সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে, আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত হন। এ ছাড়াও তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পালন করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও ইতিহাস এ দুই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন রিজভী। বামপন্হী ছাত্রসংগঠন ‘বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন’র মাধ্যমে ছাত্র রাজীতিতে প্রবেশ করেন। ছিলেন সংগঠনটির রাজশাহী সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক।পরবর্তীতে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদান করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান ও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা রিজভী ১৯৮৯ সালের সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। বর্তমানে রাজনীতির মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তিনি নতুন নতুন শব্দমালার কারিগর।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন বিএনপির এ প্রভাবশালী নেতা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর স্টাফ রিপোর্টার মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

রুহুল কবির রিজভী: ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, এখন চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, আর্থিক খাত ধসে গেছে, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে- যেখানে মায়ের পেট ফেটে বাচ্চা বের হয়, মায়ের কোলে শিশুর মাথা পুলিশের গুলিতে ছিন্ন ভিন্ন হয়।

এসব ঘটনায় বোঝা যায় দেশের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে? আর্থিক খাতের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি গোটা জাতিকে ভয়াবহভাবে ঋণগ্রস্ত করেছে। এ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ সব চলে যাবে। প্রতিটি শিশুকে ঋণী করেছে এ সরকার। অন্যান্য খাত যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাত- এগুলো তো আগেই ধসে গেছে। সুতরাং আমি মনে করি সার্বিকভাবে দেশের পরিস্থিতি নৈরাজ্যকর ও অন্ধকারময়।’

ঢাকাপ্রকাশ: দল পুনর্গঠন কোন পর্যায়ে? পরবর্তী কাউন্সিল হচ্ছে না কেন?

রুহুল কবির রিজভী: ‘দলের পুনর্গঠন বেশ জোরেসোরেই চলছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম বছরব্যাপী চলে। যেখানে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে সেখানে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। গঠিত আহ্বায়ক কমিটিগুলো আবার নতুন করে উপজেলা কমিটি দিচ্ছে, ওয়ার্ড পর্যায়েও কাউন্সিল হচ্ছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে থানা থেকে জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব কমিটির মেয়াদ দুই বছর-তিন বছর অতিবাহিত হয়নি সেই কমিটি আছে। আর যেখানে সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে সেখানে কমিটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। তবে জাতীয় কাউন্সিল করার বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো কী?

রুহুল কবির রিজভী: ‘নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির দাবি একটাই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংবিধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা আবার সন্নিহিত করতে হবে। সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা সরকার গঠন করবে, দেশ পরিচালনা করবে।

কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হবে না- সেটার প্রমাণ তিনি নিজেই দিয়েছেন। উনার দুই নির্বাচন সম্পর্কে একটাকে বলা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন আরেকটা হচ্ছে নিশিরাতের নির্বাচন। যার মাধ্যমে তিনি দেশে-বিদেশে এ খ্যাতি পেয়েছেন। তাই তার অধীনে নির্বাচনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বরং সেই নির্বাচন হবে জনগণকে প্রতারণা করার আরেকটা ধাপ্পাবাজির নির্বাচন।

ঢাকাপ্রকাশ: ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কোন পথে?


রুহুল কবির রিজভী: আমরা নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাব না। এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট।

ঢাকাপ্রকাশ: যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় সেক্ষেত্রে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন হবে? যদি জনগণের ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?


রুহুল কবির রিজভী: আমাদের যেকোনো মুহূর্তেই নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের একটাই প্রস্তুতি নিতে হবে সেটা হচ্ছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা। সেই প্রস্তুতিই নিতে শুরু করেছি। আর প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সিরিয়াল আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন, তারপর তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।

ঢাকাপ্রকাশ: অতীতে একাধিকবার আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। এবার আন্দোলন সফল করতে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কী?

রুহুল কবির রিজভী: আমরা প্রতিনিয়ত আন্দোলনে আছি, আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জনদাবির উপর ভিত্তি করে কর্মসূচি দিচ্ছি এবং এটাই এক সময় সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান নেবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দলীয় কর্মসূচির বাইরে বিএনপি জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে মাঠে সক্রিয় থাকে না বলে রাজনীতিতে অভিযোগ রয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে জনগণ কী আপনাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসবে বলে আপনি মনে করছেন?

রুহুল কবির রিজভী: কথার কথা অভিযোগ কেউ করেন, এগুলো অবান্তর কথা। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। যদি তাই হয় তাহলে লোডশেডিংয়ের উপর তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি কেন নেওয়া হলো? এটা তো জনদাবির উপর ভিত্তি করে কর্মসূচি। বিএনপি গণভিত্তিক রাজনৈতিক দল, বিপুল জনসমর্থন। আর এ কারণেই আজ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় যে নির্বাচনে কোনো সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না তা দিতে ভয় পায় কেন? ভয় পায় এজন্য যে, শেখ হাসিনা জানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণের যে ঢেউ হবে...জানে বলেই দিতে চাচ্ছেন না।

ঢাকাপ্রকাশ: রাজনীতির মাঠে আলোচনায় প্রায়ই উঠে আসে বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট, আসলেই কি বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট আছে বলে মনে করছেন?

রুহুল কবির রিজভী: বিএনপির নেতৃত্বে কোনো সংকট নেই। যৌথ নেতৃত্বে বিএনপি চলছে। বিএনপির নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার নেতৃত্বে ও নির্দেশে দল পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: বেশকয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসা বিএনপি ঢাকায় আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে, এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে বিএনপির হাইকমান্ডের মনোভাব কী?

রুহুল কবির রিজভী: আন্দোলন গড়ে তুলতে যা করার তাই করবে বিএনপি। তবে বিএনপির তো র‌্যাব পুলিশ নেই, আওয়ামী লীগের র‌্যাব পুলিশ আছে। সরকারের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে তো খালি হাতে লড়াই করা যায় না। এখানে সংগ্রাম হয়েছে, তা না হলে আন্দোলন শুরু হলে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়? রিমান্ডের পর রিমান্ডে রাখে। এসব অবস্থা দেখে সরকারের আন্দোলনকে দমন করার মাত্রাটা বুঝা যায়। তাই দমনের মাত্রা নিয়েই কথা বলতে হবে। বিএনপি পারে কি পারে না সেটা পরের ব্যাপার। পারে বলেই তো সরকারের দমনের মাত্রা বিবেচ্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকাপ্রকাশ-কে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

রুহুল কবির রিজভী: ঢাকাপ্রকাশ পরিবার ও আপনাকে ধন্যবাদ।

এনএইচবি/এসএন 

Header Ad
Header Ad

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি

কার্লো আনচেলত্তি। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে গুঞ্জন সত্যি হলো। রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউট ছেড়ে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচ হচ্ছেন ইতালিয় কোচ কার্লো আনচেলত্তি। চলতি লা লিগা মৌসুম শেষে, আগামী ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ৬৫ বছর বয়সী এই সফল কোচ।

এই মৌসুমটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য খুব একটা সুখকর যায়নি। একের পর এক শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার কারণে ক্লাবটি চলছে চাপে আর অনিশ্চয়তায়। এরই মাঝে নতুন অধ্যায়ের দিকে পা বাড়াচ্ছেন আনচেলত্তি।

এদিকে, আনচেলত্তির জায়গায় রিয়ালের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক রিয়াল মিডফিল্ডার জাবি আলোনসো। বেশ কিছু স্প্যানিশ গণমাধ্যমের দাবি, আলোনসো গ্যালাক্টিকোদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। চলতি বুন্দেসলিগা মৌসুম শেষে বায়ার লেভারকুজেনের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি আনচেলত্তির স্থলাভিষিক্ত হবেন।

 

কার্লো আনচেলত্তি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত ফুটবল সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোর তথ্যমতে, রিয়াল মাদ্রিদ ও আলোনসোর মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি আলোনসোর কোচিং স্টাফ নির্ধারণের কাজও প্রায় চূড়ান্ত। রিয়াল মাদ্রিদ চায়, ক্লাব বিশ্বকাপে এই গ্রীষ্মেই দলের দায়িত্ব নেবেন আলোনসো।

এদিকে, নিজের উত্তরসূরী হিসেবে আলোনসোকে পেয়ে খুশি আনচেলত্তিও। তিনি বলেন, “আমি শুনেছি আলোনসো বায়ার লেভারকুজেন ছাড়ছে। সে দারুণ কাজ করেছে। তার জন্য রিয়ালের দরজা খোলা আছে। কারণ সে ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে, সে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ।”

Header Ad
Header Ad

৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৮৪ বছর পর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের সুপ্রিম কোর্ট ভবনের নিচতলার একটি বেজমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নাৎসি যুগের ৮৩টি বাক্স। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল থেকেই এই বাক্সগুলো সেখানে সংরক্ষিত ছিল বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের জাদুঘর প্রদর্শনীর প্রস্তুতির সময় এসব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিলের সন্ধান মেলে।

বাক্সগুলোর মধ্যে রয়েছে হিটলারের ছবি, প্রচারপত্র, পোস্টকার্ড, আলোকচিত্র ও হাজার হাজার নাৎসি পার্টির দলিল, যা অ্যাডলফ হিটলারের মতাদর্শ লাতিন আমেরিকায় ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ বহন করে। আর্জেন্টিনার সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা বাক্স খুলেই দেখি, এই সামগ্রী সরাসরি নাৎসি মতবাদ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।”

জানা গেছে, ১৯৪১ সালের জুনে, জাপানি স্টিমার “নান-আ-মারু”-তে করে বাক্সগুলো জার্মানির টোকিও দূতাবাস থেকে আর্জেন্টিনায় আসে। সে সময় আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিরপেক্ষ ছিল। কিন্তু চালানটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে পাঁচটি বাক্স খুলে দেখা হয় এবং সেখান থেকেই নাৎসি প্রচারসামগ্রীর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর আদালতের নির্দেশে বাক্সগুলো সুপ্রিম কোর্টের হেফাজতে নেওয়া হয়।

তবে এত বছর পর এই দলিলগুলো কিভাবে হারিয়ে গিয়েছিল এবং কেন তা নিয়ে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, তা স্পষ্ট নয়। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হেফাজতে থাকা এই দলিলগুলো উচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, বুয়েনস আইরেস হলোকাস্ট মিউজিয়াম-কে এগুলোর সংরক্ষণ, তালিকাভুক্তকরণ ও গবেষণার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নথিগুলো লাতিন আমেরিকায় নাৎসি উপস্থিতি, তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও অর্থায়ন নেটওয়ার্ক সম্পর্কে নতুন আলোকপাত করতে পারে, যা ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Header Ad
Header Ad

যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা

অ্যাম্বার হার্ড। ছবি: সংগৃহীত

হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ড মা হয়েছেন যমজ সন্তানের, তবে কে এই শিশুদের বাবা—তা নিয়ে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। মা দিবসের দিন ইনস্টাগ্রামে নিজের নতুন জীবন পর্বের কথা জানান অ্যাম্বার। নতুন দুই সন্তানের নাম রেখেছেন অ্যাগনেস ও ওশান।

নিজের অনুভূতি জানিয়ে অ্যাম্বার বলেন, “আমি মাতৃত্বকে বেছে নিয়েছি নিজের শর্তে। বন্ধ্যাত্বের মতো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ এই জায়গায় পৌঁছানো আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।” তিনি আরও জানান, বহু বছর ধরে তিনি নিজের একটি পরিবার চেয়ে এসেছেন।

৩৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী ২০২১ সালে কন্যা সন্তান উনাহ্‌-কে দত্তক নিয়েছিলেন। সে সময়ই নিজের গর্ভে সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকল মায়েদের উদ্দেশে এক আবেগঘন বার্তায় অ্যাম্বার লেখেন, “আপনারা পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন, মাতৃত্বে পৌঁছানোর যাত্রাটা যেমনই হোক, আমি এবং আমার স্বপ্নের পরিবার আপনাদের সঙ্গে আজকের দিনটি উদযাপন করছি।”

অ্যাম্বার হার্ডের ব্যক্তিগত জীবন নানা কারণে আলোচনায় এসেছে। ২০১৫ সালে অভিনেতা জনি ডেপকে বিয়ে করলেও, পরের বছরই তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। সেই সম্পর্ক ঘিরে ছিলো নির্যাতন ও মানহানির মামলার বিতর্ক। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশেই উচ্চ-প্রোফাইল আইনি লড়াইয়ে জড়ান তারা। এসব মামলায় কখনো জয়, কখনো পরাজয় আসে দুই পক্ষের জন্যই।

ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হার্ডের সম্পর্কের গুঞ্জন উঠে প্রযুক্তি দুনিয়ার আলোচিত ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্কের সঙ্গে। যদিও অ্যাম্বার তার যমজ সন্তানের বাবার পরিচয় প্রকাশ করেননি, তবে অনেকেই ধারণা করছেন, এই সন্তানের পিতৃত্বে হয়তো ইলন মাস্কই জড়িত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ দলের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইট
চুয়াডাঙ্গায় কমেছে তাপমাত্রা, স্বস্তিতে জনজীবন
বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ
আ.লীগ নিষিদ্ধের উল্লাসে শাহবাগে নেতাদের নাম দিয়ে গরু-ছাগল জবাই
সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মোদির জরুরি বৈঠক, উপস্থিত শীর্ষ কর্মকর্তারা
পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না শিশুর, অটোরিকশার ধাক্কায় সড়কেই ঝড়ল প্রাণ
রিয়াল মাদ্রিদের হেড কোচের দায়িত্ব পেলেন জাবি আলোনসো
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড