রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩৩

কায়রোতে আমাদের দুজনের শেষ দিন। এসেছিলাম তিনজন একসঙ্গে, কিন্তু আমরা ঢাকায় ফিরলেও রানা ভাই ফিরবেন আরও এক সপ্তাহ পরে। সকালের ফ্লাইটে শাহরাম এল শেখ হয়ে সিনাই চলে যাবেন, আমেরিকা থেকে এক বন্ধু এসে তার সঙ্গে যোগ দেবেন বন্দর নগরী শাহরাম এল শেখ-এ। তারপর সিনাই হয়ে ইসরাইলের সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসে কায়রো হয়ে ঢাকায় যাবেন।

আমাদের ফ্লাইট সন্ধ্যায়। দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাইরে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছোটাছুটি করে কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সিটাডেল দর্শন বাদ পড়ে গেছে। রানা ভাই আগে একবার এসে ঘুরে গেছেন, সেই কারণেও আমরা প্রায়োরিটির তালিকা থেকে বাদ রেখেছিলাম। আসলে সময়ও করতে পারিনি। সৌরভ আগে থেকেই সকালের জন্য দুটি বাহনের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। একটা রানা ভাইকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেবে অন্যটা আমাদের সিটাডেল ঘুরিয়ে দুপুরের দিকে বাসায় পৌঁছে দেবে। সকাল সাড়ে সাতটায় দুটি গাড়ি দরজায় প্রস্তুত। আমরা একইসঙ্গে নাস্তা করে এক যাত্রায় পৃথক ফলের নির্দেশনা মেনে নিয়ে দুই গাড়িতে উঠে বসলাম।

সিটাডেলে প্রবেশ পথ

সিটাডেলের মূল চত্বরে ঢুকে পড়ার আগে ফুটপাথ ঘেষে আমাদের নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার জোসেফ বলল, ‘তোমরা সিটাডেল ঘুরে দেখে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে।’ সিটাডেলের বিশালত্ব সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। বললাম, ‘ঘণ্টা দুয়েক তো অনেক সময়!’ বাহনের চালক এবারে হেসে বলল, ‘তারপরেও তোমরা বরং একটু বেশি সময় নাও। এখন সাড়ে আটটা বাজে, তোমরা এগারোটায় ঠিক এইখানে চলে এস। এখানে গাড়ি রাখার সমস্যা আছে, আমি পার্কিং থেকে এসে তোমাদের তুলে নিয়ে যাব।’ ‘তথাস্তু’ বলে আমরা সামনে হাঁটতে শুরু করলাম।

পাথরে বাঁধানো পায়ে চলার পথ ধরে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছাতেই অনেকটা সময় লেগে গেল। কাউন্টারে বসা কাঁধ পর্যন্ত লাল চুলের হিজাববিহীন মেয়েটি হেসে হেসে বলল, ‘ওয়ান হান্ড্রেড পাউন্ড প্লিজ!’ ভেবেছিলাম দুজনের জন্যে একশ, কিন্তু একটু পরেই বুঝলাম একজনের প্রবেশপত্রই একশ! সারা মিশরে ফারাওদের বিশাল রাজত্বে হাজার বছরের পুরোনো স্থাপনা, ভবন, সমাধি, মন্দির, দূর্গ ঘুরে এসেছি কোথাও ৬০ থেকে ৭৫ এর বেশি দক্ষিণা দিতে হয়নি। কে জানে গাজী সালাহউদ্দিনের নাম মাহাত্মেই কিনা তার দূর্গ দর্শনের দক্ষিণা অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি।

নাসির মাহমুদ মসজিদ

খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের সাম্ভাব্য আক্রমণ থেকে কায়রোকে রক্ষা করতে কুর্দিশ আইয়ুবী শাসক ইউসুফ ইবনে আইয়ুব ইবনে সাদি ওরফে সালাহউদ্দিন ১১৭৬ থেকে ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দের ভেতরে তৈরি করেছিলেন মধ্যযুগের সবচেয়ে সুরক্ষিত দূর্গ কায়রো সিটাডেল। আমাদের দেশে গাজি সালাহউদ্দিন নামে পরিচিত সালাহউদ্দিন আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও মিশরে মুসলিম শাসকদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। ফাতিমি খিলাফতের নাবালক খলিফা আল আদিদকে সহায়তা দেওয়ার জন্যে সালাহউদ্দিনকে ১১৬৪ সালে মিশরে পাঠানো হয়েছিল। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার সামরিক সাফল্য এবং আল আদিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কারণে সালাহউদ্দিন সুন্নি হয়েও শিগগিরই শিয়া ফাতিমি সাম্রাজ্যে নিজের গুরুত্ব ও অবস্থান নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তার মেয়াদকালে ক্রমেই ফাতিমীয় খিলাফতকে দুর্বল করে দিয়ে আল আদিদের মৃত্যুর পরে সালাহউদ্দিন মিশরে নিজের অবস্থান শক্ত করে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে যান। বাগদাদভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফতের সঙ্গে তার সম্পর্ক মজবুত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মুস্তাদি সালাহউদ্দিনকে মিশর ও সিরিয়ার সুলতান ঘোষণা করেন।

নাসির মাহমুদ মসজিদের ভেতরে

দূর্গের অভ্যন্তরে দীর্ঘ প্রশস্ত পথ ধরে হেঁটে একটু এগিয়ে গেলে ডান দিকে আল নাসির মাহমুদ মসজিদ। ১৩১৮ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় উপাসনালয় হিসেবে মামলুক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। প্রায় নয়শ বছর আগে তৈরি মসজিদের কারুকার্য খচিত মিনার এখনো অক্ষত আছে। শুধু মিনার নির্মাণ ও অলঙ্করণের জন্যে ইরানের তাবরিজ থেকে একজন স্থপতিকে কায়রো নিয়ে এসেছিলেন সুলতান নাসির মাহমুদ। এখানে জুতা খোলার বাধ্য বাধকতা থাকলেও নারীদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই। আমাদের আগেই কয়েকজন শ্বেতাঙ্গিনী মসজিদ চত্বরে ঢুকে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন দেখে বোঝা গেল ১০০ পাউন্ড উসুল করার ব্যবস্থা রেখেই প্রবেশ পত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুহম্মদ আলী মসজিদ

সুলাইমান পাশা মসজিদ নামের আরেকটি ছোট মসজিদকে বলা যায় পাশ কাটিয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম কায়রোর তথা মিশরের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন, সর্বাধিক চিত্রায়িত ও সর্বজন প্রশংসিত মুহম্মদ আলী মসজিদের দিকে। সুলতান মুহম্মদ আলী পাশা ইস্তাম্বুলের ব্লু মস্কের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এই মসজিদ। আটোমানদের সঙ্গে বৈরিতা তার এই স্থাপত্য সৌন্দর্য বিনির্মাণে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাঝখানের কেন্দ্রীয় গম্বুজ ঘিরে চারটি ছোট ও চারটি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ নিয়ে তৈরি হয়েছে মসজিদের মূল কাঠামো।

এখানে এক সঙ্গে নামাজে যোগ দিতে পারেন দশ হাজার মানুষ। নির্মাণকাজে প্রধানত লাইমস্টোন ব্যবহার করা হলেও সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে অ্যালাবাস্টারের আচ্ছাদন। মসজিদের মিনার দুটির উচ্চতা ৮৪ মিটার, যা মিশরের সর্বোচ্চ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। ভেতরের চিত্রিত গম্বুজ ও কাঠের তৈরি সুদৃশ্য মিম্বর দুটি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ন্যাশনাল মিলিটারি মিউজিয়াম

মসজিদ থেকে বেরিয়ে আমরা একটা খোলা চত্বরে এসে পড়লাম। এখান থেকে ডানে জাতীয় সামরিক মিউজিয়াম এবং বাঁয়ে পুলিশের জাদুঘর। প্রথমেই ঢুকে পড়লাম সেনাবাহিনীর জাদুঘরে। একসারি কামান সাজানো পথ ধরে একটু এগিয়ে গেলে যিনি মূর্তিমান হয়ে একটি বেদীতে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি স্বয়ং মুহম্মদ আলী পাশা। আরাম আয়েশে কালাতিপাত করার জন্যে সিটাডেলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে তিনি যে প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ১৯৩৭ সাল থেকে সেই প্রাসাদই ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়াম। বহিরাঙ্গনে সাঁজোয়া যানবাহন ও যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন ছাড়াও অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী রয়েছে তিনটি ভিন্ন তলায়।

সিটাডেল থেকে কায়রো শহর

পুলিশ মিউজিয়ামে প্রবেশের তোরণ দেখে বোঝা যায় এটি দূর্গের ভেতরে আরও একটি সংরক্ষিত দূর্গ। সুলতানী আমলে এই অংশটি ব্যবহার করা হতো কারাগার হিসেবে। ফারাও যুগ থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরী থেকে শুরু করে আধুনিক পুলিশে রূপান্তরের ইতিহাস চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে পুলিশ মিউজিয়ামে।

পুলিশ মিউজিয়ামের পাশ দিয়ে একটি তোরণ পেরিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে দেয়াল দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বরে পৌঁছে দেয়ালের প্রান্তে দাঁড়ালে কায়রো শহরের একটা বিস্তৃত দৃশ্য চোখে পড়ে। পুরোনো শহরের সমাধি ক্ষেত্র থেকে নতুন শহরের বহুতল ভবন পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকা জুড়ে শহরের বিস্তার থেকে এই শহরের বিশালত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। সিটাডেলের ভেতরে আরও একটা মিউজিয়ামসহ অনেক কিছুই সময়ের অভাবে দেখা হলো না। এগারোটায় আমাদের তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ঘড়িতে এগারোটা বেজে পার হয়ে গেছে। অতএব এবারে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যাবার পথ ধরতে হলো।

সিটাডেলে দেয়াল চিত্র

চলতে চলতেই লক্ষ করলাম দেয়ালে বিভিন্ন যুগের যুদ্ধ বিগ্রহের দৃশ্য, রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ও বীরত্ব গাথার দৃশ্য। পাথরে রিলিফের কাজ নাকি কাদামাটি বা প্লাস্টার অব প্যারিসের মতো সামগ্রী ব্যবহার করে পরে তামাটে রঙ করা হয়েছে বুঝতে পারিনি। হয়তো তামা বা লোহা জাতীয় ধাতব প্লেটে ঢালাইয়ের কাজও হতে পারে। সুদূর অতীত থেকে নানা সময়কে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের যে নৈপুণ্য তা আরও অনেক সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে উপভোগ করতে পারলে কোনো আফসোস থাকতো না। দ্রুত হেঁটে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আমাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছার পরেও বেশ কিছুক্ষণ ড্রাইভারের দেখা নেই। মিনিট পাঁচেক পরে যোসেফ এসে দাঁড়ালে জানা গেল সে আরও দুবার এখান থেকে চক্কর দিয়ে গেছে। পার্কিংয়ের নিয়ম নেই বলে অপেক্ষা করতে পারেনি।

পথে যোসেফকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘একজন খ্রিষ্টান সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে তোমরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হও?’ কয়েকবার সে ‘মাইনরিটি’ শব্দটা উচ্চারণ করার পরে যা বলল তাতে বুঝলাম, মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু বলে যে একটা শব্দ আছে তা সে জানেই না। কায়রোতে আমাদের প্রথম গাইড সিলভিয়া এবং শেষ ড্রাইভার যোসেফের কাছে একই ধরনের উত্তর পেয়ে বুঝলাম আমরা নিজেদের দেশকে যতোই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে উচ্চকণ্ঠে দাবি করি, এই গলা ফাটানো চিৎকারের মধ্যেই ফাঁকিটা লুকিয়ে আছে। মিশরে সেই গাজী সালাউদ্দিনের যুগে ধর্মযুদ্ধের পরে আর কবে কবে কোথায় ধর্মের নামে লড়াই হয়েছে আমার জানা নেই, তবে সাম্প্রতিক মিশরে কেউ কোরো ধর্ম, পোশাক, হিজাব-নিকাব, মসজিদ-গির্জা, মূর্তি কিংবা ভাস্কর্য নিয়ে মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না।

জাতীয় পুলিশ জাদুঘর

যোসেফ আমাদের নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরেও অনেকটা সময় আছে। সারারাতের ফ্লাইটের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে লাঞ্চের পরে একটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু এই অসময়ে ঘুম আসবে না নিশ্চিত জানি। আমাদের দুটি করে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও এয়ারপোর্টে রিপোটিং-এর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। আগের দিন বিকেলে ল্যাবরেটরি থেকে লোক বাসায় এসে স্যাম্পল নিয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে মিশরের বিভিন্ন প্রান্তে জাহাজে, দূর্গে, বাজারে ও মসজিদ, মন্দির, গির্জায় প্রচুর ঘোরাঘুরি হয়েছে। কোথায় কোভিডের অদৃশ্য শত্রু ঘাপটি মেরে বসে ছিল কে জানে! রিপোর্টের নেতিবাচক ফলাফলের চেয়ে রিপোর্ট সময় মতো হাতে পাওয়া নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সন্ধ্যা সাতটায় এয়ারপোর্টে রিপোর্টিং, কাজেই সন্ধ্যা ছয়টায় কোভিড টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে ফ্লাইট ধরা কঠিন হবে। সৌরভ অবশ্য ফোন করে তাগাদা দিয়ে রেখেছিল, ফলে বিকেল চারটায় রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। খাম খুলে দেখা গেল কোনো সমস্যা নেই, সময় মতো বেরিয়ে পড়া যাবে।

বাসায় কেউ উপস্থিত না থাকলে চাবি ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা টেনে বন্ধ করে চলে যাবার বিপদ হলো যদি কোনো কারণে ভেতরে কিছু থেকে যায় তাহলে আর তা উদ্ধারের কোনো উপায় থাকে না। রানা ভাই সকালে চলে গেছেন, সৌরভ অফিসে। কাজেই পাসপোর্ট, টিকেট, কোভিড টেস্টের রিপোর্ট, ট্রলি ব্যাগ ও স্যুটকেসসহ সবকিছু তিনবার করে দেখে নিয়ে দরজার বাইরে এবং চাবি ভেতরে নির্ধারিত জায়গায় রেখে দরজাটা টেনে দিলাম।

এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে দুপাশে দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যে পথ পার হয়ে যাচ্ছি হয়তো আর কখনোই সে পথে ফিরে আসা হবে না। রাস্তায় যানজট ছিল না বলে চেক-ইন শুরু হবার অনেক আগেই কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে গেছি। পশ্চিমের আকাশ তখনো সূর্যাস্তের লাল আভা ছড়িয়ে রেখেছে। দেশে ফেরার আনন্দ ছাপিয়ে এক ধরনের বিষণ্নতা আমাকে ঘিরে ধরে।
শেষ!

এসএন

 

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

 
Header Ad

গুদামে মিলল পুলিশের রেশনের ৩০০ বস্তা চাল, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় পুলিশ সদস্যদের রেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০০ বস্তা চাল মজুত করার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার মধইল বাজারে গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাত ৮টার দিকে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার মধইল বাজারের ভাই ভাই চাল আড়তের মালিক এনামুল হককে এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন বলেন, গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে উপজেলার মধইল বাজারের এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুত করা হয়েছে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাতে মধইল বাজারের ভাই ভাই চাল আড়তের গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গিয়ে গুদামে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০ কেজি ওজনের ৩০০টি বস্তা পাওয়া যায়। ৩০০ বস্তায় মোট ৯০০০ হাজার কেজি (৯ মেট্রিক টন) চাল ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যবসায়ী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তার ৯টন চাল তিনি জয়পুরহাট থেকে কিনেছেন। এসব চাল জয়পুরহাট জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া রেশনের চাল। রেশন কিংবা যে কোনো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তায় চাল বিক্রয় ও বিপণন করা নিষিদ্ধ। এই অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম) প্রতিরোধ আইন-২০২৩-এর ৬ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় মাদক মামলায় মো. মুকুল (২৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক এস এম মনিরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ জুলাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁর পোরশা থানার জালুয়াপাড়া এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালায়। সে সময় একটি ভটভটি থামিয়ে তল্লাশিকালে মুকুলের কাছে থাকা ব্যাগে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নওগাঁ কার্যালয়ের পরিদর্শক সবুজ চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসলি (এপিপি) মোজাহার আলী।

তিনি বলেন, মামলায় ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এ রায়ের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন হয়েছে।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনসুর আলী বলেন, এ মামলায় আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পায়নি বলে মনে করি। এজন্য আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

ইরাকে সমকামিতায় জড়ালেই ১৫ বছরের জেল

ছবি: সংগৃহীত

সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যকার যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে নতুন আইনে পাশ হয়েছে ইরাকের পার্লামেন্টে। সমকামিতায় জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে।

বলা হচ্ছে, ইরাকের সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রাখতে নতুন এ আইন করা হয়েছে। যদিও অধিকারকর্মীরা এর বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে, ইরাকে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের সর্বশেষ নজির এটি।

গতকাল শনিবার পাস হওয়া আইনটির একটি অনুলিপি রয়টার্সের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, নৈতিক অবক্ষয় ও বিশ্বগ্রাসী সমকামিতার আহ্বানের হাত থেকে ইরাকি সমাজকে রক্ষা করা এ আইন পাসের উদ্দেশ্য।

ইরাকের পার্লামেন্টে বৃহত্তম জোটের অংশ হিসেবে রক্ষণশীল শিয়া মুসলিম দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন এই আইন পাস করা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, যৌনবৃত্তি ও সমলিঙ্গের সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন কর্মকাণ্ডে জড়ালে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি যৌনবৃত্তি ও সমকামিতা প্রচারের জন্যও কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

নতুন এ আইনের খসড়ায় সমকামিতায় জড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কঠোর বিরোধিতা করে। পরবর্তী সময় মৃত্যুদণ্ডের বিধান বদলে ফেলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১৫ বছরের কারাদণ্ড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এলজিবিটিকিউদের অধিকারবিষয়ক প্রোগ্রামের উপপরিচালক রাশা ইউনেস রয়টার্সকে বলেন, নতুন এ আইন ইরাকের এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার লঙ্ঘনের নজির এবং মৌলিক মানবাধিকারের ওপর গুরুতর আঘাত।

বর্তমান বিশ্বে ৬০টির বেশি দেশে সমকামিতাকে আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জানিয়েছে আওয়ার ওয়ার্ল্ড। সংগঠনটির হিসাবে, ১৩০টির বেশি দেশে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্ক বৈধ।

 

সর্বশেষ সংবাদ

গুদামে মিলল পুলিশের রেশনের ৩০০ বস্তা চাল, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ইরাকে সমকামিতায় জড়ালেই ১৫ বছরের জেল
আবারও বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলেন শিবলী রুবাইয়াত
কোরবানির জন্য গরু আমদানি করবে না সরকার
আবু ধাবিতে উদ্বোধন হচ্ছে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গির্জা
পাপ লুকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার : রিজভী
রিকশাচালকদের মাঝে ডিএনসিসির ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ
নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন তথ্য
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ইরাকের টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা
তীব্র গরমে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড
গোবিন্দগঞ্জে চোরাবালিতে আটকে পড়া কিশোরকে উদ্ধার
চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে নাচানাচি, ভিডিও ভাইরাল
টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, হিটস্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব, কে এই আর্জেন্টাইন নারী?