধ দিনদিন বেড়েই চলবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নারী, পুরুষ উভয়ই এসব অপরাধের শিকার হচ্ছেন। অনেকে আবার অনলাইনের মাধ্যেমে প্রতারিত হচ্ছেন। ফেসবুকে বা কোনো গণমাধ্যমে কাউকে নিয়ে মানহানিকর বা কারও বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ছবি বা ভিডিও পোস্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত লোভ এবং অপরিচিত কারেও সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও আদান প্রদান থেকে বিরত থাকলে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে। তবে এসব বিষয়ে কিছু না বুঝলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বা একজন আইনজীবীকে বিষয়টি অবগত করে রাখলে ভালো পরামর্শ পাওয়া যাবে।

এনএইচবি/এএস


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৩৭ এএম


তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ‍দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।

এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।

তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।

এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

 

 


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪১ এএম


আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।ফাইল ছবি

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:২৬ এএম


অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি সংগৃহিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।

মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।

তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

অনুসরণ করুন