পদত্যাগ করছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও মাহমুদুল, দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার

ডা. মাহমুদুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ডা. মাহমুদুল হাসান। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা সব দুর্নীতির অভিযোগকে ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার (২১ মে) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রায় তিন ঘণ্টা, সকাল ১০টা ৩০ থেকে দুপুর ১টা ৩০ পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিশন।
ডা. মাহমুদুল বলেন, “গতকাল চিঠি ইস্যু করা হলেও আমি পাইনি। গণমাধ্যমে খবর দেখে নিজ উদ্যোগে আজ দুদকে হাজির হয়েছি। অভিযোগ কী, সেটাও আমি সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। তদবির, অনৈতিক লেনদেন বা টাকা পাচারের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।”
তিনি আরও বলেন, “আমি মূলত জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজের সমন্বয় করেছি। এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি পদে থাকি বা না থাকি, আহতদের চিকিৎসা সহায়তা অব্যাহত রাখব।”
পদত্যাগের বিষয়ে ডা. মাহমুদুল জানান, “ব্যক্তিগত কারণেই আমি পদত্যাগ করতে চাই। মাননীয় উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে আবেদন করব। সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার উপর নির্ভর করবে।”
একই দিনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক পিও তুহিন ফারাবিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
জানা যায়, ১৫ মে দুদক থেকে তাদের বিরুদ্ধে তলবি চিঠি ইস্যু করা হয়। ২০ মে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও, তারা একদিন পর ২১ মে উপস্থিত হন। এর আগে ২৭ এপ্রিল ‘মার্চ টু দুদক’ কর্মসূচির আওতায় যুব অধিকার পরিষদ দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদকে স্মারকলিপি দেয়। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দুই আইনজীবীও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ আনেন।
