মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

ঘৃণার স্রোত নেমে যায়। জ্যাক এবং তার ভাইকে হাত খরচের কোনো টাকা দেওয়া হতো না। মাঝে মধ্যে কোনো দোকানদার মামা কিংবা ভালো পরিবারে বিয়ে হয়ে যাওয়া কোনো খালার কাছে তাদেরকে পাঠানো হতো। তখন সামান্য কিছু পাওয়া যেত। মামার কাছে যাওয়াটা সোজা ছিল। কারণ মামা তাদের দুজনকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু খালা তার তুলনামুলক সামান্য সম্পদের কথা তাদের মনে করিয়ে দিতেন। অপমানিত বোধ করার পরিবর্তে তারা দুভাই বরং পয়সা না পেলেও ওইসব ফাইফরমাস কাজে যেতে পছন্দই করত। যদিও সমুদ্র দেখার, খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ানোর এবং পাড়ার খেলাধুলার জন্য পয়সা লাগত না তবু আলুভাজা, মিঠাই, আরব পেস্ট্রি এবং জ্যাকের ক্ষেত্রে ফুটবল ম্যাচের জন্য পয়সার দরকার হতো। একদিন সন্ধ্যায় জ্যাক পাড়ার বেকারি থেকে হাতে করে আলু আর পনিরের বাটি নিয়ে ফিরছিল। তাদের বাড়িতে, গ্যাস কিংবা চুল্লি কোনোটাই ছিল না; তারা একটা অ্যালকোহল স্টোভে রান্না করত। রুটি জাতীয় কিছু তৈরি করার ব্যবস্থা ছিল না। কোনো খাবার সেঁকার দরকার হলে সেটা তৈরি অবস্থায় পাশের কোনো বেকারিতে নিয়ে যাওয়া হতো। কয়েক সেন্টিমের বিনিময়ে সেখানকার চুল্লিতে রেখে নজর রাখা লাগত। সেদিনের সেই বাটিটার ওপরে একটা কাপড় দেওয়া ছিল যাতে রাস্তার ধূলি পড়তে না পারে এবং কাপড়টাসহ ধোঁয়া ওঠা গরম বাটিটার কানা ধরা সম্ভব হয়। তার হাতে একটা দড়ির ব্যাগে ছিল অল্প পরিমাণ করে কয়েকটা প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন: আধা পাউন্ড চিনি, একপোয়া মাখন, পঁচিশ সেনটিম দিয়ে কেনা পনির ইত্যাদি। তার কনুইয়ের ভাঁজের ওপরে ঝোলানো ব্যাগটা খুব ভারি ছিল না। আলু আর পনিরের গন্ধ শুকতে শুকতে বেশ চঞ্চল গতিতেই যাচ্ছিল জ্যাক; তখন রাস্তায় কর্মফেরত লোকজনের বেশ ভিড় ছিল পাড়ার ফুটপাতের ওপর। হঠাৎ দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা তার পকেটের ছেড়া দিয়ে গড়িয়ে পড়ল ফুটপাতের ওপর। মুদ্রাটা কুড়িয়ে তুলে জ্যাক তার কাছে থাকা খুচরা পয়সাগুলো গুণে ওই মুদ্রাটা অন্য পকেটে রেখে দিল। হঠাৎ তার মনে হলো, আমি তো মুদ্রাটা হারিয়েও ফেলতে পারতাম। পরের দিনের ফুটবল ম্যাচের সম্ভাবনাটা সে ততক্ষণও বাতিল করেই রেখেছিল। সে সম্ভাবনাটাও এখন মনের পর্দায় মাথা তুলতে থাকল।

 

বালক জ্যাককে কেউ শিখিয়ে দেয়নি কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায়। কিছু কিছু বিষয় নিষিদ্ধ ছিল এবং সেগুলোর বরখেলাপ হলেই প্রচণ্ড শাস্তি পেতে হতো। সেগুলোর বাইরে কোনো কিছুর ব্যাপারে কিছু বলা ছিল না। শুধু তার শিক্ষকেরা পাঠ্যতালিকা অনুযায়ী পড়াশোনা শেষ করে সময় পেলে মাঝে মাঝে নৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। তাদের কথাতেও মূল কারণের চেয়ে নিষেধের বিষয়টাই মুখ্য হয়ে দেখা দিত। নৈতিকতা সম্পর্কে জ্যাক যা দেখেছে এবং অভিজ্ঞতা লাভ করেছে তার সবটা জুড়ে ছিল তাদের শ্রমজীবি শ্রেণির পরিবারের দৈনন্দিন জীবন। সেখানে কেউ ভাবতেই পারেনি, টিকে থাকার জন্য যে টাকা পয়সা দরকার সেটা যোগাড় করার জন্য কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আর কোনো পথ আছে কি না। তবে সে শিক্ষার মধ্যে ছিল সাহস, নৈতিকতা নয়। তা সত্ত্বেও জ্যাক জানত, ওই দুই ফ্রাঁ লুকিয়ে ফেলাটা অন্যায়। সে এই কাজ করতে চায়নি। করবে না। তার চেয়ে বরং তার আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আরেকটা কাজ করতে পারে-প্যারেড গ্রাউন্ডের পুরনো স্টেডিয়ামের দুটো তক্তা ফাঁক করে ভেতরে ঢুকে পয়সা ছাড়াই খেলা দেখে আসতে পারে। ওই একই অভিজ্ঞতার জন্যও হতে পারে, নিজে হয়তো বুঝতে পারেনি কী কারণে, বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি খুচরো পয়সাগুলো ফেরত দেয়নি। বাড়ি ফিরে একটু পরে টয়লেট থেকে ঘুরে এসে জ্যাক বলেছিল, টয়লেটে ট্রাউজার খূলে বসার সময় তার পকেট থেকে দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা টয়লেটের গর্তের মধ্যে পড়ে গেছে। জায়গাটাকে টয়লেট বললেও বেশি উঁচুমানের একটা চেহারা মনে হতে পারে। আসলে ওপরের তলার সিঁড়ির গোড়ায় সুরকি ঘষামাজা করে একটু জায়গা বের করে ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দরজা আর পেছনের দেয়ালের মাঝে মাঝারি আকারের বেদীতে তুর্কি কেতায় ফুটো করে বানানো হয়েছিল টয়লেটটা। সেখানে বাতাস, বৈদ্যুতিক আলো কিংবা তরল পদার্থ বের করার কোনো নলও ছিল না। কাজেই প্রত্যেকবার ব্যবহার করার পর ক্যানেস্তারা ভরে পানি ঢেলে দিতে হতো। তবে গোটা সিঁড়ি বেয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকত সব সময়। গন্ধ আটকানোর কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। জ্যাকের ব্যাখ্যাটা বাস্তবসম্মত ছিল। যদি বলত রাস্তায় হারিয়ে গেছে তাহলে তাকে আবার হয়তো সেখানেই পাঠানো হতো পয়সাটা খুঁজে আনার জন্য। বাড়তি কাজের ঝামেলা এড়ানো গেছে মনে হলো। তবু এই দুঃসংবাদটা প্রচার করার পর জ্যাকের মনের ভেতর খচখচ করতে লাগল। নানি তখন রান্নাঘরে একটা পুরনো ব্যবহারজীর্ণ দাগপড়া তক্তার ওপরে রসুন আর মসলা কাটছিলেন। কাজ থামিয়ে তিনি জ্যাকের দিকে গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকালেন। জ্যাকের মনে হলো, নানি এই বুঝি বিস্ফোরণে ফেটে পড়বেন। কিন্তু তিনি চুপ থেকে বরফ শীতল চোখে জ্যাককে নিরীক্ষণ করতে লাগলেন। শেষে বললেন, তুই কি নিশ্চিত, পয়সা ওখানে পড়ে গেছে।

হ্যাঁ, পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনলাম।
তারপরও তিনি জ্যাকের দিকে পরীক্ষামূলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন। তারপর বললেন, ঠিক আছে, দেখি কী করা যায়।
আতঙ্কের মধ্যে জ্যাক দেখল, নানি তার জামার ডান হাতা ওপরের দিকে গুটিয়ে নিয়ে সিঁড়ির মাথার দিকে হাঁটা দিলেন। জ্যাক পড়িমরি করে খাবার ঘরের দিকে দৌড়লো। নানি ডাক দিলে জ্যাক এগিয়ে নানিকে ওয়াশবেসিনের সামনে দেখতে পেল। তার হাতের গোটা অংশ সাদা ফেনায় ঢাকা; পানির প্রবাহে ধুয়ে ফেলছেন তখন। জ্যাককে উদ্দেশ করে বললেন, ওখানে কিছু নেই। তুই মিথ্যে কথা বলেছিস।

তোতলাতে তোতলাতে জ্যাক বলল, মনে হয় পানির সাথে ধুয়ে চলে গেছে।
নানি বললেন, হতে পারে। তবে তুই যদি মিথ্যে কথা বলে থাকিস তাহলে তোর কপালে খারাপি আছে আজ।
হ্যাঁ, তার কপালে খারাপিই ছিল। কারণ সেবার সে বুঝতে পেরেছিল, তার নানি মনুষ্যবিষ্ঠার মধ্যে হাতড়ে হাতড়ে পয়সা খুঁজছিলেন লোভের বশবর্তী হয়ে নয়। ভয়ঙ্কর অভাব অনটনের কারণে। মাত্র দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা অতি মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে তখনই বুঝতে পেরেছিল এবং পরবর্তীতে লজ্জার আকস্মিক বিচলনের সঙ্গে আরো পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছে, সে তার পরিবারের মানুষদের অতি কষ্টে উপার্জিত দুই ফ্রাঁ চুরি করেছিল। এমনকি আজও জানালার পাশে বসে থাকা মাকে দেখে জ্যাক ব্যাখ্যা করতে অপারগ, কী করে ওই দুই ফ্রাঁ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলেও পরের দিন ঠিকই ফুটবল ম্যাচ দেখতে যেতে পারত।

 

চলবে..

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১ জুলাই। দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান’-এর সূচনাদিবস হিসেবে। এক বছর আগে এই দিনে দেশের শিক্ষাঙ্গনে শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের নতুন ঢেউ, যা পরিণত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

“কোটা না মেধা, মেধা মেধা” স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। আন্দোলনকারীরা সরকারকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ৩৬ দিনের এক বিরল গণআন্দোলনে। ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও, ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধেই ১ জুলাই ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সেদিন শিক্ষার্থীরা কলাভবন, শ্যাডো, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও হলগুলো ঘুরে ভিসিচত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হন। সেখানে তারা উত্থাপন করেন চার দফা দাবি: ১) ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বহাল রাখা, ২) মেধাভিত্তিক নিয়োগ অব্যাহত রাখা, ৩) কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল, এবং ৪) কেবল সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যই সুযোগ রাখার প্রস্তাব।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বার্তা দেন, দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। ২ জুলাই ঢাবি থেকে গণপদযাত্রা এবং ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষাবর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৪ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের উচিত আমাদের দাবির চূড়ান্ত আইনি সমাধান ঘোষণা করা।’ তিনি জানান, একইসাথে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ওইদিন আন্দোলনে সরব ছিলেন। তারা জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। তাদের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট—"১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অথচ আজও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। চাকরিতে কোটা নয়, নিয়োগ হতে হবে মেধার ভিত্তিতে।"

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জাবির প্রধান ফটকে গিয়ে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। ১০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় দিক বন্ধ রেখে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন তারা—৪ জুলাইয়ের মধ্যে রায় বাতিল না হলে এই মহাসড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে রাজধানী অচল করে দেওয়া হবে।

একইসাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা রায়সাহেব বাজার হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রফিক ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখান থেকে তারা ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ঘোষণা করেছে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামের দেশব্যাপী কর্মসূচি। আজ সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে এ কর্মসূচি। এরপর গাইবান্ধা ও রংপুর সদরে পথসভায় অংশ নেবেন দলটির নেতারা।

অন্যদিকে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবার।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন