সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের উপায় (প্রথম পর্ব)

শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা থাকলে তিন বছরের কাজ এক বছরেই করা যাবে

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকটসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ থেকে উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। আজ প্রকাশিত হলো বিশেষ সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে আপনার মন্তব্য কি এবং এর দায় কার?

করোনাভাইরাস নিঃসন্দেহে মরণঘাতি, যা সারা বিশ্বের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে এর অভিঘাত বেশি হওয়ার কারণ–দেশটি খুব ঘনবসতিপূর্ণ। প্রথমদিকে সবারই ধারণা ছিল এটি বেশিদিন থাকবে না। করোনাভাইরাস চলে যাবে এমন ভাবনা থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। এ নিয়ে এখন কোনো অভিযোগ আনার কারণ নেই। শিক্ষাব্যবস্থাকেও দোষ দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে স্কুল খোলা রাখা বিপজ্জনকই ছিল। যেসব দেশ দ্রুত টিকা দিয়েছে, তারা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার ছিল না। যা হয়ে গেছে বা যে সময় চলে গেছে, তা নিয়ে হতাশ না হয়ে–কী করা যেত, কতটা করা যেত এসব আলোচনায় না গিয়ে সম্মিলিতভাবে সে ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে হবে।

দুই বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।

৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা নেই। ইউনিসেফ বলছে যতকিছুর বিনিময়ে হোক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক। আমরা ভেবেছিলাম ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে এবং এরপর আর বন্ধ হবে না। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই তারিখ পিছিয়ে ২০-২২ ফেব্রুয়ারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটি না করে ১৩ তারিখ থেকে সেগুলো খুলে ফেলা হোক। যেসব শিক্ষার্থী-শিক্ষক টিকা পায়নি অতিদ্রুত তাদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এখন আর খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। আর সমস্যা হলেও কোভিডের বর্তমান ধরন তো খুব একটা ভয়ংকর না। আক্রান্ত হলে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিতে পারছেন অনেকেই। তারপরও যদি কোনো জায়গায় বেশি সংক্রমণ হয়, সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ব্যবস্থাপনায় সপ্তাহে দুয়েকদিন সীমিত পরিসরে শিক্ষাঙ্গন খোলা রাখা যেতে পারে। তবে দুয়েক জায়গার কারণে সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না। বর্তমানে যেসব জায়গায় আক্রান্তের হার ৭-১০ শতাংশ, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ঠিক হবে না।

করোনাকালীন ক্ষতি নিয়ে আপনার পরামর্শ কি?

ক্ষতিটা অনেকভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায়। যেমন–অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে, ছুটির দিন কমিয়ে দিয়ে, অনলাইলে ক্লাস নিয়ে, সামনে রমজানে সারা মাস বন্ধ না রেখে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা ক্লাস নেওয়া যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেটা বুঝবে না, তা রাতের বেলা অনলাইন ক্লাস নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি। তবে এর জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা দিতে হবে। প্রয়োজনে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

করোনায় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। মাত্র ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পেরেছে, যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের বড় অংশ গ্রামাঞ্চলের। বৈষম্য নিরসনে আপনার মতামত কী?

বৈষম্য নিরসনে প্রথমে একটা দেশভিত্তিক জরিপ করতে হবে। কারা অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের পারিবারিক অবস্থা যাচাই করতে হবে। তাদের তালিকাভুক্ত করে সরকারের উচিত হবে তাদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের মত ডিভাইস পৌঁছে দেওয়া। তাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও তা করতে হবে। সারা দেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প, অসংখ্য মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। ডিভাইস বিতরণটাকেও মেগা প্রজেক্ট হিসেবে ধরে কাজ করতে হবে। এটা হলে বৈষম্য অনেকটাই কেটে যাবে।

করোনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। এটা আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন কি?

আসলে যা হয়ে গেছে, তা নিয়ে ভাবা উচিত না; বরং কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। কোভিডে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে এর প্রভাব বিরূপ হবে, শুধু এ রকম ভাবলে আমরা সামনে অন্ধকার দেখব। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমাদের একবছর হারিয়ে গেছে; কিন্তু আমরা তো সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছি। বর্তমান সমস্যাও কাটিয়ে উঠব। তবে এ জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা সক্রিয় থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস থাকলে, উদ্যম এবং নিষ্ঠা থাকলে তিন বছরের কাজ এক বছরেই করা যাবে। এর আগে আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। শিক্ষকরা যদি আন্তরিক হোন, তাদের যথেষ্ট প্রণোদনা দিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায়, শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ওয়ার্ক করতে পারে, নিজেদের ল্যাপটপে ইন্টারনেট ঘুরে পাঠ্য বিষয়বস্তু আরও ভালোভাবে যেন নিতে পারে, তাহলে দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে। শিক্ষার্থীরা অদম্য। নিজেদের মতো করে কাজে লাগাতে পারলে তারা খুব ভালো করবে।

(চলবে)

এসএ/

শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ

সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এখন আর শুধু একজন বাংলাদেশি নাগরিক নন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস সিটিজেনশিপ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক নাগরিকত্ব শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং পরে নাগরিকত্ব সনদপত্র গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছেন।

জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২২ জন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন। এদের একজন ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি শপথ নেওয়ার সময় একজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানে ‘বি’ অক্ষরে বাংলাদেশের নাম ডাকার পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে জয় শপথ নেন।

তবে এর আগে, ২৪ এপ্রিল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সঙ্গে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।”

তাঁর ওই পোস্ট এবং সাম্প্রতিক নাগরিকত্ব গ্রহণের মধ্যে বৈপরীত্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে।

Header Ad
Header Ad

জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত না দিলে, জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়—এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধবিরতির পর শনিবার (২২ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ২২ মিনিটের ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ভাষণে মোদি স্পষ্টভাবে বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস না হলে সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতেও কোনো আলোচনা হবে না। তিনি ‘সন্ত্রাসবাদে’ সমর্থন দেওয়ার জন্য পাক সেনাবাহিনী এবং সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সতর্ক করেন—এ ধারা একদিন পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

মোদি বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না, রক্ত ও পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কখনো পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা কথা বলি, তাহলে সেটা হবে শুধু সন্ত্রাস ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বিষয়েই।”

এদিকে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে—পহেলগামের হামলার পর ভারতের স্থগিত করা সিন্ধু পানি চুক্তি পুনরায় সক্রিয় করার দাবি। তবে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, ৬৫ বছর পুরনো ওই পানিবণ্টন চুক্তিতে ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কোনো শর্তে সম্মত হয়নি ভারত।

ভারত বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় বা অর্থায়ন করে না।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে তার মাটিতে “অপারেশন সিন্দুর” চালায় ভারত। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও, ফলে দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ভারত ও পাকিস্তান শিগগিরই আলোচনায় বসতে পারে। সোমবার দুই দেশের সামরিক মহাপরিচালকদের মধ্যে টেলিফোনে কথাও হয়।

Header Ad
Header Ad

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে কথা বলেন ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’র অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক প্রথমবারের মতো ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২২ জুন। “গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার” শীর্ষক এ কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি শিক্ষক ও গবেষকদের কাছ থেকে গবেষণা প্রবন্ধ আহ্বান করা হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কনফারেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে এই কনফারেন্স। যৌথভাবে আয়োজন করছে ‘শ্যাডো রিফর্ম কমিশনস’ এবং ‘পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন’।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে ১১টি ছায়া সংস্কার কমিশন। দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে যুক্ত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশমালা তৈরি করেছেন। কনফারেন্সে এসব কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবেন, তাদের জন্য এই রিপোর্টগুলো হতে পারে একটি দিকনির্দেশনা। আমাদের প্রতিবেদনগুলো বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে রিভিউ করা হয়েছে এবং জনমত নেওয়া হয়েছে। এখন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন বলেন, “এই আয়োজন বিভাগকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।” অন্যদিকে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ছায়া সংস্কার কমিশনের এই উদ্যোগ অ্যাকাডেমিক প্রচেষ্টা, যেখানে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব নেই।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবা-উল-আযম সওদাগর বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্পৃক্ততা জরুরি। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়েই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

কনফারেন্স বাস্তবায়নের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কনফারেন্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন– অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. স ম আলী রেজা, অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, মেজবা-উল-আযম সওদাগর, সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ, সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসাইন এবং সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া আফরিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ
জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: নির্বাচন কমিশন
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট
চুয়াডাঙ্গায় কমেছে তাপমাত্রা, স্বস্তিতে জনজীবন
বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ
আ.লীগ নিষিদ্ধের উল্লাসে শাহবাগে নেতাদের নাম দিয়ে গরু-ছাগল জবাই
সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মোদির জরুরি বৈঠক, উপস্থিত শীর্ষ কর্মকর্তারা