শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৫

নেই দেশের নাগরিক

সাকিব ঘুমিয়ে পড়লে, তার গা’টা আদরের আঁচল দিয়ে ঢেকে দেয়। আরিফা ভাবে, আঁচল দিয়ে আর কতদিন আগলে রাখব? মৃত্যু তো ছো পেতে আছে! যেকোনো সময় ছোবল মারতে পারে। আঁচল কি আর মৃত্যু রুখতে পারে? এ আঁচল কি আর মুসানবীর লাঠি, যে মৃত্যুকে রুখে দেবে? এ আঁচল বড়জোর মাছি তাড়াতে পারে, মশা তাড়াতে পারে, হাওয়া দিয়ে দিতে পারে নিশ্চিন্তির ঘুম।

চোখ মোছে আরিফা। মতি নামাজের শেষ রাকাতের সিজদায় যাওয়ার জন্যে, ঝুঁকে রুকু পড়ছে। নদী আড়মোড়া ভেঙে ঝেরে ফেলছে ঘুমের আবেশ। তার থির বুকে শুইয়ে থাকা অন্ধকার কফির কাপে চুমুক দিয়ে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে ভোরের আলোকে। দূরে দিগন্তে পোঁতা গাছগুলো মিলেমিশে আকাশের দিকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। ভোর হলেও গাছের লতায়-পাতায় জড়ানো আছে ছোপ ছোপ আঁধার। পুব আকাশ থেকে মিহি মিহি আলো বয়ে নিয়ে আসছে পুবালি হাওয়া। সে আলো-হাওয়াই টাটিয়ে আসছে আরিফার চোখ। ছইয়ের চালায় গোঁজা সুখ একটু একটু করে উবে যাচ্ছে শূন্য থেকে মহাশূন্যে। অথচ কত সুখের সাক্ষী এই ঘাটবাড়ি কৌশা নৌকাটা। বিয়ের আগে কতদিন লুকিয়ে মতির সঙ্গে এই নৌকাটায় নদী বিহার করেছে আরিফা। ছইয়ের ভেতর খেলেছে খুনসুটি। বাঁশের বাতাগুলোকে সেসব কথা জিজ্ঞেস করলে, এখনো লজ্জায় মুখ ঢেকে নেবে। ফিসফিস করে বলবে, ‘শরম লাগে’। একবার তো আরিফা পোয়াতি পেটে আবদার করেই বসল, আমাকে নৌকায় চাপাতেই হবে। সাকিব তখন সাতমাসের ভ্রূণ। মতি কোনোমতেই রাজি হবে না, কিন্তু আরিফা নাছোড়। সে বলে, ‘আমরা হলেম কি জেলে মানুষ, বছরভর নদীতে মাছ ধরে খাই, তুমি হচ্ছ এই পেটে আসা ব্যাটা-বিটির জেলেবাপ, তো পেট থেকে বেরোলে তো সেও মাছ ধরবে নাকি, না থানার দারোগা হবে? জেলের ব্যাটা জেলেই হবে। তাই আগে থেকেই নদীর ঢেউ লাগিয়ে রাখি। যাতে বৈঠা টানতে ভুল না হয়।‘

সেবার হালেমার কাছে খুব বকা খেয়েছিল আরিফা। আচ্ছা ঝাড় খেয়েছিল মতিও। হালেমা তেড়েফুড়ে বলেছিলেন, ‘এ মেয়ের কালেজা তো কম নয়! ভরা পেটে নৌকার দোল খায়! ফুল যখন ঝরে যাবে তখন বুঝবে। নৌকায় পাট খাওয়া বেরোবে।‘ মতিকে একহাত নিয়ে বলেছিলেন, ‘ব্যাটাবিটির বাপ হতে চলেছ, শান হবে কবে? তোর তো দেখছি, চুল পাকলেও বুদ্ধি হবে না! যত বুড়ো হচ্ছিস তত খোকা হচ্ছিস!’ আরিফা বা মতি কেউই কোন রা করেনি। আরিফা দাওয়ার খুঁটিটার কাছে মাথায় ঘোমটা টেনে মুখ নিচু করে শুনছিল। তারপর হালেমা হেঁসেলে ঢুকে গেলে, আরিফা মুখের ঘোমটাটা আলতো করে টেনে মতির চোখে চোখ ফেলে ফিক করে হেসেছিল। মতি আশপাশ জরিপ করে, দূর থেকে একটা আদরের ঘুষি চুখিয়ে ছিল।

মতির নামাজ প্রায় শেষের দিকে। সালাম ফিরে হাতের আঙুলে তসবিহ গুনছে। ভোরের চিকন আলো উড়ে এসে বসছে তার ঘাড়ে। সালাম জানাচ্ছে নতুন দিন। ফেজ টুপির ওপরে মুক্ত নীলাকাশ। শূন্যের রাজপাট। অসীম অনন্ত শূন্যকে আঁকড়ে আছে আলো-আঁধারি। আসমান ছুঁয়ে নেমে আসছে আরও একটা সকাল। আরও একটা দিন। হালেমা নামাজ শেষ করেই, মেজবৌকে ডাকে, ‘আরিফা, এই আরিফা, কই গো রা করছ না যে, এই সাতসকালে আবার ঘুমিয়ে গেলে নাকি? এই দেখো, আলো ফুটে গেছে।’ শাশুড়ির হাঁকডাকে কাঁচা ঘুম ভেঙে গেল আরিফার। বাইরের আভা ভেতরে আসার জন্য ছইয়ের বাতায়, পলিথিনের গায়ে ছটফট করছে। ছইয়ের ফাঁক গলে আলো এসে পড়ল মুখে। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসল বিছানায়। চোখে এখনও ঘুমজড়ানো। এ কি ঘুম নাকি ক্লান্তির উড়ো মেঘ? গহীন রাত হয়ে লেগে আছে চোখে। ফোলা চোখ দুটো ড্যাব ড্যাব করে দেখে, একেবারে মাঝনদীতে ভাসছে নৌকোটা! এক পাড়ে মায়ানমার আরেক পাড়ে বাংলাদেশ। দুপাড়ে দু দেশ। মন প্রশ্ন করে ওঠে, আমরা এখন কোন দেশে, মায়ানমারে না বাংলাদেশে? নাকি দেশহীন এক অনাথ নদীর কোলে ভেসে আছি? যে নদীর কোনো ধর্ম নেই, কোনো জাত নেই, কোনো সেনাব্যারাক নেই, আছে শুধু তারকাঁটাহীন এক মুক্ত নীলাকাশ।

আরিফা ছইয়ের বাইরে বের হয়ে এল। মতি তখন মোনাজাত ধরেছে। আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে চায়ছে, ইহকাল-পরকালের সুখ, শান্তি। মিনমিন করে চাইছে, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, পাতিক্ষুরের মতো ধারালো পুলসুরাতের দড়ি পার হওয়ার মাগফেরাত, কেয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে শেষবিচার থেকে পরিত্রাণ, দোযখ থেকে মুক্তি। নাকি মতি অন্তর ডুকরে চায়ছে, জন্মভিটে ফিরে পাওয়ার বাসনা, একটা স্বাধীন দেশ, নিজের দেশ? বৌ-বাচ্চা নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই? নাকি মতি ইহকালের সুখ আহ্লাদ ছেড়ে শুধু পরকালের সুখই চাইছে? যে বান্দা ইহকালের সুখ ব্যাতিরেখে পরকালের সুখ চায়, আল্লাহ যে সেই বান্দাকে বেশি ভালোবাসেন। আকাশ প্রায় পরিষ্কার হয়ে এসেছে। দু-চারটে তারা আবছা আবছা চোখে সুজছে। নুহু বৈঠাটা নৌকার উপর সাট করে ফেলে রেখে, খাড়া হয়ে দাঁড়াল, বলল, ‘দাঁড়াও ভাবি, পলিথিনটা এই কোণায় টাঙিয়ে দিই। তাহলে বেপর্দা হবে না।’ নুহু, কালো রঙের তেলতেলে পলিথিনটা ছইয়ের ছাদ থেকে পেড়ে নৌকোর উত্তরকোণাটায় তিনটে বাঁশের খুঁচ খট খট করে পুঁতে একটা বোরখা ঘর বানিয়ে দিল। তিন কোণার অস্থায়ী ঘেরা বাথরুম। বদনা হাতে প্রথমে ঢুকল আরিফা। ও নাকি বেগ পেলে আর থির থাকতে পারে না। পেট কুনকুন করে। উগলায়। গুরুম গুরুম করে মেঘডাকা ডাক ডাকে। তিনদিক হেচিয়ে পেঁচিয়ে ঘেরা থাকলেও বাথরুমটার ছাদ ফাঁকা। হলহল করে পুবালি হাওয়ায় দুলছে। ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি মারছে সকালের মিস্টি রোদ।
‘গোটা রাখাইনটা তো নদীতে উঠে এসেছে রে!’ নামাজ শেষ করে বিস্ময়ভরা চোখে বলল মতি। যেদিকে চোখ যায়, যতদূর চোখ যায়, শুধু নৌকা আর নৌকা! নৌকাতে গিজগিজ করছে নাফ নদী!

‘কী আর করবে, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড’ এর সেনারা যে আর বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছে না! অগত্যা নদীতেই পড়ে থাকতে হচ্ছে।’ বলল নুহু। আচমকা পরনের লুঙ্গিটা নেংটি মেরে হুট করে ছইয়ের ওপরে উঠতে গেল। ‘এ কী করছিস!’ তেড়ে উঠল মতি। ‘ছইটা ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যাবে যে!’

‘কিচ্ছু হবে না।’ বলে পা ফাঁক করে ছইয়ের ডাপ ধরে বানরের মতো হিড়িং বিড়িং করে উঠতে লাগল নুহু। ‘উপরে উঠে কী করবি?’ গলা খেঁকাল মতি। ‘দেখো না ক্যানে কী করছি।’ কুঁত পেরে বলল নুহু। মতির ভেতরটা ধড়াক করে উঠল, নুহু আবার ছইয়ের মাথা থেকে নদীতে লাফ মারবে না তো! যা দিনকাল যাচ্ছে, কিচ্ছু বিশ্বাস নেই। বৌ-বেটা মারা যাওয়ার পর থেকে নুহু কেমন খামখেয়ালি হয়ে গেছে! মাঝে মধ্যে মাথা বিগড়ে যায়। জ্বিনে ধরার মতো ভুল বকে। লোকে ঠিক কথায় বলে, বৌ মারা যাওয়ার আগে স্বামীর মারা যাওয়াই শ্রেয়। তানাহলে সে স্বামীর যাচ্ছেতাই ছড়াদ হয়। তারপর শুধু বৌ’ই একা নয়, জ্বলজ্যান্ত ব্যাটাটাকে মায়ের সামনে খুন করল। নুহুর খাঁ খাঁ বুক। জানে বল নেই, শুধু হাওয়াটুকু যাওয়া-আসা করে। শরীরের ভারে ছইটা একদিক আলতো কাত হয়ে গেল। কচকচ করে উঠল বাতার বাঁধন। বাঁশের ছাউনি। ছইটাকে কাত হতে দেখে, ভেতর থেকে খেঁকিয়ে উঠলেন হালেমা, ‘টাপাটাকে(ছই) ভাঙবি নাকি? ওরা তো ঘর ভেঙেছে, দেশ ভেঙেছে, এবার তোরা এই নৌকাটাও ভাঙ।’

‘দেখো, দেখো, কথা শুনছে!’ চোখ পাকালো মতি। আরিফা ভ্রূ নাচিয়ে বলল, ‘ওমা, দেওরজি, অ কী কাজ করছ গ, নামো নামো শিঘ্রি নামো। পড়ে পা ভেঙে যাবে!’

‘তোর কি ছেলেমানুষি কোনোদিন যাবে না?’ ধমকে উঠল মতি। দু-ধাপ এগিয়ে গিয়ে যেদিকে ছইটার চালা কাত হয়ে গেছে, সেদিকটা দুই হাত শক্ত করে ঠেলে ধরল। চোখ ঘুলিয়ে বলল, ‘তুই নামবি, না, পা ধরে টেনে নামাব?’
‘ওহঃ অত জ্বালাও ক্যানে! পা ছাড়ো তো। কিচ্ছু ভাঙবে না।’ বিরক্ত হয়ে নিচে বানরের লেজের মতো ঝুলতে থাকা পা’টা সড়াৎ করে টেনে উপরে তুলে নিল নুহু। মতি হাঁ করে দেখতে লাগল, ছোটভাইয়ের কিত্তিকলাপ। নুহু ছইয়ের একেবারে মটকায় উঠে, দুই হাতের তালু বড় করে মুখটা মাইকমুখ করে চিৎকার করে গলা হাঁকল, ‘দংখালীর কেউ আছো নাকি? সবুর, আলিম, মতিন, বাশার কেউ আছো? ওগো ওগো, আমার কথা তোমরা শুনতে পাচ্ছো? ও গো সব নৌকার লোক, দংখালীর কেউ আছো……?’
‘আরে এ তুই কী করছিস? স্বেচ্ছায় মরণ ডেকে আনবি নাকি? চুপ কর নুহু, দয়া করে চুপ কর, তোর গলা শত্রুর কানে পৌঁছে যাবে!’ নিচ থেকে কাঁইকুঁই করে মতি।
‘অত পাঁয়তারা করো না তো? থামো, দেখতে দাও, দংখালীর কেউ আছে কি না।’ চোখ গরম করে তাকায় নুহু। ফুটন্ত ভোরের সদ্যফোটা মিঠেরোদ তার হাড়জিরজিরে বাতাশরীরটায় এসে মোমের মতো মিশে যাচ্ছে। উসকোখুসকো ফেঁসো চুল ফিনফিনে বাতাসে ধাক্কা লেগে কাশফুলের মতো উড়ছে। নুহু যেন ইচ্ছে করেই নিচে নামতে দেরি করছে। নিচ থেকে মতি যতই হাম্বিতাম্বি করুক না কেন, ওসব এক্কেবারেই গা করছে না। নুহু দুইপায়ের গুল্লে দুটো ওপরে খাড়া করে তুলে আরও লম্বা হওয়ার চেষ্টা করল। সারস পাখির মতো গলা বাড়িয়ে আরও ওপর থেকে নদীটাকে দেখবে। পারলে আরও উঁচুতে উঠে দেখে। একেবারে আসমান থেকে। আসলে নুহু, একেবারে উপর থেকে দেখতে চাইল আল্লাহর সৃষ্ট দুনিয়াটাকে। দু পেয়ে মানুষের জগৎটাকে। নুহুর মাঝে মধ্যেই মনে হয়, আসমান থেকে দেখলে, নিশ্চয় সব মানুষকে পিঁপড়ের মতো পিলপিল করতে দেখা যাবে। কে মোটা, কে সরু, কে ধনী, কে গরীব, কিচ্ছু বোঝা যাবে না। দেশের কাঁটাতারগুলোকে মনে হবে দুনিয়ার হৃদয়ে কাঁটা আঁচড়ের দাগ। দেখতে একদম বেমানান লাগবে। মনে মনে গাল দেবে নুহু, এভাবে কেউ নিজের গায়ে আঁচড় টানে? সে দেখবে একটা হট্টিটি পাখি ‘হ টি টি ‘করতে করতে পেরিয়ে যাচ্ছে সীমান্ত। বিচ্ছেদের কাঁটাতার। একটা মেঠো ইঁদুর দাঁত দিয়ে গর্ত করতে করতে পেরিয়ে যাচ্ছে এক দেশ থেকে আর এক দেশ। এমনকি একটা শুঁয়োপোকাও বুক ঠেলে ঠেলে ঢুকে পড়ছে অন্য দেশে। শুধু আটকা পড়ে যাচ্ছে মানুষ! মানুষের পিঠে যে মারা আছে দেশ-এর ছাপ? ধর্মের স্ট্যাম্প। জাতের তকমা। নুহু ভাবে, আল্লাহ তাকে মাটির জীব না বানিয়ে আসমানের জন্তু বানালেই পারতেন? ফেরেশতা তো আর হওয়া হত না। সে না হোক, আসমানের চিল বা লাল-হলুদ মাছরাঙা হলেও হত। নুহু এবার তার হেড়ে গলায় একটা জোর হাঁক পাড়ল, ‘দংখালীর কেউ আছো গ? আমরা দংখালীর লোক।’ আর যায় কোথায়, মতি এবার লুঙ্গিটাকে ঘ্যাঁচ করে গিঁট মেরে, তড়াক করে লাফ মেরে নুহুর একটা পা ধরে নিচ সোজা মারল একটা হ্যাঁচকা টান। পড়পড় করে নিচের দিকে সড়পাতে লাগল নুহু।

‘আরে এ কী করছ বড়ভাই! ছাড়ো, ছাড়ো, পড়ে যাব তো।’ কুঁদরাতে লাগল নুহু। ‘তুই নাম, নাহলে এভাবেই নামাব।’ দাঁত খিঁচল মতি। ‘নামছি, নামছি।’ বলে নুহু ধড়াম করে ছইয়ের ওপর থেকে মারল নিচে লাফ।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব ১৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৯

 

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত