
মনের চিকিৎসা নিজে করতে শিখুন
২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে, সমাজ ও পরিবারের অশান্তি বাড়ছে নানা ক্ষেত্রে। শহরের মানুষ এই সমস্যার সমাধানে মানসিক ডাক্তার বা মনোচিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারলেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটা বৃহৎ অংশ সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সেই সব রোগী কিংবা তাদের অভিভাবকরা অনেক সময় বুঝতেও পারেন না যে কি করতে হবে, কার কাছে যেতে হবে।
বিশ্বের ধনী দেশ থেকে শুরু করে হতদরিদ্র দেশ— সবখানে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সব মানুষই কম বেশি মানসিক রোগে আক্রান্ত। কেউ হয়ত ১০০ শতাংশ, কেউ ৬০ শতাংশ, কেউ ৩০ শতাংশ আবার কেউ ৫ শতাংশ। কেউ আবার ১ শতাংশ।
দুঃখের বিষয় হলো— অনেক মানসিক রোগীই বুঝতে চায় না যে তিনি একজন রোগী। তার যে চিকিৎসা প্রয়োজন তা অনেক রোগী মনে করেন না। ফলে, অনেক সময় তাদের মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে । বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিত রোগীর ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে।
কিশোর বয়সেও অনেকের মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। ছাত্রজীবনে কঠিন অর্থ কষ্ট ও পারিবারিক সমস্যা থাকলে অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। মেডিক্যাল কলেজে বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কঠিন পড়ার চাপ সহ্য করাও অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তখন mental depression এ ভুগে অনেক শিক্ষার্থী। অনেকে আত্মহত্যাও করে বসে।
পরিবারের আর্থিক অভাব অনটন কিংবা কোটিপতির সন্তানদের অনেকে মাদকাশক্ত হয়েও মানসিক রোগে ভুগছে। সরকারি-বেসরকারি দাপ্তরিক কাজের চাপেও অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে ন্যায্য প্রমোশন না পেয়েই দিনে দিনে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাত্যহিক ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের ঘাটতি, ব্যবসায় প্রতিনিয়ত লোকসানের সম্মুখীন হওয়া, দাম্পত্য কলহ, সন্তান মানুষ করতে না পারা, কাউকে টাকা ঋণ দিয়ে তা ফেরত না পাওয়া, দীর্ঘ সময় বেকার জীবনযাপন করা ইত্যাদি নানা কারণে মানসিক রোগ বাড়ছে।
প্রতিটি মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে। মনের বাসনা থাকে। সে সব পূরণে ব্যর্থ হলেও অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন তাদের সাপোর্ট করার মত আশেপাশে কেউ না থাকলেও মহাবিপদ দেখা দেয় তাদের জীবনে।
এই সমস্যা সমাধান করা কিছুটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। মানসিক রোগে আক্রান্ত শিক্ষিত রোগী নিজেও নিজেকে চিকিৎসা করাতে পারেন। মেডিটেশন করতে পারেন। নিজেকে নিজে বুঝাতে পারেন। অনেকে ধর্ম-কর্ম পালন করেও সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। ভালো চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে পারেন। অভিভাবকরা অধিক যত্নশীল হয়ে এই সব রোগীদের সুচিকিৎসা, মানসিক সাপোর্ট, রোগীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার, কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, এসবের মাধ্যমে রোগীদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
অনেক Schizophrenia patient রয়েছে। তাদের কথা শুনলে সহজেই বুঝা যায় তাদের mental disorder কোন পর্যায়ে। ইদানিং তাদের চিকিৎসার জন্যও রাজধানী ঢাকায় বেশ কিছু বিশেষায়িত ক্লিনিক রয়েছে।
শারীরিক রোগের চিকিৎসা করা সহজ। কিন্তু মানসিক রোগের চিকিৎসা করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরিবারের অন্যদের অনেক ধৈর্য্য ও সহনশীলতার দরকার। আমাদের মনে রাখতে হবে শরীর যত সুন্দর আর সুস্থই হোক না কেন মনের অসুখ থাকলে সবই অর্থহীন। সুতরাং মনের চিকিৎসা নিজে নিজে করতে শিখুন। নিজেকে নিজেই বুঝান। হতাশাকে জয় করুন। জীবনে সব কিছু পাওয়া যায় না— এই কথাটা বুঝতে শিখুন। অন্যের জীবন দেখে নিজেকে হতাশাগ্রস্ত করার কোনো দরকার নেই।
লেখক: সাবেক কর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর ট্যাক্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ
আরএ/

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০০ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তিযুদ্ধ।
এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, বাণিজ্য ১ মার্চ এবং ২ মার্চ চারুকলা অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এবারও ঢাকাসহ মোট আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া অন্যান্য নিয়মও বিগত বছরকে অনুসরণ করে হবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
সারাদেশের কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট বিভাগের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বরিশাল বিভাগের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা বিভাগের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর বিভাগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরীক্ষা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
নম্বর বন্টন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট করে। তবে চারুকলা ইউনিটে ৪০ (সাধারণ জ্ঞান) নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৬০ (অংকন) নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউর জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট ও লিখিতের জন্য সময় থাকবে ৬০ মিনিট।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী।

সিআইডি অভিনেতা দিনেশ ফাডনিস মারা গেছেন
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০২ পিএম

ভারতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা জনপ্রিয় শো ‘সিআইডি’র অন্যতম অভিনেতা দীনেশ ফাডনিস মারা গেছেন। সিআইডিতে ফ্রেডেরিকস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দীনেশ ফাডনিস। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই অভিনেতা। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন দীনেশের সিআইডি সহ-অভিনেতা দয়ানন্দ শেঠি। যিনি সিআইডি শো’তে দয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাত ১২.০৮ মিনিটে দীনেশ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’ অভিনেতা মুম্বইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
দয়ানন্দ শেঠি জানিয়েছেন যে দীনেশ ‘মাল্টি অর্গান ফেলিওর’-এর কারণে মারা গেছেন। তিনি বলেন, দীনেশের অনেক জটিলতা ছিল এবং গতকাল রাতে তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রবিবার দীনেশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, দয়ানন্দ শেঠি নিশ্চিত করেছিলেন যে দীনেশের হার্ট অ্যাটাক আক্রান্ত হয়নি কিন্তু লিভারের ক্ষতি হয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
দীনেশ সিআইডিতে ফ্রেডেরিকস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ভারতের জনপ্রিয় টিভি অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠে। প্রায় ২০ বছর ধরে শোটির অংশ ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছিল এটির এবং এটি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি টেলিভিশন শোগুলোর মধ্যে একটি। সিরিজটি ২০ বছর ধরে সনি টিভিতে প্রচারিত হয়েছে।
সিআইডি ছাড়াও, দীনেশকে হিট টিভি শো ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চশমা’তে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। কয়েকটি সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘সারফারোশ’ এবং ‘সুপার ৩০’-এর মতো হিন্দি চলচ্চিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।

যে ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০২ পিএম

দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৮তম) জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গতকাল মধ্যরাতে (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর (পুন:) ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বিভাগ : পরিবেশ-জলবায়ু
বিষয় : আবহাওয়া-অধিদপ্তর , ঝোড়ো-হাওয়া , বৃষ্টি , বজ্রসহ-বৃষ্টি , নদীবন্দর , সতর্কতা-সংকেত