শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান

৬. পরিবার

মা বললেন, আহা, তুই এখানে থাকলে কী যে ভালো লাগে! তবে সন্ধ্যা আসলে দেখবি, আমার আর এত একা লাগছে না। শীতের সময় আগে আগে অন্ধকার নেমে আসে। যদি পড়াশোনাটা জানতাম! এত অল্প আলোতে সেলাই করতেও পারি না। চোখ ব্যথা করে। এতিয়েনে এখানে না থাকলে আমি শুয়ে শুয়ে খাওয়ার সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকি। অনেক লম্বা সময়, প্রায় দুঘণ্টা। খোকাখুকুরা আমার এখানে থাকলে ওদের সাথে কথাবার্তা বলে সময় কাটাতে পারতাম। কিন্তু ওরা এসে বেশিক্ষণ থাকে না; চলে যায়। আমি খুব বেশি বুড়িয়ে গেছি। হতে পারে বুড়ো মানুষদের গায়ের গন্ধও খারাপ হয়ে যায়। তাই হয়তো আমার অবস্থা এমন, একা।

একটার পর একটা ছোট ছোট বাক্যে কথাগুলো এমনভাবে বললেন যেন তার বহুদিন আটকে থাকা চিন্তাগুলো বাইরে ছেড়ে দিয়ে হালকা হলেন। তারপর যেন তার চিন্তার যোগান শেষ হয়ে গেছে এমনভাবে আবার নীরব হয়ে গেলেন: ঠোট দুটো চেপে রাখা, শান্ত বিষণ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন খাবার ঘরের বন্ধ ঝাঁপের দিকে। ওখানে রাস্তা থেকে রুদ্ধ আলো এসে পড়ছে। সেই একই জায়গায় একই নিরানন্দময় চেয়ারে বসে আছেন তিনি। আর তার ছেলে রুমের মাঝখানে রাখা টেবিলের চারপাশে ঘুরছে যেভাবে সে ছোটবেলায় ঘুরত।

জ্যাক আরেক চক্কর ঘোরার সময় মা তার দিকে তাকালেন।

– সলফেরিনো, খুব সুন্দর না?

– হ্যাঁ, একেবারে নিষ্কলঙ্ক। তবে তুমি শেষবার যেরকম দেখেছিলে হয়তো সেরকম নেই। বদলে যেতেই পারে।

– হ্যাঁ, সবকিছুই বদলে যায়।

– ডাক্তার তোমাকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ওনার কথা তোমার মনে আছে, মা?

– না, সে কতকাল আগের কথা।

– বাবার কথাও কেউ মনে রাখেনি।

– আমরা বেশিদিন ছিলাম না। আর তোর বাবা খুব মুখচাপা ছিল।

– মা। জ্যাকের কথায় তিনি না হেসে বরং মৃদু, শূন্য দৃষ্টিতে তাকালেন। জ্যাক আবার বলল, আমার মনে হয়, তুমি আর বাবা আলজিয়ার্সে বেশি দিন এক সাথে থাকোনি।

– না, না।

– আমার কথাটা বুঝতে পেরেছ, মা? তিনি বুঝতে পারেননি বলেই মনে হলো জ্যাকের। কেমন ভয়ার্ত চাহনি তার চোখে যেন ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে আছেন। জ্যাক প্রশ্নটা আবারও জিজ্ঞেস করল, তোমরা আলজিয়ার্সে একসাথে বেশি দিন থাকোনি, না?

– না, মা বললেন।

– তাহলে বাবা পিরেত্তের শিরোচ্ছেদের ঘটনা দেখতে গেলেন কখন? কথাটা বলার সঙ্গে জ্যাক নিজের হাত দিয়ে ঘাড়ের কাছে ইঙ্গিত করল যাতে মা তার কথা ভালো করে বুঝতে পারেন।

– হ্যাঁ, সে রাত তিনটের সময় উঠে পড়ল বারবারুসে যাওয়ার জন্য।

– তাহলে তুমি তখন আলজিয়ার্সে?

– হ্যাঁ।

– কোন সময়ের কথা এটা?

– জানি না। সে তখন রিকমের কাজ করত।

– তার মানে তুমি সলফেরিনোতে যাওয়ার আগে?

– হ্যাঁ।

তিনি হ্যাঁ বললেন। কিন্তু সেটা না-ও হতে পারে। কারণ পেছনের দিকে যেতে হলে তাকে মেঘাচ্ছন্ন স্মৃতির ভেতর দিয়ে যেতে হবে। কাজেই কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। বলতে গেলে, দরিদ্র মানুষদের স্মৃতি ধনী লোকদের স্মৃতির মতো অতোটা পুষ্ট নয়। তাদের ফাঁকা জায়গাগুলোতে সীমানাচিহ্নের সংখ্যা খুবই কম। কারণ যেখানে তাদের বসবাস তার বাইরে খুব একটা তারা যায় না; তাদের ধূসর এবং বৈশিষ্ট্যহীন সারা জীবনে উল্লেখ করার মতো কম ঘটনাই থাকে। অবশ্য তাদের মতে, তাদের হৃদয়ের স্মৃতি থাকে এবং সেটাই নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবে দুঃখ আর শ্রমের ফলে হৃদয়ও ক্ষয়ে যায়। ক্লান্তির চাপে সবকিছু ভুলে যায় তাড়াতাড়িই। অতীতের বিষয় আর ঘটনার স্মৃতিচারণ হলো ধনীদের জন্য। দরিদ্রদের জন্য স্মৃতি শুধু তাদের মৃত্যুর দিকে যাওয়ার পথের ওপরে কতিপয় দুর্বল চিহ্ন রেখে যায়। আর টিকে থাকার জন্য খুব বেশি স্মৃতি ধরে রাখার দরকারও নেই।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুধু ধাবমান দিনের নিবিড় সান্নিধ্য রক্ষা করে যেতে হবে যেমন জ্যাকের মা করেছেন; সেটাও ছোটবেলার অসুস্থতার জন্য কিছুটা প্রয়োজনের খাতিরে। তার নানির মতে, এ প্রতিক্রিয়াটা হয়েছিল টাইফয়েডের জন্য। কিন্তু টাইফয়েডের তো এরকম প্রতিক্রিয়া রেখে যাওয়ার কথা নয়। সেটা সম্ভবত ছিল টাইফাস, নাকি অন্য কিছু? এখানেও আবার অস্পষ্টতা। সেই অসুস্থতার কারণে তিনি বধির হয়েছেন এবং কথা বলতে সমস্যা হয়েছে। সবার চেয়ে হতভাগ্যরাও যেসব বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছে সেসব বিষয় থেকেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। সুতরাং সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টাও তার ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জীবনকে মোকাবেলা করার এটাই তার একমাত্র উপায়।

তা ছাড়া তার আর কী-ই বা করার ছিল? তার মতো অবস্থানে থাকলে অন্য যে কোনো মানুষেরই কি বিকল্প কোনো উপায় থাকত? জ্যাক চাইছে, যে মানুষটা চল্লিশ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন তার মা যেন তার কথা আবেগাপ্লুত হয়ে বর্ণনা করেন। কারণ তিনি তো ওই মানুষটার সঙ্গে আপাতত পাঁচ বছরের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। নাকি নেননি? ওই রকম আবেগী বর্ণনা তিনি দিতে পারেন না। অবশ্য জ্যাক জানে না, তার মা তার বাবাকে গভীর আবেগের সঙ্গে ভালোবেসেছেন কি না; ভালোবাসুন আর না-ই বাসুন, সে বিষয়ে মাকে সরসরি জিজ্ঞেস করতে গেলে জ্যাক নিজেও মায়ের মতোই নীরব আর জড়তাচ্ছন্ন হয়ে যায়।

বাবা মায়ের মাঝে কেমন সম্পর্ক ছিল সেটা জ্যাক মন থেকেই জানতে চায় না। কাজেই মায়ের কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবে যা জানা যায় তার ওপর ভরসা করে অন্য চেষ্টা আপাতত সে বাদ দিয়ে দেয়। এমনকি একটা ঘটনা বা পরিস্থিতি তার শিশু মনের ওপর ছাপ ফেলেছে এবং সারা জীবন, তার স্বপ্নেও তাকে তাড়া করেছে–সেটা হলো একজন কুখ্যাত অপরাধীর ফাঁসির সময় উপস্থিত থাকার জন্য তার বাবার রাত তিনটের সময় ঘুম থেকে উঠে পড়া। তবে ওই ঘটনার কথাও সে শুনেছিল নানির কাছ থেকে।

আলজিয়ার্সের খুব কাছের একটা খামারে দিনমজুরের কাজ করত পিরেত্তে। সে তার মনিবদের এবং তিনটা শিশুকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল তাদের বাড়িতে। ছেলেবেলায় একদিন জ্যাক জিজ্ঞেস করেছিল, ডাকাতি করতে গিয়ে খুন করেছে? তার এতিয়েনে মামা বলেছিল, হ্যাঁ। কিন্তু নানি বলেছিলেন, না ডাকাতি করার জন্য নয়। তবে তিনি এর চেয়ে বেশি আর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। বিভৎস অবস্থার লাশগুলো তারা দেখেছিল। ঘরের ছাদ পর্যন্ত সবখানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। একটা বিছানার নিচে সবচেয়ে ছোট শিশুটা কিছুক্ষণ জীবিত ছিল এবং তার রক্তে ভেজা আঙুলে লিখে গিয়েছিল, পিরেত্তে দায়ী। পরে সেও মারা গিয়েছিল। খুনিকে বিমূঢ় অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল গ্রামের দিকে। ভয়ার্ত গণদাবি উঠল তার ফাঁসির পক্ষে এবং তাৎক্ষণিকভাবেই মঞ্জুরও হয়ে গেল। তাকে ফাঁসি দেওয়া হল বারবারুসের জেলখানার সামনে বেশ কিছু লোকের উপস্থিতিতে। জ্যাকের বাবা ওই ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত থাকার জন্য রাত তিনটের সময় ঘুম থেকে উঠেছিলেন।

নানির মতে, ওই ফাঁসির দৃশ্যের প্রতিক্রিয়া তার বাবার মনের ওপর কঠিন চাপ তৈরি করেছিল। তবে কী ঘটেছিল সে কথা তারা আর জানতে পারেনি। আপাতদৃশ্যে ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল। তবে জ্যাকের বাবা সে রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন ক্রুদ্ধ অবস্থায়। বিছানায় গিয়ে বেশ কয়েক বার উঠে এসে বমি করেছিলেন। তারপর আবার ঘুমাতে গিয়েছিলেন। সে রাতে কী দেখেছিলেন সে ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাননি।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আগে অভিজাত পরিবার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেনিস খেলতো। এখন আর সেরকম জৌলুস নেই। একজন টেনিস খেলোয়াড় ১০০ জনকে পথ দেখাবে। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন। এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে।

শনিবার (৪ মে) ঢাকায় বিজয়নগরস্থ হোটেল ৭১এ বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ফুটবল খেলোয়াড়রা একসময় উন্মাদনা তৈরি করেছিল। সেই উন্মাদনা আমাদেরকে মাঠে নিয়ে যেত। আমরা বয়স ভিত্তিক টেনিস খেলাকে গুরুত্ব দিয়েছি। সাধারণকে টেনিস মাঠে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি। উপজেলা পর্যায়ে টেনিস খেলা চলে গেছে। টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। প্রচারণার সেই জায়গাটাই নিয়ে যেতে চাই। টেনিসের প্রতি যাদের প্রেম, ভালবাসা আছে তাদেরকে আগামীতে নির্বাচিত করবেন। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহিতার জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। মানব কাঠামো তৈরি হচ্ছে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন। ক্রিকেটে ওডিআই ও টেস্ট স্ট্যাটাস তার সময় এসেছে। ক্রিকেট এখন সমীহ জাগানো বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স আধুনিক করে দিয়েছেন।

সভায় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার সাধারণ সম্পাদকের এবং কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ সালাহউদ্দিন কোষাধ্যক্ষ এর রিপোর্ট পেশ করেন।

বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর আর্জেনটাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। মেসির যাদুকরী ফুটবলে বুঁদ হয়ে থাকেন ভক্তরাও। তবে ফুটবলের বাইরেও লিওর আছে ভিন্ন এক জগৎ। মাঠের ফুটবলের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের দুনিয়াতেও সাফল্যের সাথে বিচরণ করছেন এই কিংবদন্তি।

২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন মেসি। এরপর গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন পানীয় আনার ঘোষণা দেন মেসি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

মেসি বলেন, আমাদের নতুন হাইড্রেশন পানীয়টি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। পরবর্তী প্রজন্মের হাইড্রেশন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে সেটি সম্পর্কে জেনেছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসির দেয়া পোস্ট থেকে জানা গেছে, এ বছরের ২৪ জুন পানীয়টি বাজারজাত করা হবে। শুরুতে এই পণ্য পাওয়া যাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বাজারে।

ইন্টার মায়ামি থেকে বছরে ৫ থেকে ৬ কোটি ডলার আয় করেন মেসি। ফোর্বসের হিসাব মতে, মেসির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি ডলার। নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন মেসি। কাজ করেন জনপ্রিয় দুই ব্রান্ড অ্যাডিডাস ও পেপসিকোর সাথেও। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

এছাড়া, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে প্লে টাইম স্পোর্ট-টেক নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন মেসি। প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে থাকে। তাছাড়া হোটেল ব্যবসা থেকেও বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন মেসি। সৌদি ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ থেকে বছরে পান ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি।

ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি

চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) তৈরি করত চক্রটি। পরে এসব জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তৈরি করত ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল। পরে এসব দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিতো চক্রের সদস্যরা। তারা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ভুয়া দলিল জমা দিয়ে।

চক্রটির জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সংঘবদ্ধ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তার জালিয়াতি চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- ইদ্রিসের প্রধান সহযোগী মো. রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মো. লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসির ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে, এই চক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দকৃত দলিল, নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিন নম্বর, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের এই সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সম্প্রতি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গোপন সূত্রে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যদের সহযোগিতায় একাধিক এনআইডি ও টিন তৈরি করে আসছে। পরবর্তীতে এই এনআইডি ও টিন ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করত। পরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক ঋণ নিত। এভাবে তারা প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

তিনি আরও বলেন, জয়নাল আবেদীন ইদ্রিসের নেতৃত্বে এ চক্রটি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছে নিঃস্ব। সিআইডির অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নালের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা সিআইডি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল রাজধানীর মিরপুরে কোঅপারেটিভ মার্কেটে একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরে তিনি ও শহিদুল ইসলাম সবুজ মিলে ফ্ল্যাট জালিয়াতি শুরু করেন। এভাবে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান জয়নাল। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা। প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি এনআইডি ব্যবহার করেন তিনি। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির অধিক হিসাব খোলেন। অর্থ আত্মসাতের টাকা দিয়ে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কেনেন জয়নাল।

সর্বশেষ সংবাদ

একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়
ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
বাড়ি ফিরলেই বিয়ে, হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল আশিকের
অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি