শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা

কথায় বলে, অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। আলী আকবর পুত্রকে হারিয়ে একেবারে পাথর হয়ে গেছেন। তিনি কাঁদতেও পারছেন না। তার কান্না পাচ্ছে না। কেমন যেন একটা অস্বাভাবিক ভঙ্গি করে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কখনো কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলেন। তিনি বাড়িতে গিয়ে যখন পা রাখলেন তখন সকাল নটা। তাকে দেখে বাড়ির সবাই এগিয়ে এসেছে। সবাই তার কাছে আরেফিনের কথা জানতে চাচ্ছে। আরেফিনের কী খবর? কোথায় আছে? কেমন আছে? কবে দেশে আসবে সে?
আরেফিন যে কোনোদিনই আর দেশে ফিরবে না; সেকথা কী তারা কেউ জানে! জানতে কী এ রকম প্রশ্ন কেউ করত? ঘাতক করোনায় আরেফিনের জীবন বিনাশ করেছে। আরেফিনকে চিরদিনের জন্য কেড়ে নিয়েছে। সেই কথা যে আলী আকবর মুখ ফুটে বলবেন তা পারছেন না। তিনি তার স্ত্রী জমিলা খাতুনের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন। তার চোখের দৃষ্টি দেখেই হয়ত আঁচ করতে পারলেন। বাড়ির অন্যলোকগুলো কিছু বোঝার আগেই মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন জমিলা খাতুন। সবাই দৌড়ে গেল তাকে ধরার জন্য। আলী আকবরের চোখের সামনে তার স্ত্রী পড়ে গেলেও তিনি ধরতে গেলেন না। তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। বিদ্যুতায়িত হলে মানুষের যেমন অবস্থা হয় আলী আকবরের সেই অবস্থা হয়েছে। তাকে কেউ ছুঁয়ে দিলেও হয়তো তিনি পড়ে যাবেন।

আলী আকবরের ছোট ছেলে আক্কাস আলী মেজছেলে আবদুল আলী চিৎকার দিয়ে মা’র কাছে যায়। জমিলা খাতুন ততক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। বাড়ির মহিলারা তাকে ধরে মাটিতে পাটি বিছিয়ে শুইয়ে দিয়েছে। একজন জগে করে পানি এনে জমিলা খাতুনের চোখেমুখে ছিটিয়ে দিচ্ছে। আরেকজন তালপাখা দিয়ে বাতাস করছে। আবদুল আলী আর আক্কাস আলী কান্নাকাটি করছে। তারা তখনো বোঝেনি, তাদের বড় ভাই আর পৃথিবীতে নেই। কোনোদিন তারা তাকে দেখতে পাবে না।
আবদুল আলী কাঁদতে কাঁদতে বলে, কী হয়েছে মা? চোখ খোল মা! চোখ খোল!
আক্কাস আলীও কাঁদে। অঝোরধারায় তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। মা’র জন্য তার খুব কষ্ট হচ্ছে। বাড়ির পুরুষ লোকগুলো আলী আকবরকে ধরে খাটের ওপর বসিয়েছেন। একজন দৌড়ে এসে তার মাথায় তেল-পানি দিতে দিতে বলল, ইহ! মাথাডা কী গরম! মনে হয় আগুন বাইর হইতেছে!
আলী আকবর আর বসে থাকতে পারলেন না। তাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেই জমিলা খাতুনের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি চোখ মেলে দেখেন বাড়ির সব মহিলা তার চারপাশে ঘিরে বসে আছে। তিনি তাদের কাছে জানতে চান, আমার বড় পোলাডা কই? আমার আরেফিন?
মহিলারা একজন আরেকজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করেন। হঠাৎ আরেফিনের কথা জিজ্ঞাসা করাতে তারা ঠিক বুঝতে পারছেন না, কী বলা উচিত। একজন আরেকজনকে বললেন, আরেফিন কী বাড়িতে আইছে?
আরেকজন ঠোট উল্টে জবাব দেন। কই, দেহি নাই তো!
জমিলা খাতুন বললেন, আরেফিনের বাপরে জিজ্ঞাসা কর না, আমার আরেফিন কই?
চাচা মিয়া চাচা মিয়া বলতে বলতে জরিনা বেগম আলী আকবরের কাছে যায়। গিয়ে দেখে তিনিও বিছানায় শুয়ে আছেন। বাড়ির লোকরা তাকে ঘিরে বসে আছেন। জরিনা বেগম তাদের কাছে জানতে চায়, চাচা মিয়ার কী হইছে?
কী যে হইল বুঝতে পারতেছি না। করিম মুন্সি বলল।
এরমধ্যেই আলী আকবর হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বললেন, আমার আরেফিন নাইগো, আরেফিন বাঁইচা নাই! করোনায় আরেফিনরে নিয়া গেছে!
আরেফিনের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ির লোকরা একেবারে থ। নির্বাক দৃষ্টিতে তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা নিজেদের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। সবার মনে এক প্রশ্ন, আমরা ঠিক শুনছি তো! নাকি আরেফিনের বাবা পাগল টাগল হইয়া গেল! এমন আবোল তাবোল বকতেছে কেন?
আরেফিনের মা বাবা ভাই-বোনের সঙ্গে বাড়ির লোকরাও কাঁদছে। কে কাকে দেবে সান্ত্বনা। পুরো বাড়িতে শুধু কান্নার রোল। সেই কান্না শুনে আশপাশের মানুষও জড়ো হয় আরেফিনদের বাড়িতে। তারাও আরেফিনের খবর শুনে আপসোস করে। প্রতিবেশি জালালউদ্দিন দুঃখ করে বলে, বড় ভালো ছেলে ছিল আরেফিন। সব সময় হাসি দিয়া কতা কইত। আজরাইল তারে টাইন্যা নিল চীনে? দুনিয়াতে ভালো মানুষ থাকতে পারে না গো! গ্রামে কত খারাপ মানুষ, তাগোরে চোহে দেহে না। গ্রামে এতো অন্যায় অত্যাচার হইতাছে; অথচ গ্রামে করোনা নাই। করোনা সব শহরে ঘুরতাছে।
নাসির উদ্দিন তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলল, ঠিকই কইছ। আমাগো গ্রামে এহন পর্যন্ত একটাও করোনা রুগী পাওয়া যায় নাই। এহন আবার নতুন খবর বাইর হইছে। চীনই নাকি এই ভাইরাস বানাইয়া ছাইড়া দিছে।
তাই নাহি? এইসব কতা তুমি কই পাইলা নাসির ভাই? আবদুল করিম বলল।
আমার পোলায় কইল। পত্রিকায় নাহি দিছে? হারা দুনিয়ায় দহল চীনের হাতে যাইব বুঝলা? এই দুনিয়ায় যার হাতে টাকা থাকব, সে-ই তো সব! চীন এহন সবার সেরা। আমেরিকা, ইউরোপ-সবাই নাকি চীনের কাছে ধরা।
আরে তুমি তো দেহি সব খবরই রাহো! আবদুল করিম বলল।
নাসির উদ্দিন গর্বের সঙ্গে বলল, আমি কী এসব জানি নাহি। আমার পোলায় সব খবর রাহে। হাতে একখান মোবাইল। হারাদিন মোবাইল টেপে। আমি কইলাম, কিরে আফসার? তোর কী কোনো পড়ালেহা নাই। হারাদিন মোবাইল টেপোস? ও কইল, মোবাইলে পত্রিকা পড়ে! সারা দুনিয়ার খবর নাহি মোবাইলে পাওয়া যায়! কও দেহি কী কাণ্ড! আমারে কয়েকটা খবর পইড়াও হুনাইলো। না হুনাইলে তো বিশ্বাসও করতাম না!
আবদুল করিম বলল, আশ্চর্য কতা কইলা নাসির ভাই। কী মোবাইল কও তো? আমারও তো মোবাইল আছে। মোবাইলে পত্রিকা পড়া যায় তা তো কহনো হুনি নাই!
আমাগো বাড়ি লও। দেখবা হানে। নাসির উদ্দিন বলল।
আবদুল করিম নাসির উদ্দিনের বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়। অন্যরা যে যার বাড়ির দিকে চলে যায়। ধীরে ধীরে আলী আকবর মাথা তোলেন। বিছানা থেকে উঠে বসেন। শোকে মুহ্যমান পরিবেশটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এভাবেই আপনজন হারানোর বেদনা ভুলে যায় মানুষ। কিংবা ভুলে যেতে বাধ্য হয়। শোকের পাটি ভাঁজ করে পাশে রেখে কাজের পেছনে ছুটতে হয় তাকে। বেঁচে থাকার তাগিদ যে অনেক বড়। সেজন্যই হয়তো মানুষ সব ভুলে যেতে পারে।

ঘরের মেঝেতে বসে আছেন জমিলা খাতুন। তার হাতে একটা অ্যালবাম। অ্যালবামে বড় ছেলে ও ছেলের বউ’র ছবি। তিনি একটা একটা করে অ্যালবামের পাতা উল্টান আর ছবি দেখেন। তার পাশে বসে ছোট ছেলে আক্কাসও ছবি দেখে। ছবি দেখে মাকে এটা ওটা জিজ্ঞাসা করে। ছেলের সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন না জমিলা খাতুন। তিনি কিছুক্ষণ পরপর আঁচল দিয়ে চোখের পানি মোছেন। আক্কাস তার মা’র দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আবার ছবির দিকে তাকায়। ছবি দেখে আর মাকে প্রশ্ন করে। এরমধ্যেই বাইরে থেকে ঘরে আসেন আলী আকবর। তিনি জলচকি টেনে জমিলা খাতুনের কাছে গিয়ে বসেন। জমিলা খাতুন তাকে এক নজর দেখে আবার অ্যালবামে চোখ রাখেন। আলী আকবর কোনো রকম ভনিতা ছাড়াই বলতে শুরু করেন। বুঝলা আরেফিনের মা, পোলার বউরে তো তুমি দেহ নাই! আস্ত একটা পরী! আল্লায় মিলাইছিল! এতো সোন্দর মাইয়া আমি কোনো দিন দেহি নাই। আমার কাছে মনে হইতেছে স্বপ্ন। আমি স্বপ্ন দেখতাছি! আমি বিমান বন্দরের সামনে কান্নাকাটি করতে আছিলাম। বউমারে তো আমি চিনি না! আমারে আইয়া কইল, আপনে কানতেছেন কেন? আমি কইলাম, চীন থেকে আইজ আমার পোলার লাশ আইব। আমি আমার পোলার মুখটা একটু দেখমু। তারপর জিগাইল, আপনের পোলা কেডা?
আমি আরেফিনের নাম কইলাম। সঙ্গে সঙ্গে কইল, আপনে আমার গাড়িতে ওডেন। আমি গিয়া গাড়িতে উঠলাম। ওরে বাপরে! ওই রহম গাড়িতে আমি জীবনেও উডি নাই। সিডে বইলেই ঘুম আইয়া পড়ে। কিছুক্ষণ পর বউমা আমারে তার অফিসে লইয়া গেলো। ওরে বাবা! অফিস না যেন স্বর্গখানা! তারপর আমারে বইতে কইল। ঘ্রাণ আলা চা খাওইয়াল। বিস্কুট খাওইয়াল। তারপর দুই লাখ টাকা দিয়া কইল। ছেলেরে তো আর ফেরত পাইবেন না। ধইরা নেন আমিই আপনার ছেলে। আমার দুই চোখ দিয়া দরদর কইরা পানি বাইর হইতে লাগল। বউমা চোখ মুইছা দিয়া কইল, মন খারাপ কইরেন না। বাড়ির ঠিকানাডা দিয়া যান। আমি আপনাগো লাইগ্যা মাসে মাসে টাকা পাডাইয়া দিমু।
আবার কাঁদলেন আলী আকবর। তিনি চোখে চোখে বউমাকে দেখছেন। আর মনে মনে ভাবছেন, বউমা তার চোখের পানি মুছে দিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে। এই সান্ত্বনাটুকুই যেন তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।

চলবে...

 

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

Header Ad

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরুতেই বড় ধাক্কা হজম করতে হলো পাকিস্তানকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে বাবর আজমের দল। অধিনায়ক বাবরের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিং আরও একবার পড়েছে প্রশ্নের মুখে। আইরিশদের বিপক্ষে ১৮২ রান তোলার দিনেও হারতে হলো ২০০৯-এর টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নদের।

অ্যান্ডি বালবার্নির ৭৭ রানের সঙ্গে হ্যারি টেক্টরের কার্যকরী ৩৬ রান আইরিশদের রেখেছিল জয়ের কক্ষপথে। দরকার ছিল ভালো ফিনিশিং। ক্যাম্ফারের ৭ বলে ১৫ রানের ক্যামিও শেষ পর্যন্ত সেই কাজও সহজ করে দেয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের জয় ৫ উইকেটে।

ডাবলিনের ক্যাসেল অ্যারেনায় টস জিতে আগে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে আজও সেই সাইম আইয়ুব এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটিই শুরু করেছে পাকিস্তানের ইনিংস। তাতে অবশ্য খুব একটা রান ওঠেনি। ৪ বলে ১ রান করেই বিদায় নেন রিজওয়ান।

এরপরেই ক্রিজে বাবর আজম এবং সাইম আইয়ুবের জুটি। দুজনের জুটিতে রান খারাপ ওঠেনি। রান এসেছে ওভারপ্রতি ৯ করে। তবে এতে সাইমের কৃতিত্বই বেশি। আউট হওয়ার আগে ১৫৫ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ২৯ বলে তুলেছেন ৪৫ রান। পাকিস্তানকে বড় স্কোরের ভিত দিয়েছে সেই ইনিংসটিই। ৯২ রানে তার আউট হওয়ার পর বাবর তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৪তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। তবে এমন ইনিংসেও সমালোচনা এড়ানো যায়নি। ৪৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটি পাকিস্তানের রানের চাকাই বরং খানিক ধীর করে রেখেছিল।

যদিও এসময় পাকিস্তানের হয়ে রান করতে পারেননি কেউই। ১৮ বলে ২০ রানের আরেকটি ধীরগতির ইনিংস খেলেন ফখর জামান। আর আজম খান এবং শাদাব খান দুজনেই ফিরেছেন ডাক মেরে। শেষদিকে ইফতিখান ৩ চার এবং ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩৭ রান করে দলের রানের চাকা ঘোরান। আর তাকে সঙ্গ দেন শাহিন আফ্রিনি। তার ৮ বলের ইনিংসে এসেছে ২০ রান। তাতেই পাকিস্তান পেয়ে যায় ১৮২ রানের বড় পুঁজি।

ব্যাট হাতে আইরিশদের সূচনাও খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৪ রানে নাসিম শাহের বলে পল স্টার্লিং আর ২৭ রানে আব্বাস আফ্রিদির বলে আউট হন লকরান টাকার। দুজনেই ক্যাচ আউটের শিকার। এরপরেই টেক্টরকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ম্যাচসেরা বালবার্নি। পার হয় দলীয় শতরান। হ্যারি টেক্টর ফিরে যান ১৩তম ওভারে। স্কোরবোর্ডে তখন ১০৪ রান।

আয়ারল্যান্ডের জন্য জয় তখনো দূরের বাতিঘর। এ সময় ১২ বলে ২৪ রানের দ্রুতগতির এক ইনিংস উপহার দেন জর্জ ডকরেল। ছোট এই ক্যামিওটাই ম্যাচ নিয়ে আসে হাতের মুঠোয়। দলীয় ১৪৩ রানে ডকরেল ফিরে গেলেও বিপদ হয়নি। বালবার্নি ফিফটির পরেও ধরে রেখেছিলেন রান তোলার গতি।

১৯তম ওভারে থামে তার ৫৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। কিন্তু ততক্ষণে ঠিকই জয়ের কাছাকাছি চলে যায় আয়ারল্যান্ড। আর শেষ ওভারে দুই চার মেরে দলকে জয় এনে দেন কার্টিস ক্যাম্ফার।

 

বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়া দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ২ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ও ভারতের ফুলবাড়ি সীমান্তে ওই দুই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও একই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

এর আগে, গত ৮ মে তেঁতুলিয়া উপজেলা রনচন্ডি বিওপি আওতাধীন এলাকা সীমান্ত পিলার ৪৪৬/১৪ আর এর নিকট খয়খাটপাড়া এলাকার ভারতের ১৭৬/ফকির পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে তারা মারা যান। ঘটনার পর ভারতীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। দুই জনের মরদেহ শণাক্তসহ মরদেহ ফেরত পেতে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। পরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি সুজয় কুমার বলেন, বিকেলে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিহত দুই যুবকের মরদেহ এসআই আশরাফুল ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ভারতে মরদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ায় ময়নাতদন্ত প্রয়োজন হয়নি। মরদেহ দুই পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি হাসপাতালে অবৈধভাবে তৈরি করা ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে অবস্থিত অবৈধ, অনুমোদনবিহীন, ইজারার মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে যদি সরকারি বকেয়া পাওনাদি থাকে তবে তা আদায় করে অপসারণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এরই মধ্যে স্থাপিত ফার্মেসি-ক্যান্টিনের অনুমোদন নবায়ন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড
বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত
সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস
আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন গিল
হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে, চতুর্থ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী