আইন আদালত

‘ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না: চিফ প্রসিকিউটর


ঢাকাপ্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

‘ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না: চিফ প্রসিকিউটর
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে সাম্প্রতিক সংশোধনের ফলে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠিত হলে তিনি আর দেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে যদি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি আর মেয়র বা চেয়ারম্যানসহ কোনো জনপ্রতিনিধির পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনকি তিনি সরকারি কোনো দায়িত্বেও নিয়োগের যোগ্য বিবেচিত হবেন না। এটি আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে।”

তিনি জানান, রাষ্ট্রকে সঠিক পথে নিতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে এই সংশোধন আনা হয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে এটি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন- এখন কেন এই সংশোধন? একটা বিপ্লবোত্তর রাষ্ট্র যখন পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যায়, তখন কিছু আইনগত সমন্বয় প্রয়োজন হয়। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

আইন সংশোধনের ফলে বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই সংশোধনী কোনো বিচারাধীন মামলার রায়ে প্রভাব ফেলবে না। কারণ এটি এখনো কার্যকর হয়নি। ফলে ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “এই আইনটি সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। তাই এটি বৈধ এবং আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। আইনগত দিক থেকে এটি সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য।”

এ সময় তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বিচারাধীন এমন অবস্থায় কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুবিধা বা প্রভাব খাটানোর সুযোগ নেই। সংশোধনীটি এসেছে সামগ্রিক বিচার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে।