শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

মনের চিকিৎসা নিজে করতে শিখুন

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে, সমাজ ও পরিবারের অশান্তি বাড়ছে নানা ক্ষেত্রে। শহরের মানুষ এই সমস্যার সমাধানে মানসিক ডাক্তার বা মনোচিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারলেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটা বৃহৎ অংশ সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সেই সব রোগী কিংবা তাদের অভিভাবকরা অনেক সময় বুঝতেও পারেন না যে কি করতে হবে, কার কাছে যেতে হবে।

বিশ্বের ধনী দেশ থেকে শুরু করে হতদরিদ্র দেশ— সবখানে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সব মানুষই কম বেশি মানসিক রোগে আক্রান্ত। কেউ হয়ত ১০০ শতাংশ, কেউ ৬০ শতাংশ, কেউ ৩০ শতাংশ আবার কেউ ৫ শতাংশ। কেউ আবার ১ শতাংশ।

দুঃখের বিষয় হলো— অনেক মানসিক রোগীই বুঝতে চায় না যে তিনি একজন রোগী। তার যে চিকিৎসা প্রয়োজন তা অনেক রোগী মনে করেন না। ফলে, অনেক সময় তাদের মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে । বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিত রোগীর ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে।

কিশোর বয়সেও অনেকের মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। ছাত্রজীবনে কঠিন অর্থ কষ্ট ও পারিবারিক সমস্যা থাকলে অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। মেডিক্যাল কলেজে বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কঠিন পড়ার চাপ সহ্য করাও অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তখন mental depression এ ভুগে অনেক শিক্ষার্থী। অনেকে আত্মহত্যাও করে বসে।

পরিবারের আর্থিক অভাব অনটন কিংবা কোটিপতির সন্তানদের অনেকে মাদকাশক্ত হয়েও মানসিক রোগে ভুগছে। সরকারি-বেসরকারি দাপ্তরিক কাজের চাপেও অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে ন্যায্য প্রমোশন না পেয়েই দিনে দিনে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছেন।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাত্যহিক ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের ঘাটতি, ব্যবসায় প্রতিনিয়ত লোকসানের সম্মুখীন হওয়া, দাম্পত্য কলহ, সন্তান মানুষ করতে না পারা, কাউকে টাকা ঋণ দিয়ে তা ফেরত না পাওয়া, দীর্ঘ সময় বেকার জীবনযাপন করা ইত্যাদি নানা কারণে মানসিক রোগ বাড়ছে।

প্রতিটি মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে। মনের বাসনা থাকে। সে সব পূরণে ব্যর্থ হলেও অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন তাদের সাপোর্ট করার মত আশেপাশে কেউ না থাকলেও মহাবিপদ দেখা দেয় তাদের জীবনে।

এই সমস্যা সমাধান করা কিছুটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। মানসিক রোগে আক্রান্ত শিক্ষিত রোগী নিজেও নিজেকে চিকিৎসা করাতে পারেন। মেডিটেশন করতে পারেন। নিজেকে নিজে বুঝাতে পারেন। অনেকে ধর্ম-কর্ম পালন করেও সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। ভালো চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে পারেন। অভিভাবকরা অধিক যত্নশীল হয়ে এই সব রোগীদের সুচিকিৎসা, মানসিক সাপোর্ট, রোগীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার, কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, এসবের মাধ্যমে রোগীদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

অনেক Schizophrenia patient রয়েছে। তাদের কথা শুনলে সহজেই বুঝা যায় তাদের mental disorder কোন পর্যায়ে। ইদানিং তাদের চিকিৎসার জন্যও রাজধানী ঢাকায় বেশ কিছু বিশেষায়িত ক্লিনিক রয়েছে।

শারীরিক রোগের চিকিৎসা করা সহজ। কিন্তু মানসিক রোগের চিকিৎসা করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরিবারের অন্যদের অনেক ধৈর্য্য ও সহনশীলতার দরকার। আমাদের মনে রাখতে হবে শরীর যত সুন্দর আর সুস্থই হোক না কেন মনের অসুখ থাকলে সবই অর্থহীন। সুতরাং মনের চিকিৎসা নিজে নিজে করতে শিখুন। নিজেকে নিজেই বুঝান। হতাশাকে জয় করুন। জীবনে সব কিছু পাওয়া যায় না— এই কথাটা বুঝতে শিখুন। অন্যের জীবন দেখে নিজেকে হতাশাগ্রস্ত করার কোনো দরকার নেই।

লেখক: সাবেক কর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর ট্যাক্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ

আরএ/

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে লরি ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আব্দুর রহিম (৩০) নামে এক কাভার্ডভ্যানের চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়।

নিহত মো. আব্দুর রহিম তিনি রংপু্র জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে। এছাড়াও এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- কাভার্ডভ্যান চালকের সহকারী শাকিল (২৫) ও নোমান (২৪)। আহত দুইজনই একই উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের জোকার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কনটেইনারবাহী লরি ও উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা কাভার্ডভ্যান জোকারচর এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। পরে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, দূর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে দুইপাশের সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি দুইটি সড়ক থেকে সড়িয়ে নেয়ার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার

সজিবুল ইসলাম সুজন। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে ট্রাকচাপায় সজিবুল ইসলাম সুজন (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে বাড়ির ফিরছিলেন। আগামী ১৫ এপ্রিল তার বাবা হওয়ার কথা থাকলেও সন্তানের মুখ দেখার আগেই তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে গোড়াই-সখীপুর সড়কের তক্তারচালা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহত সুজন সখীপুর উপজেলার বড়চওনা চটানপাড়া গ্রামের আবদুল বাছেদ মেলেটারির ছেলে। সুজন বড়চওনা বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। আগামী ১৫ এপ্রিল সুজনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সুজন। রাত ৮টার দিকে গোড়াই-সখীপুর সড়কের তক্তারচালা বাজার এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান

ভূঞাপুর থানা মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ দোকান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানা মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে ৪টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোররাতে থানা মার্কেটের এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কেটের লামিয়া স্টোর পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৌ কনফেকশনারী, উৎসব মডেল মেডিসিন ও মা-বাবার দোয়া ফ্যাশনের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

বাজারের নৈশ প্রহরী মিন্টু জানান, রাতে বাজারে টহলরত অবস্থায় দেখতে পাই থানা মার্কেটের একটি মুদিখানা দোকান থেকে ব্যাপক ধোয়া বের হচ্ছিল। পরে মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পরে। বিষয়টি থানায় অবহিত করা হয়।

ভূঞাপুর ফায়ার স্টেশন সার্ভিসের টিম লিডার স্বপন আলী জানান, খবর পাওয়ার পরই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে একটি দোকানের পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আরও ৩ টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানটিতে আগুন লেগেছে তার কয়েক মিটার পরেই ভূঞাপুর থানা ভবন।

তিনি আরও জানান, থানা মার্কেটের পাশে ভূমি অফিসের পুকুর থেকে পানি পাওয়া না গেলে আরও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতো। এতে ঝুঁকিতে পড়তো থানা ভবনও। তবে- ওই পুকুরের পানিতে ব্যাপক ময়না-আবর্জনা থাকায় পানি তুলতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, থানা মার্কেটে আগুন লাগার খবরটি বাজারের নৈশ প্রহরী জানানোর পর তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে কয়েকটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে