বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

হিমালয়ের ‘মায়ের গলার হার’ জয় করেছেন ‘বাবর আলী’

বাংলাদেশের অসাধারণ পবর্তারোহী বাবর আলীকে অনেকে চেনেন। কত কীর্তি তার। এবার জয় করেছেন নেপালের হিমালয়ের ২২ হাজার ৩শ ৯৪ ফিট উঁচু ‘আমা দাব্লাম’। নেপালের শেরপারা ভালোবেসে ডাকেন ‘মায়ের গলার হার’। গতকালই তার বিজয়ের খবর লিখে পাঠিয়েছেন সুমাইয়া রহমান কান্তি

নেপালের ২২ হাজার ৩শ ৪৯ ফিট উঁচু অনিন্দ্য সুন্দর ও অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত হলো ‘আমা দাব্লাম’। মানে অর্থ ‘মায়ের গলার হার’। অত্যন্ত বিপদজনক খাড়া রিজ ও ঢালু দেয়ালের জন্য অনেকেই ডাকেন “হিমালয়’স মেটাল হর্ণ” বা ‘হিমালয়ের ধাতব শিং’। অত্যন্ত বিখ্যাত এই পর্বত, দারুণ। এতোই সমীহের যে, ছবি আঁকা আছে নেপালের এক রুপির ব্যাংক নোটেই।
বাংলাদেশ থেকে এর আগে কোনোদিন কোনো পর্বতারোহী আমা দাব্লাম জয় করতে পারেননি চেষ্টায়ও। সে খরা কেটেছে। পর্বতটির শিখরে পৌছেছেন বাবর আলী। ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি নাম, বাবর ঐতিহসিক একজন পর্বতারোহী হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। নেপালের সময় সকাল ৯টা ৩ মিনিটে তিনিই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের লাল-সবুজ পতাকাটি ওড়ালেন শিখরে।
চট্টগ্রামের এই তরুণ পর্বতারোহী পেশায় একজন চিকিৎসক। তবে পাহাড়প্রেমী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। পর্বতারোহণকে ধ্যানজ্ঞান মেনে ‘বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স’টি করেছেন ভারতের ‘নেহেরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং’-এ। ২০১৪ সালে পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’র তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এখন সাংগঠনিক সম্পাদক। সে বছর ক্লাব থেকে নেপালের হিমালয় অভিযানে গিয়েছেন। বাবর আলী সামিট করেছেন পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার একটি বিশেষ পর্বত। এরপর থেকে হিমালয়ে তার পথচলা শুরু হলো। ‘পর্বতারোহণের বিশুদ্ধতম ধরণ’ নামে পরিচিত ‘আলপাইন স্টাইল’। এভাবে ২০১৬ সালে ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’র হয়ে সামিট করেছেন তিনি ভারতের ‘মাউন্ট ইয়ানাম’, ইংরেজিতে ‘মাউন্ট ইউনাম’। ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানালি পর্বতমালার ২০ হাজার ফিট উঁচু পবত। আমাদের দেশ থেকে প্রথমবার আলপাইন স্টাইলে ইয়ানাম পাহাড়ের চূড়া জয় দলের অন্যতম ছিলেন বাবর। তিনি জয় করেছেন পর্বতটি। পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন। প্রায় প্রতি বছর করেছেন এক বা একাধিক হিমালয় অভিযান। নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে বাবর নিয়মিত দৌঁড়ান। নামকরা সাইক্লিস্ট তিনি। করেছেন ‘ক্রস কান্ট্রি সাইক্লিং’। ‘কায়াকিং’ করেন।
ধারাবাহিকভাবে বাবর আলী লক্ষ্য হিসেবে স্থির করলেন, ‘মায়ের গলার হার’ জয় করবেন। আবার যাবেন হিমালয়ে। ৯ অক্টোবর অভিযানের জন্য দেশত্যাগ করলেন। ছুটতে লাগলেন নেপালের পথে। ১১ অক্টোবর প্রয়োজনীয় অনুমতি পেলেন। অন্যান্য সব প্রস্তুতিও শেষ করে ফেললেন দুুঁদে অভিযাত্রী। তবে বাধা হয়ে দাঁড়াল তাদের বৈরী আবহাওয়া। তাতে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার নিয়মিত বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল।
তবে বাবর দমলেন না। খরচ আছে। তাই ১২ অক্টোবর অসাধারণ অভিযাত্রীটি সড়কপথে যাত্রা করলেন বেসক্যাম্পে। কিছু পথ গাড়িতে, বাকিটা পথ হেঁটে-এভাবে ১৯ অক্টোবর পৌঁছে গেলেন পর্বতারোহী বাবর আলী আমা দাব্লাম, বেস ক্যাম্প-১-এ। একদিন বিশ্রাম নিলেন। পরদিন ঘুরে এলেন বেস ক্যাম্প-২। উচ্চতা, স্বল্প অক্সিজেন, তুমুল আবহাওয়া, শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যেখানে পৌঁছানোর কোনো বিকল্প নেই। আবার নেমে এলেন নিয়মানুসারে বেস ক্যাম্প-১-এ। ২৩ অক্টোবর সূর্য ওঠার সঙ্গে, সঙ্গে বাবর আলী বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করলেন। আবার উঠে গেলেন খুব কষ্ট আর ভালোবাসায় ‘আমা দাব্লাম’ বেস ক্যাম্প-২। তিনি এবার শরীরকে সইয়ে নিয়েছেন। আবহাওয়াও চেনা হলো তার জীবনে। ফলে পরদিন ২৪ অক্টোবর দারুণ শক্তিতে, তুমুল শ্রমে উঠে গেলেন আমা দাব্লাম বেস ক্যাম্প-৩।
২৫ অক্টোবর ভোরে মিনিটে শুরু হলো আমাদের পর্বতারোহী, বিখ্যাত অভিযাত্রী বাবর আলীর ‘আমা দাব্লাম’ বা হিমালয়ের ‘মায়ের গলার হার’ জয়ের চূড়ান্ত অভিযান। এবার তিনি আমা দাব্লাম জয় করবেন। চূড়াটি জয়ের চূড়ান্ত প্রচেষ্টা শুরু হলো বাংলাদেশী পর্বতারোহীর। নেপালের সময় সকাল ৯টা ৩ মিনিটে পর্বতটির শীর্ষে পৌঁছে গেলেন বাবর আলী।
বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করলেন তিনি। ২৬ অক্টোবর, ২০২২ বিকালে আবার বেস ক্যাম্প-১ এ নেমে এলেন পর্বতারোহনের সাফল্য নিয়ে। তিনি সুস্থ ও পুরোপুরি ফিট। আমা দাব্লাম জয় করা পর্বতারোহী বাবর আলী কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা নিয়ে বলেছেন তার নেপালী শেরপা পর্বতারোহী বন্ধু ও গাইড ‘বীরে তামাং’র কথা। ‘তিনি না থাকলে আমি আমা দাব্লাম জয় করতে পারতাম না’ জানিয়েছেন হাসিমুখে।
‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশের হয়ে তার সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগের চেষ্টায় রত ফরহান জামান নেপাল থেকে এখনো না ফেরা বাবরের আমা দাব্লাম জয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাবর আলী আমা দাব্লামের অভিজ্ঞতা এক বাক্যে বলেছেন, “নেপালের ‘হিমালয়ের মায়ের গলার হার’ সত্যিই পর্বতারোহীদের পর্বত। এই অভিযানের সব টাকা আমার দেওয়া। সব সহযোগিতা করেছে আমার ক্লাব।”

ওএফএস।

মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা

ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা করলে করতে পারবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে মানসিক বাধা দিতেই পাল্টা কর্মসূচি।

২৬ এপ্রিল ঢাকায় বিএনপির ডাকা কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। বিএনপি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আওয়ামী লীগও শান্তি সমাবেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে বিভিন্ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলে আসছেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, পাল্টা কোনো সমাবেশ করছি না।

বিএনপি বা বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে, ২৬ তারিখ কর্মসূচি ছিল, লোকজন বলছে এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য এ কর্মসূচি দিচ্ছেন? না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে, নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, পাঁচ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল। আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন, আপনি বলেন বিএনপি এবং আমরা একইদিন কত সমাবেশ করেছি। আপনি দেখতেন একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে, আমি পাল্টাপাল্টি মারামারি করতে যাচ্ছি কি না। তাদের সমাবেশে আমরা কোনো হামলা চালিয়েছি কি না, সরকারি দল হিসেবে। তা হলে অসুবিধা কি? আমরা কি বাধা দিয়েছি? আমাদের সমাবেশ আমরা করছি, তাদের সমাবেশ তারা করেছে। নির্বাচনের আগের দৃশ্যপট এটা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি একতরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসের বিষয় দিয়ে জনগণের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদরক্ষা, সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, তারা গণহত্যা, বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে চলমান চলমান সংঘর্ষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপল কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটের কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।

এর আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 

বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে চলমান সকল যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন পর্যন্ত দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

যুদ্ধের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন, এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।

এছাড়া আজ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল